Addition

Addition !! Part- 06

চোখের পানিটা নিজের হয় কিন্তু দেবার বেলায় অন্য কেউ দেয় অদ্ভুত তাইনা মিস্টার. নীল চৌধুরি। (মায়া)
-জানটা দেখি বড়ো কথা বলতে শিখে গেছে। তা এত কথা কে শিখালো?
-জীবন৷ আমি আপনাকে বিয়ে করেছি ঠিকই কিন্তু আপনার মতো জানোয়ারকে আমি কখোনো স্বামী হিসাবে মেনে নিবোনা। আর আপনি আমার কাছে আসবার চেষ্টা করবেন না।
নীল জানোয়ার কথাটা শুনে প্রচন্ড রেগে গেল। চোখ দিয়ে যেন মায়াকে শেষ করে দিবে। মায়ার কাছে গিয়ে মায়ার চুল গুলো পেছন থেকে ধরে মায়ার মুখটা তুলে,
-আমি জানোয়ার তুই জানিস জানোয়ার কাকে বলে তোর কোন ধারণা আছে জানোয়ার সম্পর্কে।
-হুহ চোখের সামনে দড়িয়ে আছেন আপনি আপনার থেকে হিংস্র জানোয়ার গুলো ভালো কোন পশুকে খেতে গেলে মেরে খায়। জয়জান্ত মানুষকে এভাবে শেষ করে দেয় না।
-বাস মায়া আনেক বলে ফেলেছো আর না৷ আজকে দেখ জানোয়ারটা কী করতে পারে।
মায়ার চুল গুলো শক্ত করে ধরে টানতে টানতে একটা আন্ধকার রুমে নিয়ে এলো নীল। মায়াকে ছুড়ে ফেলে দিলো মেঝেতে পাশে থাকা টেবিলে লেগে মাথাটা কেটে গেছে।
– আহ।
-এখানে এই অন্ধকার ঘরে থকাবি আজ। আর বুঝবি কারোর জীবনে অন্ধকার নামালে কেমন লাগে।
-আমাকে এই অন্ধকারে ফেলে জাবেন না প্লিজ আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।
-মরতে আমি তোমাকে দিবোনা জান পাখি। এখন তুমি সুধু আমার #addiction না আমার প্রতিসোধের হাতিয়ার।
নীল কথাটা বলে দরজা বন্ধ করে চলে যায়।
মায়া নীলের শেষ কথাটায় অবাক প্রতিসোধের হাতিয়ার মানে কিসের প্রতিসোধ নাহ মায়া আর ভাবতে পারছে না এক এই অন্ধকার। ছোট থেকে কখনো আন্ধাকারে একা থাকে নি। অন্ধকারে আনেক ভয় লাগে মায়ার। মায়া মাকে মনে করছে৷
আম্মু আমি তোমার কাছে যাবো আম্মু আমাকে কোলে নিয়ে ঘুম পারিয়ে দেওনা আম্মু। আম্মু ভায় লাগছে। এসব বলতে বলতে মায়া মাটিতে লুটিয়ে পরে।
হটাৎ করে যেন সব কিছু আলোকিত হয়ে গেল মায়ার প্রিয় বেলি ফুলের ঘ্রান। আসছে মায়ার নাকে হতাটা বড়িয়ে দিলো মায়া সামনে যেনো তার মা তাকে ছুঁয়ে দিবে। স্বাধীন হয়ে যাবে একটি জীবন। কষ্ট গুলো মুছে যাবে।
(মায়ার স্বপ্ন)
-মায়া মায়া উঠো জান আমি সরি তো কেন রাগীয়ে দেও বলো তো আমি কি এমন ইচ্ছে করে করি নাকি৷ নীল মায়াকে ডাকছে আর চোখে মুখে পানি দিচ্ছে। (মায়াকে ভেতরে লক করে দেবার পর নীল মায়ার রুমের সমনে বসে ছিলো সারাটা রাত ওখানেই কাটিয়েছে মাঝ রাতে চোখ লেগে যায় সকালে নীলের ঘুম ভাঙতে সে ভেতরে গিয়ে মায়াকে ওই অবস্থাতে পরে থাকতে দেখে)
হটাৎ মায়া কেশে উঠে।
-আম্মু পানি।
নীল মায়াকে পানি খাইয়ে দেয়। মায়া কিছুটা সাবাভিক হয়।।
-জান কেমন লাগছে জান।
মায়া মথা উঠিয়ে নিজেকে নীলের বুকে আবিষ্কার করে নীল আষ্ট পিষ্টে জরিয়ে ধরে রেখেছে মায়াকে। কালকে রাতের কথা মনে পরতে মায়া নীলকে ধাক্কা দিয়ে সরাবার চেষ্টা করে কিন্তু নীল সরে না।
-তুমি ঠিক আছো। কপালে কপাল ঠেকিয়ে।
একটু সময়ের জন্য মায়ার যেন নীলকে খুব আপন মনে হচ্ছে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। হতটা ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে। বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমি ঠিক আছি প্রিয়ো। কিন্তু এতোকিছুর পর আর যাইহোক এটা সম্ভব না। মায়ার কোন সারা না পেয়ে নীল বুঝতে পারলো। সে রাগ করে আছে। নীল চুপচাপ মায়াকে কোলে করে নিজের রুমের বিছনায় শুইয়ে দিয়ে নিচে চলে যায় খাবার আনতে।
মায়ার নিজেকে খুব আসহায় মনে হচ্ছে। কালকে নীলের বলা শেষ কথাটা বার বার মনে পরছে কিসের প্রতিসোধ কি করেছে ও।
মায়ার ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে নীল এসে খাবার দিলো মায়ার মুখে।
-মায়া খেয়ে নাও।
-………(নিশ্চুপ)
-কি হলো কথা শুনছো না। খেয়ে নেও।
-…. (নিশ্চুপ)
-মায়া আমাকে আর রগিওনা এবার কিন্তু বেশী হয়ে যাচ্ছে। (দাঁত দাঁত চেপে)
– মেরে ফেলুন আমাকে নাহলে আমাকে বলুন আস্তে করে জানটা দিয়ে দিচ্ছি। আজ মায়ার মুখে মরার কথটা শুনে বুকের ভেতর ব্যাথা অনুভব করছে নীল। নীলের পিচ্চি মায়াজে এখন সিরিয়াস মুডে কথাটা বললো জদি সত্যি কিছু করে বসে। নাহ নীল আর ভাবতে পারছে না।
-সজোরে থাপ্পড় মেরে দিলো মায়ার গলে। মায়া গালে হাত দিয়ে কাদছে।
– মায়া মায়া মায়া একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারবা না তুমি মরতে চাইলে তোমার মরার পর তোমার পরিবারকে নিজ হাতে গুলি করে মারবো আমি। এখন চুপ চাপ খেয়ে নেউ নাহলে খবর আছে। ।
পরিবারের কথা শুনে মায়া পাথর হয়ে গেল না চইতে নীলের হাতে খাবারটা খেয়ে নিতে হলো মায়ার।
-রেস্ট নাও বিকালে বের হতে হবে আমার অফিসে ইম্পরট্যান্ট কাজ পরেছে আফিস যেতে হবে বিকালে এসে নিয়ে যাবো তোমাকে। আর শুনে রাখো পালাবার বা সুইসাইড করতে চেষ্টা করলে ফলটা কি হবে তোমার যানা আছে। ।
কথা গুলো বলে নীল চলে যায়। বসাটা
লক করে দিয়ে যদিও সিসিটিভি গার্ড আছে তাও নীল তার মায়াকে নিয়ে রিক্স নিবে না।
– একটু অপেক্ষা করো জান নিজের কৃত কর্মর ফল পাউ তারপর আমার সমস্ত শত্রুকে শেষ করে তোমার সাথে নতুন জীবন শুরু করবো তোমার আমার ছোটো সংসার। ( নীল গাড়িতে বসে মায়াকে দেখতে দেখতে বললো)
মায়া ভাবছে কি করে সে নীলের কছ থেকে জানতে পারবে কিসের প্রতিসোধ। শরীর ক্লন্ত থাকায় ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে।
চলবে,