২য় প্রেম ( 2nd Love )

২য় প্রেম ( 2nd Love ) Part- 04

মিহি উপরে গেল ঘুমানোর জন্য
কিন্ত সে আজ ঘুমাতে পারবেনা, পুরোনো ক্ষত আজ জেগে উঠছে যে
মিহি বারান্দাই গিয়ে গ্রিল ধরে দাড়িয়ে অতীতে ডুব দিলো

মিহির বাবা ছিলেন বিজনেস ম্যান আর মা হাউস ওয়াইফ, মিহির বড় ভাই আমান জন্ম হওয়ার ৬বছর পর মিহির জন্ম হয়।মিহি হওয়ার পর মিহির পরিবার এ সুখের অভাব ছিল না,হাসি খুশি একটা পরিবার ছিল,মিহির আস্তে আস্তে বড় হয় মিহির যখন ৩বছর বয়স তখন মিহির মা মনিরা বেগম রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যান,মিহির পরিবার থমকে যাই,ছোট মিহি আম্মু আম্মু করে কান্না করত সব সময়।মিহির বাবা মনিরুল ইসলাম ব্যবসা অনেক লস করে তখন, সব দিক সামলাতে গিয়ে তার অনেক হয়ে যেত,মিহির মামা,চাচারা মিহির বাবাকে বিয়ে করতে বলে কিন্ত মিহির বাবা রাজি হইনি তার ছেলে মেয়েকে নিয়েই সে বাসতে চাই,মিহির বাবা বিয়ে করেনি ছেলে মেয়েকে নিয়েই সে বেচে ছিল,মিহি আর আমান কে সে কখন মায়ের অভাব বুঝতে দেইনি,ব্যবসা, সংসার, ছেলে মেয়ে সব সে একা সামলাত ,এই ভাবে সময় যেতে লাগল,মাস গেল,বছর পেরিয়ে বছর গেল এই ভাবে কেটে গেল ৯বছর,মিহি এখন ক্লাস 4 এ পরে তখনি মিহি আর আমান এর জিবনে নেমে আসে ঝড়,মিহির বাবার ক্যান্সার হই মিহি তখন ক্যান্সার কি বুজত না শুধু জানতো আব্বুর অনেক বড় অসুখ হইছে,ক্যান্সার হওয়ার ৬মাস পরে মিহির বাবা মারা যাই,মিহি আর আমান একা হয়ে যাই মিহি একদম চুপ হয়ে যাই কোন কথা বলত না সব সময় আব্বুর ছবি নিয়ে বসে থাকত, মিহির আব্বু মারা যাওয়ার পর মিহিদের উপর অনেক অত্যাচার করত তার চাচি, মিহির মামা মিহিকে দেখতে এসে দেখে মিহিকে দিয়ে চা বানাচ্ছে মিহির চাচি,মিহি চা নামাতে গিয়ে ফেলে দিলে মিহির চাচি মিহিকে অনেক মারে এই দেখে মিহির বড় মামা মিহির চাচি কে কথা শোনাই মিহি আর আমান কে নিয়ে চলে আসে মিহির মামাদের বাসাই, মিহি আর আমান কে সবাই খুব খুশি হই,মিহির মামিরা তাকে নিজের মেয়ের মত লালন পালন করে,বড় মামি আর মেজো মামি মিহির মা হয়ে ওঠে,নিশু আপু,অয়ন ভাইয়া, আমান ভাইয়া,ইশান ভাইয়া,নয়ন ইশু এরাই মিহির বন্ধু,মিহি আস্তে আস্তে নরমাল হয় কিন্ত আগের মত দুরন্ত নেই শান’ত হয়ে গেছে,এই বয়সে মা বাবাকে হারানোর শক টা মিহি এখন কাটাতে পারিনি, মিহি এখন ৮ম শ্রেণিতে পরে,আমান ভাল ছাত্র হওয়ায় এস,এস,সি এইচ,এস,সি তে গোল্ডেন পাই মেডিকেল এ চান্স পেয়ে সে মেডিকেল এ পড়ে।

কেটে যাই আর ২বছর,মিহি এখন এস,এস,সি পরীক্ষা দেবে
পরীক্ষার সময় রেগুলার ইশান সাথে যেত ,মিহির যেদিন গণিত পরীক্ষা সেদিন বাসাই আসার সময় নিশু আপুকে একটা ছেলের সাথে দেখে মিহি।
মিহি তখন কিছু বলেনা বাসায় চলে যাই,বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয় তখন মেজে মা খাওয়ার জন্য ডাক দেই মিহি নিচে গিয়ে দেখে নিশু আপু চুপচাপ বসে আসে,বড় মা বলে আজ নিশুকে দেখতে আসবে পাত্র পক্ষ,নিশু আপু রুম এ চলে যাই,মিহির খেয়ে নিশু আপুর রুম এ যাই,দরজার সামনে দারিয়ে জিজ্ঞাসা করে আসব
নিশু আপু: হুম আই
মিহি: আপু তোমার কি হইছে আর অই ছেলে টা কে??
নিশু আপু: কোন ছেলে
মিহি: যার সাথে দাড়াই কথা বলছিলে
নিশু: কার কথা বলছিস তুই আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিন
মিহি : আপু আমি কিন্তু তোমার সাথে ওই ছেলে কে কথা বলতে দেখেছি তুমি কি অনাকে ভালবাস? ?
নিশু :…….
মিহি: চুপ করে আছো কেন বল
নিশু: হুম ওকে আমি ভালবাসি
মিহি : নাম কি, কি করে,কোথাই থাকে?
নিশু : তুই জেনে কি করবি?
মিহি: বল
নিশু: ওর নাম আয়ুস,সাতক্ষীরা বাসা,ঢাকা ভার্সিটি তে পরে ফাইনাল ইয়ার এ
মিহি:বড় মামাকে বল ভাইয়ার কথা
নিশু: বলে লাভ নেই মিহি,ও এখন আমাকে বিয়ে করতে পারবেনা,আর বাবা কখন বেকার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিবেনা
মিহি: একবার বলে তো দেখ
নিশু: নারে মিহি বাবাকে বললে বাবা কষ্ট পাবে,বাবার জন্য না হয় নিজের ভালবাসাকে ত্যাগ করলাম
মিহি: আপু ভাইয়া তো তোমাকে ভুল বুজবে
নিশু: ভুল বুজলেও তো কি করব বল
মিহি: ভাইয়ার সাথে একবার কথা বল
নিশু: ওর সাথে কথা বলার ক্ষমতা আমার নেই,ভাগ্য যা আছে তাই হবে
মিহি: বিকালে পাত্র পক্ষ আসবে মনে হই আজি আকদ করে রেখে যাবে
নিশু : হুম জানি,কিন্তু কিছু করার নাই রে বইন ভাগ্য কে মেনে নিব।
মিহি আর কথা না বলে নিজের ঘরে চলে যাই
বিকালে পাত্র পক্ষ আসে আপুকে পচ্ছন্দ হয়,রাতেই আকদ হয়ে যাই আপুর,আপু বাসাই থাকে সাথে আপুর হাসবেন্ড ও থাকে,আপুর পড়াশোনা শেষ হলে অনুষ্ঠান করে তুলে নিবে
আয়ুস ভাইয়া হইতো আপুকে ভুল বোঝে কিন্ত আপুর তো কোন দোষ নেই আপু সিচুয়েসন এর শিকার
মিহির পরিক্ষা শেষ
অনেক দিন ছুটি মামাকে বলে ঘুরতে যাবে স্কুল এর বান্ধবীদের সাথে বান্দরবন
মামা: মা একা যাওয়া ঠিক হবে?? সাথে কাউকে নিয়ে যাও
মিহি : মামা বান্ধবী দের সাথে যাব একা কই
মামা : বাসার কাউকে নিলে একটু ভাল হত
মিহি: মামা এখন তো বড় হয়েছি প্লিজ যাই
মামা: আচ্ছা যাও কিন্ত বাসার গাড়ি নিয়ে যেতে হবে আর ড্রাইভার যাবে সাথে
মিহি: ওকে মামা
মিহি আর মিহির ৩বান্ধবি যাই বান্দরবন,
মিহিরা বান্দরবন পোঁছাই রাত ৯টাই,একটা হোটেল এ ওঠে, ফ্রেশ হয়ে খাবার অর্ডার করে,ওয়েটার খাবার দিয়ে গেলে খেয়ে বাসায় ফোন করে জানাই দেয় পোঁছে গেছে, রাতে ঘুমিয়ে পরে সবাই
সকালে ঘুরতে বের হয় ৪জন
৪জন হাটতে থাকে তখন একটা ইট এ বেধে মিহির পা মচকে যাই
মিহি উহহ করে চিতকার দেই মিহির বান্ধবীরা মিহি কে উঠাই মিহি উঠে দাড়াতে পারলেও হাটতে পারছেনা,মিহিকে হোটেল যাবে কি করে তাই ভাবছে তখন একটা ছেলে এসে বল
আমি কি হেল্প করতে পারি আপনাদের
মিহি; না
ছেলে টা: আপনার তো পায়ে ব্যথা আমি হেল্প করি
মিহির বান্ধবি আনিসা বলল
ভাইয়া আপনি কি করে হেল্প করবে
ছেলেটা: দেখেন কি করে হেল্প করি
এই কথা বলেই মিহিকে কোলে তুলে নিল
সবাই হা হয়ে ছেলেটার কান্ড দেখছে

চলবে? ?????

জানিনা গল্প টা কেমন হচ্ছে অনেক কিছু ভাবি কিন্ত গুসিয়ে লিখতে পারছিনা,
নতুন লেখিকা হিসাবে বানান ভুল যাওয়া টা অস্বাভাবিক নয় দয়া করে ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন
সবাইকে ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *