যদিও মা !! Part- 06
রাতের খাবার শেষ করে আকাশ রুমে চলে যায়।।আয়ান কার্টুন দেখছে।। আমি আয়ানকে গিয়ে বলি….
আমিঃবেবী আজ তুমি কার কাছে শুবে? মাম্মাম না পাপা?
আয়ানঃমাম্মাম তুমার থাতে।।
আমিঃকিন্তু পাপা তো কষ্ট পাবে।।এক কাজ কর পাপাকে গিয়ে বল যে তুমি মাম্মাম পাপা দুজনের সাথে শুবে।।।। ওকে শোনা?
আয়ানঃথিত আছে মাম্মাম
।
।
আয়ান রুমে গিয়ে আাকশকে বলে যে আমরা সবাই একসাথে ঘুমাব।।।আকাশ রাজি হয়ে যায়।। আমিও গিয়ে বিছানা গুছাই।। আয়ান আমার আর আাকশের মাঝে ঘুমায়।।।যদিও আমার মেজাজ খারাপ লাগে তবুও আপাত তা মেনে নেই।।আয়ান রাতে আবার বিছানা ভিজিয়ে দেয়।। আকাশ পাশে থাকায় কিছু বলতে পারিনি।।
।
।
সকালবেলা আকাশকে নাস্তা করিয়ে অফিসে পাঠাই।।আয়ান তখনও ঘুম।।। ভিজা অবস্থাতেই ঘুম।। বিয়া কাজ করতে আসবে তার আগে চাদর চেন্জ করে ওসব ধুতে দিতে হবে।।আয়ানকে ঘুমের মধ্যেই একটান মারি।।।ঘুমের মধ্যে ওঠানোর কারনে কান্না করে দেয়..ঘুমের লাইয়ে নিচে পড়ে যায়।।
।।
আয়ানঃআআআআআআ…আমি ঘুমাব।।বমাল উঠাও তেন।।আআআআ…(কান্না করে)
আমিঃতো ঘুমা।।।কিন্তু বিছানায় না।।।আর কত ভিজাবি।।।নিচে ঘুমা।।।
আয়ান আত্তা বলে নিচেই শুয়ে পড়ে।।আমি আাদর চেন্জ করে ওর প্যান্ট খুলে বুয়াকে দিতে যাই।।আর কোনো প্যান্ট পড়াই না।।বুয়া কাপড় ধুয়ে ঝারু দিতে থাকে।।।হঠাৎ মনে পড়ে আয়ান তো নিচে।।বুয়া আবার আমার রুমে যাবে।।বুয়া যাওয়ার আগেই রুমে যাই…
আমিঃএই ছেলে আর কত ঘুমাবি।।।ওঠ।।(জোরে জোরে ধাক্কা দেই)
আয়ান এবার উঠে যায়।।ওকে বলি যা মুখ ধুয়ে আয়।।। বাথরুমে সবসময় বালতিতে পানি ভরা থাকে যার ফলে আয়ান মুখ ধুতে পারে।।যদিও ধোয়া হয় না।।। তাই আমাকেই ধুইয়ে দিতে হয়… মুখ ধুইয়ে খাবার খাইয়ে দেই…..
।
।
সারাদিন আয়ান আর আমিই বাসায় থাকি।।ও সারাদিন আমার আগে পিছে ঘোরে।।ওর পসব কাজই করে দিতে হয়।। মাঝে মাঝে কতগুলো ঝাড়ি দেই।। ছোট বিধায় পরে ভুলেও যায়।।কতকিছু বললেতো বোঝেও না।।।কত রাগেরই মানে না বোঝে হাসতে থাকে তখন মেজাজ আরও খারাপ হয়।।।
।
।
আজ আমার বিয়ের ৬ মাস হয়ে গেল…আকাশের মনে থেকে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছি।।কিন্তু কাছে যেতে পারছিনা।।আয়ান আমাদের মাঝেই থেকে গেল…আকাশের মা বেড়াতে এল।।। এখন তো আমি আয়ানের সাথে চিল্লা চিল্লিও করি না।।মা আমার আয়ানের প্রতি কেয়ারিং ভালোবাসা দেখে অনেক খুশি।।।সে আমার আকাশের দূরত্ব বুজত পারে..বিকালে সে আমাকে বলতে থাকে…
মাঃপৃথা।।বমি অনেক খুশি যে তুমি আয়ানকে এত ভালোভাবে দেখাশুনা করছ।।তবে আমার যা মনে হয় তোমার আর আাকাশেরও এখন একটা বেবি নেয়া উচিত..আর কত এমন থাকবে ছেলেটা।।।তোমাদের একটা বেবি হলে আকাশও তোমার প্রতি কেয়ারিং আর তোমার কাছে আসবে….
আমি তো শুনে অনেক খুশি ।। তবুও মনকে সামলে বলি…
আমিঃআমাদের তো বেবি আছে।।আয়ান।।ওই তো আমার আর আকাশের বেবি।।। আকাশ তো ওর জন্যই আমাকে এখানে এনেছে(কান্না কান্না ভাবে….যদিও ও কথা ভেবে সত্যি কান্না আসছিল)
মাঃআরে।।আয়ান তো তোমাদেরই।। আর আয়ানও আর কতদিন একা থাকবে।।।ওরও তো ভাই বোন চাই।।
আমি হেসে মাকে জড়িয়ে ধরি।।।
।
।
রাতে খাবার পর আয়ান আমাদের রুমে ঘুমাতে আসলে মা ওকে তার সাথে ঘুমাতে নিয়ে যায়।।ও না যেতে চাইলেও ওকে বুঝিয়ে জোড় করেই নিয়ে যায়।।।
আকাশ খাটে বসে ল্যাপটপে কাজ করতে ছিল।।আমি ওর পাশে বসে কাধে মাথা দিয়ে বসি।।কানের কাছে মুখ নিয়ে বলি…
আমিঃজানেন মা আজকে কি বলছিল?
আকাশঃকি বলছে?
আমিঃআয়ানের নাকি ভাই বোন চাই(লজ্জা লজ্জা ভাবে)
আকাশঃতো এনে দেও…
আমি আকাশের কথা শুনে খু্ব লজ্জা পাই।।ওর বুকে গুজে দেই।।ও আমার মাথা তুলে কপালে একটা কিস করে।।আমাকে ওর খুব কাছে রেনে নেয়…..এতদিনের আশার বাঁধ আজ ভেঙে যায়……
।
।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে আকাশের বুকে পাই।।আজ সকালটা যেন অন্যরকম।।উঠে শাওয়ার নিয়ে নিচে নাস্তা বানাতে যাই।।।আকাশের মা থাকার কারনে আমি আর আকাশ দুজনের কাছে আসার সময় পাই।।।কয়দিন পর আকাশের মা চলে যায়।।।শুরু হয় সেই আবার আগপর কাহিনি।। এতদিন সময় ভালোই কাটছিলো।।।।
।
।
আয়ান আর আমি বাসায়।। আমি টিভি দেখতে ছিল।। আয়ান কই তা আমার খেয়াল নাই।।হঠাৎ কিছু ভাঙার শব্দ হয়।।আমি রুমে গিয়ে দেখি আমার আার আকাশের ফটোফ্রেমটা নিচে পড়ে ভেঙে রয়েছে।।আকাশের আমাকে ভালোবেসে দেয়া প্রথম গিফট।। আমার খুব পাচ্ছিল।। আয়ানকে দেখি পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার দিকে তাকিয়ে।। বুঝতে পারি আয়ান ভেঙেছে।।আমার অনেক রাগ হয়।।জোরে একটা থাপ্পড় মারি।। আয়ান নিচে পড়ে কান্না করতে থাকে।
আমিঃঅসভ্য ছেলে।।আমার জিনিস ভেঙেছিস কেন……….আয়ান কান্না করতে করতে উঠে দাঁড়ালে আমি আবার থাপ্পড় মারি।।
আমিঃআজকে তোকে এর শাস্তি পেতেই হবে।।।
আয়ানঃথরি মাম্মাম।।মের না।।আমাল ব্যথা করে।।।
আয়ানকে উঠিয়ে বারান্দায় নিয়ে যাই।।বারান্দায় রেখে দরজা আটকিয়ে দেই।।।
আয়ানঃমাম্মাম তুল।।।মাম্মাম।।। আআআআআআ………
অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে।।।আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসি।।
।
।
দুপুরেও আমি বারান।বারান্দার দরজা খুলিনি।।দুপুরে বারান্দায় অনেক রোদ থাকে।।আয়ান কান্না করতে করতেই রোদের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে…………
।
।
।
চলবে 🙂