হারিয়ে খুজবে আমায়

হারিয়ে খুজবে আমায় !! Part- 07

শাফিন ল’য়ারের কেবিনে বসে আছে। শাফিন অনু এবং তার ব্যাপারে বিস্তারিত সব খুলে বলে। লয়ার কাগজপত্র তৈরি ও সকল ফর্মালিটি পূরণ করতে দুই মাস সময় চায়। তারপর তারা কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নেয়।

একটা শপিং মলে গিয়ে কিছু কেনাকাটার পর তারা যার যার বাড়ির দিকে রওনা দিল।

বসার ঘরে পিনপতন নীরবতা। সবাই অনুর বিষয়টা ভাবছে ।অনুর কথা মতে সে মাস্টার্স টা দেশের বাইরে করতেছে করতে চায় এতে শহর থেকে দূরেও থাকা হবে আবার দেশে এসে ভালো পজিশনে কাজ করতে পারবে।কিন্তু তার বাবা-মা তার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ তারা অনুর এই অবস্থায় অনুকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে চাচ্ছে না অনু একা হলেও কথা ছিল তাছাড়া প্রেগনেন্সির সময় বিভিন্ন সমস্যা হয় যা অনুর পড়ালেখাও ইফেক্ট করবে। আর এমনিতেও অনুকে তারা একা ছাড়তে চাচ্ছেনা।

কিন্তু অনুর কথাতেও যুক্তি আছে তার কথাগুলো একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো না। আর সাদাত ও অনুর কথায় সায় দিয়েছে তার মতে অনুর সিদ্ধান্ত সঠিক। তাই অনুর বাবা-মা বাচ্চাটার কথা বলায় সাদা তাদের বুঝিয়ে বলে।

সাদাত: দেখো মামা মামি আমি তোমাদের চিন্তাটা বুঝতে পারছি কিন্তু তোমরা অনুর বাচ্চাটাকে তার দুর্বলতা কেন ভাবছো বাচ্চাটাই হবে তার আসল শক্তি আর বাইরে যাবার পর অনুর কথা তোমাদের ভাবতে হবেনা সব আমার উপর ছেড়ে দাও। অনুর দেখাশোনার দায়িত্ব আমি নিলাম।

আমি আজই কিছু ভার্সিটিতে এপ্লাই করব বাকি সব চিন্তা আমার। তোমরা শুধু অনুকে সাপোর্ট করবে।

অনেক চেষ্টার পর অনুর বাবা মাকে রাজি করাতে পেরেছে সাদাত। অন্যদিকে অনুর টেনশন হচ্ছে সাদত ভাই কি তার বাবা মাকে রাজি করাতে পারবে? অনেকক্ষণ যাবৎ সাদ তার সাথে খেলছে আর নানান ধরনের প্রশ্ন করছে বেবি ব্যাপারে। অনু তা হাসিমুখে উত্তর দিচ্ছে।

সাদাত দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অনু আর সাদের দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে কি করে শাফিন অনুর মত মায়াবতী কে ছেড়ে অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারল কই সে তো পারলো না তার প্রিয়তমার জায়গা অন্য কাউকে দিতে। হয়তো শাফিনের ভালোবাসাটা সত্য ছিল না তাইতো সে অনুকে ছেড়ে দিল। কিন্তু অনুর ভালোবাসাটা সত্যি ছিল তাই শত কষ্টের পরেও ভালোবাসা মানুষের ক্ষতি করতে দিল না।

অনুর কথায় ধ্যান ভাঙলো সাদাতের,
অনু: কি হলো সাদাত ভাই কি বলল বাবা মা তারা কি মেনে নিয়েছে। আমাকে যেতে দেবে তো?

সাদাত ভাবল একটু মজা নেওয়া যাক তাই সে মন খারাপ করে বলল,

সাদাত: নারে অনু অনেক চেষ্টা করলাম তাদের বোঝানোর কিন্তু তারা বুঝলো না। তারা তোকে কিছুতেই একা ছাড়তে চাচ্ছেনা। কিন্তু অনুমতি দিয়েই দিল।

অনু প্রথমে কথাটা ধরতে না পারলে না পেরে মন খারাপ করলো যখন বুঝতে পারল সে তাড়াতাড়ি সাদাতের দিকে তাকাল সাদাত মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝলাম অনুর খুশিতে চোখে জল এসে গেল আর সাদাতকে মারতে থাকলো তার সাথে মজা করার শাস্তি।

সাদাত অনুর হাত ধরে তাকে থামাল,
সাদাত:দেখ অনু মামা মামিকে খুব কষ্টে আমি বুঝিয়েছি শুধুমাত্র তোর জন্য। আমি তোর ভালো থাকার সুস্থ থাকার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছি।তাই তোকেও কথা দিতে হবে আমাকে যথাযথ সাপোর্ট দিবি। কোন কিছুতে হেঁয়ালি চলবে না খাওয়া-দাওয়া করবি রেস্ট করবি আর তোকে কিছু বই দিচ্ছি সেগুলো এখন থেকে পড়া শুরু করে দিবি কারণ এপ্লাই এর পরে তোকে এক্সাম দিতে হবে এক্সাম এ ভালো রেজাল্ট করলে তবেই চান্স পাবি। আর আমাকে আরো কথা দিতে হবে সব সময় তুই এখন যেমন আছিস তেমন থাকবি। আমার সব শর্তে রাজি তো?

অনু: উফফফ…এত বড় লেকচার ওকে ওকে আমার বাপ তোর সব কথা মেনে চলবো সব সময় হাসি খুশি থাকব ঠিকমতো খাব রেস্ট করবো আর পড়ালেখা করবো এবার খুশি তো।

সাদাত মুচকি হেসে হু।চল তোর বই নিয়ে আসি আর ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে তাইনা। আর সব থেকে বড় দায়িত্ব আমি তোকে দিলাম আমার প্রিন্সেসের খেয়াল রাখা। আমার প্রিন্সেসের সেবাযত্নে যদি কোন ত্রুটি হয় তবে গিয়ে তোর কান ধরে দেশে নিয়ে আসবো।

অনু: তোকে কে বলেছে প্রিন্সেস হবে। আমার তো একটা প্রিন্স চাই ঠিক শফি.. আর কিছু বলল না বলল না অনু। অন্য দিকে ঘুরে গেল।

সাদাত কথা ঘুরানোর জন্য বলল চল চল জলদি জলদি রেডি হ তোদের তো আবার আটা ময়দা মাখতে সব সময় চলে যায়।

প্রতিউত্তরে অনু কিছু বলল না। 10 মিনিটের মধ্যে অনু আর সাদাত বেরিয়ে গেল বই কেনার উদ্দেশ্যে তারপর সেখান থেকে হসপিটাল যাবে।

ইরাকে কিছুদূর এগিয়ে দিয়ে শাফিন যেই রাস্তা পার হতে যাবে অমনি কিছুদূর হসপিটালে গেটের সামনে তাকিয়ে সে থমকে গেল। অনু একটা ছেলের সাথে বেশ হাসাহাসি করে হসপিটাল গেট থেকে বের হচ্ছে। ছেলেটাকে চিনতেও বেশি সময় লাগলোনা শাফিনের ছেলেটা সাদাত। অনুর মামাতো ভাই। অনু আর সে খুব বেশি ফ্রেন্ডলি তাই শাফিন সাদাত কে পছন্দ করত না। আর অনুকেও নিষেধ করে দিয়েছিল সাদাতের সাথে যোগাযোগ রাখতে। অনু একবাক্যে মেনে নিয়েছিল।তাহলে হঠাৎ কেন সে সাদাতের সাথে হসপিটালে এল কোন সমস্যা হয়নি তো অনুর।

সে এগিয়ে গেল অনুর দিকে কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছার আগেই তারা একটি রিকশা নিয়ে চলে গেল।

শাফিন কয়েকবার অনুর নাম ধরে পেছন থেকে ডাকলো কিন্তু সে শুনতে পেল না দেখতে দেখতেই শাফিনের দৃষ্টি থেকে চলে গেল তারা।

বাইরে বের হওয়ার পর থেকেই অনু কিছুটা মনমরা হয়ে ছিলো। তাই সাদাত তাকে নানা কথা বলে হাসানোর চেষ্টা করছিল।বিভিন্ন ধরনের কৌতুক বলছিল হাসির ঘটনা বলছিল আর সেগুলো শুনেই অনু খিলখিল করে হাসছিল। সাদাত এর সাথে থাকলে কিছু সময়ের জন্য হলেও সে শাফিনের দেয়া কষ্টের কথা ভুলে যায় অনু।

কিন্তু সে জানে এই হাসিমুখে পেছনে রয়েছে আরেকটা মুখ যেখানে রয়েছে ভালবাসার মানুষটাকে কাছে না পাওয়ার বেদনা।যে মানুষটার দুনিয়াতে কোন অস্তিত্ব তাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসা।কিছু ভালোবাসা মনে হয় এমনই হয় মানুষের অস্তিত্ব না থাকলেও তার স্মৃতি নিয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকা যায়।

ডাক্তারের সাথে দেখা করার পর ডাক্তার তাকে নানা ধরনের উপদেশ দেয় এবং বেশি বেশি ফলমূল ও সবজি খেতে বলে। আর কোন ধরনের দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করে । এতে বেবির সমস্যা হতে পারে।আর কিছু মেডিসিন দিয়ে দেয় নিয়মিত খাবারের জন্য আর প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার করে চেকআপের জন্য পরামর্শ দেয়।

হসপিটাল থেকে বের হবার পর অনুর বারবার মনে হচ্ছিল শাফিন হয়তো আশেপাশেই আছে।সে তার অস্তিত্ব বুঝতে পারে কিন্তু কথাটা সাদাত ভাইকে বলার সাথে সাথেই সে তা তার ভুল ধারণা বলে চালিয়ে দেয়।তারপর একটা রিকশায় ডাক দিয়ে তাতে উঠে পড়ে।রিকশায় ওঠার পরেও অনুর মনে হচ্ছিল শাফিন দূর থেকে তার নাম ধরে ডাকছে।

পরক্ষনেই আবার ভাবল শাফিন এখানে কোত্থেকে আসবে তাও আবার এই সময়।এ সময় তো সে অফিসে থাকে তাই সে মনের ভুল ভেবে আর তাকে নিয়ে মাথা ঘামানো না।

কিন্তু সে যদি একবার পেছন ফিরে দেখতো তাহলে বুঝতে পারতো কেউ একজন তার দিকে রাগ আর ভয় মিশ্রিত চোখে চোখে তাকিয়ে আছে।

অনুকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সাদাত সাদকে নিয়ে চলে গেল তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে বলে।মিসেস রাবেয়া অনেক করে লান্চ করে যেতে বলল সে অন্য একদিন বলে চলে গেল। তিনি আর কথা বাড়ালো না। অনু ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণের জন্য শুয়ে পড়ল।আজ বেশ হাঁটাহাঁটি হয়েছে তার তাই ক্লান্ত সে।

শাফিন বাড়িতে পৌঁছানোর পর আর স্থির থাকতে পারছেনা।তার মাথায় বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনু কি অসুস্থ? কি হয়েছে তার ?সে হসপিটালে কেন গেল?আর কেনইবা সাদাত এর সাথে এত হাসিখুশি ভাবে কথা বলছিল। অনুকে সে যতটুকু চিনে অনু খুবই খুবই ইমোশনাল মেয়ে কোন কিছু মনে আঘাত করলে তা সহজে ভুলে না। তাহলে কি অনু শাফিনের দেওয়া আঘাত গুলো ভুলে গেছে? সব ভুলে গিয়ে কি সে সাদাতের সাথে নতুনভাবে শুরু করতে চায়?

কথাগুলো মনে হতেই সে আরও অস্থির হয়ে গেল। সে সারা ঘরময় পায়চারী করতে লাগলো। অনুর উপরে তাহলে অন্য কেউ অধিকার খাটাবে। অনু অন্য কারো সংসার করবে। শাফিনের মত করে কি অনু অন্য কারো কেয়ার নেবে। অন্য কেউ অনুকে খাইয়ে দিবে? না আর ভাবতে পারছে না সে।মাথার ভেতরে সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। মাথার রগ গুলো যেন ছিড়ে যাচ্ছে।

থাক না ভালো অনু অন্য কারো সাথে। এটাই তো সে চায়। সেও তো ইরার সাথে ভালো আছে তাহলে অনু কেন ভালো থাকবে না। তারওতো ভালো থাকার অধিকার আছে। আর শফিন নিজেই তো তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাহলে এখন কেন অনুর জন্য তার মনে পুড়ে।

কথাগুলো মুখে বললেও মন মানতে নারাজ।মন বলছে অনু শুধুই তার।অনুর উপর অধিকার শুধুমাত্র শাফিনের আছে।অনুকে শুধু শাফিন ছুতে পারবে। আনু শুধু শাফিনকে ভালবাসবে অন্য কাউকে না।

এবার শাফিন ভাবছে সত্যিই কি সে ইরাকে ভালোবাসে নাকি শুধুই মোহ ইরার সাথে কেউ হেসে হেসে কথা বললে তো তার রাগ হয় না। ইরাকে অসুস্থ দেখলে তো তার চিন্তা হয় না।ইরার আনন্দে তো সে আনন্দিত হয় না।সে শুধু খুশি হওয়ার চেষ্টা করে।

শাফিন ফোন বের করে গ্যালারি ওপেন করল। এখানেই বন্ধি হয়ে আছে তার আর অনুর হাজারো স্মৃতি। হাতে হাত ধরে হাঁটা রিকশায় চড়া অনুর ফুচকা খাওয়ার ভঙ্গি নদীর পাড়ে কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকা আরো নানা স্মৃতি আছে তাদের। এক সময় এইসব জিনিস গুলো উপভোগ করত সে।

অনুর চাওয়াগুলো বরাবরই খুব সাধারণ ছিল। নদীর পাড়ে হাটতে যাওয়া। ফুচকা খাওয়া। একসাথে বসে মুভি দেখা। মাঝে মাঝে অনুকে খাইয়ে দিতো শাফিন। পাগলিটা যে তার হাতে খেতে খুব পছন্দ করে।খুশি করার জন্য একটা জবাই যথেষ্ট ছিল। অন্যদের মতো গোলাপ নয় জবা তার প্রিয় ফুল ছিল। আর তার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য একটা আইসক্রিম।

ইঁদুর খুব ভয় পেত সে। ইঁদুর দেখলেই চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে নিত। তাই মাঝে মাঝে সে ইঁদুরের ভয় দেখিয়ে অনুকে দিয়ে তার বাড়তি কাজ আদায় করে নিত। কথাগুলো ভেবে শাফিন হেসে উঠলো।

শাফিনের মনে হচ্ছে কত যুগ পার হয়ে গেছে সে অনুকে দেখেনা। এরই মধ্যে ইরার ফোন আসে।

শাফিন: হ্যালো ইরা বল।

ইরা:কি করছ তুমি?আর তোমার গলার আওয়াজ এমন লাগছে কেন?

শাফিন: ও কিছু না এমনি। বেশিক্ষণ শাওয়ারে ছিলাম তো তাই গলাটা একটু বসে গেছে। তুমি বলো তোমার কি খবর কি জন্য ফোন দিয়েছো।

ইরা:ওহ আসল কথা তো বলতে ভুলেই গেলাম। আগামী সপ্তাহে আমার এক ফ্রেন্ডের বার্থ ডে। সেখানে আমার কিছু ফ্যামিলি ফ্রেন্ডরাও থাকবে। আমি তোমার কথা ওদের বলেছি। তাই তুমিও ইনভাইটেড। আমি চাচ্ছি তোমাকে সবার সাথে ইন্ট্রোডিউস করাতে। আর সেখানে আমার আমাদের এংগেজমেন্টের কথা বলবো বাবা মায়ের সাথে।

শাফিন:ওহ। আচ্ছা ঠিক আছে, সময় আর প্লেস বলে দিও তাহলেই হবে।

ইরা: ‘ওহ’ মানে কি শাফিন? তুমি এক্সাইটেড না? আমি তোমাকে আমার ফ্যামিলির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছি। এনগেজমেন্ট এর কথা বলতে যাচ্ছি আর তোমার মধ্যে সামান্যতম এক্সাইটমেন্ট নেই। তো শুধু ‘ওহ’ বলছো? লাইফ সিরিয়াসলি শফিন। তুমি জানো আমি কতটা এক্সাইটেড?

শাফিন সত্যি করে বলোতো তুমি কি আমার নিয়ে সিরিয়াস তো?নাকি বউ যাওয়ার শোকে পাগল হয়ে গেছো?

শফিন: আরে না কি বলছ এইসব তুমি? আমি আসলে একটু নার্ভাস তো তাই এমন করে বললাম। তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো। আচ্ছা বল তোমার কি গিফট চাই পার্টির জন্য?

শাফিন জানে কিভাবে ইরাকে শান্ত করতে হয়।গিফটের কথা শুনে ইরা শান্ত হলো। তারপর তারা বার্থডে পার্টির প্ল্যানিং নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলল। কথা শেষে শাফিন বলল,

ইরা চলনা তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে ফেলি।

ইরা: কেন আমার বাবুটার বুঝি কষ্ট হচ্ছে আমাকে ছাড়া থাকতে? তুমি বললে আমি এখনই তোমার বাসায় চলে আসব।

শাফিন: না বিয়ের পরে তোমাকে একদম বৈধভাবে নিজের করে পেতে চাই। অবৈধভাবে আর না। বিয়ের পর একেবারে বেঁধে ফেলবো আর বাবার বাড়ি যাওয়া চলবে না।শফিউলের কথা শুনে ইরা লজ্জা পেয়ে ফোন রেখে দিল।

এভাবেই চলছিল শাফিন আর অনুর দিনগুলো।
শাফিনের দিন যায় অফিস আর ইরাকে নিয়ে আর রাত গুলো নির্ঘুম অনুর ভাবনা নিয়ে।
অন্যদিকে অনুর দিনগুলো যাচ্ছে তার পরিবার পড়ালেখা আর তার ভেতরে থাকা ছোট্ট প্রাণটা কে নিয়ে।

চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *