সাঁঝের প্রেম

সাঁঝের প্রেম !! Part- 06

মাহবুব সোফার উপর পা ছড়িয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো। নিশি খাটে আরাম করে ঘুমাচ্ছে। সকাল নয়টায়,

-এই আপনি উঠেন না কেনো? (দূর থেকে মাহবুবকে ডাকছে নিশি)
-কয়টা বাজে? (ঘুম ঘুম চোখে মাহবুব)
-নয়টা।
-আচ্ছা উঠছি।

মাহবুব উঠে ফ্রেশ হতে গেলো আর নিশি ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছে। মাহবুব ফ্রেশ হয়ে এসে নিশিকে বলে,

-নিশি একটা কথা বলব রাখবে?
-কি?
-শাড়ি পরবে? আমি তোমার জন্য একটা তাঁত এনেছি আর কিছু গহনা। প্লিজ পরো না। আমি শাড়িটার সাথে ম্যাচিং করে একটা পাঞ্জাবি কিনেছি।
-হাহাহা এত রোমান্টিক আপনি? জানতাম না তো (নিশি হাসছে) কই দেখান তো।

মাহবুব ব্যাগ থেকে শাড়িটা বের করে নিশিকে দিলো। নিশি শাড়িটা হাতে নিয়ে বলল,

-আপনি রেডি হয়ে বাইরে যান। আমি আসছি শাড়িটা পরে।
-থ্যাংক ইউ।

মাহবুব দ্রুত পাঞ্জাবিটা পরে বেরিয়ে গেলো। নিশি শাড়ি পরতে পারে তাই ও শাড়িটা পরে সুন্দর করে সেঁজে মাহবুব কে কল করে। মাহবুব রুমে এসে নিশিকে দেখে ওকে একবার ছুঁতে যায় কিন্তু নিশি বাঁধা দেয়। পরে আর মাহবুব নিশিকে ধরেনা।

-হুমায়ুন আহমেদ এর রুপা লাগছে কি না জানিনা কিন্তু মাহবুবের নিশি লাগছে। অপূর্ব লাগছে তোমায় নিশি। তবে কপালের টিপটা সরিয়ে ফেলো। টিপ ছাড়াই তোমায় ভালো লাগবে।
-সরালাম।
-চলো বের হই।

নিশি স্লিপার পরলো শাড়ির সাথে নয়ত হাঁটতে কষ্ট হবে পাহাড়ে। মাহবুব আগে আগে যাচ্ছে আর নিশি পিছু পিছু। চিটাগং সিটি এরিয়ার সব চিনালো মাহবুব নিশিকে। এরপর দুপুরে লাঞ্চ করে পাহাড়ে গেলো দুইজন। পাহাড়ে উঠার সময় নিশির একটা বাড়ি দেখে চোখ আটকে গেলো। মাহবুব ওর চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,

-কি হলো তোমার?
-বাড়িটা দেখেন।
-এখানকার বাড়িগুলো এমনই হয়। পিউর কাঠের বাড়ি পুরোটা। সিমেন্ট আর ইটের ছিঁটেফোঁটা ও নেই এখানে। কালারফুল রঙ দিয়ে কাঠগুলো রঙ করে বাড়িটা সাজানো।
-অদ্ভূত সুন্দর। শহরের ১২ তলা দালান দেখতে দেখতে চোখ ধাদিয়ে গেছে। আমাদের বিয়ের পর আমরা এখানেই সেটেলড হয়ে যাব। ঠিক এইরকম একটা বাড়ি হবে আমাদের। (আবেগে নিশি)
-এজ ইউর উইশ ম্যাম। চলেন হাঁটি।

পাহাড়ের মাঝামাঝি উঠে নিশি দেখলো একটা বট গাছের নিচে কতগুলো নৃগোষ্ঠী নাচ করছে। তাদের মাথার উপর কাঁচের বোতল। নিশি মাহবুবের কথা না শুনেই সেখানে গেলো। মাহবুব ও গেলো নিশির পিছু পিছু।

