অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 08

মেঘ আরাবি কে দেখে দৌরে জরিয়ে ধরে,
-আপু তুমি এতোদিন কই ছিলা আপু। কতো মনে পরছে জানো।
এর মধ্যে আসফি এসে পরে,
-তুমি ওনাকে চিনো।
-জী (আরাবিকে ছেড়ে দিয়ে)
-উনি একজন ডক্টর তোমার মা এর চেকাপ করাতে এসেছেন।
-আপু।
-হ্যা পিচ্চি। আমি আন্টির চেকাপ করাতে এসেছি।
-এদিন কোথায় ছিলে।
-পরে বলবো আগে তোর মাকে দেখি।
-আচ্ছা।
-এইযে মিস.মেঘ ৫ মিনিটে রুমে আসেন বলে,।আসফি চলে গেল।
-কি লোক এইটা আমি একটু যেতাম আপুর কাছে। না আপু যখন এসেছে তবে তার কথাটাও শুনতে হবে।
মেঘ সব ভেবে উপরে যায়৷
-জি বলুন।
-তোমাকে সারি পরতে বলেছি সব সময়। তুমি এটা কি পরেছো।
-আসলে সরি সমলিয়ে হাটতে কষ্ট হয়৷
-হোক তাও যেয়ে সরি পরে আসো।
মেঘ মাথা নারিয়ে সারি নিয়ে ওয়াশরুমে যায়৷
আর আসফি বেলকনিতে গিয়ে আরাবিকে ফোন করে,
-কিরে হটাৎ এভাবে।
-ভাইয়া সাহাজান খান এর সেন্স আসছে। এখন উনি আমাদের সবটা বলতে পারবেন। আর আমারা মেঘের আসল বাবার খোঁজ পাবো।
-কথাটা ফোনেও বলতে পারতি।
-না পারতাম না।কারন এখন আমার মেঘকে কিছু বলা প্রয়োযন৷
-ঠিক আছে। তুই এখানে থাক আজ আমি এখনি বার হচ্ছি।
আসফি রুমে এসে দেখে মেঘ বার হচ্ছে বাথরুম থেকে,
এক নজর মেঘকে দেখে চলে যায়৷
-কি লোকরে বাবা সারি পরতে বলে চলে গেল৷ হুহ নিকুচি করেছে কথা শুনতে 😏😕
মেঘ নিচে মায়ের রুমে চলে আসে।
-আপু।
-হ্যা
-তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে৷
-হ্যা আমারও। আছে দড়াও আমি ওনাকে ঔষধ দিয়ে আসি।
-মা কেমন আছে।
-আসা করা যাচ্ছে কিছু দিনের ভেতর সেন্স ফিরতে পারে।
মেঘ খুশিতে আত্তহারা৷
-চল পিচ্চি যায়।
-কোথায়।
-চলতো।
মেঘকে নিয়ে একটা রুমে আসে আরাবি,
-আচ্ছা আপু তুমি অচেনার কোন খোজ জানো আপু। সেই দিনের পর থেকে কোথায় হারিয়ে গেলে কাকু, মামনি সবাইকে অনেক মিস করেছি । বাবাকে কতো বলেছি বাবা বলেছে তোমরা নাকি নাই।
-তোর বাবা মিথ্যা বলছেন পিচ্চি ।
-আসল ঘটনাটা বলোনা।
-আচ্ছা পিচ্চি আগে বলতো তুই সেই অচেনাকে ভালোবাসিস এটা কিভাবে বুঝলি।
-আপু তিনি আড়ালে থেকে আমাকে সব সময় বাচিয়েছে৷ আমাকে সব সময় খুশি রেখেছে আমার হাসি মুখথেকে সরতে দেয় নি। এটা বুঝলাম ওনার সাথে দেখা করার কথা ছিলো যেয় দিন ওর আগের দিন। রাতে আমি,
অতিত,
-আম্মু এই আম্মু আমাকে একটু হেল্প করো। চুল আটকে গেছে চেনের সাথে।
কিছু একটার শব্দ হয়।,
-কে কে ওখানে।
ধুর এই চুল৷
যাহ এই ভাবেই ঘুমবো।
আমি ঘুমতে চলে যায়।
হটাৎ রতে করোর স্পর্শ অনুভব করি।
মাথায় হাত বুলাচ্ছে ভাবলাম আম্মু। চোখ খুলতে দেখি,
সেই লোকটা মুখে মাস্ক দেওয়া।
আমি উঠে পরি।
-শান্ত হও কিছু বলতে এসেছি।
আমি বুঝতে পারছি সে অচেনা, যে এতদিন আড়ালে ছিলো আমাকে সমস্ত কাজে যে হেল্প করতো আমাকে আড়ালে থেকেও কতো ভালোবাসা দিয়েছে। আমাকে খুশি রখার দাড়িত্বটা যে নিয়েছিলো।
-জি আমি আপনাকে দেখতে চায়।
-কালকে বিকাল ৫ টায় চলে আসবা তোমার স্কুলের পশে পার্কে আমি আর আমার পরিবারও থাকবো তোমাকে কিছু জানাবো আমি আমরা তোমার বাবার কছে আসবো তার সবটা বলে তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবো। আমি জানি আমাদের মানা করবেন না উনি ।তার পর তোমার ১৮ বছর হলে তোমাকে বিয়ে করবো। মনে রেখো।
এখন আমি আসি।
সে চলে গেল
আমি অনেক খুসি ছিলাম পরের দিন বাবকে বলে ৫টায় চলে আসি আমি কিন্তু বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত সে আসেনি। আমি অবশেষে চলে আসি।
-আপু জানো অনেক কেঁদে ছিলাম ওই দিন আর বাবকে সবটা বলেছিলাম কিন্তু বাবা কোন খোঁজে দিতে পারে নি আমার বা কতো বয়স ছিলো বলো নিজেও কিছু করতে পারি নি তার পর তোমার বাসায় যায় কিন্তু তুমিও নাই কাকু,মামনি কেউনেই।
বাবাকে বলছিলাম বাব বললো তোমরা কই চলে গেছ।
-পিচ্চি তোর অচেন কে জানিস।
-কে
-আসফি ভাইয়া।
-কি৷ (অবাক হয়ে)
-হ্যা আমি সব সময় সব জানতাম আসফি ভাইয়া আমাকে বারন দেয় ফলে আমি কিছু বলিনি তোকে ওই দিন তোকে সারপ্রাইজ দিতাম আমরা সবাই মিলে,
আমরা বার হই পার্কের উদেশ্যে কিন্তু আমারা শেষ পর্যন্ত যেতে পারিনি।
-কেন আপু।
তখন যখন আমরা বের হই


চলবে,।