অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 07
সকালে,
আসফির মনে হচ্ছে সে যেন গরম কোন ফুটন্ত পানিকে আকরে ঘুমচ্ছে।আসফি চোখ খুলতে বুঝতে পারে মেঘের জ্বর আসছে। আসফি জলদি উঠে মেঘের জ্বর মাপে। মেপে আসফির চোখ কপালে উঠে যায়। মেঘের জ্বর ১০৫° এর কাছাকাছি।
কি করবে বুঝতে পারছে না জলদি আরাবিকে ফোন দেয়৷
আরাবি চলে আসে,
-ভাইয়া আবস্থা ভালো ঠেকছে না। এখন ২ ঘন্টার মধ্যে জ্বর না কমলে হসপিটালে নিতে হবে।
-আরাবি কি করবি যানি না। ওকে সুস্থ কর আমি নিতে পারছিনা।
এমন সময় আসফির ম্যানেজার কল করে,
-স্যার মিটিং টা।
-ওদের মিটিং ক্যান্সেল করতে বলো।
-কি বলছেন স্যার ৩০ কটি টাকার প্রোজেক্ট।
-৩০ কোরি যায় মরকে এখানে আমার ফেটে যাচ্ছে আর তুমি টাকা নিয়ে পরে আছো। ফোন রাখ।
ফোনটা কেটে দেয়
-ভাইয়া তুমি যাও মেঘের কাছে আমি আছি।
-না আমি যাবো মানে৷ কিছুর দরকার হলে।
-ভাইয়া আমি আছিতো আর তোমার কতক্ষণ এর বা ব্যাপার মিটিং টা করে এসো।
আরাবির অনেক জোরাজুরি তে আসফি রাজি হয় কিন্তু মিটিং টা বাসায় ফিক্সড করে৷
আসফির কথা মতো বাসায় মিটিং হয়৷
এদিকে,মেঘ জ্বরের ঘরে আবল তাবল বকছে।
-মারবেন না আমার কষ্ট হয়। প্লিজ আমি কিচু করি নাই৷ কেন কষ্ট দিন আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার। কে আপনি৷ প্লিজ ওই মাখরোসার মধ্যে ছড়বেন না।
মেঘ এসব বলে যাচ্ছে।
আরাবির বুঝতে বাকি রইলো না আসফি কি কি করেছে৷
আরাবি মেঘের আসহায় কথা গুলো শুনে কেঁদেই দিলো।
মেঘের মাথায় হাত রেখে বলতে লাগলো,
-কতো আদর করেছি তোকে ভুলে গেছিস। আমার ছোট বোনের মতো ছিলি তুই৷ সব সময় কলিজায় আগলে রখতাম। কেন করলি এসব দেখ নিজের ভুলে কত ভুক্তি ভুগি তুই।
আসফি মিটিং শেষ করে রুমে আসে, আরাবি মেঘকে জ্বল পটি দিচ্ছে।
-তুই একটু রেস্ট নে আমি দেখছি ওকে।
-পারবি তো।
-হ্যারে পারবো পাশের রুমে থাক তুই সমস্যা হলে ডেকে নিবো।
-আচ্ছা।
আরাবি চলে যায়।
আসফি মেঘের পাশে বসে কপালে আলতো করে ভালোবাসা দেয়৷
সোনা জলদি সুস্থ হ আর এভাবে মারবো না।. আসফি অনেকটা ভেঙে পরেছে। সারা দিন রাত আসফি আর আরাবি দুজনে মিলে মেঘের সেবা করেছে।
পরের দিন সকালে,
মেঘ পিট পিট করে চোখ খুলছে জৃবরটা কমছে। আরাবি ছোফাশ আর আাসফি মেঘের কাছে বিছনার সাথে হেনাল দিয়ে ঘুমচ্ছে। মেঘ চোখ খুলে আরাবিকে দেখে অবাক৷ সে যেন স্বপ্ন দেখছে। জেরে ডদক দিয়ে উঠে,
-আারাবি আপু তুমি।
মেঘের চিৎকার শুনে সবাই উঠে যায়৷।
-কি হয়ছে কিছু লাগবে(আসফি)
-আারাবি আপু এখানে কি করে এলো।
আসফির হুস এলো। পেছন ফিরে আরাবিকে ইসারা দিতে সে বেরিয়ে যায়।
-কই এখানে কেউ নেই কে তোমার আারাবি আপু। আমিতো কাউকে দেখছি না।
-এখানেতো ছিলো আপনি৷
-এই দেখ তোমার কাল থেকে অনেক জ্বর ছিলো ভুল দেখেছো এখন রেস্ট নেও৷
-আমি।
-এই মেয়ে কথা বললে শুন না। উঠে ফ্রেশ হও আমি খাবার নিয়ে আসতেছি৷
আসফি চলে যায় নিচে,
-আমি যে দেখলাম এতো ভুল দেখলাম কি করে।
নিচে আসফি,
-আরাবি সবধানে যাস।
-ভাইয়া কয়টা কথা ছিলো৷
-কি।
-কাল জ্বরের ঘরে মেঘ ভুলভাল বকছিলো। জানিস ও সব বলেছে আর খুব কষ্টে আছে বুঝতে পারা যায় প্রতিটা কথা খুব করুন ছিলো।
ভাইয়া তুই ওকে সব বলে দে দেখ হয়তো আমরা ভুল বুঝতেছি।
-ঠিক আছে।
আমি গেলাম ঔষধ দিয়ে দিসি খাইয়ে দিস।
আসফি খবার নিয়ে রুমে আসতে আবাক,, মেঘ গোসল করে চুল মুছতেছে,
-এই মেয়ে এই কোন আক্কেল নাই কালকে এতো জ্বর ছিলো আর আজকে গোসল করে নিলে গোসল করতে বলেছি আমি৷ (চিল্লিয়ে)
-কেমন কেমন অসস্তি লাগছিল। (মাথা নিচু করে)
-পাগল তুমি আমাকে শান্তি দেবার মতো কোন কাজ তোমার দ্বারা হবে না
আসফি মেঘকে খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয়।
-ভেব না ভালোবেসে করছি তুমি মরে গেলে আমি জ্বলাবো কাকে আমার কাজ কে করে দিবে তাই এতোটা কষ্ট করেছি৷
আসফি গোসলে চলে যায়৷
মেঘ ওখানে বসে চিন্তা করছে। কিভাবে বুঝবো আসলে কি হইছে। চিন্তার যেন কোন শেষ নাই৷ মেঘ উঠে ওর আম্মুর কাছে চলে যায় আম্মু সাথে দেখা হয়না তো।
মেঘ তার আম্মু র হাতটা ধরে,
-কেমন আছো মা।
মেঘের স্পর্শ পেয়ে ওর মার চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে ।
নার্স এসে,
-ম্যাম উনি আপনাকে অনুভব করতে পারে শুনতে পারে৷ এমন কিছু।
-থাক আপনি চিন্তা করবেন না৷
মেঘ কিচ্ছুক্ষন মায়ের কাছে থেকে চলে আসে,।
মেঘ আসতে আসফি মেঘকে জরিয়ে ধরে,
-কই ছিলা।
মেঘের আবস্থা খারাপ কারন আসফি বলছে তো বলছে সাথে ঘারে কিসও করছে প্রতিটা কিসে মেঘ কেঁপে উঠছে৷
-ক,,কিছু ল,লাগবে৷
-হুম। (আস্তে করে)
-তো আমি নিয়ে আসি।
-এখন আপাতোত তোকে লাগবে চুপ থাক।
মেঘের ঘাড়ে থেকে ঠোটে কিস করতে গেলে।
মেঘ আসফিকে ধাক্কা দেয়
-আপনার মতো এই রকম একটা মানুষ রুপি আমানুষ আমার কাছে আসলে আমার অসহ্য লাগে। (চিল্লিয়ে)
আসফি হাত মুঠ করে রাগটা আয়ত্তে আনতে চেষ্টা করছে৷
যেহেতু মেঘ অসুস্থ ছিলো তাই আসফি ওকে কিছু না বলে ঘর থেকে বার হয়ে যায়। সরা দিন বাসায় আসে নি।
রাত ১২ টা,
কেমন একটু একটু চিন্তা হচ্ছে মেঘের আসলে অনেক টাই কিন্তু কেন সেটা বুঝতে পারছে না।
-ধুর যেখনে যাবে যাক না তোর এতে চিন্তা কিসের হ্যা৷
কিন্তু তাও চিন্তা তো হচ্ছে কি করা যায়৷
বুদ্ধি,
মেঘের বুদ্ধির আবসান ঘটিয়ে আসফি চলে এলো। হাতটা কাটা রক্ত পরছে।
মেঘ আবাক কিন্তু আসফির কাছে যাবার সাহস নাই৷
আসফি আস্তেকরে বিছনার এক পাশে শুয়ে পরে।
মেঘ আবাক খালি দেখছে কখন ঘুময় ঘুমলে সে মলম পটি করে দিবে আসফির হাতে।
বেশ কিছু সময় পর মেঘের মনে হচ্ছে আসফি ঘুমোচ্ছে।
টিপ টিপ করে আসফির হাতটা ধরে রক্ত মুছে ঔষধ দিতে আসফির ঘুম ভাঙে যায়।
-এই তুই কি করছিস এখানে।
-,,,,,(মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে)
আসফি খেয়াল করে তার হাতে ঔষধ।
-আমার মতো আমানুষের খেয়াল না রাখলেও চলবে। বলেই আবার শুয়ে পরে৷
মেঘের আসফির কথায় খুব কষ্ট হচ্ছে পরশু যেভবে মেরেছে ওদিন ও এতো ব্যাথা পায় নি আয যেমনটা লাগছে।
মেঘ রুম থেকে বেরতে গেলে,
-এই শোন।
-(মেঘ পেছনে ফিরে তাকায়)
-আমার পাশে এসে শুয়ে পর নাহলে ঘুম হবেনা আমার।
মেঘ চুপ করে শুয়ে পরে আসফি ঘুমিয়ে যায় কিন্তু মেঘের ঘুম নাই বার বার আসফির বলা কথাটা কষ্ট দিচ্ছে
রাত গরিয়ে সকাল, মেঘ উঠে নামাজ পরে কিচেনে যায়।
তখনি দরজা দিয়ে আরাবি আসে আরাবি আসলে, এসেছে অনেক দরকারি একটা কাজে তার ধটনা ছিলো না মেঘ এখন সজাক থাকবে,।
হটাৎ মেঘকে দেখে চমকে যায়৷ আরাবি।
-আপু তুমি৷ (মেঘ দৌড়ে আরাবিকে জরিয়ে ধরে)
আরাবি, কি বলবে বুঝতে পারছে না।
এমন সময়,
চলবে,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ)