The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 20

এভাবে কতক্ষন বসেছিলো খেয়াল নেই হঠাৎ পিঠে কারোর শরীরের ছোঁয়ায় ঘোর কাঁটে রুহীর।বুকটা কেঁপে উঠে ওর।কারন স্পর্শটা ওর ভিতরে তোলপাড় জাগাচ্ছে।কিন্তু এখন সেটা ও চায়না।চোখজোড়া ভারি হয়ে আসছে।তবে সেটাকে দমিয়ে রাখে খুব কষ্টে।কেন এলো এখানে সে?নষ্ট মেয়েটাকে নিজের সাথে রাখতে নাকি অপমান করে দূরে সরিয়ে দিতে????হঠাৎ ওর সকল চিন্তা ভাবনায় অবসান ঘটিয়ে পিছনের মানুষটা তার ভরাট গলায় প্রচন্ড রাগী ভাব এনে বলল,
.
.
-এখানে কি?
-,,,,,,,,,,
-রুহী কিছু বলছি আমি।এখানে কি?চিৎকার করে বলল রোয়েন।
-আমি এখানে থাকবো।শান্ত কিন্তু কম্পিত কন্ঠে বলল রুহী।
-তোমার সাহস কি করে হয় এখানে আসার?তাও আবার আমাকে না বলে?
-এখানে সাহসের কিছুই হয়নি।আমি নষ্ট মেয়ে।আপনার সাথে থাকার যোগ্যতা নেই আমার।আপনি তো ভালো আছেন।
-অনেক সাহস হয়েছে তোমার।চিৎকার করে উঠে রোয়েন।
-যতোটা হওয়া উচিৎ ঠিক ততোটুকুই হয়েছে।
.
.
এবার রুহীর হাত টেনে উঠায় রোয়েন।রুহী রোয়েনের চোখ জোড়ার দিকে তাকাতে পারছেনা।সেই চোখজোড়া দিয়ে আগুন বর্ষিত হচ্ছে।রুহীর ফর্সা গলা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।রোয়েন রুহীকে কাছে টেনে বলল,
.
.
-চলো আমার সাথে।
-না যাবোনা।আমি নষ্ট মেয়ে।তাইতো কথা বলেননা আপনি।
-সেই কতক্ষন ধরে নষ্ট মেয়ে নষ্ট করছিস?রুহী আরেকটা কথা বললে খুন করে ফেলবো তোমাকে।
-মেরে ফেলুন।সে অনেক আগেই মরে গেছি আমি।




রুহী আর কিছু বলতে পারলোনা।রোয়েন দুহাতে ওর দুগালে চড় মারতে শুরু করেছে,থামছেইনা হাত জোড়া।রুহীর চোখজোড়ায় অশ্রু দ্রুতগতিতে ঝড়ছে।রোয়েন এবার রুহীর হাত শক্ত করে ধরে টেনে বাহিরে আনতে গেলে রুহী নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়।রোয়েন প্রচুর রেগে পিছনে তাকায়।
.
.
-যাবোনা বললাম না?বুঝেননা আমার কথা?
-রুহী আর কোন কথা শুনবোনা তোমার।ইচ্ছা ও নেই আমার। চলো।
.
.
রুহীর হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে রুম থেকে বেরিয়ে আসে রোয়েন।ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে ছিলেন রেজোয়ান মাহবুব।মেয়েকে এভাবে নিয়ে যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যান উনি।
.
.
-স্যার ওকে থাকতে দিন!!!!
.
.
রেজোয়ান মাহবুবের কথায় ওনার দিকে চোখ রাঙ্গায রোয়েন।ওনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়।কি বলবেন বুঝতে পারছেননা।মেয়ের জন্য কষ্ট ও হচ্ছে।কিন্তু কিছু করার নেই।রোয়েন বেরিয়ে যায় রুহীকে নিয়ে।ঘরে এসেই রুহীর রুমে চলে আসে ওরা।রুহী নিজের হাত ছাড়িয়ে বলল,
.
.
-আমি বাসায় যাবো।
-এখানেই থাকতে হবে তোকে।
-না।আমি নষ্ট মেয়ে।নষ্ট বলেই আমার রান্না করা কিছু খাননা আপনি।




রোয়েন আর সহ্য করতে পারেনা।রুহীর চুলের মুঠি চেঁপে ধরে।
.
.
-এখানেই থাকতে হবে তোকে।কোথা ও বের হতে পারবিনা।এই বাসার সীমানায় তোর চলাচল থাকবে।সীমানা পার করলেই খুব খারাপ হবে।
.
.
কথা গুলা বলে রুহীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।রুহী পিছন থেকে চিৎকার করতেই থাকে।কিন্তু রোয়েন নিজের রাগকে দমন করে রাখে।রুহী অনেক রাত পর্যন্ত চিৎকার করে শেষ রাতে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায়।পরদিন সকালে রুহীর ঘুমভাঙ্গে কাজের লোকের ডাকে।
.
.
-ম্যাম উঠুন খেয়ে নিন।
-না খাবোনা আমি।
-ম্যাম প্লিজ খেয়ে নিন।নইলে রেগে যাবেন স্যার।
-করুক আমার কি?
-ম্যাম আমি গরীব মানুষ।চাকরি থাকবেনা আপনি না খেলে।
.
.
রুহী আর না করতে পারেনা।ফ্রেশ হয়ে কান্না জড়িত চোখে খাবার গুলো খেয়ে নেয়।এভাবে কয়েকটা দিন পেরিয়ে যায়।রোয়েন আর কথা বলেনা রুহীর সাথে।একটু ও না।ওর হয়ত মনেই নেই যে রুহী বাসায় আছে।রুহীর ভীষন কষ্ট হতে থাকে।রোয়েন নিজেও ভীষন কষ্ট পাচ্ছে।কিন্তু বুকে জমে আছে তীব্র ক্রোধ আর অভিমান।অফিসে ও মন বসেনা রোয়েনের।কোন কাজই ভালো লাগেনা।আর এই বিষয় গুলো রামীন খেয়াল করছে প্রায় ৪দিন যাবৎ।রোয়েনের কাছে এসে বসলো ও।
.
.
-কি হয়েছে তোর?
-কিছু না।যা এখান থেকে।ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
-আজ তোর কথা শুনবোনা।অনেক দিন ধরে এমন দেখে আসছি।আজকে বলতেই হবে কি হয়েছে তোর?
-রুহী!!!ও আমাকে আগে এসব বললে কাহিনী এতো আগাতো না।
-কথা বলে নেয় ওর সাথে।
-নাহ।কথা বলিনা ওর সাথে।
-দেখ ও বাচ্চা মানুষ।বেচারী খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলো তাই হয়ত বলেনি।
-কেন ও আমাকে বিশ্বাস করেনা?বুঝেনা ওকে ভালবাসি আমি।রেগে গেলো রোয়েন।
-দেখ ও বুঝে কিন্তু এমন একটা ভিডিও যেখানে লোকটা ওর গায়ে হাত দিচ্ছে সে কথা গুলো কিভাবে বলবে ও?মেয়ে মানুষ তো।
-না বলার কি আছে?ও আমার।আমাকে বলবে নয়তো কাকে বলবে?
-তুই কি কখনো ওকে বুঝিয়েছিস ও তোর?তুই ওকে ভালোবাসিস।কোন নির্ভরতার জায়গা দেখিয়েছিস?তাহলে কিভাবে বলবে বল।
-আমাকে বুঝা উচিৎ ওর।
-তোর সাথে এতোদিন থাকার পর ও তোকে ঠিকমতো বুঝতে পারলামনা।সবসময় গোমড়া মুখ নিয়ে বসে থাকিস।




রামীনের কথায় ওর দিকে রাগী ভাবে তাকাতেই ও বলল,
.
.
-এমন লুক না দিয়ে মেয়েটার সাথে কথা বল।ওর দরকার এখন তোকে।তুই এমন করলে কই যাবে ও?বল।বাচ্চা মানুষ।তুই তো ম্যাচিওরড।মাফ করে দে প্লিজ।রোয়েন কিছু বলতে পারেনা।রামীন ভুল বলছেনা।ওর এমন করা ঠিক হয়নি।নিজের কাজে মায়াবতীকে কষ্ট দিয়েছে ও।এবার সব ঠিক করবে ও।সেদিন ঘরে গিয়ে রুহীর রুমে এসে দেখে পড়তে বসেছে রুহী।রুহী কে কিছুসময় দেখে রুমে আসে রোয়েন।নিজেকে নানা ভাবে প্রস্তুত করতে থাকে রুহীর সাথে কথা বলার জন্য।রাতে রুহীর রুমে আসে রোয়েন।রুহী শুয়ে আছে।তবে ওর চোখ জোড়া নেদনা ভরা।রোয়েন আসছে সেই বিষয়ে কোন রিয়্যাকশন নাই রুহীর।
.
.
-কলেজে যাবে কাল থেকে।
-,,,,,,,
-টিউশন লাগবে জানাবে।
-,,,,,,,,,,,,,,
.
.
রোয়েন আর কিছু বলতে পারলোনা।একটু নিচু হয়ে রুহীর কপালে গালে চুমু খেয়ে লাইট অফ করে বেরিয়ে গেলো।আজকাল এভাবেই কথা বলে রোয়েন।কিন্তু রুহী বলেনা।রোয়েন নরমাল হতে চায় কিন্তু পারছেনা।রোয়েন খেতে ডাকলে চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে আসে।দুদিন পর রোয়েন ঘরে ফিরে খেয়াল করলো রুহী টিভি দেখছে।রোয়েন এসে বলল,
.
.
-সারাক্ষন টিভি নিয়ে বসে না থেকে পড়াশুনা করতে পারো।
.
.
রুহী কিছু না বলে রুমে চলে গেলো।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে রুহীর রুমে এসে দেখে ও পড়ছে।রোয়েন ওর পাশে এসে বসে।
.
.
-আজ আমি পড়াবো তোমাকে।




রুহী চুপ করে থাকে।রোয়েন ম্যাথ নিয়ে বসে।রুহী পড়ছে রোয়েনের কাছে।রোয়েন পড়ানোর ফাঁকে রুহীকে দেখছে।মাথার ভিতর ঘুরছে হাজারো চিন্তা।হঠাৎ রোয়েন খেয়াল করলো একটা অংক মিলাতে পারছেনা ও।
.
.
-রুহী দেখো তো কিভাবে হবে এটা?
.
.
রুহী দেখতে আসলে ওর দুহাত ধরে ফেলে রোয়েন।তারপর বলতে লাগলো,
.
.
-দেখো রুহী যা হয়েছিলো তোমার উচিৎ ছিলো আমাকে বলার।সেটা হয়ত তোমার জন্য সহজ ছিলো না।আমি ও বুঝতে পারিনি।এতোদিন এসব চলছিলো আমার অজান্তে তাই রাগটাকে সামলাতে পারিনি।আমি চাই তুমি কোন কিছু লুকাবেনা আমার কাছে।কারন আমি তোমাকে ভালবাসি রুহী।
-হুম।
.
.
রোয়েন এবার রুহীর কপালে গালে চুমু দিয়ে ওর ঠোঁটজোড়ায় আলতো করে দুতিনটে চুমু দিয়ে নিজের ঠোঁটজোড়ার ভাজে নিয়ে নিলো রুহীর ঠোঁট জোড়াকে।শুষে নিতে থাকে রুহীর ঠোঁটজোড়া।রুহী চুপচাপ রোয়েনের ঠোঁটের মাঝে মেতে আছে।কিছুসময় পর সরে আসে রোয়েন। তারপর নিজের রুমে চলে যায়।
চলবে