যদিও মা

যদিও মা !! Part- 05

সকালবেলা আমি আকাশের আগেই ঘুম থেকে উঠি।।আকাশের ঘুমন্ত মুখেয় অনেক মায়া।।।নিজের অজান্তেই কপালে ভালোবাসার ছোয়া দেই।। নিচে গিয়ে নাস্তা বানাই।।কফি নিয়ে আকাশের রুমে চলে যাই।।আকাশ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আমাকে দেখে।।
আকাশঃগুড মর্নিং পৃথা।।(হেসে)
আমিঃগুড মর্নিং।। আপনার কফি।। নিচে আসেন নাস্তা রেডি।।


নিচে গিয়ে দুইজন নাস্তা করি।।
আকাশঃআয়ান না সকালে আশার কথা।অফিসে যাবার আগে বাসায় দিয়ে যাব।।
আমিঃনা না।। লাগবে না।। আপনি যান।।।বাবুকে আমি নিয়ে আসব।।
আকাশঃপারবে তো।।সমস্যা হলে আমি দিয়ে যেতে পারি।
আমিঃসমস্যা কিসের।।এই তো কাছেই।।আর ড্রাইভার তো আছেই। আপনি নিশ্চিতে যান।।।


আকাশ অফিসে চলে গেল।। আমি আয়ানকে আনতে যাইনি।।।আজকে দিনটা আমি ফ্রেন্ডসদের সাথে কাটাব।।ওদের সবাই কে ফোন করে দেখা করতে বলি।।


দুপুরের দিকে ফ্রেন্ডসদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই।।হঠাৎ মায়ের ফোন আসে।।
মাঃহ্যালো পৃথা তুই কই?আয়ানকে নিতে এলি না কেন? আয়ান তো সকাল থেকে তোর অপেক্ষায় বসে আছে।কতবার তো কান্নাও করেছে।।।
আমিঃমা আমার একটু কাজ ছিল।। ওকে বিকেলে নিতে আসব।।
মাঃকিন্তু ও তো সকাল থেকে কিছু খায় ও নি।।বলছে তুই খাইয়ে দিবি।।।
আমিঃমা।। একটু বিজি।।। বললাল তো নিতে যাব।।তুমি ওকে জোর করে খাইয়ে দেও।।।আচ্ছা আয়ানকে ফোন দেও।।।


মা আয়ানকে ফোন দেয়।।।
আয়ানঃমাম্মাম।।মাম্মাম।।তুমি আমালে নিতে আত নাই তেন।।আমালে নিতে আত।।আআআআআআ(কান্না করে)
আমিঃআলে বেবীটা আমার।।।মাম্মাম তো আসবে নিতে।।।নানুর কথা শুনো।।।মাম্মাম তোমাকে অনেক চকলেট দিব।।। আচ্ছা বেবী রাখি।।
আয়ানকে বেশি কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কেটে দেই।।মুলত ফ্রেন্ডসদের দেখিয়ে কথাগুলো বলেছিলাম।।।।



বিকেলে মায়ের বাসায় যাই।।। বাসায় গিয়ে শুনি আয়ান নাকি না খেয়েই ঘুমিয়ে রয়েছে।।আমার সাথে কথা বলার পরই নাকি অনেক কান্না করছে ।।
আমি আয়ানকে কোলে নিয়ে বাসায় চলে যাই।।।আয়ান ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখে আমাকে জরিয়ে ধরে।। আমার গালে অনেক কিস করে।।
আয়ানঃমাম্মাম আলাবু।।।মাম্মাম আমি তুমাকে অনেক মিত কলছি।।তুমি আমালে নিতি যাও নি কেন।।(কান্না করতে করতে)
আমিঃহইছে থাম।।। এত কান্নার কি হইছে।।আ
চল খাবি।।।



আয়ানকে খাইয়ে দেই।। রাতে আাকশ আসে।।।আয়ান দেখেই জড়িয়ে ধরে।।।
আকাশঃপাপা তুমি তো নানু বাসাতে গিয়ে আমাকে ভুলেই গেছ।।কেমন মজা করছে আমার পাপা।।
আয়ানঃঅলেক মজা কতছি৷ এত্তগুলা মজা।।


আকাশ উপরে চলে গেলে আমিও পিছে পিছে কফি নিয়ে যাই।।
আমিঃআপনার কফি।।
আমি চলে যেতে নিলে।।।
আকাশঃথাংকিউ।। এই শোনো।।(আদুরে কন্ঠে)
আমিঃহুমম
আকাশ একটু কাছে আসে নিতে আয়ান মাম্মাম মাম্মাম বলতে রুমে ঢুকে।।।
ওকে দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।। আকাশকে বুজতে না দিয়ে…
আমিঃবেবী বল।।।কিছু লাগবে? (হেসে)
আয়ানঃ মাম্মাম হিশু কলছি।।ভিজে গেছে
মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে যায়।। প্যান্ট ভিজিয়ে আসছে আমার কাছে।।।
আমিঃআলে বেবীটা।। বেবীটা আমার প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছে।।। আস চেন্জ করে দেই।।


আয়ানকে নিয়ে পাশের রুমে যাই।।মেজাজটা এতই খারাপ ছিল যে ওকে পাশের রুমে নেয়ার সময় হাত জোরে ধরেই টেনে নিয়ে গেছি।।।গিয়েই ছেড়ে দেই।।আয়ান টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়।।। ও কিছু বুঝল না।।উঠে আবার দাঁড়ায়।।। আমি ওর প্যান্ট বের করে ওর সামনে দাঁড়িয়ে।..
আমিঃপ্যান্ট খোল।।।এইটা পর।।
আয়ান প্যান্ট খুলতে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়।।। বসে বসেই প্যান্ট খোলে।।খুললে আমি ওকে প্যান্ট দেই।।ও বসে বসেই প্যান্টা পরে।। প্যান্টের এক ফাকাতেই দুই পা ঢুকায়।।ফলে উঠে হাটা ধরলে আবার পরে যায়।।এবার একটু ব্যাথা পায়।।আমার দিকে তাকায়।।কান্না যেন না করে তাই হালকা হেসে দেই।।আয়ানও কিছু না বুঝে হেসে দেয়।।আমার পিছনে পিছনে টিভির রুমে চলে আসে।।আমি রাতের খাবার গুছাতে থাকি………


চলবে……..❤

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *