২য় প্রেম ( 2nd Love ) Part- 11 (অন্তিম পর্ব)
অন্তিম পর্ব
শুধু একবার সুযোগ দাও আর কখন কষ্ট পেতে দিবনা ইশান দেবে আমায় একটা সুযোগ
দাও ইশান
ইশান : মিহি এইগুল কি বলছ
মিহি: আমাকে মাফ করে দাও ইশান আমি তোমার ভালবাসা বুজতে পারিনি আমাকে একবার তোমাকে ভালবাসতে দাও
ইশান :…….
মিহি: কি হল তুমি যদি চাও আজি আমি তোমার হয়ে যাব ইশান কিন্তু তোমাকে হারাতে চাইনা প্লিজ একটা সুযোগ দাও
ইশান :আমি তোমাকে খুব ভালবাসি কিন্তু কখন তোমাকে বলতে পারিনি বন্ধ নস্ট হওয়ার ভয়ে কিন্ত আজ আর কোন বাধা নেই বলতে আমি তোমাকে ভালবাসি মিহি নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালবাসি
মিহি: আমিও তোমাকে ভালবাসি ইশান
সবাই অবাক হয়ে দারিয়ে আছে ২টা মানুসের চোখে পানি মেজো মা আর আমান ভাইয়ার
এটা কিন্ত কস্টের কান্না নই সুখের কান্না আজ মিহির জিবন পাল্টে গেছে মিহি অতিত থেকে বেরিয়ে নতুন করে জিবন শুরু করছে এর থেকে খুশির আর কিছু নেই আমান এর কাছে সবাই হাতে তালি দিচ্ছে
মিহি আর ইশান ২জন ২জন এর দিকে তাকিয়ে আছে
মেজো মা: আমি আমার মেয়েটা আজি বিয়ে দিতে চাই
আমান : মেজো মা এখন কি করে সম্ভব
মামা: অবশ্যই সম্ভব
যদি মিহি আর ইশান রাজি থাকে এখনি ওদের বিয়ের ব্যবস্তা করব
ইশু : না না আব্বু এই ভাবে ভাইয়ার বিয়ে দিও না ভাইয়ার বিয়েতে অনেক আয়োজন করে হবে
আমান: ইশু ঠিক বলছে মামা
মেজো মা: আজ আকদ হোক পরে তোরা যা করার করিস
ভাবি: হুম মেজো মা ঠিক বলছ শুভ কাজে দেরি করতে নাই তাই না ইশান
ইশান আর কিছু বলতে পারছেনা নিচের দিকে তাকিয়ে আসে
আমান: মিহি তোর কোন আপত্তি নেই তো বিয়েতে
মিহি:…..
ভাবি: কি গো বল মিহি তোমার বিয়ে তে মত আছে তো
মিহি: হুম
বলে লজ্জা পেয়ে উপরে চলে গেল
বড় মামা: আমি আজ অনেক খুশি আমার মেয়েটা আজ নতুন জিবন শুরু করতে চেয়েছে আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ ওদের নতুন জিবনের শুরুতে আপনারা উপস্থিত থাকবেন
আমান: হুম সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন
ইশু : আচ্ছা তাহলে মিহি আপুকে নিয়ে আসি
অয়ন : না তুই আনবিনা
ইশু : কেন
অয়ন : আমাদের বোন কে আমরা নিয়ে আসব আমার বোন কে আমরা ৪জন কলে করে নিয়ে আসব তাই তো আমান??
আমান: হুম ভাইয়া
নয়ন : ওকে আয়োজন করি ফেলি
রবিন : শালা বাবু লজ্জা পেওনা
ইশান : আমি লজ্জা পাব কেন
ইশু : তাহলে চুপ করে আছিস কেন হ্যা
ইশান : কয় ভাইয়ারা কথা বলছে তাই চুপ করে আছি
রবিন: আরে ইশু ওর মনে এখন লাড্ডু ফুটছে
নিশু : হুম ভালবাসার মানুষ কে পাওয়া ভাগ্য বিষয় সবার ভাগ্য ভালবাসার মানুষ থাকেনা
আমান: হুম এবার যে যার কাজে যা সময় কম
ইশান আজ অনেক খুশি কখন ভাবতে পারিনি মিহিকে সে পাবে আজ তার মনের আশা পুরন হবে কিন্ত মিহিকে সে খুশি রাখতে পারবে তো নাকি আবার মিহিকে কষ্ট দিয়ে ফেলবে ???
মিহি উপরে গিয়ে কান্না করছে কেন সে ইশান কে এত কষ্ট দিল একটা মানুষ কত টা ভাল হলে এমন করতে পারে ভালবাসার মানুসের খুশির জন্য নিজে কতটা কষ্ট সহ্য করেছে আর আমি কখন বুজতে পারলাম না আমাকে কেউ এত টা ভালবাসে
আসলে আমরা এমনি যে আমার জন্য অপেক্ষা করি তাকে আমরা উপেক্ষা করি আর যে আমাকে উপেক্ষা করে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করি
এসব ভাবছে আর কাদছে মিহি এর মধ্যে কেউ মিহির কাধে হাত রাখল মিহি না তাকিয়ে বলল কিছু বলবা বড় মা
বড়মা: তুই কি করে বুঝলি আমি
মিহি: এই স্পশ যে আমার খুব চেনা মায়ের স্পশ মেয়ে কখন ভোলেনা
বড়মা: আমার মেয়েটার আজ বিয়ে কত বড় হয়ে গেছে
মিহি: হুম তোমার মেয়ে অনেক বড় হয়ে গেছে
বড়মা : হুম আর কোথাও যাওয়ার কথা ভাবিসনা
মিহি: তোমাদের ছেরে আর কোথাও যাবনা
বড়মা:হুম এখন থেকে এই বাড়ির বউ তুই
এই বলে মিহিকে একজোড়া বালা পরিয়ে দিয়ে বলল এটা আমার মেয়েটার জন্য বানিয়েছিলাম কিন্তু তুই গোল্ড পরিস না তাই তোর মামা বলেছিল তোর বিয়ের দিন দিতে আজ দিলাম ১০ বসর অপেক্ষার পর দিনটা এলো
সুখে থাকিস মা আর কোন কষ্ট যেন তোদের ছুতে না পারে
মিহি: তোমাদের দোয়া আর ভালবাসা থাকলে আর কোন কষ্ট আমাদের জিবনে আসবেনা
এর মধ্যে মেজো মা এসে বলল কিরে তুই রেডি হবিনা কাজি এসে গেছে
মিহি: না মেজো মা
মেজো মা: কেন আজ তোর বিয়ে রেডি হবিনা কেন
মিহি : আমি রেডি আছি তাই
মেজো মা: বিয়েতে লাল শাড়ি পরতে হয়
মিহি: আমি যে শাড়ি টা পরেছি এটা ইশান ভাইয়া কিনে দিয়েছে এটা না বদলালে হবেনা? ?
বড় মা: হবে খুব হবে কিন্ত এক্টু সাজতে হবে যে
মেজো মা: আজ আমরা তোকে সাজিয়ে দিব
মেজো মা আর বড় মা মিহিকে সাজিয়ে দিল ব্লু শাড়ি হালকা গোল্ড এর গয়না চোখে হালকা কাজল ঠোট এ হালকা লিপ্সটিক নাকে এ নাকফুল হাতে ২জোড়া বালা চুল গুল ছাড়া মিহিমে দেখে নিল পরি লাগছে
অয়ন নয়ন আমান আর রবিন মিহিকে নিচে নিয়ে এলো অন্য দিকে ইশান কে নিয়ে আসছে নিশু আপু, ইশু, ২ভাবি ইশান আর মিহিকে পাশাপাশি বসানো হল সবাই মিহি আর ইশান এর সাথে সেল্ফি তুলছে আর বলছে খুব সুন্দর মানিয়েছে
ইশান নিজের ফোন এ মিহির সাথে কিছু পিক তুলে নিল এই দেখে রবিন বলে কি গাও শালা বাবু নিজেই পিক তুলছো
ইশান : তুলবনা জিবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন এর কিছু মুহুত যদি পিক না তুলি তাহলে নাতি নাত্নি কে কি দেখাব হুম
রবিন : ওরে বাবা বিয়ে হলনা নাতি নাত্নি
ইশান : হুম
কাজি: এবার বিয়ের কাজ টা শেষ করি
বড়মামা: হুম আপনি শুরু করুন
কাজি বিয়ে পরানো শুরু করল কবুল বলার সময় ইশান এক্টু ও ওয়েট করেনি একদমে ৩বার বলে দিয়েছে কিন্তু মিহি চুপ করে বসে আছে আর ভাবছে সে সত্যি ভাগ্যবতি ইশানের মত একজন কে স্বামি হিসাবে পাচ্ছে এর মধ্যে ভাবি বলে কি হল বল
মিহি কবুল বলে দেই
ইশানের এর চোখে পানি সে আজ দুনিয়ার সবচেয়ে খুশি মিহিকে একটা রিং পরিয়ে দিল ইশান সবাই মিহিকে গিফট দিল আমান একটা রিং এনে ইশান কে পরিয়ে দিও বলল এটা আব্বু তার জামাই এর জন্য রেখে গেছিল আজ তোকে দিলাম মিহি বলল
মিহি: ভাইয়া তুমি ওকে দিলা আমাকে দিবানা
আমান: তুই যা পেয়েছিস এর থেকে বড় গিফট নেই
রে
মিহি : জানি ভাইয়া ওর মত একজন আমার জিবনে আছে এটাই অনেক
এবার সকলে খেয়ে নাও মামা বলল
মেজো মা: হুম তার আগে একটা কাজ বাকি আছে
ভাবি : কি কাজ
মেজো মা মিহির কাছে গিয়ে একজোড়া পায়েল মিহিকে দিয়ে বলল এটা তোর নানু ইশান এর বউয়ের জন্য রেখে গেছে
আজ থেকে এটা তোর
মিহি: মেজো মা এটা আমি সব সময় পরে থাকব তাহলে নানু আমার সাথে থাকবে
মেজো মা: হুম আজ থেকে আমাকে মা বলবি কেমন
মিহি: ওকে মা
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার বাসাই গেল
মিহি বসে আছে ইশানের রুম এক্টু পর ইশান রুমে আসল
ইশান : হালকা কাশি দিয়ে বলল ঘুমাইছো
মিহি: না
ইশান : ওজু করে আসো
মিহি: কেন
ইশান : নামায পরব তাই
মিহি: ওকে মিহি ওজু করে আসে ইশান ওয়াসরুম এ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ওজু করে আসে ২জন এ একসাথে নামায পরে আল্লাহুর কাছে শুকরিয়া আদায় করে
ইশান : আজ আমি অনেক খুশি মিহি
মিহি : আমিও অনেক খুশি তোমার মত একজন কে জিবন সাথী হিসাবে পেয়ে আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি
ইশান : কি বল
মিহি: তুমি আমাকে এতটা ভালবাস কিন্ত একবার বলনি কেন
ইশান : ভয় তে বলিনি যদি তুমি ভুল বু্ঝে আমার সাথে কথা না বল
মিহি: এত ভাল কেন তুমি
ইশান : কয় আমি ভাল
মিহি: তুমি অনেক ভাল
ইশান : হুহ ভাল হলে আমাকে ছেড়ে এতদিন বাইরে থাকতে না
মিহি: সরি কিন্ত ফিরে এসে তো একেবারে তোমার হয়ে গেছি
ইশান : হুম যা হয় ভালর জন্য হয়
মিহি: হুম
ইশান মিহিকে জরিয়ে ধরে মিহি ও ইশান কে জরিয়ে ধরে ইশান এর বুকে মাথা রাকে মিহি
ইশান : সারাজিবন এই ভাবে থাকবে তো
মিহি: হুম থাকব
কখন ছেরে যাবনা
২বছর পর
আজ মিহির ডেলিভারি মিহিকে ওটিতে নেয়া হয়েছে সবাই হসপিটাল এ অপেক্ষা করছে মিহির অবস্থা ভালনা ইশান চুপ হয়ে দারিয়ে আছে কোন কথা বলছে না কিছু ক্ষন পরে সিস্টার এসে ইশান কে বলে মিস্টি আনুন আপনার রাজকন্যা আর রাজকুমার এর জন্য
ইশান : আমার ওয়াইফ কেমন আছে
সিস্টার : উনি এখন ভাল আছে এক্টু পর কেবিনে দেয়া হবে তখন দেখা করতে পারবেন আর একজন বলল বেবিদের দেখে যান
ইশান সহ সবাই গেল ইশান মেয়েকে কলে নিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলল আমার ইশানি
মামা : বাহ খুব ভাল নাম দিয়েছিস
ইশান ; না আব্বু আমি দেইনি মিহি দিয়েছে ও বলেছিল মেয়ে হলে ইশানি না রাখবে আর ছেলে হলে মায়ান রাখবে
মামা: হুম ২জন এ তোর মত হয়েছে
ইশান : না মিহির মত হয়েছে
এক্টু পর মিহিকে কেবিনে দেয়া হল সবাই দেখা করে ইশান আর মিহিকে রেখে সবাই বাইরে গেল
ইশান : আজ আমি অনেক খুশি মিহি আজ আমি বাবা হয়েছি শুধু তোমার জন্য
মিহি: আমিও অনেক খুশি কিন্তু
ইশান : কিন্ত কি
মিহি : কিন্ত এখন থেকে আমার আদর কমে যাবে
ইশান মিহির কপালে ভালবাসার পরশ দিয়ে বলল পাগলি টার আদর এক্টু ও কমবেনা আর বারবে
মিহি: হুম দেখা যাবে
ইশান : হুম মায়ান একদম তোমার মত হয়েছে
মিহি: আর ইশানি ?
ইশান: আমার মত
২দিন পর মিহিকে রিলিজ দেয়া হয়
বাসায় আনন্দের সিমা নেই সবাক খুশি
মিহি এখন ২বিচ্চুকে সামলাতে ব্যস্ত আর ইশান ৩জন কে আদর করতে এই ভাবে কেটে যাচ্চছে মিহির জিবন
সমাপ্তি
এই ভাবে শেষ করতে চাইনি
কিন্ত কিছু মানুসের জন্য লেখার ইচ্ছা চলে গেছে
তাই শেষ করে দিলাম
আমরা লেখক লেখিকারা গল্প লিখি সবাইকে আনন্দ দেয়ার জন্য এতে আমদের কোন লাভ নেই নিজেদের সময় নিয়ে গল্প লেখি আমার লেখা আপনাদের ভাল নাই লাগতে পারে আপনারা ইগনোর করুন কিন্ত কিনবে এ বাজে কথা বলে কষ্ট দিয়েন না প্লিজ
আপনাদের পরতে ১০মিনিট লাগে কিন্ত আমাদের লিখতে অনেক সময় লাগে আপনাদের ভালবাসাই আমরা লেখার উতসাহ পাই কিন্ত কিছু মানুষ খুব খারাপ ব্যবহার করেন এই গুল ঠিক না যাই হোক ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে কখন আল্লাহ এর প্রতি নিরাশ হতে নেই
সবাই বাসাই থাকুন সুস্থ থাকুন
আল্লাহ হাফেজ