হিংস্র ভালোবাসা

হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 03

আসলাম এখান থেকে একটা একটা ছেলে কে ওই রুমে পাঠাবে আমি যাচ্ছি ….

মেঘ পাশে হিম শীতল রুমে প্রবেশ করতেই আসলাম তিন টে ছেলের ভিতর একটি কে ঘাড় ধরে ওই রুমে নিয়ে আসে ছেলেটি রুমটা দেখে সাথে সাথেই বেহুস হয়ে পড়লো এটা দেখে মেঘ মুচকি হেসে আসলাম কে ইশারায় যেতে বললো……….

একজন সুস্থ মানুষ কখনো এই রুম দেখে স্বাভাবিক থাকতে পারবে না যে রুমে অসংখ্য মানুষের কংকাল মৃত্য মানুষের মাথা হাত পা নারিভুড়ি এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মেঝেতে এতো রক্ত শুকিয়ে আছে কেউ মনে করবে ফ্লোরে কেউ লাল রং করে রেখেছে …….

মেঘ এতোক্ষন ওর ধাড়ালো ছুড়ি টা হাতে নিয়ে ফ্লোরে পরে থাকা হার গুলোর উপর আঘাত করছিলো তারপর ছেলেটির হাত ধরে টেনে নিয়ে রুমে এক কোনায় নিয়ে গেলো ……
.
.
.
আসলাম লাস তিনটার উপর কেমিক্যাল ছড়িয়ে দিয়ে রুম টা লক করে দে ….(মেঘ)

ওকে বস……

আসলাম খুব সতর্কতার সাথে হাতে গ্লোবস পরে নিয়ে কেমিক্যাল নিয়ে হাত পা মাথা বিচ্ছিন্ন দেহের উপর ছরিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে রুম লক করে চলে আসে…

মেঘ নিজের হাতে তিনটে ছেলে কে খুন করে ফ্রেস হয়ে নিয়ে ল্যাপটপ অন করে ফারহার বাড়িতে ঘটা সম্পূন ঘটনা একে একে দেখতে থাকে …

আসলামমমমমমমম ..জোড়ে চিৎকার করে মেঘ আসলাম কে ডাকতে থাকে. আসলাম মেঘের এমন গর্জন শুনে ভয়ে দৌড়ে আসে ….

ই,,,য়েস ইয়েস বস…….

আদঘন্টার ভিতর এই লোক টাকে আমার সামনে দেখতে চাই (ল্যাপটপে পুলিশ অফিসারের ছবি দেখিয়ে)

কাজ হয়ে যাবে বস……..(আসলাম)

আসলাম চলে যেতেই মেঘ ফারহার ছবি নিয়ে হাজার ও চুমু দিতে থাকে…..

আর মাত্র কিছুদিন জানপাখি তারপর খুব তারাতারি তোমাকে আমার করে নিবো কেউ তখন তোমার আর আমার মাঝে কাটা হয়ে দারাবে না যে দারাবে তাদের কে আমি নিজ হাতে শেষ করে দিবো…কথা বলে মেঘ ওয়াইনের বোতলের ছিপ খুলে ওয়াইন খেতে লাগলো…..
.
.
.
.
চাচী সোহেল ভাইয়ার লাশ পেয়েছেন ..??(ফারহা)

সোহেল ভাইয়ের লাশের কথা শুনে ডুকরে কেদে উঠলো চাচী আর চাচা বার বার সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছে .তখনি পুলিশ অফিসার বলে উঠলো …

মিস ফারহা সোহেলের লাশ এখনো আমার টিম খুজে পায়নি খোজ চলছে …

তাহলে আপনি এতোটা শিওর কি করে হলেন যে সোহেল ভাই খুন হয়েছে..!!!(ফারহা)

আমার কথা শেষ হতে না হতে চাচা তেরে আমার দিকে আসতে চায়লে চাচী আটকে দেয় …..

কি করছো কি সোহেলের বাবা উত্তিজিত হইয়ো না পুলিশ দেখছে তো…

চাচী ক্লিয়ার করে বলুন কি হয়েছে নয় তো আমাকে রুমে যেতে দিন আমি আগে ও বলেছি আমি খুব ট্যায়ার্ড ….

ফারহার কথা শেষ হতেই পুলিশ অফিসার বলে উঠলো ….
তো মিস আপনার কি হয়েছিল আর কে বা আপনাকে হসপিটালে নিয়ে গেলো..???(অফিসার)

অফিসারের কথা শুনে নিজেকে নরমাল রাখতে বাস্ত হয়ে পরলাম কি বললো ভেবে পাচ্ছিলাম না তখনি একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো….

দেখুন অফিসার আমি কি করে হসপিটালে পৌছালাম তা আমি নিজেও জানি না কে বা কারা আমাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছিলো এখন আমি কি রুমে যেতে পারি..??(ফারহা)

এবার অফিসার একটু নরে চরে বসলো ,,ওকে আপনি যেতে পারেন তবে আমি আপনাকে পরে আবার ও ডাকতে পারি …

নো প্রব্লেম অফিস্যার…
ফারহা আর কিছু না বলে রুমে চলে যায় …….

নো নো নো আমার অতিত কে আমি আমার বর্তমান কে নষ্ট করতে দিবো না আমি যে পথ একবার ছেড়ে দিয়েছি দ্বিতীয় বার আমি আর সে পথে ফিরে যেতে চাই না বাবা কে ছুয়ে কথা দিয়েছি আমি চাইলে ও ওই পথে ফিরে যেতে পারবো না বাবার বিশ্বাস নষ্ট করতে পারবো না আমি ,,ওকে থামাতে হবে নয় তো আমার বেচে থাকতে পারবো না …..

ফারহা ফোন টা বার করে কাউ কে কল দিলো কল টা রিসিব হতেই ফারহা বলে উঠলো …..

– আই নিড ইউ হেল্প আগুন…..(ফারহা)

– নেক্টস উইকে আমি ইউ কে থেকে আসছি ,ইউ ডোন্ট ওয়ারি বেবি…

– Thank you Agun …

– হেই বেবি Thanks দিচ্ছো কেনো ..?? তুমি আমার উডবি ওয়াইফ তোমার প্রব্লেম মানে আমার প্রব্লেম আমি খুব তারাতারি আসছি বি ডি তে আর একটু অপেক্ষা করো..??

– Miss you Agun.!!!

– Miss you too bby….

কল টা ডিসকানেক্ট করে বেডের উপর শুয়ে পাগলের মতো হাসতে লাগলো ফারহা ……………

.
.
.
.
#চলবে……

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *