সেলিব্রেটি স্বামী

সেলিব্রেটি স্বামী !! Part 29

ল্যাপটপে বসে কিছু একটা কাজ করছিলেন উনি।বিছানায় পা এলিয়ে দিয়ে আরামে আয়েস করে বসে এক ঝুড়ি কাঁচা আম লবনে লাগিয়ে কামড়ে খাচ্ছি আমি।উনি ল্যাপটপটা শব্দ করে বন্ধ করলেন।আমি কেঁপে উঠে তাকালাম উনার দিকে।দেখলাম উনি ভ্রু কুঁচকে চোখ পাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি মুখটা মলিন করে উঠলাম।উনি আমার থেকে মুখটা ঘুরিয়ে নিলেন অন্য দিকে।আমের ঝুড়িটা কোল থেকে নামালাম আমি। উঁচু পেটটা সামলে অগ্রসর হলাম উনার দিকে।সোফায় এসে পা তুলে বসতেই উঠে দাড়ালেন উনি।উনার হাতটা টেনে ধরে আমি খুব অসহায় দৃষ্টিতে তাকালাম।চোখ মুখ ছোট করে ইশারায় বোঝালাম পাশে বসতে।উনি রাগি দৃস্টিতে তাকালেন আমার দিকে।কোনো কথা বলছেন না।আমি টেনে উনাকে বসিয়ে দিলাম আমার পাশে।দুই কান ধরে চোখদুটো বন্ধ করে এক নিশ্বাসে বলে ফেললাম ছরি।হঠাৎ আমার ঘাড়ে আর গলায় গরম নিশ্বাস অনুভব করলাম।চোখদুটো খুলতেই দেখলাম উনি আমার খুব কাছে।উনার চুলের ভাজে হাত ডুবিয়ে বলে উঠলাম,
-স্নিগ্ধা আর কতদিন এবাড়িতে থাকবে আহান?
কথাটা বলতেই উনি আমাকে এক ঝটকায় খানিকটা দূরে সরিয়ে দিলেন।আমাকে টেনে ধরে কপাল চাপড়ে বললেন,
-তোমার এই মাথায় ঢোকে না কিছু? কতবার বলেছি স্নিগ্ধা বিপদে পরেছে তাই এখানে এনে রেখেছি।বারবার ওকে নিয়ে কেন পরেছো তুমি?
-তাই? বিপদে পরেছে? স্নিগ্ধা এতো ভালো আপনার কাছে?
-এখানে ভালো খারাপের কথা আসছে কোথা থেকে?
আমি উনার শার্টের কলারটা টেনে ধরে ঝাকিয়ে বললাম,
-কোথা থেকে আসছে বুঝছেন না? আপনার আর ওর ওই পিকগুলো, যেগুলো মিডিয়ায় ছরিয়ে পরেছে। ওগুলো কি মিথ্যা আহান? আর যদি মিথ্যায় হয় ও এখানে কেন এসেছে? অন্য কোথাও যেতো।
উনি আমার হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরে শার্টের কলার থেকে ছাড়িয়ে নিলেন।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রুমের দরজাটা শব্দ করে আছড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেলেন।পেছনের থেকে চিৎকার করে বললাম আমি,
-হ্যাঁ যান।ওই মেয়েটার কাছেই যান।ভালোভাবে বললে তো শুনবেন না।একদিন বুঝবেন। সেদিন খুব দেরি করে ফেলবেন আপনি।
দাঁত দিয়ে কামড়ে খুব শক্ত করে আমের খোসা ছিলে চলেছি আমি।হঠাৎ দরজায় নক পরতে তাকিয়ে দেখলাম স্নিগ্ধা দাড়িয়ে আছে।স্নিগ্ধা তার উঁচু পেটটা সামলে নিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো রুমের মধ্যে।আমি ওকে না দেখার ভান ধরে বসে রইলাম।এমন সময় ফ্লোরের ঘষায় কার্পেটে বেঁধে গিয়ে নিচে পরে চিৎকার দিয়ে কান্না জুড়ে দিলো স্নিগ্ধা।আমি তাকিয়ে ওকে নিচে পরে চিৎকার করতে দেখে এগিয়ে গেলাম।এমন সময় বাড়ির সব কয়টা সার্ভেন্ট আর শ্বাশুড়ি মাও চলে এলেন।স্নিগ্ধা কাঁদছে আর শ্বাশুড়ি মা আমাকে স্নিগ্ধার থেকে দূরে থাকতে বলছে।আমি নাকি স্নিগ্ধার সন্তানকে পