Love Right ! Part- 17
নীল ডিনার শেষ করে এসেই দেখলো নিশুর ওর রুমে দরজা আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে।
নীল:কি হলো এভাবে খাম্বার মত সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
নিশু:……..
নীল:নিশু সামনে থেকে সরো।
নিশু:………
নীল:নিশু???
নিশু:…..
নীলের মেজাজা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
নীল বিরক্ত হয়ে বললো…মাকে বলেছিলাম শোনে নি পাগল এনে আমার মাথার ওপর উঠিয়েছে।
নিশু একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
নীল অধৈর্য হয়ে বললো…কি সমস্যা তোমার?….কি চাও বলতো?…দোহাই তোমার আমাকে একটু শান্তি দাও।
নিশু চট করে নীলের গলাটা জড়িয়ে ধরে বললো….এখন শান্তি লাগছে?
নীল:অশান্তি লাগছে!
নিশু এবার নীলের হাতদুটো নিয়ে ওর কোমরে রেখে বললো….এখন?
নীল থতমত খেয়ে গেছে।নিশু হঠাৎ হঠাৎ এমন সব কান্ড করে বসে যে নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল হয়ে পড়ে।অন্য কিছুর কথা মনেই থাকে না।
ও ফিসিফিসিয়ে বললো….আমাকে আর কত জ্বালাবে নিশু?
নিশু ওর আরো কাছে এসে বললো….জ্বলছো তাহলে?
এবার নীলের হুশঁ এলো।ও তাড়াতাড়ি নিশুর কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিলো।
নীল:কি করছো নিশু?….পাগল হয়ে গেছো নাকি?
নিশু:তোমাকে সিডিউস করছি!
নিশুর এমন কথা শুনে নীলের হাসি চলে এলো।পাগলি মেয়ে!….মুখে যা আসে তাই বলে দেবে।
নীল:তাই নাকি?
নিশু:হ্যাঁ তাই
নীল:কি হয়েছে তোমার বলতো?…কোন সমস্যা?…আজকে শুধু শুধু রুশার সাথেও খারাপ ব্যবহার করলে তুমি।
নিশু:বেশ করেছি!
নীল:মানে??
নিশু:মানে একদম ঠিক করেছি।
নীল:ও আমার অফিসের একজন এমপ্লয়ি।তুমি ওর সাথে এভাবে কথা বলতে পারো না।
নিশু:আর আমি?…আমি তোমার কি?
নিশু কথাটা একেবারে নীলের কলিজায় গিয়ে লাগলো।এই মেয়ে ওকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। নিশু ওর দিকে চেয়ে আছে উত্তরের অপেক্ষায়।
নীল অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো….আয়াতের ভালোবাসা!
নিশু ওকে জড়িয়ে ধরে বললো…মোটেও না!….আমি শুধু আমার নীলের ভালোবাসা।
নীল:দেখি সরো ভেতরে ঢুকতে দাও।আমি প্রচন্ড টায়ার্ড।
নিশু:না!
নীল:কেন?
নিশু:আমার ইচ্ছে!
নীল:নিশু?
নিশু:বললাম তো আমি সরবো না
নীল:কেন শুধু শুধু আমার মাথা গরম করাতে চাচ্ছো বলতো?
নিশু:ওটা ঠান্ডা থাকে কখন?
নীল:😐
নিশু:এভাবে তাকাচ্ছো কেন?
নীল একইভাবে তাকিয়ে আছে।
নিশু:ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।
নীল ওর দিকে এগোতে এগোতে বললো…কি করবে তুমি?
নিশু:তোমার গালে কষে একটা চুমু খাবো।
নীল:বিচ্ছু মেয়ে!….সারাদিন মাথায় শুধু এসব ঘোরে না?
নিশু:😁
নীল ওকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লো।ও দরজা লাগাতে গেলে নিশু এসে আবার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো।
নীল:আবার কি?.. (অধৈর্য গলায়)
নিশু ওকে জড়িয়ে ধরে বললো…গুড নাইট!
নীল নিজের অজান্তেই ওকে জড়িয়ে ধরলো।নিশু যাতে টের না পায় আলতো করে ওর মাথায় একটা চুমু খেলো।
নিশু রুমে আসতেই ইশু জিজ্ঞেস করলো….শেষ হলো?
নিশু:কি?
ইশু:আমার ভাইকে জ্বালানো?
নিশু:ইশসস!…তোর ভাই কম অসভ্য নাকি?..বলে কি না আমাকে চেপে ধরে চুমু খাবে??…কত কষ্ট করে বেরিয়ে এলাম।
নীল:তাই নাকি??
নিশু খেয়াল করে নি যে নীল এসে ওর পেছনে দাঁড়িয়েছে।ইশু হাসছে।নীলও মিটিমিটি হাসছে ওকে এভাবে ভয় পেতে দেখে।
নিশু:(আল্লাহ!তুমি বাঁচাও!…জল্লাদ হাজির হয়ে গেছে!)
নীল:কি হলো?
নিশু:ঠিকই তো বলেছি।তুমিই তো বলেছো আমি তোমার কথা না শুনলে আমাকে চেপে ধরে চুমু খাবে??
নীল:😮
নিশু:(😁সাবাশ নিশু!)
নীল:কি বললে তুমি?….মিথ্যেবাদী!
ইশু:কি রে ভাইয়া তুই নিজের দোষ ওর ঘাড়ে চাপাচ্ছিস কেন?
নিশু:ঠিক বলেছিস ইশু!
নীল:অসভ্য মেয়ে!
নীল বিড়বিড় করে ওকে বকতে বকতে বেরিয়ে গেলো।
ইশু:পাঁজি মেয়ে!….আমার ভাইকে তো দেখছি জ্বালিয়ে মারছিস?
নিশু:দেখতে হবে না বউটা কার?
ইশু মুচকি হেসে বললো….হুম!…নীলাস হাসানের কলিজার টুকরা বলে কথা!
ইশুর কথাটা শুনে নিশুর কলিজাটা একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেলো।
নিশু:এভাবে বলে না ইশুপাখি…..কোথায় যেন লাগে!
ইশু হাসতে হাসতে বললো….আমার ভাইকে যদি আর কোনদিন কষ্ট দিয়েছিস তো দেখিস আমি তোর কি হাল করবো।
নিশু ওক ভেংচি কেটে দিয়ে বললো…আমি ছাড়া তোর ঐ ত্যাড়া ভাইকে আর কে বিয়ে করবে বলতো?
ইশু:আহা!…নিজে আমার ভাইয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে আবার বড় বড় কথা বলছে।
নিশু:আমার বয়েই গেছে।
ইশু হাসছে নিশুর কথা শুনে।একেবারে বাচ্চাদের মত কথাবার্তা।আসলেই একটা পাগল!
সকালবেলা নিশুর ঘুম ভাঙ্গতেই ও নীলের রুমে গিয়ে ঢুকলো।নীল ঘুমোচ্ছে।নিশু ওর দিকে চেয়ে আছে।কি নিষ্পাপ সারল্য ওর মুখে।নিশু গিয়ে আস্তে করে ওর পাশে বসলো।
নিশু:নীইইইল?(আস্তে করে ডাক দিলো)
নীল ঘুমের ঘোরে জবাব দিলো….হুঁ?
নিশু:উঠবে না?
নীল:কয়টা বাজে?
নিশু:সাড়ে আটটা!
নীল:তুমি মিথ্যে বলছো?
নিশু:মোটেও না।তুমি ঘড়ি দেখো?
নীল আড়মোড়া ভেঙে চোখটা খুলেই ঘড়িটা হাতে নিলো।নিশু ঠিকই বলেছে সাড়ে আটটা বেজে গেছে ও তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলো।
ইলারা বেগম ওকে নামতে দেখেই বললেন…..কি ব্যপার আজকে এত সকালে?
নীল:মজা করছো?…..তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট দাও।আমার বেরোতে হবে।দেরী হয়ে গেছে।
ইলারা বেগম:আজকে কোন জরুরী কাজ আছে নাকি?…এত সকাল সকাল?
নীল:কোথায় এত সকাল?….৮:৫৭বাজে।
ইলারা বেগম:ছেলের কথা শোনো।ঘড়ি যে নষ্ট হয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল আছে।
নীল হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলো ঘড়ি ঠিকই চলছে।
নীল:ঘড়ি তো ঠিকই আছে।
ইলারা বেগম:না নেই!
নীল ডাইনিং এর ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলো সবে ৫:১০বাজে😮।ও ভালো করেই বুঝে গেছে এই কাজটা কার?
ইলার বেগম:কি রে?…ঘড়ি ঠিক আছে?
নীল:😐ঘড়ি ঠিকই আছে!…কিন্তু অন্য কেউ ঠিক থাকবে না।
ও তাড়াতাড়ি ওপরে উঠে সোজা ইশুদের রুমে ঢুকলো।ইশু নেই।ও খুব ভোরেই ছাদে যায়।খাটের দিকে তাকাতেই দেখলো নিশু ঘুমোচ্ছে।
নীল:আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে নিজে এসে আরামে ঘুমাচ্ছে?
নীল কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।ও গিয়ে নিশুর পাশে দাঁড়ালো।
নীল:নিশু??
নিশু:…..
নীল:এই নিশু??
নিশুর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ও নিশুকে কোনরকমে টেনে বসাল।নিশু ঘুমে ঘোরে ওর গায়ের ওপর ঢুলে পড়ে যাচ্ছে।নীলের মন চাচ্ছে কষে ওর গালে একটা চড় বসিয়ে দিতে।কিন্তু এই অবস্থায় হুট করে ভয় পেয়ে যেতে পারে।তাই আগে ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছে।
নিশু ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো…কি হলো এত সকাল সকাল ডাকছো কেন?
নীল:😐…..উঠে বসো!
নিশু গিয়ে ওর কোলের ওপর উঠে বসলো।
নীল:😩আমার কোলে বসতে বলি নি।ঘুম থেকে উঠতে বলছি!
নিশু এবার টান দিয়ে ওকে নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
নীল:আমি একে কি শাস্তি দিবো?…এ নিজেই তো আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
নিশু ওর গায়ের ওপর হাত পা উঠিয়ে দিয়েছে।নীল শার্ট প্যান্ট,সু জুতা পরে বিছানায় শুয়ে আছে।এই অবস্থায় ওকে কেউ দেখলে কি ভাববে?
ও তাড়াতাড়ি নিশুকে ছাড়িয়ে উঠে গেলো।তারপর নিশুকে কোলে নিয়ে সোজা ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো।নিশু কোলে নিয়েই ও পানি কলটা চালু করে নিশুর চোখে মুখে পানি দিলো।
নিশু চোখ খুলতেই দেখলো নীল ওকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নিশু:😮
নীল ওকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে বললো…তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও।
নিশু ফ্রেশ হয়ে বেরোতেই দেখলো নীল খাটের ওপর বসে আছে।কেন বসে আছে নীলের মুখ দেখে ও ভালো করেই বুঝে গেছে।
নিশু:(আল্লাহ!….আমি আর জীবনে ওর সাথে লাগতে যাবো!…এবারের মত মাফ করে দাও!)
নীল:আলমারি থেকে তোমার জামাকাপড় বের করো!
নিশু:কেন?(আল্লাহ বের করে দেবে নাকি?)
নীল:আমি বলেছি তাই!
নিশু:আমি কোথায় যাবো না।এখানেই থাকবো!
নীল:কোথায় যাবে তুমি?(অবাক হয়ে)
নিশু:তো জামাকাপড় নিয়ে কি করবো?….আমি কিচ্ছু নিবো না।
নীল:(ওহ!মেডাম তাহলে ভেবেছেন আমি উনাকে বের করে দেবো?😂)জামাকাপড় দিয়ে মানুষ কি করে?
নিশু:মানে?
নীল:😁তুমি কি জামাকাপড় না পরেই থাকো নাকি?
নিশু:ছিহ!
নীল হাসতে হাসতে বললো…ছিহ বলছো কেন?….তুমিই তো বললে তুমি জামাকাপড় নিবে না।তাহলে গোসল করে কি পরে বেরোবে ওয়াশরুম থেকে?
নিশু:(শয়তান আগে বললে কি হত?..যে গোসলের জন্য জামাকাপড় লাগবে?)…আমি এত সকালে গোসল করবো না আমার ঠান্ডা লাগে।
নীল:কীভাবে করাতে হয় সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।
অবস্থা বেগতিক দেখে নিশু অসহায় গলায় বললো..আর জীবনেও তোমার সাথে লাগবো না নীল এবার ছেড়ে দাও প্লিজ।আমার ঠান্ডা লাগবে।
নীল:তুমি যে শোধরানোর মেয়ে না সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি!….কথা না বলে তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে ঢুকো।আমি এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনবো!…..এক….দুই..
নিশু কাঁদোকাঁদো চেহারা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো।
কিছুক্ষণপর,
নীল:নিশু??(দরজায় টোকা দিচ্ছে ও)
নিশু:(এবার দেখো আমি তোমার কি করি?)
নীল:এই নিশু??
নিশু দরজাটা সামান্য ফাঁক করে বললো….আবার কি?
নীল:তোমার ফোন বাজছে!
নিশু:আমি তো শুনছি না?
নীল:😁তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম!
নীলের কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশু ওর গায়ে একমগ পানি ঢেলে দিয়ে বললো….নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছো।কথা শেষ হতেই ও দরজাটা লাগিয়ে দিলো।
নীল:ইসসশ!….পুরো ভিজিয়ে দিয়েছে, অসভ্য মেয়ে!..তোমাকে তো আমি ছাড়বো না।
নিশু ভেতর থেকে চেঁচিয়ে বললো….ছাড়াতে চায় কে?…ওর বেশ মজা লাগছে।এবার গোসলটা শান্তি মত করা যাবে।শয়তানটার ভালো শিক্ষা হয়েছে।….একটুপরই আবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।ওয়াশরুম থেকে বেরোলেই তো নীল ওর বারোটা বাজাবে।
নিশু গোসল শেষ করে বেরোতেই দেখলো নীল জামাকাপড় চেইঞ্জ করে মাত্র রুমে এসে ঢুকেছে।ইশসস….আরেকটু আগে বের হলে তো দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বসে থাকা যেত।
ওর চেহারা দেখে নীলের হাসি পাচ্ছে।কিন্তু এখন কোনভাবেই হাসা যাবে না।সুযোগ পেলেই এই মেয়ে মাথায় উঠে বসবে।
নীল:কি ব্যপার হিসুবেবি?….গোসল শেষ?
নিশু:না!
নীল:মানে??(অবাক হয়ে)
নিশু:আবার করবো!(ভয়ের চোটে)
ও দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকতে নিলে নীল ধরে ফেললো।
নীল:কতবার বলেছি!….কিছু হলেই ডায়রিয়া রোগীর মত ওয়াশরুমে ছোটাছুটি করবে না?
নিশু:(ছিহ!….হিসুবেবি, ডায়রিয়া রোগী?..ইয়াক)
নীল:তো পালাচ্ছিলেন কেন মিস নিশিতা জামান?
নিশু কাঁদোকাঁদো হয়ে বললো…সত্যি বলছি নীল আর করবো না।প্লিজ!
নীল:অনেকবার শুনেছি এই কথা!
নিশু:😐আমার মাথায় হাত রেখে বলবো?
নীল:না!….আমার মাথায় হাত রেখে বলো।
নিশু চুপ করে আছে।
নীল:তাহলে আর কি করার?….তোমাকে তো সোজা করতে হবে তাই না?
নিশু:(খবিশ!)
নিশু হাঁপাতে হাঁপাতে বললো….আমি আর পারছি না নীল।
বিগত এক ঘন্টা ধরে নীল ওকে রুমে আর ওয়াশরুমে দৌঁড় করাচ্ছে।শর্ত হচ্ছে নীল ওকে ফোন করবে ও যদি ওয়াশরুমে থেকে দৌঁড়ে এসে ফোনটা রিসিভ করতে পারে তাহলে ওর শাস্তি মাফ।কিন্তু প্রত্যেকবার ও ধরার আগ মুহূর্তেই নীল কল কেটে দেয় ইচ্ছে করে করে।
নিশু:(এবার যদি কল কেটেছো!…সোজা তোমার মাথায় মারবো ফোন!)
নীল:শয়তানি বুদ্ধি যদি কিছু বের করেছো তাহলে কিন্তু শাস্তি আরো বাড়বে।
নিশু:(ইশুরে তুই কই?😫)
ইশু রুমে ঢুকতেই দেখলো নিশু ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ফোন রিসিভ করার জন্য ঢুকছে।ধরতে না পেরে দৌঁড়ে আবার ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকলো।নীল রুমের দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।ওর মাথায় ঢুকছে না এসব কি হচ্ছে।
ইশু:😮এই নিশু?…তুই বারবার ওয়াশরুমে ঢুকছিস কেন?
নিশু:এখন কথা বলার সময় নেই!…ফোন ধরতে হবে!
ইশু:😮তো ওয়াশরুমে দৌঁড়াচ্ছিস কেন?…..ফোনতো খাটে!….এই ভাইয়া ও এমন করছে কেন?
নীল হাসির জন্য কথা বলতে পারছে না।
ইশুর মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।কি শুরু করেছে এরা দুজন?..একজন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আরেকজন ওয়াশরুমে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে।
অনেক্ষন পর ও বুঝতে পারলো কি হচ্ছে।নিশু এখনো দৌঁড়ে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে।নীল ইশুকে ইশারা দিয়ে বললো….ওকে থামানোর জন্য।
ইশু:এই নিশু?…থাম বলছি!…থাম!
নিশু ঝড়ের বেগে ঢুকছে আর বেরচ্ছে।ওকে ধরতে গিয়ে ইশুও দৌঁড়াচ্ছে।অবশেষে ওকে জাপটে ধরে ইশু থামালো।নীল কিছুতেই হাসি থামাতে পারছে না।নিশু ওর দিকে চোখমুখ লাল করে তাকিয়ে আছে।
নীল হাসতে হাসতে বললো….আমি সেই কখন কল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।মেডামের খবরই নেই।উনি দৌঁড়াচ্ছেন তো দৌঁড়াচ্ছেন।
ও আবার হাসা শুরু করে দিলো।নিশুর সাথে দৌঁড়াতে ইশুও হাঁপিয়ে গেছে।ও নীলের দিকে তাকিয়ে বললো….সেটা ওকে বললেই তো হত?
নীল:বলার সময় পেলাম কই?….উনি তো উইসাইন বোল্টের গতিতে দৌঁড়াচ্ছিলো আর বেরোচ্ছিলো।
এবার ইশুর হাসি চলে এলো।সত্যি নিশু যেভাবে দৌঁড়াচ্ছিলো তাতে মনে হচ্ছিলো উইসাইন বোল্টকেও হারিয়ে দেবে😂।
বিঃদ্রঃ(রাতে যদি পারি আরেকটা পার্ট দিবো🙂)