হিংস্র ভালোবাসা

হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 16

আরহান চৌধুরী কে এভাবে জ্ঞান হারাতে দেখে ফারহা মুচকি হেসে বলতে লাগলো…. সবে তো শুরু মিস্টার আরহান চৌধুরী এখনি জ্ঞান হারালে চলবে আগুন নিয়ে খেলতে চেয়েছেন না এখন প্রতিশোধের জ্বলন্ত আগুন এসেছে চৌধুরী ম্যানশনে সব জালিয়ে ছাড়খার করে দিতে ……………..
.
.
.
.
আরহান চৌধুরী এভাবে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় মেঘ বেশ ঘাবড়ে যায় মেঘ ভাবতে পারে নি ফারহা কে দেখে ড্যাড এমন রিয়াকশন দিবে যে অজ্ঞান হয়ে যাবে ,,,আরহান চৌধুরী কে ধরে বেডরুমে নিয়ে যাওয়া হলো পার্টিতে ইনভাইটেড এক ডক্টর থাকায় মেঘ কে আলাদা করে ডক্টর কে ফোন করতে হয় নি তিনি নিজে থেকে এগিয়ে এসে আরহান চৌধুরীর ট্রিটমেন্ট করছে ,,মেঘ হঠাৎ করে ফারহার হাত চেপে ধরে নিচে পার্টিতে নিয়ে যায় গেস্টদের উদ্দ্যেশ্য করে বলে উঠলো …..

লেডিস এন্ড জেন্টেলমান আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে আমার পাশে সরজিয়াস বিউটিফুল ব্রাইডাল সেজে দারিয়ে মেয়েটি কে আর কেনোই বা আমার আমার সাথে সো তাহলে বলবো বি পেশেন্স বিকজ সবুরে মেওয়া ফলে যানেন তো নাকি..? হা হা হা আপনাদের আর কিউরিসিটি বারাতে হবে না আমি আপনাদের সাথে পরিচয় টা করিয়ে দি তাহলে… কি বলেন..?? মেঘের কথায় সায় দিয়ে গেস্টরা ইয়েস বলে চেচিয়ে উঠলো মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে সবার সামনে ফারহার কমর জরিয়ে ধরে বলে….গাইস সি ইজ মিসেস ফারহা চৌধুরী এই চৌধুরী ম্যানশনের চৌধুরানী মাই ওয়াইফ & চৌধুরী গ্রপ এন্ড ইনড্রাষ্ট্রিজের ফিফটি ওয়ান পারসেন্ট সেয়ারের মালিক……

মেঘের কথাটা শোনা মাত্র সবাই খুশি হওয়ার সাথে সাথে অবাক ও হলো সবাই ফারহার দিকে তাকিয়ে তার রুপের প্রশংসা করতে লাগলো আর করবেই না কেনো ফারহার এমনিতে দুধে আলতা গায়ের রং তার উপর ফারহার চোখের দিকে যে একবার তাকাবে সে নিশ্চিত সে হাজার বার ওর চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে হারাতে চাইবে বিশেষ করে ফারহার ঠোটের নিচে কালো তিল যেটা সবাই কে আকর্ষণ করে পার্টিতে থাকা লোক গুলো হা করে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে ……

গেস্ট রা একে একে সবাই ফারহার সাথে কথা বলতে এগিয়ে আসলে বাধ সাজে মেঘ গেস্ট দের উদ্দ্যেশ্য করে বলে…

লেডিস এন্ড জেন্টেলমান আরহান চৌধুরী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পার্টিটা এখানে শেষ করতে হচ্ছে তবে আপনারা প্লিজ ডিনার টা করে যাবেন তবে আর একটা এনাউন্সমেন্ট করতে চাই যে আগামি ৩ তারিখ আপনারা সবাই ইনভাইটেড আমাদের বিয়ে উপলক্ষে একটা পার্টি দেওয়া হবে আপনারা অবশ্যই আসবেন……(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে সবাই প্রথমে মন খারাপ করলেও পরে বেশ খুশি হয় এদিকে ফারহা পুরো টা সময় চুপ থেকে মেঘের কথা গুলো শুনে গেছে তবে মেঘের কম্পানির ফিফটি ওয়ান পারসেন্ট শেয়ারের মালিক বলা টা শুনে ফারহা কিছুটা তন্দ্রা খেয়ে যায় চোখে মুখে আলাদা খুশির রেখা ভেশে ওঠে …..

(ওয়াও মেঘ তুমি তো আমার অর্ধেক কাজ এগিয়ে দিলে এবার দেখো তোমাদের এই চৌধুরী ম্যানশন কে আমি কি করে রাস্তার ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে যাষ্ট ওয়েট এ্যান্ড সি……. )

মেঘ উপরে চলো তোমার ড্যাড কেমন আছে জানতে হবে তো নাকি..?? (ফারহা)

বাহ আ’ম ইমপ্রেস আসতে না আসতে বাড়ির মেমবারদের প্রতি এতো কেয়ার …(মেঘ)

মেঘ ফারহা কে হুট করে কোলে তুলে নিলো তারপর সোজা আরহান চৌধুরীর রুমের সামনে নামিয়ে দিলো ফারহা মেঘের সাথে তর্কে না জরিয়ে চুপ করে ছিলো জানে মেঘ ওর কোন কথা শুনবে না . ফারহা ধির পায়ে আরহান চৌধুরীর রুমে ঢুকে দেখে আরহান চৌধুরী জ্ঞান ফিরছে ফারহা আর একটু মজা নেওয়ার জন্য আরহান চৌধুরীর পাশে বসে পরলো আরহান চৌধুরী চোখ মেলে ফারহা কে দেখে চমকে ওঠে তিনি ভেবেছিলেন তখন হইতো চোখের ভুল ছিলো কিন্তু এখন ফারহা কে দেখে ভালো করেই বুজতে পারছে এটা মটেও মনের ভুল না এটাই বাস্তব আরহান চৌধুরী কে এভাবে ফারহার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফারহা এক রহস্যময় হাসি দিয়ে আরহান চৌধুরীর পায়ে সালাম করে বলে শ্বশুর আব্বা আপনি এখন কেমন আছেন..?

ফারহার কথা শোনা মাত্র
মেঘ ডক্টর আরহান চৌধুরী পুরাই টাস্কি খেয়ে যায় আরহান চৌধুরী রিতিমতো শোয়া থেকে উঠে বসে …

জানপাখি কি কি বললে ড্যাড কে ..??(অবাক হয়ে জানতে চাইলো মেঘ)

ওহ মেঘ ইউ নো না তোমার ড্যাড আমার শ্বশুর হয় শুধু শ্বশুর বললে কেমন লাগে না তাই তো শ্বশুরের সাথে এ্যাডযাস্ট করে আব্বা লাগালাম…(ফারহা)

ফারহার কথা শেষ হতেই আরহান চৌধুরী তেতে ওঠে বলে..মেঘ আমি কিছুক্ষন একা থাকতে চাই …

ওকে ড্যাড ,,(মেঘ)

মেঘ ফারহা কে নিয়ে বেরিয়ে আসে রুম থেকে তারপর ডক্টর রুম থেকে বেরিয়ে আসে সবাই বেরিয়ে যেতেই আরহান চৌধুরী ফোন বের করে এমজাত কে লাগাতার কল করে যাচ্ছে কিন্তু ওপাশ থেকে কল রিসিব না হতে আরহান চৌধুরী বেশ রেগে যায় তারপর ও বার বার কল করতে থাকে ………

যাকে ফোন করছেন সে এখন ফোন রিসিব করার মতো পজিশনে নেই শ্বশুর আব্বা…..