-আমিও এভাবে নাচ করব। (মাহবুবের হাত ধরে বায়না করছে নিশি)
-নিশি তুমি পারবেনা। এইটা এতটাও ইজি না।
-আমি করবই। ওদের বলুন আমায় একটা বোতল দিতে।
-আরে আজব!
-হ্যা আজব৷ তারাতারি বলুন ওদের।

মাহবুব ওদের কে কোনোভাবে বুঝালো যাতে নিশিকে একটা বোতল দেয়। মাথার উপর বোতল টা সেট হওয়ার জন্য গামছার বিড়া পরায় নৃগোষ্ঠীরা নিশিকে। মাহবুব দেখে হাসতে হাসতে শেষ আর ও নিশির কতগুলো ছবি তুললো তখন। বোতল মাথায় নিয়ে স্টেপ দেওয়ার সাথে সাথে নিশির মাথা থেকে বোতল পরে ভেঙে গেলো। বোতলটা নিশির পায়ে গিয়ে পরলো। দুটো আঙুল কেটে গেছে। মাহবুব নিশিকে কোলে করে গাছের নিচে বসায় আর একটা মেয়ে দুর্বারস ধরে নিশির কাটা পায়ে।

-বলেছিলাম তো তুমি পারবেনা। কথা কেনো শুনো না? (রেগে গিয়ে মাহবুব)
-আমি কি বুঝেছি যে পরে যাবে? (কুঁকড়িয়ে নিশি)
-শাট আপ! (নিশিকে ধমক দিয়ে মাহবুব নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে একটু ছিঁড়লো। এরপর নিশির আঙুলে বেঁধে দেয়।) হাঁটতে তো পারবেনা। কোলে করেই নিতে হবে।
-তো নিবেন।

মাহবুব সবাইকে বাই বলে নিশিকে কোলে নিয়ে নামে নিচে। এরপর হোটেলে ফিরে এসে নিশির পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়। নিশি কোনোরকম চেঞ্জ করে বসে পরে। মাহবুব তখন নিশির সামনে বসে জিজ্ঞেস করে,

-ব্যাথা কি খুব বেশি করছে?
-না।
-না করেছিলাম করনা তারপরেও করলে। এখন কি অবস্থা হলো নিজের দেখেছো।
-হ্যা স্যরি।
-এত সুন্দর নখগুলো ভেঙে গেলো। (নিশির পায়ে হাত দিয়ে মাহবুব)
-আপনি আমার পায়ে কেনো হাত দিচ্ছেন?
-তো কি হয়েছে? ”

কলিং বেলের আওয়াজে মাহবুব কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসে। মাহবুব হাত থেকে ওড়নাটা রেখে, চোখ মুছে দরজা খুলতে যায়। দরজা খুলে দেখে ওর বন্ধু আরাফ।

-দোস্ত তুই? (আরাফকে হাগ করে মাহবুব)
-দেখতে চলে এলাম তোকে। এত রোগা হয়েছিস কেনো? (আরাফ)
-আগে ভেতরে আয়।

আরাফ মাহবুবের কলেজ আর ভার্সিটি লাইফের ফ্রেন্ড। খুব ভালো ফ্রেন্ড ওরা দুইজন। মাহবুব আরাফকে জিজ্ঞেস করলো,

-হঠাৎ চিটাগং কি মনে করে?
-ঢাকা ফিরবিনা তুই? (আরাফ)
-কার জন্য ফিরব ঢাকায়? কে আছে আমার সেখানে?
-এইজন্য এখানে একা একা থাকবি?
-হুম একাই ভালো।
-শুনলাম নিশি নাকি এখানেই চাকরি করে?
-হুম।
-জানিস তুই?
-হ্যা জানি। ঘণ্টাখানেক আগেও দেখা হয়েছে ওর সাথে।
-কিছু বলেনি ও?
-আমার বউ দেখতে চেয়েছে। (মুচকি হেসে মাহবুব)
-আচ্ছা মাহবুব একটা কথা বলতো আমায়।
-কি?
-তুই নিজেও জানিস নিশি এখন আর তোকে ভালবাসেনা আর ও তোকে চায় ও না। তাহলে কেনো তুই ওর জন্য এখনো অপেক্ষা করে বসে আছিস?
-কারণটা জানিস না তুই? এতটা নির্বোধ কেনো তুই?
-ও মেয়ে হয়ে সেইটা ভাবছেনা আর তুই ছেলে হয়ে ভাবছিস? আর কত বছর তুই এভাবে কষ্টে থাকবি ভাই? সেই সন্ধ্যার প্রেম না ভুলতে পারলে তোর বাকিটা জীবন অন্ধকার ই থেকে যাবে। বিয়ে করে ফেল ভাই। আর নিজেকে কষ্ট দিস না প্লিজ।
-আরাফ আমার বিয়ে হয়ে গেছে আরো পাঁচ বছর আগে। শুধু কি কবুল বললেই বিয়ে হয়? মনের মিলটাই তো বড় রে৷
-নিশিকে কি আর একবার বোঝাবি? কালকে সন্ধায় নিশির বাসায় যাই আমরা?
-আমি হাঁপিয়ে গেছি ওকে বুঝাতে বুঝাতে। ওর ইগো, ওর পরিবার, ওর সমাজ আমার থেকে অনেক বড় রে।
-আজ এই মিনতিগুলো করা উচিৎ কার আর করছে কে! হায় প্রেম! ভাগ্যিস প্রেম করিনাই। ভাই বয়স তো কম হয়নাই। এইবার তোর উচিৎ সত্যি সত্যি বিয়ে করা আর নিশিকে দেখিয়ে দেওয়া যে তুই ভালো আছিস।
-আমি তাহলে অপরাধবোধে নিজেই শেষ হয়ে যাব। বউ আমার একটাই আর সেইটা হচ্ছে নিশি, ভালোবাসা একটাই সেইটাও নিশি। ফার্দার আমাকে এই কথা বলবিনা। নিশি ছাড়া আমার জীবনে কেউ ছিলো ও না আর আসবেও না।
-আমি কালকে নিশির বাসায় যাব। তোর হয়ে সাফাই গাইতে নয় জাস্ট জানতে চাইবো তোকে কেনো এভাবে কষ্ট দিচ্ছে।
-না তার দরকার নেই। নিশি জানে মাহবুব ভালো আছে।
-আর মাহবুব জানে নিশি ভাল আছে। আসলে তোরা কেউই ভালো নেই রে। তুই কড়া গলায় নিশির সাথে কথা বলিস আর নিশিও সেইটাই করে। কিন্তু তোদের মনে শান্তি আছে তো? (আরাফ)
-জানিনা আমি।

আরাফ ওর কথামতো নিশির সাথে দেখা করতে যায়। নিশি আরাফকে দেখে খুশি হয়। আরাফকে কফি খেতে দেয় নিশি এরপর নিজে এক মগ কফি হাতে নিয়ে সোফার উপর বসে।

