অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 05

আসফি মেঘকে নিজের সাথে মিসিয়ে নিয়ে কপালে কপাল ঠেকায়।
-এই তুই কই থাকিস আমি যত সময় বাসায় থাকবো সব সময় আমার সাথে থাকবি একটা সেকেন্ড ও এদিক ওদিক নয়।
-আ,,আমাকে ছ,,ছাড়ুন অসস্থি হচ্ছে।
-baby girl আমি তো এখনো কিছুই করলাম না।
মেঘ আসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
এই দৃষ্টিতে বার বার মরে আসফি। খুব হাসি পাচ্ছে আসফির তাও নিজেকে সামলে বললো।
-খেয়ে নেও৷
-খুদা নাই৷
-রাগাচ্ছ আমাকে।
-খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। বুঝতে পারছেন না।
মেঘের হাতটা পেছনে মুচড়ে ধরে আসফি।
-আনেক ভালো ব্যাবহার হয়ে যাচ্ছে সহ্য হচ্ছে না তাইনা। তোর সাথে খারাপ থাকাটাই ভালো। চুপচাপ কথা না বলে খেয়ে নে।
-খাবো না। ইচ্ছে হচ্ছে না কেন বুঝতেছেন না। কষ্ট হচ্ছে ছাড়ুন। (কেঁদে)
আসফি মেঘকে আর জোরে চেপে ধরলো ।
-ওকে ডান এখন থেকে বাকি দু দিনও কিছু খাবি না বলে রাখছি পানিও না।
বলেই মেঘকে ধাক্কা মারে৷
মেঘ সারে আসে ব্যালেন্স করে ফেলে।
-কেন করছেন এমন কিসের শত্রুতা আমার আপনার সাথে প্লিজ বলেন না। কি করেছি আমি৷
-তুই তো অনেক ভালো নাটক করিস মেঘ। এ নাটক দেখে যে কেউ গলে যেতে বাদ্ধ। কিন্তু এ মাসুমি চেহারার পেছনে আসল মানুষ টাকে আমি দেখেছি ।
বলেই আসফি চলে যায় রুম থেকে।
– আল্লাহ দয়া কি করবা না একটু কি মায়া হচ্ছে না আমি আর নিতে পারছি না।
মেঘ কেদে চলছে প্রায় ১ ঘন্টা হটাৎ আসফি রুমে এসে মেঘকে কোলে তুলে নেয়। মেঘ ছুটাতে থাকে.
-এই মেয়ে ফেলে দিবো কিন্তু।
মেঘ চুপ হয়ে যায়৷
মেঘকে শুইয়ে নিজে মেঘের পাশে শুয়ে পরে মেঘের ঘাড়ে মুখ গোজে আসফি৷
-কি হচ্ছে এগুলা
-ঘুমতে দে ৩ বছর ঘুময় না আমি মেঘ। আজ ঘুমতে দে। বেশি কথা বললে শাস্তি হবে। তাই চুপ থাক৷
মেঘ চুপ করে আছে মানুষটার মতি গতি বুঝতে পাছে না। মাঝে মাঝে কত ভালো আর মাঝে মাঝে কি হিংস্র। কে এই লোকটা তার স্পর্শ আমাকে কেন তার কথা মনে করিয়ে দেয়। আচ্ছা এটা সে নাতো না না তা কেন হবে সে যে আমাকে খুব ভালোসতো৷
কি করবি আর মেঘ এটাই তোর ভাগ্য মেনে নেবা ছাড়া উপায় নেই৷
কিছু সময় পরে ঘুমিয়ে যায় দুজনে।
সকালপ, মেঘ ফজরের নামাজ পরে। কিচেনে গিয়ে কফি নিয়ে আসে আসফির জন্য।
-কলেজে যাবে?
-মাথা নিচু করে আছে মেঘ৷
-কি হলো কথা বলো না কেন লেখা পরা সিখবে না নাকি৷
-জী।
-রেডি হয়ে নেও। আর হ্যা ভেব না আমি ভালোবেসে কাজটা করছি আমি চায় না আমার কোন স্টাফ অশিক্ষিত থাকুক। আর শাস্তির কথা মনে রেখ কিছু খাবে না দু দিন৷ আমার দৃষ্টি তোমার উপর থাকবে৷
মেঘ চুপচাপ কথা গুলো শুনে বার হায়ে যায় রুম থেকে।
গিয়ে রেডি হয়ে নেয়। আর মায়ের সাথে দেখা করে তার পর আসফি মেঘকে নিয়ে কলেজে ছেড়ে দেয় দেবার আগে বলে দেয়।
-কোন ছেলের সাথে যদি কথা বলেছো কি করবো আমি নিজেও জানি না৷ আর আমি নিতে আসবো।
মেঘ কলেজে আসতে ওর বন্ধুরা ওকে ঘিরে ধরে,
মেঘ বলে বাব-মায়ের এ
এক্সিডেন্ট হয়েছে তাই আসে নি৷
মেঘ বেশ ভালো করে ক্লস গুলো করে বের হয় তখনি, রবিন এসে মেঘকে ডাক দেয়। (আসলে রবিন মেঘের বাবর বন্ধুর ছেলে)
-কিরে মেঘ তুমি ছিলে কই জানো কতো মিস করছি৷
-আসলে।
-জানি মা বাবার এক্সিডেন্ট হইছে।তা একটা ফোন করতে পারতে৷
দুপুরের কাড়া রোদ আর রাত থেকে না খাওয়া তে মেঘ দূর্বল কেমন চোখের সামনে কলো দেখছে। ঘুরলি খেয়ে পরে যেতে নিলে রবিন ধরে ফেলে।
এটা আসফি দেখে ফেলে আসফির এঙ্গেল থেকে মনে হচ্ছে মেঘ ছেলেটাকে কিস করছে।
আসফি রেগে খুন৷ এসেছিলো মেঘকে নিতে। আসফি সোজা গিয়ে রবিনকে টান মেরে মাটিতে ফেলে দেয়৷ মেঘ কিছু বুঝতে পারছে না। কিছু বলতে যাবে তার আগে আসফি ঠাসা চড় বসিয়ে দেয় মেঘের গালে।
মেঘ কেঁদেই ফেলল।
-আমার।
-চুপ বাসায় চল।
বলে মেঘকে ধরে টানতে টানতে বাসায় নিয়ে আসে এসেই মেঘকে নিয়ে দরজা দেয় আসফি
-তোকে বললাম কোন ছেলের সাথে কথা না বলতে, বললি তো বললি এই ভাবে তুই ওই ছেলের সাথেই কথা বললি৷ আমারি ভুল তোকে কলেজ পাঠানোই উচিৎ ছিলো না
-কথাটা শুনুন৷
মেঘ আর বলতে পারলো না তার আগেই আসফি বেত দিয়ে মেঘকে আঘাত করতে থাকে।
মেঘ বার বার বলছে, প্লিজ কথাটা শুনুন থামুন কষ্ট হচ্ছে, আসফির কোন ভ্রুক্ষেপ নাই তাতে সে মেঘকে ততটা সময় মারতে থাকে যতটা সময় না তার রাগটা ঠিক হয় এ দিকে মেঘের সেন্স গেছে আরও ১০ মিনিট আগে৷ আসফি বুঝতে পারছে মেঘের সেন্স নাই। বাথরুমে গিয়ে এক মগ পানি এনে মেঘের উপর ছুড়ে মারে ফলে মেঘ একটু নরে ওঠে৷
মেঘকে কোলে নিয়ে খাটে শুইয়ে দেয়
আর আসফি বার হয়ে যায় রুম থেকে কারন এখন মেঘ কাঁদবে যেটা দেখে সহ্য করার ক্ষমতা তার নাই।
মেঘ ব্যাথায় কুকড়াচ্ছে।
আর পারছিনা খোদা যেই আত্মাহত্যা মহা পাপ আমাকে সটা করতে বাদ্ধ করোনা। নিয়ে যাও আমাকে।
রাতে,
আসফি রুমে এসে দেখে মেঘ এখনো ওভাবে পরে আছে কেমন নিস্তেজ। যেন কোন জীবন্ত লাস৷
-( কি করলাম আমি এভাবে মারতে পারলাম৷ এত নিষ্ঠুর আমি। অবশ্য হতে কে বাদ্ধ করেছে।)
আসফি মেঘকে আদসোয়া করে সুইয়ে দিয়ে মলম লাগাতে মেঘ চেচিয়ে উঠে।
আম্মু ব্যাথা। কথাটা যেন আসফির বুকে লাগলো। তাও আসফি মলম লাগিয়ে দিয়ে মেঘকে এক পরজায় হাত পা বেধে খইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয়৷
তার পর মেঘের পাশে শুয়ে পরে আর ভাবে ৩ বছর আগে সে কেনম ছিলো আজ সে কেমন৷
কেন করেছিলি মেঘ এমন তোর বাবার সাথে মিলে। আজ জদি তুই ওইসব না করতি তাহলে তোর আর আামর সুখের পরিবার হতো বল।
সব ভাবেতে ভাবতে আরাবি ফোন করে আসফিকে আরাবির ফোন পেয়ে মেঘের দিকে তাকায় ঘুমিয়ে গেছে মেঘ তাই আসফি শুয়ে থাকা অবস্থায় ফোনটা ধরে,
-ভাইয়া সরি রে কাজে ছিলাম। ফোন দিসিলি।
-হুম।
-কেন বল।
-বলছি যে কাউকে অনেক মারলে কি করতে হায়।
-ভাইয়া।
-কি হলে।
-মেরেছিস কেন ওকে৷
-দোষ করেছে তাই৷
-ভাইয়া আমি ম্যাছেজে ঔষধ পাঠিয়েছিলাম।
-হুম ওটা দিয়েছি৷
-ওটাই দে ঠিক হয়ে যাবে৷
-আচ্ছা
-ভাইয়া তুই ভেবে চিন্তে কাজ করিস
আরাবি ফোনটা কেটে দেয়৷
আসফি মেঘকে জর্িয়ে ঘুমিয়ে পরে৷
সকালে,
চলবে,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে