অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 03
মেঘ কান্না করে যাচ্ছে এমন সময়। জোহরের আজান দেয়। মেঘের কানে আজানের ধ্বনি আসতে সে উঠে পরে। তার পর রুমটাকে মাথা তুলে দেখে,
সবকিছু চেঞ্জ। রুমটা তার অচেনা নয় এটা তার মা-বাবার রুম। খাটের সামনে বড়ো করে একটা ছবি ছিলো মেঘ আর তার মা-বাবার৷ মেঘের রুমেও ছিলো কিন্তু তার রুমটা সে খেয়াল করে নি কারন এখন সেখানে অন্য কারোর রাজতক্ত। রুমে তার মা-বাবার কিছু নেই দরকারি আসবাবপত্র ও চেঞ্জ করা হইছে। এখন সবটাই সৃতি। এসব ভাবতে ভাবতে আলমারি খোলে মেঘ কারন নামাজ আদায় এর সরনজাম তার মা আলমারিতে সুন্দর করে তুলে রাখতো। আলমারি খুলতে,
সবকিছু সরানো হইছে শুধু নামাজের জায়নামাজ আর নেকাব গুলোই আছে৷
মেঘ আজু করে নামাজ পরে নেয়৷
দোয়াতে সে আল্লাহর কাছে অনেক কাদে এই অভিযোগ শোনার মতো তার আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই৷
মোনাজাত শেষ হতেই দরজায় কেউ নক করে।
-ম্যাম স্যার যেতে বলেছে।
-আসছি।
বলে মেঘ ভয়ে ভয়ে আসফির রুমে যায়। হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আবারনা কি করে। হাতটাতো সেভাবে আছে জ্বলাতো কমে নাই উল্টো ফোসকা পরে গেছে দুই হাতেই। মেঘ রুমে আসতে,
-baby girl. নামাজ পরো বুঝি৷
-মাথা নিচু করে হ্যা সূচক ভাবে মাথা নাড়ালো।(লোকটা কি অন্তত যামি জানলো কি করে আমাদের বাসায় তো বাবা কখনো সিসিক্যামেরা সেট করে নি)
-ভলো খুবই ভলো। এবার তোমাকে ৩০ মিনিট সময় দিলাম রান্না করতে এর মধ্যে তুমি। মাংস দিয়ে ৫ টা আইটেম তৈরি করবে কি কি সেটা আমি যানি না তবে রান্না যেন ভালো হয়।
-মেঘ মাথা তুলে তাকালো৷
হাতের এই আবস্থা নিয়ে আমি ৩০ মিনিটে মাংসের ৫রকম রান্না কি করে করবো ( কাঁদো শুরে)।
-সেটাতো আমার দেখার দরকার নয়৷ তোমার ৩০ মিনিটের থেকে ১ মিনিট চলে গেছে already. আর হ্যা তোমাকে কেউ সাহায্য করতে পারবে না নাউ গো
মেঘের কিছু বালর সাহস নাই ঘেন্না হচ্ছে লোক টাকে দেখে।
চুপচাপ কিচেনের দিকে হাটতে থাকে। আল্লাহ আমি এ কোন দোজকে আসলাম এই লোক আমাকে মেরে ফেলবে। নাইলে কবে আমি মরে যাবো৷ কি করলে এটা তুমি আমার জীবনের সাথে৷
মেঘ রান্না ঘরে যেতে দেখে, সবকিছু ওর সামনে আছে,।
কিন্তু ৫ রকম কি কি রাধবে। কথায় আছে বিপদে বুদ্ধি লোপ পায় সেটাই হয়েছে মেঘের সাথে। মেঘ simple মাংস রান্না করতে ৩০ মিনিট শেষ হাটতা জ্বলাতে বেশি সময় লাগছে তার। রান্না তেল মসলা তে এখন মনে হচ্ছে হাত দুটকে শরীর থেকে বিতারিত করতে।
-এবার কি করি । বুদ্ধি।
মেঘ একই রান্না পাঁচ টা বাটিতে দিলো। এবং টেবিলে সাজিয়ে দিলো৷
আসফি এতক্ষণে টেবিলে এসে গেছে।
-হুম এগুলোর টেস্ট কি আলাদা আলাদা হবে।(ভ্রু কুচকে)
-হ…হ্যা।
-তোলাচ্ছ কেন।
-ক,,,কই। না।
-ওকে খেয়ে বুঝতে পারবো মিথ্যা বললে শাস্তি পাবা। মাথায় রেখ।
-( হে আল্লাহ আমাকে বাঁচাও প্লিজ এই আমানুষটা আমাকে মেরে ফেলবে)
-সব খাবার গুলোর একই স্বাদ। মিস.মেঘ। কি ভেবেছো তুমি চলাকি করবা আর আমি ধরতে পারবো না। তুমি কি করো না করো আমি সবটার প্রতি খেয়াল রাখি।
মেঘ অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কি করার আছে। সবই হাতের বাইরে৷
-চলো আমার সাথে৷
-ক…কোথায়।
-প্রশ্ন পছন্দ করি না।
আসফি মেঘকে টানতে টানতে একটা রুমের বাথরুমে নিয়ে এলো। এখানে থাকবে তুমি। ভয় নেই একা রাখবো না তোমার সাথে আরো আনেকে থাকবে। একটা বক্স তার ভেতর সমস্ত কালো বড়ো বড়ো মাখরোশা। প্রতিটা মানুষের কিছু না কিছুর প্রতি ভয় থাকে মেঘের মাখরোসার উপর। ছোট থেকে। মেঘের বাব বাসায় কখনো মাখরোসার একটা অংশ থাকতে দেয়নি কারন তার মেয়ে ভয় পায়৷
-প্লিজ এর মধ্যে রেখে জাবেন না আপনি যা বলবেন আমি সব করবো প্লিজ আমি মরে যাবো।
-এটা আমাকে ফাঁকি দেবার আগে ভাবা উচিৎ ছিলো।
মেঘকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রুম ভরা মাখরোসার সাথে মেঘকে বন্ধ করে দেয় আসফি আর নিজে বাইরে দারিয়ে আছে।
ভেতর থেকে মেঘের চিৎকারের শব্দ পাচ্ছে,
প্লিজ বের করুন আমাকে এখান থেকে আমি সরি আর এমন ভুল হবে না৷ এভাবে চিল্লাতে চিল্লাতে একটা সময় মেঘ চুপ হয়ে যায়। আসফি ভেতরে যেয়ে দেখে মেঘ সেন্স হরিয়ে পরে আছে৷
মেঘকে কোলে তুলে নেয় আসফি। সোজা রুমে নিয়ে আসে তার পর কাউকে ফোন করে,
-হ্যালো কই তুই।
-….
-এখনি বাসায় আয়। মেঘদের বাসায় জলদি
ফোনটা কেটে দিয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে একটা মেয়ে বাসায় আসে।
মেয়েটা এপ্রন পরে আছে৷ সিম্পিল দেখে বোঝা যাচ্ছে মেয়েটা মেডিকেল এর ছাত্রী বা সদ্য বার হবা ডক্টর।
-ভাইয়া কি হইছে এত ইমারজেন্সি ডাকলি কেন। (মেয়েটি আসফির ছোট বোন আরাবি)
-দেখতো ওর কি হলো।
-ভাইয়া মেঘ তুই
-কথা বারাস না তোকে যা বলছি তাই কর
আরাবি মেঘকে দেখে বললো।
-ভাইয়া ওর সাথে কি করেছিস সত্যি বলতো।
-আটকে রেখেছিলাম।
-তাহলে হাত পুরালো কে
-আমি৷
-ভাইয়া অতিরিক্ত চিন্তা ভয় ওকে গ্রাস করেছে। অনেক ভয়ে সেন্স হারায়ছে। ওকে রেস্ট দিতে হবে ঘুমও হয়নি মেবি।
-ঠিক আছে তুই ঔষধ দিয়ে যা।
-হুম ভাইয়া একটা কথা বলি।
-বল।
-তুইকি আমার আসফি ভইয়া । আমি এই আসফি ভাইয়াকে চিনি না। যে তুই কিনা মেঘের একটু কষ্ট হলে সহ্য করতে পারতোনা মেঘের একটু কষ্ট হলপ নিজেকে ১০ গুন বেশি কষ্ট দিত সে তার মেঘকে এত কষ্ট দিলো।
ভাইয়া মা-বাবা চলে যাবার পর থেকে তুই এমন হয়ে গেছিস। প্লিজ ভাইয়া। try to undressed. মেঘ এখনো বাচ্চা মেয়ে মাত্র class 11 ওর এখনো অনেক শেখার আছে রাগ যেদের বসে এমন কিছু করিসনা যাতে পরে পস্তাতে হয়।
-আরাবি ওর সেন্স ফিরে তোকে দেখলপ সমস্যা যা তুই এখন।
-হুম যাচ্ছি কথা গুলো ভেবে দেখিস।
আরাবি চলে যায়।
আসফি এখনো বসে আছে মেঘের পাশে। অন্য রকম সুন্দর লাগছে তাকে।
একটা দুটো চুল মুখের উপর পরেছে, চোখ দুটো বন্ধ সারিতে তার মেঘকে বেশ মানায় হালকা আকাশি কালার এর সরির আচলটা মাটিতে পরেছে।
মায়া কাজ করছে। কিন্তু খনেকের মায়া মূহুর্তে মনে পরে যায় পেছনের কথা যেটা আসফিকে রাগিয়ে দেয়,
-না মেঘ না তোমাকে সইতে হবে আমর কষ্টের ১০০ গুন বেশি কষ্ট পেতে হবে।
সন্ধা নেমে এসেছে। মেঘ একটু একটু করে চোখ খুলে আসফিকে দেখতে পায় পাশে কোন একটা কাজ করছে লেপটপে।
মেঘ উঠে দেখে হাতে ঔষধ দেওয়া জ্বালাটা কমেছে । (কি অদ্ভুত নিযেইতো কষ্ট দিলো আমাকে।নিজেই ঔষধ দিচ্ছে। চায় কি লোকটা। হে আল্লাহ তুমি এক মাত্র আসা।)
মেঘকে উঠতে দেখে আসফি,
,
চলবে,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ)
💕