-কেমন আছেন আরাফ ভাই? (নিশি)
-ভালো আছি। তুমি?
-এইত আছি। ভাবি ভালো আছে?
-হ্যা ভালো আছে।
-তা আপনি হঠাৎ চিটাগং?
-মাহবুবকে দেখতে এসেছি।
-ওহ!
-তোমার চাকরির কি অবস্থা?
-ভালো।
-আর তোমার ফেমিলি?
-সেইটাও ভালো। আপনার বন্ধুর বউকে দেখেছেন?
-কার মাহবুবের?
-হুম।
-ও কি বিয়ে করেছে নাকি?
-বলল তো করেছে। জানেন না আপনি?
-মাহবুব ঠিকই বলে জানো তো তুমি ওরে কখনো বুঝো নাই। একদম সত্যি কথাই বলেছে ও। তুমি ভাবলে কি করে মাহবুব বিয়ে করেছে? সব সম্পর্ক তোমার সাথে ওর আর তুমি কি ওকে এতটুকুও চিনো নাই এই পাঁচ বছরে?
-সেইটাই কথা। চিনিনাই আমি ওরে। (কফিতে চুমুক দিয়ে নিশি)
-একটাবার কি পারো না আবার এক হয়ে যেতে দুজন?
-না পারিনা। আমি আমার বাবাকে কথা দিয়েছি ওর থেকে দূরে থাকব যত কষ্টই হোক। তাছাড়া ভাই এখন আমার পরিবারকে আমার দেখতে হয়। তাই নিজের কথা একদম ভুলে গেছি। ভাববো না আর নিজের কথা।
-সেই সন্ধ্যার কথা কি একটুও মনে পরেনা নিশি? স্যরি টু সে নিশি বাট আসলেই মনে পরেনা? মনে হয়না যে আমার সর্বস্ব যার কাছে লুটে দিয়েছি সে ই আমার স্বামী হওয়ার যোগ্য। ঠিক এই কথাগুলো তোমার ভাবা উচিৎ কিন্তু ভাবছে মাহবুব। কেনো সেইটা? ও তো ছেলে। ও চাইলেই তোমাকে ব্যবহার করে ফেলে দিতে পারতো কিন্তু তা তো দেয়নি। বরং এতগুলো বছর অপেক্ষা করছে তুমি ফিরবে বলে। আর সেখানে তুমি জেদ নিয়ে বসে আছো। আচ্ছা মাহবুবের কি তোমার ফেমিলি দেখার মতো ক্ষমতা নেই? ও কি তোমায় এই প্রতিশ্রুতি দেয়নি যে ও দেখবে তোমার পরিবারকে?
-হ্যা দিয়েছে। কিছুই ভুলিনি আমি ভাইয়া। সব মনে আছে। আজকে আমার সর্বস্ব ওর কাছে বলেই আমি এখনো ওকে ভালবাসি। নতুন করে সংসার বাঁধিনি। এতে নিজেই অপরাধবোধে শেষ হয়ে যেতাম।
-ঠিক এই কথাটা কাল মাহবুব আমায় বলেছে। দুজন দুজনকে এখনো এত ভালোবাসো তাহলে কাছে আসতে সমস্যা কোথায় নিশি? (আরাফ দাঁড়িয়ে যায় রাগে)
-কোনো সমস্যা নেই। আমি হারানো জিনিস আর ফিরে পেতে চাইনা। হতে পারে সেইটা হাত বদলিয়ে আমি পেয়েছি।
-নিশি! কি বলছো তুমি এসব? নিশি ছাড়া মাহবুব এই পাঁচ বছরে আর কিছুই জপ করেনি আর তুমি বলছো এ কথা?
-আরাফ ভাই সেসব কথা বাদ দেন। আপনার বন্ধুকে বলবেন যাতে বিয়ে করে ফেলে। সুখি হবে তাহলে। (চোখের পানি মুছে নিশি)
-মাহবুব বিয়ে করবেনা। ও এখনো তোমাকেই চায়।
-এতটাই ভালবাসা যদি ওর থাকে তাহলে কেনো বলতে পারছেনা আমায়? কেনো বলছেনা নিশি ফিরে এসো।
-তুমি বলেছো? এতটা ইগো দেখালে তো হবেনা নিশি। যেকোনো একজনকে তো নত হতেই হবে। তাছাড়া মাহবুব তোমায় বলেছে ওর কাছে যাওয়ার জন্য কিন্তু তুমিই যাও নি। এক্সকিউজ দিয়েছো ফেমিলির আর বাবার দেওয়া কথার। আচ্ছা নিশি একজন মৃত মানুষকে দেওয়া কথার জন্য তো একটা জীবিত মানুষকে কষ্ট দিয়ে তুমি মেরে ফেলতে পারো না তাইনা?
-আরাফ ভাই পাঁচ বছর আগে আমি ওকে যতটা ভালবেসেছি এখন তার থেকেও বেশি ভালবাসি। আচ্ছা আমার কি ইচ্ছে করেনা ওর মতো স্বামী পেতে? সংসার করতে? তাহলে কেনো আমি পারিনা সেইটা ও কি একবারো জানতে চেয়েছে সেইটা?
-নিশি বোন আমার তোমার পায়ে ধরার হলে আমি ধরতে রাজি কিন্তু প্লিজ তুমি সব ভুলে যাও। তোমার বাবার কথা যে ভুল সেইটার প্রমাণ কি তুমি নিজে না বলো তো? তাহলে কেনো সেই কথা মেনে আছো তুমি নিশি? প্লিজ মাহবুব কে বিয়ে কর। আগের মতো হয়ে যাও দুজন। ছেলেটা এসব আসলেই আর নিতে পারছেনা। শরীরের অবস্থা দেখেছো ওর? ওর চোখের দিকে তাঁকানো যায়না।
-নিশি চুপচাপ বসে আছে।

রাত দশটা….

নিশি তখনো চুপচাপ বসে আছে। আরাফ ও চুপ করে বসে আছে। আরাফ জানে নিশির মা আর তুর্না আজ চিটাগং আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বাসায় ঢুকবে। সাড়ে এগারোটায় মা আর তুর্না নিশির ফ্ল্যাটে ঢুকে। নিশি ওদেরকে দেখে অবাক হয়ে যায়।

-তোমরা এখানে?
-আরাফ জানে আমরা কেন এখানে। (মা)
-ভাইয়া আপনি জানতেন মা আসবে? (নিশি)
-হ্যা জানতাম।
-এতক্ষণ বলেন নি কেন?
-ইচ্ছে করেই বলিনি। তোমার আর মাহবুবের জন্যই আমার চিটাগং আসা। আজ তোমায় ফাইনাল ডিসিশনে আসতে হবে নিশি।
-আরাফ ভাই বাদ দেন এসব। (চোখ মুছে নিশি) ডিনার করে যাবেন। মা যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
-না। অনেক সহ্য করেছি নিশি, অনেক। এতদিন কিছু বলিনি কারণ আমার জোর ছিলো না। আজকে আরাফ আমায় সেই জোর দিয়েছে। বল তুই কি চাস? (আম্মু) মাহবুবকে বিয়ে করবিনা তাই তো?
-না করব না। আমি যাকে বুঝিই না তাকে কেন আমি বিয়ে করতে যাব?
-আম্মু মাহবুব ভাইয়াকে আমি ফোন দিয়েছিলাম বাসায় আসার জন্য। এখন এগারোটা বেজে গেছে এত রাতে কি ভাইয়া আসবে? (তুর্না)
-হোয়াট? আমার অনুমতি না নিয়ে তুই ওকে কেন ফোন দিয়েছিস? (নিশি রেগে যায়)
-চুপ একদম। তুর্না তুই মাহবুবকে আবার কল করে আসতে বল। এর শেষ আমি দেখতে চাই আজ। (আম্মু)

তুর্না মাহবুবকে কল করে আম্মুর কাছে দেয়। আম্মু মাহবুবকে বলার পর মাহবুব নিশির ফ্ল্যাটে আসে। মাহবুব আসার পর নিশি বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। আবারো নিশির বুক কাঁপছে। মাহবুব আন্টিকে সালাম দিয়ে আরাফকে জিজ্ঞেস করে,

-এখনো কেনো বাসায় গেলি না? সাড়ে এগারোটা বাজে এখন। (মাহবুব নিশির দিকে তাঁকায়নি একবারো)
-বস তুই। (আরাফ)
-আমি বসতে আসিনাই আরাফ। আন্টি আসতে বলেছে তাই এসেছি। চল আয় এখন। (মাহবুব হাঁটতে শুরু করে)
-দাঁড়াও জামাই। (আম্মু মাহবুবকে থামিয়ে)

জামাই ডাক শুনে নিশি আর মাহবুব দুজনেই মর্মাহত। কারণ এইটা সম্ভব নয়।

চলবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *