বউ রাণী

বউ রাণী ! পর্ব–০৩

আব্বাজান আপনারা ওনাকে একটু পর বকা
দিয়েন
আগে আমাকে কোলে থেকে নামিয়ে
নেক।
যদি এখন বকা দেন তা হলে আমাকে
রোমান্স
শিখাতে গিয়ে কোল থেকে ফেলে
দিবে।
(সোনালী)
আব্বু:- সোহরাব আগে # বউ_রানীকে কোল
থেকে নামা।
আমি:- আব্বু আপনিও আমাকে ওর মত করে
ভাবছেন। ঠিক আছে নামিয়ে দিলাম
বলে
সোনালীকে কোল থেকে ছেরে দিয়েছি
আর সোনালী নিচে পরে কান্না করতে
আছে।
সোনালী:- আমি বলছিনা ওনি রোমান্স
করার জন্য
আমাকে কোল নিয়েছে এখন আপনারা
কিছু
বলিয়েন না তাহলে আমাকে ফেলে
দিবে।
দেখছেন ওনি রোমান্স করতে পারেনি
বলে
আমাকে ফেলে দিয়েছে।
আমি:- আপনারা সবাই একটু বাহিরে যান
আমি
সোনালীর সাথে কথা বলতেছি।
সোনালী:- আব্বাজান আপনারা কোথাও
যাবেন না
ওনি আমার সাথে রোমান্স করতে চাইবে।
সোনালীর কথা শোনে সবাই দাঁড়িয়ে
আছে
কিন্তু আমি আর এখানে নেয় সোজা দৌর
দিয়ে
নিচে এসে বাথরুমে ঢুকে গেলাম। না
সোনালীকে নিয়ে এভাবে জীবন
চলবেনা সবাই
কি মনে করবে ছিঃ ছিঃ সোহরাব তুই
এমন নিজেই
নিজেকে খারাপ মনে করলাম। ফ্রেস
হয়ে রুমে
গিয়ে দেখি সোনালী রুমে শুয়ে আছে আর
কান্না করতেছে।
আমি:- কি হলো তুমি কান্না করতেছো
কেন?
সোনালী:- আমার পা ব্যাথা করতেছে
দেখুন পা
ফুলে গেছে। আপনি রুমে আমার সাথে
রোমান্স
করতে চাইতেন আমি কিছু বলতাম না
আপনি কেন
আমাকে বাথরুমে রোমান্স করতে গেলেন?
আমি:- তুমি রোমান্স কি বুঝো যাই করি
আর বলি সব
মানুষের সামনে বলতে থাকো আজকের পর
তোমার সাথে আমি কথায় বলবোনা।
সোনালী:- আপনি কথা না বললে আমি
মরে
যাবো। তখনি সোনালীর মুখ চেপে
ধরেছি।
আমি:- আর যদি মরার কথা বলো তাহলে
খবর আছে
কিন্তু তুমি মরে গেলে আমি থাকবো কি
নিয়ে?
সোনালী:- কেন তাহলে আমার কোন কথা
আপনি
শোননি কেন?
আমি:- তোমার কথা আমি শোনিনা আমি
তো তোমার
সব কথা শুনি।
সোনালী:- তাহলে আমার একটা বাচ্ছে
দেন না
কেন?
আমি:- দিব তো বলছি আরো কিছু দিন যাক
কেমন।
সোনালী:- কত দিন লাগবে?
আমি:- এক বছর তো লাগবে তাইনা?
সোনালী:- এত দেরি করতে আমি
পারবোনা
আপনি কালকে আমাকে বাচ্ছা এনে
দিবেন কেমন।
আমি:- ঠিক আছে কালকে এনে দিব, এখন
ডাক্তারের কাছে চলো তোমার পা
অনেক ফুলে
গেছে। সোনালীকে কোলে নিয়েছি।
সোনালী:- আমাকে কোলে নিয়েছেন
আবার
নিচে ফেলে দিবেন না তো?
আমি:- না আর কোন দিন ফেলবোনা, তখনি
সোনালী আমাকে একটা কিস করে
দিয়েছে।
আমিও সোনালীকে কিস করে দিয়েছি,
সোনালীকে কোলে করে শিড়ি দিয়ে
নামতেছি
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আব্বু:- # বউ_রানী কি হয়ছে ওকে আবার
কোলে নিয়ে রাখছিস কেন?
আমি:- ওর পা ফুলে গেছে ওকে নিয়ে
ডাক্তারের
কাছে যাবো।
আম্মু:- আমি আসবো # বউ_রানীর সাথে?
আমি:- না থাক আমি ওকে দেখে রাখতে
পারবো,
সোনালীকে সাথে নিয়ে আজ গাড়ী
নিয়ে
বের হয়ছি আমি ড্রাইব করতেছি সোনালী
আমার
পাশে বসে আছে। সোনালীর এই
ব্যাথাটার জন্য
আমি নিজেই দায় তখন যদি দরজা ধাক্কা
না দিতাম তাহলে
আর এই ব্যাথাটা পেত না।
সোনালী:- একটা কথা বলবো?
আমি:- হ্যা বলো?
সোনালী:- আমি যখন একা থাকি তখন
আমার কাছে
খোব খারাপ লাগে তবে আপনি আমার
সাথে থাকলে
এখন আমার কাছে খোব ভালো লাগে।
আপনি
আমাকে একা রেখে কোথাও যাবেন না
কোন
দিন কথা দেন আমার সাথে থাকবেন।
আমি:- ঠিক আছে থাকবো আচ্ছা এখন এসো
আমরা
ডাক্তারের কাছে চলে এসেছি।
সোনালীকে
কোলে নিয়ে ডাক্তারের কাছে
যেতেছি সবাই
তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
সোনালীকে নিয়ে
ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম।
ডাক্তার:- আরে সোহরাব কি হয়ছে ওর?
আমি:- সোনালী পরে গিয়ে ব্যাথা
পায়ছে
দেখেন তো কোন সমস্যা হয়ছে নাকি?
যখনি
ডাক্তার সোনালীর পায়ে হাত দিবে
তখনি বলে,,
সোনালী:- এই আপনি আমার শরীরে হাত
দিতেছেন কেন আমার শরীরে একমাত্র
আমার
ম্বামী হাত দিতে পারবে। আপনার
বাড়ীতে মা
বোন নেয় অন্য মেয়েদের গায়ে হাত দেন।
ডাক্তার:- কি বলছো মা আমি যদি না
ধরে দেখি
তাহলে বুঝবো কি করে তোমার পায়ে
সমস্যা কম
রাকি বেশি।
সোনালী:- দেখতে হবেনা আমার স্বামী
ধরে
দেখবে।
আমি:- আপনাদের এখানে কোন মহিলা
ডাক্তার
আছে?
ডাক্তার:- হ্যা আছে।
আমি:- যদি কিছু মনে না করেন তাহলে
ওনাকে একটু
ঢেকে দিবেন প্লিজ আঙ্কেল। সোনালীর
দিকে একবার তাকিয়ে ওনি গিয়ে একজন
মহিলা ডাক্তার
নিয়ে এসেছে। মহিলা ডাক্তার
সোনালীকে
দেখে কিছু ঔষুধ দিয়েছে আর বলছে,,
ডাক্তার:- আজকে রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে
যাবে
আর ঔষুধ গুলা ঠিক করে খায়িয়ে দিবেন
কেমন।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমরা এখন যাই।
এমনি
সোনালী বলে,,
সোনালী:- আচ্ছা আব্বাজান আমাকে
বলছিলো
বাচ্ছার জন্য ডাক্তারের কাছে আসতে।
ওনাকে
জিজ্ঞেস করি আমাদের বাচ্ছা কবে
হবে।
আমি:- এখন থাক পরে আসবো এখন চলো?
সোনালী:- আচ্ছা ডাক্তার আন্টি আমার
বাচ্ছা হবে
কবে ওনাকে বাচ্ছার কথা বলছি আমাকে
একটা
বাচ্ছে দিতে কিন্তু ওনি আমাকে বাচ্ছা
এনে দেয়না।
সোনালীর কথা শোনে মহিলা ডাক্তার
আমার দিকে
তাকিয়ে আছে। আমি বুঝতে পারছি ওনি
তাকিয়ে কি
ভাবতেছে।
মহিলা:- কেন বাচ্ছা হবেনা কেন হবে
আমার কাছে
ভালো ঔষুধ আছে আপনারা চাইলে নিতে
পারেন।
আমি:- লাগবেনা ঔষুধ এমনিতে হবে
আপনি ওর কথা
কিছু মনে করিয়েন না।
ডাক্তার:- আরে বাবা তুমি লজ্জা পাচ্ছো
কেন
আজকাল এমন সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে
তোমার এই সমস্যার জন্য কত প্রবলেম হবে
সংসারে তুমি জানো এমনকি তোমার বউ
তোমাকে
রেখে চলে যেতে পারে।
সোনালী:- আমি ওনাকে রেখে যাবো
কেন
আমার একটা বাচ্ছা হলে হবে।
ডাক্তার:- দেখছেন আপনার বউ কত ভালো
আপনার
কত বড় সমস্যা তা জানা সত্যেও আপনার
কাছে
থাকতে চাই আসুন আমার সাথে আমি
আপনাকে কিছু
ভালো ঔষুধ দিব।
আমি:- (দুর এই আপদকে বুঝাবো কি করে
আমার
কোন সমস্যা নেয়, বাচ্ছা তো আমি ইচ্ছে
করে
নেয়না নিজের বউকে কন্ট্রোল করতে
বারোটা
বাজে আবার বাচ্ছা নিয়ে বিপদে পরবো
নাকি।
এমনিতে কিস করলে সাড়া বাড়ী জাহির
করে আর যদি
অন্য কিছু করি তাহলে দুনিয়াকে
জানাবে। মনে মনে
কথা গুলা ভেবে একটা প্লান বের
করেছি) আন্টি
আপনি আমার হাতটা একটি ধরেন তো?
ডাক্তার:- কেন তোমার কি হয়ছে বলে
ওনি আমার
হাত ধরেছে আর সাথে সাথে সোনালী,,
সোনালী:- আপনার সাহোস হলো কি করে
আমার
স্বামীর হাত ধরার আপনার বাড়ীতে ভাই
বাবা নেয়
অন্যের স্বামীর হাত ধরছেন লাগবেনা
আপনার
ঔষুধ আমার বাচ্ছাও লাগবেনা। মহিলা
ডাক্তার
সোনালীর দিকে অবাক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে
আর সোনালী যা পারছে ওনাকে
বলতেছে।
আমার হাত ধরে বলে আপনি ওনাকে হাত
ধরতে
দিয়েছেন কেন?
আমি:- ওনি আমাকে হাত ধরে দেখতে
চাইছে
আমার কি সমস্যা আছে বাচ্ছা না হওয়ার
জন্য তোমার।
সোনালী:- আমার বাচ্ছা লাগবেনা আপনি
আমাকে
কোলে নিয়ে এখুনি এখান থেকে
বেরিয়ে
পুরুন।
আমি:- হ্যা ডাক্তারের টাকা দিয়ে
সোনালীকে
কোলে নিয়ে আমি হাসতে হাসতে
বেরিয়ে
পরেছি সোনালীর এই দুষ্টমি দেখে সত্যি
খোব ভালো লাগছে আমার। সোনালীকে
কোলে করে এনে গাড়ীতে বসিয়ে আমি
গাড়ীতে বসেছি।
সোনালী:- মহিলা ডাক্তার আপনাকে
বাচ্ছা হওয়ার
জন্য কি ঔষুধ দিতে চাইছে?
আমি:- তেমন কোন ঔষুধ নয় আচ্ছা সোনালী
তোমার কথা শোনে সবাই হাসা হাসি
করে তুমি
বুঝতে পারো। তোমার মত তো আমাদের
বাড়ীতে ভাবি আছে ওনি ভাইয়ার
সাথে কি করে তা
কাওকে বলে।
সোনালী:- না বলেনা কিন্তু ওনার তো
বাচ্ছা হবে
তাইনা কিন্তু আমার তো বাচ্ছা হবেনা।
আমি:- ভাবির বাচ্ছা হওয়ার আগেও কি
কিছু বলছে
রাতে রুমে কি করে কি বলে। তুমি এখন
আমার বউ
আমি আর তুমি স্বামি স্ত্রী এসব কিছু
কাওকে না বলাই
ভালো। তোমার নিজেকে সামলাতে
আমার
অনেক কষ্ট হয় যদি তোমার বাচ্ছা হয়
তাহলে তখন
আমার বারোটা বাজবে।
সোনালী:- তাহলে এখন আমি কি করবো?
আমি:- তুমি ভাবিকে দেখবে ভাবি
কিভাবে কথা বলে
কার সাথে কি করে ব্যবহার করে সব কিছু
ফলো
করেবে কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে তবে আমার একটা
কথা
আছে আমি কিন্তু রাতের বেলা আপনার
সাথে
থাকবো।
আমি:- (নে ঠেলে আমি কি বলি আর
আমার বউ
বুঝে কি।) হ্যা তোমাকে ছারা আমি
থাকতে
পারবোনা আর তাহলে তুমি থাকবে কি
করে আচ্ছা
এখন তোমাকে আমি কি বলছি বুঝতে
পারছো
তো নাকি?
সোনালী:- হ্যা বুঝতে পারি আমি আর
আপনি যা করি
রাতে তা কাওকে বলবোনা। আর
ভাবিকে এখন
থেকে ফলো করবো কেমন।
আমি:- ঠিক আছে উম্মা কপালে কিস করে
দিয়েছি
সোনালী আমার কাদের উপর মাথা রেখে
ঘুমিয়ে
গেছে আমি গাড়ী চালিয়ে বাড়ীতে
এসেছি।
সোনালীকে কোলে নিয়ে রুমে এসেছি
ওকে খাঠের উপর শুয়ে আমি শুয়ে পরেছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সোনালী
আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি আজ
অফিস ছুটি
তাই আর উঠলাম না। আমি ওর কপালে
আবার কিস করে
শুয়ে আছি কিছুক্ষন পর সোনালী সজাগ
হয়ছে।
সোনালী:- আজকে অফিসে যাবেন কখন?
আমি:- যেতে হবেনা আজ ছুটি অফিস।
সোনালী:- তাহলে আমরা ঘুরতে যাবো
কোথাও
কেমন।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে উঠে ফ্রেস হয়ে
নাও।
সোনালী:- উম্মা আমাকে আদর করে দেন।
আমি:- ঠিক আছে নাও উম্মা সোনালী
উঠে
ফ্রেস হতে গেলো আমি একটু পর উঠে
ফ্রেস হতে গেলাম। ফ্রেস হয়ে দুজনে এক
সাথে নিচে গেছি আম্মু বসে আছে আমরা
দুজনে গিয়ে বসলাম এর পর ভাবি ভাইয়া
আর আব্বু
এসেছে।
সোনালী:- আজকে আমরা সবাই ঘুরতে
যাবো কি
বলেন আব্বাজান।
আব্বু:- বড় বউ মার শরীর খারাপ ও যেতে
পারবেনা
মনে হয়।
ভাবি:- আব্বা সোনালী যেহেতু বলছে
চলেন
আমরা সবাই ফেন্টাসী থেকে ঘুরে আসি
আমি না
হয় সাথে থাকবো আর আপনারা সবাই আনন্দ
করবেন।
ভাইয়া:- হ্যা আব্বু আমি ওর সাথে থাকবো,
সোনালীকে নিয়ে আমরা সবাই ঘুরে
আসি।
আব্বু:- ঠিক আছে তাহলে সবাই রেডি হয়ে
নাও আর
সোহরাব তুই কিন্তু সোনালীকে দেখে
দেখে রাখতে হবে কেমন।
আমি:- হ্যা ঠিক আছে, নাস্তা শেষ করে
আমরা সবাই
রেডি হয়ে ফেন্টাসী চলে আসলাম আসতে
একটু সময় লাগছে। টিকেট কেটে ভীতরে
ঢুকেছি সবাই। ভীতরে ঢুকে কিছুক্ষন ঘুরে
ঘুরে
দেখলেম। যখনি পানির সামনে আসলাম
তখনি
আমাকে আর আব্বুকে সোনালী ধাক্কা
মেরে
ফেলে দিয়েছে আর আম্মুকে সাথে করে
সোনালীও লাফ মেরে পরেছে।
সোনালী:- অনেক দিন পর একটা পকুর
পাইছি আমি
একটু ভালো করে গোসল করে নেয় বলে
আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
বলে
চলেন দেখি কে কতক্ষন ডোব দিয়ে
নিশ্বাষ
রাখতে পারে বলে আমাকে ধরে পানির
নিচে
নিয়ে গেছে। সাথে সাথে উঠে গেছি
কিন্তু
সোনালীর কোন খবর নেয়, একটু ঘুরে
পেছনে তাকিয়ে দেখি সোনালী
আব্বুকে
একবার ডোব দেওয়াচ্ছে আর উঠাচ্ছে
দেওয়াচ্ছে আর উঠাচ্ছে।

চলবে,,,