অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 09

Megh La
আরাবি বলতে শুরু করে
সেদিন বিকালে,
অতিত
-ভাইয়া ও ভাইয়া তুই কি এখনো বার হলি না মনে হচ্ছে তুই একটা মেয়ে তাই এতো সাজ।
-এই আমি মোটেও সজি নাই। তুই এসব বলবি না।
-হুহ তা তো দেখাই যাচ্ছে।
-মা তোমার মেয়েকে বারন দেও কিন্তু
-আচ্ছা বাবা তোরা থামবি৷ ওই মেয়েটা একা দাড়িয়ে আছে। তো৷ (আসফির আম্মু)
-মা তুমি আনুরাধা কাকিমনিকে বলেছো সব৷ (আরাবি)
-নারে মা ওকে ফোনে পাই নি৷ তাছাড়া আজ আমার আসফিকে নিয়ে যাবো তখন ওর সথে কথা হবে৷
-আচ্ছা চলো এবার দেরি হয়ে যাচ্ছে৷
সবাই বেরিয়ে পরে।
আসফি ড্রাইভ করছে আরাবি পাশে আর পেছনে তাদের মা বাবা।
মাঝ রাস্তা, রাস্তা টা একটা খাদের ধার ঘেশে যায়।
হটাৎ বড়ো একটা ট্রাক ধাক্কা দেয় পেছন থেকে ঘড়িটা খাদে গিয়ে পরে৷
আসফি কিছুটা সময় পর চোখ খুলে৷ পাশে আরাবি সেন্স হারিয়ে পরে আছে মা বাবা পেছনে নাই।
আসফি খুব কষ্ট করে বার হয়। বার হয়ে যেটা দেখে ওটা দেখার জন্য এক দম প্রস্তুত ছিলো না সে৷
তার মা বাবাকে এক্সিডেন্ট এর উপর গুলি করে মারা হচ্ছে ।
মা বাবার নিথর দেহ দুটো রাস্তায় পরে আছে।
আসফি ওখানে সেন্স হারিয়ে পরে থাকে।
চোখ খুলতে নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করে৷
সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠে,
-আমার বোন কই।
পাশে থাকা নার্স।
-আপনি উত্তেজিত হবেন না। প্লিজ।
আপনার বোন অন্য কেবিনে আছে সুস্থ আছে।
-আমাকে এখানে কে আনলো।
-আমি। (বাইরে থেকে একটা লোক ভেতরে আসে)
-কে আপনি।
-আমিও তোমাদের চিনি না আসলে ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলাম তোমাদের এই আবস্থা দেখে হসপিটালে নিয়ে আসি।
-মা বাবা ছিলেন ওখানে আমার।
-ওনারা তোমার মা বাবা আন্দাজ করেছিলাম। কিন্তু ওনারা বেঁচে নাই।
-আমি ওনাদের কাছে জেতে চাই বোন কই।
-তুমি একটু রেস্ট নেও বোন ঠিক আছে। বিকালে বাবা মায়ের কবর দিয়া হবে তখন দেখো।
আসফি পুরো ভেঙে পরে৷
বিকালে,
-আসফি আর আরাবি এখন একদমি সুস্থ না কিন্তু তাও তারা মা বাবাকে দেখতে এসেছে। শেষ দেখা।
মাটি দেওয়া হলো।
আরাবি আসফিকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে
-ভাইয়া কি হয়ে গেল ভাইয়া।
-কাদিস না মা বাবাকে যে বা জারা মেরেছে তাদের আমি নিজের হাতে শাস্তি দিবো।
-মেরেছে মানে,
-হ্যা আরাবি, আসফি তার চোখে দেখা সব ঘটনা খুলে বলে,। আসফি ওই সময় সাহাজান খানের রুপ টাকেও দেখে নেয়।
-কি বলছিস সাহাজান খান আমাদের কেন মারবে।
-সেটা জানবার জন্য আমাকে সময় দে৷
বেশ কিছু দিন পর ওরা সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু দুই ভই বোন কই যাবে বাসায় গেলে যদি মেরে ফেলে।
আসফি ওই ভদ্রলোককে সব খুলে বলে ভদ্রলোক তাদের নিজের বাসায় যায়গা দেয়। এমন দিনে এসব লোকের দেখা খুব কম মেলে।
আসফি ২ দিন পর খান বড়িতে যায় লুকিয়ে তার মেঘকে দেখার জন্য কিন্তু সেখানে গিয়ে সে যে আঘাত পায় তা এই সমস্ত শরীরের খতকে হার মানায়৷
মেঘের রুমে সাহাজান খান আর মেঘ কথা বলছে।
-ভালো করেছো বাবা ওদের কে মেরে। ওরা এটারই জগ্য। (মেঘ)
-হ্যা মা তুই চিন্তা করিস না আর কেউ তোকে জালাবে না। সেই দিনই ওদের আমি সমস্ত খেলা শেষ করেছি৷
-ঠিক আছে বাবা।
-আচ্ছা মামোনি আমি এখন যায়৷ তুমি রেস্ট নেও৷
বাবা চলে গেলে মেঘ সুয়ে পরে৷
ওদিকে আসফি যেন কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
-আামদের এই অবস্থার জন্য মেঘও দাই। আসফি মেঘের সাথে না দেখা করে চলে আসে। এসে আরাবিকে সব খুলে বলে৷
-ভাইয়া কোথাও ভুল হচ্ছে
-না বোন এতদিন ভুল ছিলাম আমি।
চিন্তা করিস না আমি সব ঠিক করে দিব
ওই দিন ওই মুহূর্তে আসফির এক নতুন জন্ম হয় এ আসফি আর হাসে না এ আসফি সব সময় রেগে থাকে। নিজেকে গোড়ে তোলে একটু একটু করে৷
ভদ্রলোক আসফিকে একটা ছোট বিজসনেস দেয় আজ সেটাই আসফি দাড় করায় বোনকে মেডিকেলে পরায়। নিজে সফল বিজনেসম্যান হয় ।
বর্তমান,
-বদলে গেছে মেঘ ভাইয়া অনেক বদলে গেছে।
-মা বাবার এক্সিডেন্ট কি করে হলো। আর বাবাইবা তোমাদের কেন মারতে যাবে।
-ওটা তোর আসল বাবা নয় মেঘ তোর আসল ববা আমার নিজের কাকু আফজাল চৌধুরী। আমার বাবা আর আফজাল কাকুর দুই জনের সব মিলিয়ে মোট ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে। তোর বাবাকে মেরে আনুরাধা কাকিমাকে বিয়ে করে সহাজান খান।তখন তুই অনেক ছোট মাত্র ১ বছর বয়স তাই তোকে কাকিমনি বলে নি তোর আসল বাবা কে। কিন্তু বিয়ের পর সাহাজান খান জানতে পারে এই সম্পত্তি তোর নামে যেটা তোর ১৮ হলে তুই অন্য কারোর নামে করতে পারবি আর জদি তার আগে মারা যাস সমস্ত সম্পত্তি চলে যাবে একটা বিদ্ধা আস্রম এর নামে। তাই তোকে বচিয়ে রেখেছিলো সহাজান খান। আর আমাদের পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার সময় বাবকে দিয়ে পেপারে সাইন করে নেয়। ওই লেকটা সারাটা জীবন টাকার পেছনে ছুটেছে। সবাইকে মেরেছে।
উনি ভেবেছিলো আমি আর ভাইয়া মারা গেছি কিন্তু আমরা বেঁচে আছি এটা কেউ জানতো না।
সাহাজান খান আর কাকিমার এক্সিডেন্ট টা একটা আকল্পনিয় ব্যাপার ছিলো। কিন্তু ভাইয়া এটাকে কাজে লাগায় নিজের পাওয়ার দিয়ে সাহাজান খানের সব কলো কাজ বের করে আর এই বাড়িটা কিনে নেয়। সাহাজান খান মরেনি বেঁচে আছে ভাইয়া বাচিয়ে রেখেছে। এখন তুই বল আমার ভাইয়া যা করেছে ভুল কি ছিলো তাতে৷
মেঘ আরাবির কথাগুলো শুনে ফ্লোরে বসে পরে।
-আপু ওই দিন বাবাকে না ওই লোকটাকে বাবা বলা যায় না। আমি ওনাকে বলেছিলাম রবিনের কথা। রবিন ৬-৭ দিন ধরে আমাকে বিরক্ত করছিলো। আমি আসফির কথা বলি নি। তুমি বলো আমাকে কোন নাম নিতে শুনেছেন উনি৷ কেন উনি একটা বার আমার কাছে শুনলো না। কেন আপু কেন এতো কষ্ট সইতে হলো আমাকে।
-আমি জানতাম তুই কিচ্ছু করিস নি কিন্তু তাও ভাইয়াকে আমি অনেক বোঝাতে চেয়েছি পারি নি ভাইয়া ওই দিনের কথা ধরে বসে ছিলো।
চিন্তা করিস না আজ সাহাজান খানের সেন্স আসছে ওনার থেকেই সব জেনে নিক ভাইয়া।
-আপু। (মেঘ আরাবিকে জরিয়ে ধরে)
দুপুর গরিয়ে রাত হয়ে যায়। আসফি বাসায় আসছে মাত্র। বাসায় আসতে প্রথম আরাবির কাছে যায়,
-ভাইয়া তুই আসলি আমার একটা ইমারজেন্সি পেশেন্ট আসছে ফোন করেছিলে আমি চলি এখন। তুই মেঘের কাছে যা। আসা করি তুই ভুল। সাহাজান খান তোকে সব বলেছে।
-হ্যারে আমি ভুল ছিলাম। না জেনে কতটা কষ্ট দিয়েছি ওকে।
-ভেঙে পরিস না তুই ওর কাছে যায়। আর ওকে বুঝতে দে কেন করেছিস একটু সময় দিস মেয়েটা বড্ড ভালো রে।
আরাবি চলে যায়৷
আর আসফি রুমে এসে দেখে,
চলবে,।
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ)
💕
#অপ্রিয়-হলেও-সত্যি।
পর্ব ঃ০৯
Megh La
আসফি রুমে এসে মেঘকে খুঁজে পায় না সারা বাড়ি খুঁজে পায় না।
-গেল কই আচ্ছা আমি তো অসল জায়গায় দেখলাম না
আসফি মেঘের মায়ের রুমে গিয়ে দেখে মেঘ মায়ের হাতটা ধরে কেঁদে চলেছে। চোখের পানি আজ বাধ মেনেছে। কষ্ট গুল কষ্টই আছে কারন চইলে যে মাকে কিছু বলতে পারছে না। মা যে অসুস্থ চোখ দুটো বন্ধ মেয়ের কান্নাটা তিনি দেখতে পারবেন না। কষ্ট গুলো মাকে বললে হয়তো একটু কমতো কিন্তু মা যে কিছু শুনার মতো অবস্থায় নাই।
আসফি মেঘের কান্না দেখে নিজেকে সামলে মেঘকে হুট করে কোলে নিয়ে নেয়৷
-কি৷
-হুস এখানে চিল্লালে কাকিমার সমস্যা আসলে কাকিমা না শাশুড়ী মা৷ (ফিস ফিস করে)
মেঘ চুপ করে আছে।
যখন আসফি মেঘকে আসফির রুমের কাছে আনে তখনি মেঘ লাফালাফি শুরু করে৷
-ছাড়ুন আমাকে বজে লোক একটা৷ ছাড়ুন লুচ্চা বেটা।
আসফি মেঘকে কোলে নিয়ে বিছনায় বসিয়ে নিজে হাটু ভাজ করে বসে,
-সরি, আমি ভুল করেছি মাফ করে দেও আমি প্রমিস জীবনে তোমাকে সব শুখ দিবো দিবার চেষ্টা করবো৷
-বাহ বাহ সব ভুলে যাও বললে ভুলা যায় মি.আসফি। কিছু ভুলা যায় না আপনার আমাকে দেওয়া প্রতিটা কষ্ট আমার খুটে খুটে মনে আছে।
-আমাকে মাফ করে দেও।
-করতে পারি তার আগে আমাকে কিছু দিতে হবে।
-কি বলো।
-ডিভোর্স।
ডিভোর্স কথাটা শুনে আসফি ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় মেঘের গালে।
মেঘ গালে হাত দিয়ে কাঁদো চোখে আসফির দিকে তাকিয়ে আছে।
আসফি উঠে মেঘের গলা ধরে নিজের সাথে মিসিয়ে নিয়।
-খবরদার এটা প্রথম বার ছিলো জীবনে আর কখনো আমার থেকে দুরে জাবার কথা চিন্তা করিস না। তাহলে মেরে দিবো সব জ্বালিয়ে দিবো আমি৷ তোকে মারি, আমি মারবো ভালোবাসি, আমি বাসবো। অন্য কোন বেক্তির তোর উপর অধিকার নাই তুই শুধু আমার৷ আমি তোকে ঠিক যেভাবে রাখবো তোকে আমার কাছে ঠিক ওই ভাবে থাকতে হবে৷
-(🥺🥺🥺🥺)
-জানো মেঘ ভালোবাসায় ২ টা রুলস,
১. ভালোবাসার মানুষ এর জন্য সারা জীবন তার সৃতি জড়িয়ে কাঁদো
২.নাহলে তাকে যেভাবে পারো সেভাবে নিজের কাছে রাখো।
আমার ভালোবাসা দূর্বল নয় যে তোমাকে আমি ছেড়ে দিবো৷
তোমার কাছে, #অপ্রিয়-হলেও-সত্যি এটাই আসফি তোমার বর্তমান আসফি তোমার ভবিষ্যত সারাটা জীবন আমার সাথেই কটাতে হবে তুমি চাইলেও না চাইলেও।
-এ্যা………… 😭😭।আমি থাকবো না এই লোক মারা ছাড়া কিছু পারে না। 😭😭😭।।
আসফি রেগে ছিলো এই বাচ্চামি দেখে এখন ওর ঠিক কি রিয়াকশন আসছে তা সে নিজেই যানে না। এখন মেঘকে কিছু বলাটা বোকামি তাই আসফি কথা ঘুরাবার ট্রায় করছিল,
-মেঘ।
-কি। (হেচকি তুলে)
-খাবার খাবো৷
-টেবিলে আছে৷ (কেঁদে কেঁদে)
-ওকে চলো।
মেঘ কে কোলে তুলে নেয়৷ টেবিলের সামনে আসতে,
-এই মিয়া এই দেখছেন না আমি কাদছি খাবো কি করে।
আসফির ইচ্ছে হচ্ছে টেবিলে রাখা পানির গ্লাসে ডুব দিয়ে মরতে।
-কেঁদো না। এই নেও খাউ (খাবার ধরে)
-খাবো না।(কেঁদে)
-কান্না থামিয়ে খাবা নাকি আর একটা থাপ্পড় খাবা।
মেঘ থাপ্পড় এর কথা শুনে (ওরে আর একটা খাইলে সোজা উপরে চলে যাবো অচেনার বাচ্চা তোকে তো আমি পরে টাইট দিবো। এখন খেয়ে নিবা টা বুদ্ধিমানের কাজ )
মেঘ খাবার খেয়ে নেয় আসফিও৷
খাবার খেয়ে আা্সফি মেঘকে নিয়ে শুয়ে পরে।
-আমি আপনার কাছে শুবো না.
-নিজেকে ছাড়াতে পারলে যাও।
মেঘ প্রায় ১ ঘন্টা জবত ট্রায় করে যাচ্ছে আসফি থেকে সরে আসার, শেষ মেষ না পেরে ঘুমিয়ে যায়।
সকালে,
মেঘ ঘুম থেকে উঠে আসফিকে পায় না।
-গেল কই , জাহান্নামে গেলে ভালে হয়।
মেঘ উঠে ফ্রেস হয়ে খাবার বানিয়ে মায়ের কাছে যায়।
-সিস্টার মায়ের কি অবস্থা?
-ম্যাম হয়তো কিছু দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে। আসা করা যায় খুব জলদি চোখ খুলবে।
মেঘ অনেকটা সময় মায়ের পাশে থেকে চলে আসে।
রুমে এসে অবাক।
পুরোটা রুম তার প্রিয় কাঠগোলাপ দিয়ে সাজানো সামনে হার্ট সেফে সরি লিখা। সেটাও কাঠগোলাপ দিয়ে।
আসফি মেঘের সামনে হাটু মুড়ে বসে।
-sorry jan.I made a mistake by not believing in you. Give me a chance to correct this mistake.
I love you so much My reason for being good will be dear.
এগুলো মেঘের কাছে স্বপ্নের মতো তার স্বপ্ন ছিলো তার প্রিয় কাঠগোলাপ দিয়ে ওকে কেউ ইংরেজিতে প্রপোজ করবে।
স্বপ্নটা ও ছড়া কেউ জানতো কিন্তু একটা ডায়রিতে লিখা ছিলো।
আসফি সেখন থেকেই পড়ে তার প্রিয়কে এই সারপ্রাইজ টা দিলো।
-i’m waiting. (আসফি)
মেঘের ইচ্ছে হচ্ছে আসফিকে জরিয়ে ধরে বলতে, i love you too. I want to live with you for the rest of my life. You will be with me on my way.
কিন্তু মুহূর্তে আসফির দেওয়া সব কষ্টের কথা মনে পরে যায়৷
মেঘ চলে আসতে যায় এমন সময়,
.চলবে,