কথা টা শোনা মাত্র ভয় পেয়ে আরহান চৌধুরীর হাত থেকে ফোনটা পরে যায় ফারহা ফোনটা নিচ থেকে তুলে নিয়ে আরহান চৌধুরীর হাতে দিয়ে বলে….

কি ভাবছেন আমি এখনো বেচেঁ আছি কি করে ..?? আমার তো এখানে থাকার কথা নয় আমার তো দুরের জঙ্গলের মাটির নিচে চাপা পরে থাকার কথা ছিলো তাই না শ্বশর আব্বা..???(ফারহা)

ক,,,কে কে তুমি..?? এতো কিছু জানো কি করে ..??

ভয়ে তুতলাতে থাকলো আরহান চৌধুরী তা দেখে ফারহা জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো…..

হা হা হা কি বেপার দ্যা গ্রেট আরহান চৌধুরী ভয় পেয়ে গেলো ওয়াও ইটস এ্যা বেষ্ট মোমেন্ট ফর মি ইউ নো ফাদার ইন লো বলে আমার হাসতে লাগলো ফারহা…আরহান চৌধুরীর ফারহার এই বিকট হাসি টা বেশ বিরক্ত লাগছে তারপর ও আবার এমজাত কে ফোন লাগাতে থাকলো মিস্টার চৌধুরি ফারহা হুট করে আরহান চৌধুরীর হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নিজের ফোন থেকে একটা ভিডিও ওই ফোনে সেন্ড করে আরহান চৌধুরীর হাতে দেয় …

নাও সি দিস ভিডিও মিস্টার আরহান চৌধুরী কথাটা বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ফারহা ,,রুমে এসে দেখে মেঘ এখনো ওয়াসরুম থেকে বের হয়নি আরহান চৌধুরী যখন সবাই কে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলে মেঘ তখন ফারহা কে নিয়ে রুমে চলে আসে ,,,জানপাখি খুব ট্রায়াড লাগছে আমি ফ্রেস হয়ে আসছি ততোক্ষন তুমি আমাদের রুম টা ভালো করে দেখো যদি তোমার মনে হয় কিছু চেন্জ করার তাহলে আমাকে বলো চেন্জ করিয়ে দিবো.বলে মেঘ ওয়াসরুমে চলে যায় আর সে সময় ফারহা আরহান চৌধুরীর রমে চলে যায়….
!
!
!
!
!
ভিডিও টা দেখে আরহান চৌধুরী দুপ করে বেডের উপর বসে পরে আরহান চৌধুরী ভাবতে পারেনি তার লোকদের এমন অবস্তা হবে এতো নৃশংস ভাবে খুন করবে ওদের আরহান চৌধুরী প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় তিনি ধরে নিয়েছেন যাকে মেরে ফেলেছে ভেবে এতো খুশি হয়ে পার্টি দিয়েছিলো সে মরেনি বেচেঁ আছে আর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফিরে এসেছে …….

মাই গড এখন আমি কি করবো এই মেয়ে তো আমাকে ছাড়বে না আমার সব শেষ করে দেওয়ার জন্য ফিরে এসেছে মে,,মেঘ যদি কখনো জানতে পারে আমি ওর ভালোবাসা কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম তাহলে ও আমাকে ছাড়বে না বাবা বলে আমাকে ক্ষমা করবে না মেঘ …….

আরহান চৌধুরী ভাবতে থাকে কি করে ফারহার হাত থেকে বাচাঁ যায় অন্যদিকে ফারহা ওর নতুন প্লান টা কি করে এক্সিকিউট দেওয়া যায় সেই প্লান করছে ……..

জানপাখি এখানে দারিয়ে কি ভাবছো তুমি নিশ্চিয় আমার কথা..?? পিছুন থেকে ফারহা কে জড়িয়ে ধরে কাধে কিস করে বললো মেঘ….

মেঘ কথায় কথায় ফারহা কে এভাবে জড়িয়ে ধরে তাতে ফারহা বেশ বিরক্ত হয় কিন্তু তা মুখে প্রকাশ করে না ….

মেঘ…..!!ছাড়ো প্লিজ আমি ফ্রেস হবো আর কতোক্ষন এই ভারি পোশাক পরে থাকবো আমি…(ফারহা)

হুম তাই তো আচ্ছা তুমি চেন্জ করে আসো..(মেঘ)

মেঘ চেন্জ তো করবো তবে চেন্জ করে কি পড়বো..?? (মুখটা কাচুমাচু করে বললো ফারহা)

ফারহার মুখ দেখে মেঘের বেশ হাসি পাচ্ছে মেঘ ফারহার কানের কাছে মুখ টা এনে বলে ,,,জানপাখি মুখ টা এমন করে রেখো না প্লিজ আমার ইচ্ছে করছে এখুনি কামড়ে খেয়ে ফেলি তোমার গাল দুটো …মেঘের কথা শোনা মাত্রই ফারহা ওর গাল দুটো হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে তা দেখে মেঘ হো হো করে হাসতে থাকে ফারহা বেশ রেগে মেঘ কে বলে ,,, কি হলো আমি কি চেন্জ করবো না এভাবে দারিয়ে থাকবো ……..(রেগে বললো ফারহা )

নাহ তা কেনো ওই যে কাবার্ড টা দেখছো ওটার ডান পাশের ড্রায়ার টা খোলো …(মেঘ)

ফারহা বিরক্ত নিয়ে কাবাডের কাছে গিয়ে ডান পাশের কার্বাড টা খুলতে ফারহা অবাক হয়ে যায় কারন ডান পাশের পুরোটা জুরে ফারহার বিভিন্ন রকম ড্রেস শাড়ি থেকে শুরু করে মডার্ন ড্রেস পর্যন্ত ফারহা সাধারনত মডার্ন ড্রেস পরে না আর শাড়ি পরতেও পারে না তাই সাদা সেলোয়ার কামিজ নিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো………..
!
!
!
!
!
ফারু তুই ঠিক আছিস তো.?? আমাকে কেনো জানালি না তোর এই প্লান টার বিষয়..??(আগুন)

লিসেন আগুন আমি এতো কথা এখন তোকে বলতে পারবো না আমি যা বলছি তা তুই মন দিয়ে শোন..(ফারহা)

ওকে বল …..

শোন তাহলে……………….(ফারহা)

ওকে ডান হয়ে যাবে আর তোকে যা বলেছিলাম মনে আছে তো ..??কোন প্রব্লেম হলে বেজলেটের বাটন টা চেপে ধরবি …(আগুন)

আমার সব টা মনে আছে তোকে যা যা বললাম তুই সে গুলো কর আমি এখন রাখছি ওয়াসরুমে অনেকক্ষন ধরে আছি আর বেশিক্ষন থাকলে মেঘ সন্ধেহ করবে ….

ওকে রাখছি আর নিজের দিকে খেয়াল রাখবি…..

কল ডিসকানেক্ট করে ফারহা ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে মেঘ কেমন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে ফারহা তেমন ভাবে গুরুত্ব না দিয়ে মেঘ কে পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে মেঘ হঠাৎ করে ফারহা কে দেয়ালের সাথে দু হাত চেপে ধরে ফারহার ঠোট জোড়া নিজের ঠোটের দখলে নিয়ে নেয় দশ মিনিট পর ছেড়ে দিতেই ফারহা মেঘ দুজনে হাপাতে থাকে …….

কি কি করতেন আপনি আমাকে মেরে ফেলতে চান নাকি আর একটু হলে দম বন্ধ হয়ে আমি মরে যেতাম ….(ফারহা)

সেটা কখনো হবার নয় জানপাখি আমার অনুমতি ব্যাতিত তুমি মরতে ও পারবে না সে অনুমতি তোমার নেই এতোদিন যতোটা কষ্ট পেয়েছি তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তার একশ গুন কষ্ট ভালোবাসায় রুপান্তর করে তোমাকে দিবো তবে আজ থেকে নয় কাল থেকে শুরু হবে আমার ভালোবাসার অর্ত্যাচার ……

মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে বলে ,,”চলো জানপাখি”

কোথায় যাবো ..??(ফারহা)

জোসনা বিলাস করতে ,,,মেঘ ফারহা কে আড়কোলে নিয়ে ছাদে চলে গেলো ফারহা ছাদ টা দেখো পুরো অবাক এত্তো সুন্দর ছাদটা যে ,যে দেখবে তার যদি মন খারাপ থাকে তাহলে ছাদে এলে হান্ড্রেড পার্সেন তার মন ভালো হয়ে যাবে বিশাল ছাদ টা চার কোনায় নানা রকমের ফুলগাছ বিশেষ করে লাল গোলাপের অন্য সাইডে দোলনা ,,মেঘ ফারহা কে দোলনায় বসিয়ে দিয়ে ফোন করে কাকে কি যেনো নিয়ে আসতে বলে ফোন টা কেটে দেয় কিছুক্ষণ পর এক সারবেন্ট এসে নানা রকমের খাবার দিয়ে যায় ফারহা দোলনা থেকে ওঠে কার্নিসে দারিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রান ভরে খোলা হওয়ায় নিশ্বাস নিতে থাকে হঠাৎ করে ফারহার মন টা হু হু করে কেদে ওঠে ফারিহার কথা ভেবে মেয়ে টা শুধু মাত্র ওর জন্য মরতে হয়েছে আজ যদি ওরা একি রকম দেখতে না হতো তাহলে হয়তো এভাবে ওকে মরতে হতো না ,,,,,

বোন আজ যদি তুই আমার পাশে থাকতি তাহলে হয়তো এখনি বলতি আপু এতো সুন্দর পরিবেশ তুই একটা গান ধরনা ভিষন শুনতে ইচ্ছে করছে ,,কথা গুলো ভাবতেই ফারহার গাল বেয়ে নোনা পানি পরতে লাগলো ফারহা আনমনেই গান ধরলো…….

মেলেছো চোখ উড়েছে ধুলো
দূরের পালক তোমাকে ছুলো
তবু রাজি আমি রাজি
চাপা ঠোটে কথা ফোটে শোন
আমাকে রাখো চোখের কিনাড়ে
গোপন মিনাড়ে
হোওও ও যো ওয়াদা কিয়াহো
নিভানা পারেগা রোকে জামানা
যাহে , রোকে খোদাই তুমকো আনাই পারে গা……

হুমম ঘুম ভেঙ্গে কিছু মেঘলা দিন হোক
ওড়নার পাশে সেফটিপিন হোক,
বিকেলের নাম এ্যাপচিন হোক ,
খেয়ালি ছাদে..
কফি কাপে একা ঠোট ছোয়ানো দিন
চুপি চুপি কেদেঁ রোদ পোহানোর দিন
ভালো হয় ছাদে সঙ্গে আনো দিন ,
যে কোন রাতে….

জানি দেখা হবে ঠোটের ভিতরে ঘুমের ভিতরে…………

হোওওও যো ওয়াদা কিয়াগো নিভানা পারে গা রোকে জামানা যাহেই রোকে খোদাই তুমকো আনাই পারে গা ………..

গানটা গাওয়ার সময় বার বার ফারহার দুচোখ ভরে যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ মুছে পিছুনে তাকিয়ে দেখে মেঘ পুরো হা করে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে তখনি ফারহার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো ফারহা মেঘ কে এক ধাক্কা মারলো ব্যালেন্স না রাখতে পেরে সাথে সাথে মেঘ নিচে পরে গেলো আর এদিকে ফারহা পেট চেপে ধরে হাসতে লাগলো এদিকে ছাদের দরজার কাছে দারিয়ে আছে আরহান চৌধুরী ……………
*
*
*
*
#চলবে…………. 🍁🍁🍁

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *