বউ রাণী

বউ রাণী ! পর্ব–২

বাচ্চা হওয়ার জন্য সাগর ভাইয়া ভাবিকে যে
কিস
করেছে আপনি আমাকে সে কিস করেননি
কেন
তাহলে তো আর কষ্ট করে বাজার থেকে
বাচ্ছা
কিনে নিতে হত না। (সোনালী)
আমি:- সোনালী কি বলতেছো আশে পাশে
মানুষজন গুলা আছে তো নাকি?
সোনালী:- থাকলে আমার কি আপনি এক
কাজ
করেন ভাইয়ার মত আপনিও আমাকে কিস
করবেন
তাহলে বাজার থেকে বাচ্ছা কিনতে
হবেনা।
আমি:- সোনালী তুমি চুপ থাকো, তুমি এত কথা
বলো কি করে, সবাই কেমন করে তোমার
দিকে
তাকিয়ে আছে দেখছো?
সোনালী:- আমি সুন্দর তাই সবাই তাকিয়ে
আছে
এমন সুন্দর মেয়ে এখানে একটাও নেয়। আপনি
ওদের না তাকিয়ে আমার কথা খেয়াল করেন।
আমি:- তোমার কথা বাসায় শোনবো এখন তুমি
চুপ
করে খাবার খাও, সোনালী আমার দাকে
তাকিয়ে
আছে আমি বুঝতে পারছি কেন তাকিয়ে
আছে।
কিন্তু বুঝেও না বুঝার বান করে আমি খেয়ে
যাচ্ছি।
সোনালী:- একা একা খেলে হবে আমাকে
খায়িয়ে দেন আমি যে আপনার দিকে
তাকিয়ে আছি
তার কি কোন খেয়াল আছে।
আমি:- এইটা বাসা নয় রেস্টুরেন্ট এখানে
নিজেই
খাও, বলে আমি খেতেছি দেখি সোনালী
হাত
গুচিয়ে বসে আছে। সোনালী কি হচ্ছে
খেতেছো না কেন?
সোনালী:- আমার খিদে নেয় আপনি একা
খান।
আমি:- ঠিক আছে নাও সোনালী অনেক খুশি
হয়ছে আমি সোনালীকে খায়িয়ে দিতেছি
পাশের
টেবিলের লোক গুলা আমাদের ভালোবাসা
দেখতেছে। সোনালীকে খায়িয়ে দিয়ে আমি
নিজেই খেলাম। (আসলে এইটাই ভালোবাসা
স্বামি তার
স্ত্রীকে সব যায়গায় এমন করে ভালোবাসা
উচিত
সেইটা ঘর হোক বা রেস্টুরেন্ট) আচ্ছা
সোনালী তুমি বসো আমি হাত ধুয়ে আসি।
সোনালী:- ঠিক আছে তারা তারি আসবেন।
আমি:- যাবো আর আসবো, সোনালীকে
রেখে হাত দুইতে চলে গেলাম। হাত দুয়ে
গিয়ে
দেখি সোনালী একটা ছেলেকে বলতেছে,,
সোনালী:- আপনার ভাগ্যটা অনেক ভালো
আপনি
খোব তারা তারি বাবা হবেন আপনার বউ তো
প্রেগমেন্ট।
ছেলে:- কি বলছেন আমরা তো বিয়ে করিনি
আমরা
দুজন দুজনকে ভালোবাসি। আর আমার বউ
যাকে
বলছেন তার এখনো বিয়ে হয়নি তাহলে
প্রেগমেন্ট হবে কি করে?
সোনালী:- আপনার বউ নয় তাহলে ওনি যে
বলে
গেছে ওনার ভমি ভমি ভাব ওয়াশ রুম থেকে
ফ্রেস
হয়ে আসতেছি।
ছেলে:- ভমি হতেই পারে তার জন্য
প্রেগমেন্ট
হবে কেন?
সোনালী:- আমার ভাবি ভমি করেছে
ডাক্তার
দেখে বলছে ওনার বাচ্ছা হবে ওনি
প্রেগমেন্ট।
আর ঐ মেয়েটা ভমি ভমি ভাব বলছে তাহলে
ভমি
করতে ঐ দিকে গেছে ওনারও বাচ্ছা হবে।
ছেলে:- কি আপনি সত্যি বলছেন আমার সাথে
এত
বড় চিটিং অন্য জনের ফসল আমি নিতে
যাবো কেন।
আজকে আসুক ওর একদিন কি আমার একদিন।
সোনালী:- এই তো আমার বর যদি বিশ্বাষ না
করেন তাহলে ওনাকেও জিজ্ঞেস করেন ওনি
আমাকে বলছিলো ভমি করলে বাচ্ছা হবে।
আমি ভমি
করিনা তাই আমার বাচ্ছা হয়না, আজকে ওনি
আর আমি
বাচ্ছে কিনতে বাজারে যাবো।
আমি:- সোনালী তুমি কি শুরু করেছো আবার
একটা
জামেলা পড়তে হবে। চলো আমার সাথে বলে
বিলটা ওয়েটার কাছে দিয়ে তারা তারি
করে
সোনালীকে নিয়ে কেটে পরেছি।
সোনালী:- এমন করে চলে আসলেন কেন
মেয়েটা বিয়ে না করেও প্রেগমেন্ট হলো কি
করে বলেন তো?
আমি:- তোমার বাচ্ছার শখ ঠিক আছে আমি
তোমাকে বাচ্ছা এনে দিব এখন তুমি দয়া
করে চুপ
থাকো সবাই তোমার এমন বোকা বোকা কথা
শোনে তাকিয়ে থাকে তুমি জানো?
সোনালী:- আমি সুন্দর তাই তাকিয়ে থাকে
আমি
বোকা বোকা কথা বলি তার জন্য নয় আর
আমি
বোকা নাকি আমার মাথায় অনেক বুদ্ধি।
আমি:- হ্যা তা তো নিজের চোখে
দেখতেছি।
আমি বাইক চালাচ্ছি সোনালী আমাকে
জড়িয়ে ধরে
বসে আছে তবে সোনালীকে এমন বোকা
কথা বাত্রা থেকে যেভাবে হোক সেই গুলা
বুঝাতে হবে যে এই গুলা সবার সামনে বলেনা
ওকে সংসার কি বুঝাতে হবে। সোনালী
বাচ্ছা
আজকে নিতে হবেনা আমি তোমাকে কিছু
দিনের
মাঝে বাচ্ছা এনে দিব কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে তাহলে বাসায় চলেন।
আমি:- ঠিক আছে সোনালীকে সাথে নিয়ে
বাসায়
চলে আসলাম। আমি সোজা ফ্রেস হতে রুমে
চলে গেলাম সোনালী আমার পিছু পিছু
এসেছে
আমি কোন কথা বলিনি রুমে ঢুকে ফ্রেস হতে
চলে গেলাম। দুই মিনিট সময় দেয়নি এমনি
দরজায় ঠক
ঠক করতে লাগলো।
সোনালী:- তারা তারি বের হোন তানা হলে
কিন্তু
আমি দরজায় ঠক ঠক করতেই থাকবো।
আমি:- খুলতেছি দরজাটা খুলে বলি কি হয়ছে
তোমার
সমস্যা কি?
সোনালী:- হি হি হি।
আমি:- কি হলো তুমি হাসতেছো কেন?
সোনালী
হাসলে মনে হয় পৃথিবীর সব সূখ খুঝে পাই ওর
হাসির মাঝে আমি। (আল্লাহ আপনাকে
ধন্যবাদ আমার
জীবনে সোনালীকে স্ত্রী হিসাবে পায়িয়ে
দেওয়ার জন্য) কি হলো তুমি হাসতেছো
কেন?
সোনালী:- আমার বলতে লজ্জা করতেছে।
তখনি
বুঝতে পারছি আমার খালি গা দেখে
সোনালী
হাসতেছে। তাও ওক জিজ্ঞেস করেছি
আমি:- লজ্জা করবে কেন আমি তোমার বর
আমার
সামনে কোন কিছু বলতে লজ্জা করা
লাগবেনা।
বলো কেন হাসতেছে?
সোনালী:- আপনি লুঙ্গী পড়েছেন বলে
সোনালী আমার লুঙ্গী টান মারছে, আর
বলতেছে আমাদের এখানে রাজা রিফাত
ওদের
লুঙ্গী টান মেরে খুলে ফেলতাম আমরা।
আমি:- তোমার সাহোস কি করে হয় আমার
লুঙ্গী
টান দিতে তুমি তো দুষ্টমিতে এক নাম্বার
কিন্তু এত
বোকা হলে কেন?
সোনালী:- বলছিনা আমি বোকা নয় আমাকে
বোকা বলবেন না। এখন সরেন আমি ফ্রেস
হবো বলে আমাকে বাহিরে রেখে ভীতরে
যেতে ছিলো।
আমি:- সোনালী আমি আসবো ভীতরে তোমার
সাথে?
সোনালী:- ছিঃ আপনার লজ্জা করেনি এই
কথা
বলতে আমার সাথে আপনি বাথরুমে আসবেন
কেন? এমনি আম্মু এসে দরজায় কন্ক করেছে।
আমি:- সোনালী চুপ আম্মু এসেছে, জি আম্মু
কিছু
বলবে?
আম্মু:- নিচে আয় খাবার খাবি আর তোর আব্বু
তোদের ঢাকছে।
আমি:- ঠিক আছে আপনি যান আমি ফ্রেস
হয়ে
আসতেছি। আম্মু চলে যেতেছে তখনি
সোনালী আম্মুকে ঢেকে বলে,,
সোনালী:- আম্মাজান ওনি আমার সাথে
বাথরুমে
যেতে চাইছে আপনি বলেন বোকা আমি
নাকি ওনি?
সোনালীর কথা শোনে আম্মু আমার দিকে
তাকিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো।
আমি:- যাও তুমি একা যাও কবে যে তুমি
রোমান্টিক
বুঝবে আল্লাহ যানে। সোনালী ভীতরে গিয়ে
দরজাটা লাগিয়েছে আবার সাথে সাথে
খুলছে।
সোনালী:- আমার ফ্রেস হতে আজকে দেরি
হবে আপনি নিচের বাথরুমে গিয়ে গোসল
করে
নেন কেমন।
আমি:- করাচ্ছি দেরি বলে ভীতরে ঢুকেছি
তখনি
সোনালী পা পিছলে পরে গেছে। আর এমন
জোরে আওয়াজ করেছে বাসার সবাই সাথে
সাথে
হাজির। সবাই এসে দেখি আমি সোনালীকে
কোলে নিয়ে বাথরুম থেকে রুমে আসতেছি।
তখনি সোনালী বলে,,
সোনালী:- আব্বাজান দেখেনা আমি না
করেছি ওনি
আমার সাথে বাথরুমে আসতে তাও ওনি জোর
করে বাথরুমে ঢুকে আমাকে ফেলে দিয়েছে।
আমি নাকি রোমান্টিক না তাই আমাকে
রোমান্টিক
শিখাতে এসেছে। সোনালীর কথা শোনে
সবাই
যার যার মত করে দৌর দিবে তানা করে
সবাই আমাকেই
বলে যাচ্ছে এক এক করে।

চলবে,,,,