অন্তরালে তুমি আমি !! Part- 06
“জলি ঠেলতে ঠেলতে আদিকে নিয়ে গাড়িতে বসায়।তারপর গাড়ি ড্রাইব করে চলে আসতে লাগে।গাড়ির মধ্যে আদি এক দৃষ্টিতে বাঁকা নজরে জলির দিকে তাকিয়ে থাকে।কিছুক্ষণ পর জলির ট্রি শার্টটা টেনে ধরে বলে,”
—আচ্ছা জলি তুইও কিন্তু কম সুন্দর না?
“জলি খেয়াল করে সামনের থেকে আদি তার ট্রি শার্টটা টেনে ধরে আছে।আর আদির চোখ একদম তার ট্রি শার্টটার ভেতরে।জলি আদির থুতনিতে দেয় এক ঘাঁ।আদি মুখ তুলতেই জলি টেনে নিজের ট্রি শার্টটা ঠিক করে নেয়।”
—হারামজাদা তোকে তো আমি…
“জলি গাড়ির ভেতরে থাকা পানির বোতলটা উঠিয়ে আদির মাথায় বাঢ়ি দিতে যায় আর আদি জলির হাতটা ধরে বসে।জলির হাতের থেকে বোতলটা কেড়ে নিয়ে জলির ফোনটা হাতে তুলে নেয়।”
তারপর বলে,
—এই ফোনে আমার আর অহনার অনেক পিক তুলেছিস তুই তাই না? আচ্ছা এটাকে যদি এখন ভেঙে ফেলি?
“আদি আস্তে করে গাড়ির জানালার কাচটা নিচে নামিয়ে দেয়। তারপর ফোনটা ধরে বাইরে ছুঁড়ে মারতে গেলে জলি চিৎকার দিয়ে আদিকে থামাই।”
—নাহহহহহহ! প্লিজ আদি এমনটা করিস না।এই পিকগুলো আমার খুব প্রয়োজন।
“আদি ফোনটা নিজের প্যান্টের পকেটে রাখে। তারপর জানালার কাচটা তুলে দিয়ে বলে,”
—গুড, ফেলবো না।আর এই পিকগুলোও তোকে দেবো না।
—কেন?
—দেখ তুই এই পিকগুলো আবিরকে দিবি।আবির আবার এসে আমাকে মারবে এটা একটা বোকামির কাজ হয়ে গেলো না? আমি যেনে শুনে আবিরের হাতে মার কেন খেতে যাবো?
—প্লিজ আদি ওই পিকগুলো আমার খুব দরকার।ফোনটা আমায় দে আমি তোকে অনেক টাকা দেবো।
—থাপপপ! টাকা দিবি? আমার কাছে টাকার কোনো অভাব আছে নাকি? আমার তো চায় অন্য কিছু?
—-কি???
“আদি নেশা ধরা চোখে তাকিয়ে বলে,”
—তোকে।
—কখনোই না।
—ঠিক আছে ফোনটা ভেঙে ফেললাম।
“কথাটা বলে পকেট থেকে ফোনটা বের করে যেই জানালার কাচ খুলে ছুঁড়ে ফেলতে যাবে অমনি জলি জানালার কাচটা তুলে দেয়।”
—আমি রাজি।আবিরের জন্য আমি সব করতে পারি।
“জলির কথাটা শুনে আদি খুশি হয়ে যায়।জলির দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসে।তারপর জলির মাথাটা ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়,
জলির চুলের ভাজে নিজের আঙুল ডুবিয়ে দিয়ে নিজের ঠোঁটে জলির ঠোঁট জোড়া বসায়।নিচ থেকে আদি পা দুটো দিয়ে জলির পা ঘেষতে থাকে।কিছুক্ষণ পর জলির ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে একটানে দুইহাতে জলির ট্রি শার্টটা খুলে ফেলে।তারপর জলির গলায় আর বুকে ঠোঁট ছোঁয়াতে থাকে।গড়ির গ্লাসে জলির দু’হাত ঠেসে ধরে শরীরের সবটুকু ভার জলির উপরে ছেড়ে দেয়। একেবারে মিশে যায় আদি।”
“জলি খেয়াল করে আদির ঠোঁটের স্পর্শগুলো কামড়ে পরিণত হয়েছে। হাতের স্পর্শগুলো এখন নখের আচড় বসিয়ে দিচ্ছে।ব্যাথায়, রাগে, ক্ষোভে জলির দু’চোখ বন্ধ করে রাখে।জলির বন্ধ দু’চোখের কোণ ঘেঁষে পানি গড়িয়ে পরতে থাকে।তবুও সে আদির এই অত্যাচার সহ্য করে।শুধু মাত্র আবিরকে পাবে বলে।জলি না চাইতেও আরও একবার আবিরকে পাওয়ার আশায় আদির কাছে নিজেকে সমার্পন করে দেয়।তবে এবার আর আদি কাঁচা খেলা খেলে নি।গাড়ির ভেতরে তাদের দু’জনের সাথেও আদি আরেকটা চোখ ফিট করে রেখেছে সেটা জলির অজানা।”
.
.
.
“দুপুরে অফিসে বসে আবির অহনার কথা ভাবছে।এখন আবির ফ্রী আছে।ভাবে এই সময়ে অহনার সাথে একটু কথা বলে নিলে মন্দ হয় না।আবির ফোনটা হাতে নিতেই টুংটাং করে মেসেঞ্জারে শব্দ বেজে ওঠে। মেসেজ সীন করে দেখে অহনার সাথে আদির পিকগুলো।যা দেখে আবিরের চোখ দুটো রাগে গজগজ করতে থাকে।পিকগুলো ছিলোই এমন যা বিশ্বাস করার মতোন।”
“আবির আবার দিশেহারা হয়ে যায়। ভাবে, অহনা তাকে ঠকিয়েছে।কাল রাতের দেখা অহনার আর আদির একসাথে কিছুই মিথ্যা নয়।জলি ঠিকই বলেছে।অহনা তাহলে নিজের দোষ ঢাকতে জলিকে নিয়ে মিথ্যা গল্প শোনালো!”
,
,
“রাত অনেক হয়েছে আবিরের আসার নাম নেয়। অহনা বারবার আবিরকে ফোন করছে কিন্তু আবির তুলছে না।
অহনা এবার চিন্তায় পরে গেছে।আবির কেন ফিরছে না?”
“অহনার অনেক কিছু বলার আছে আবিরকে।অনেক কিছু শোনারও আছে।আবিরকে যে বলতে হবে অহনার আজ আদি এসেছিলো আর কি করেছে! সেই সাথে আবিরের কাছেও শুনবে জলি কেন এমনটা করেছে?”
,
,
,
চলবে,,,