Love

Love !! Part- 03

আমার জন্য আর বেশি দিন টিকতে পারে নাই। ওর উদ্দেশ্য তো আমি সফল হতে দেব না ও বুঝতে পেরেছে। আমি এতো সহজেই আমার জিনিস কাউকে নিতে দেয় না।
আর এটা তো আমার স্বামী। কয়েকটা দিনেই যে এতোটা ভালোবাসে ফেলবো নিজেও বুঝতে পারি নি বুঝেছি এই দিয়ার জন্য মেয়েটাকে ওর পাসে দেখলে আমার এতো রাগে এতো মনে হতো আমার জিনিস কেন ও নিতে যাবে।
তিন দিন থেকেই চলে গেছে তাও আমার জন্য আমি বলেছি। কারণ সে যে আমার স্বামীর প্রেমে পাগল না তার টাকার পেছনে পরেছে হাতে নাতে আমার কাছে ধরা খেয়ে পালিয়ে ছে।
এসব ভেবেই হাসছিলাম রুমে। হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ জরিয়ে ধরায় হুস ফিরলো পেছনে ঘুরতে যাব কিন্তু ঘারে কারো উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে শান্ত হয়ে গেলাম এ আর কেউ না আমার বর আমার ভালোবাসা মেহেদী।
মেহেদী – কি ভেবে এতো খুশি এতো
আমি – কই কিছু ভেবে না তো। তুমি ফ্রেশ হতে যাও আমি খাবার নিয়ে আসি।
বলেই নিচে চলে আসলাম।
কয়েকদিন পর
রাতে চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না কারণ কাল আমার রেজাল্ট দিবে সেই চিন্তাই শেষ কি যে করবো নিজের বাড়িতে হলে একটু কম করতাম কিন্তু এখন শশুর বাড়ি যদি খারাপ হয় তাহলে সবাই কি বলবে ভেবেই আর ও চিন্তা বেরে গেছে।
সারা রাত ঘুমাতে পারলাম না মেহেদী অনেক বুঝিয়ে ছে চিন্তা করতে ও না করছে কিন্তু আমার চিন্তা কিছুতেই যাচ্ছে না আমি কি কবো। চিন্তা এমন এক জিনিস একবার মাথায় ঢুলি সহজে বের হতে চায় না।
সকালে ও নিচে আসলাম না না কাজ করবো আর নাইবা খাবো আমি ভেবেই রেখেছি আজ ঘর থেকেই বের হবো না।
মলি শাশুড়ি মা অনেক ডেকে গেছে খাওয়ার জন্য আমি যাই নাই। অবশেষে দেখি মেহেদী খাবার নিয়ে এসেছে। জোর করে কিছু খাওয়ায় দিলো। তার উপর আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।
সারা দিন আর ঘরে থেকে বের হয় নি মলি এসে আমার সাথ গল্প করে গেছে কয়েক বার।
মেহেদী আমার রেজাল্ট সিট আনতে গেছে।
কিছুক্ষণ পর আমার শাশুড়ি মা এসে আমাকে নিচে নিয়ে আসে আর মাথায় তেল দিয়ে দেয়।
হঠাৎ মেহেদী আমার সামনে এসে গম্ভীর মুখ করে দাড়ায়। হাতে সিট ওর গম্ভীর মুখ দেখেই আমার হাত পি ঠান্ডা হয়ে গেছে। তার মানে কি সত্যি আমি ফেল করেছি। কিন্তু আমি তো ফেল করার মতো পরিক্ষা দেয় নি ওতো ভালো না হলে ও ফেল করার কথা না।
ফেল না করলে তো আর মেহেদীর মুখ টা গম্ভীর থাকতো না তার মানে ফেলই করেছি।
হঠাৎ করবো ওমনি দেখি আমার শাশুড়ি মা মলি আর মেহেদী কি নিয়ে যেন হাসছে হাতে মিষ্টি।
আমার ফেল করা নিয়ে এরা মজা করছে কোথায় আমাকে সান্ত্বনা দিবে তা না। আর মেহেদী মিষ্টি নিয়ে এসেছে। এতো বড় অপমান দেখে আর না কেদে পারলম না জোরে জোরে কাদতে লাগলাম।
আমার কান্না দেখে সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো তারপর মেহেদী আমার কাছে এসে
মেহেদী – কি হলো কাদছো কে সিট না দিয়ে গেলাম দেখছো
আমি – না আমি কিছু দেখবো না। আপনি এমন আমি ফেল করেছি আর আপনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে হাসা হাসি করছেন।
বলেই কাদতে লাগলাম
মেহেদী – ফেল করেছ মানে কি। এই কান্না থামাও সিট টা দেখ ও কয়টায় ফেল করেছো
আমি – না আমি দেখবো না
মেহেদী – দেখ বলছি ( ধমক দিয়ে )
ধমক খেয়ে আর কিছু না বলে দেখলাম আর দেখে তো আমি অবাক আমি A+ পেয়েছি অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছি। কারণ আমি এতো ভালো ও পরিক্ষা দেয় নি তাহলে আমার বোকামি তে এখন নিজের ই রাগ লাগছে আমি সব সময় একটু বেশি ই ভাবি।
তাকিয়ে দেখি সবাই হাসছে আমাকে দেখে আর আমি লজ্জায় পেলাম। মলি আমার মুখে একটা মিষ্টি দিয়ে জরিয়ে ধরে অনেক কথা বললো। সবাই অনেক খুশি আমাদের বাড়িতে ও ফোনে কথা বলে সব জানিয়েছি।
মেহেদী সারা পারার সবাইকে মিষ্টি খাওয়াইছে। পাবলিকে ভর্তি হওয়ার জন্য আমার কোন প্রিপারেশন নাই তাই প্রাইভেটে এই ভর্তি হলাম।
দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের দুই মাস হয়ে গেছে এর মধ্যে আমাদের বাড়ি দুই বার গেছিলাম। মেহেদী র ও বিদেশ যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।অফিস বড় আর সব জায়গায় তার উন্নয়ন এর জন্য বিদেশে যাবে। আগামীকাল মেহেদী চলে যাবে।
কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে কোনো ভাবে যদি আটকাতে পারতাম। কিন্তু তা হবে যেতেই হবে আমার মনা কেন যানি কূ ডাকছে মনে হচ্ছে আমি মেহেদী কে হারিয়ে ফেলবো। কেন এমন মনে হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না।
রাতে মেহেদী আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই। নানা চিন্তা মাথায় আসছে এতো ভয় কেন করছে। চোখে দিয়ে অধরে পানি পরছে। হঠাৎ মেহেদীর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
মেহেদী – নিলা
আমি – হুম
মেহেদী – এখন ও জেগে আছ।
আমি – হ্যাঁ আমার ঘুম আসছে না। তোমার কি না গেলে হয় না। আমার অনেক ভয় হচ্ছে মনে হচ্ছে তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলবো।
মেহেদী – ধুর কি যে বলো না। হারিয়ে ফেলবে কেন কিছুই হবে না আর ফোন আছে না কথা তো বলবোই
আমি – তবুও
মেহেদী – আর কোন কথা না। আজ কিছু করতে চাইছিলাম না তুমি আমাকে জাগিয়ে দিয়েছে এখন একটু আদর করতে দাও তো। কত দিন করতে পারবো না।
মেহেদী ওর কাজ করছে আমি কোনো বাধা দেয় নি কারণ আমি ও যে ওকে অনেক ভালোবাসি।
চলবে,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *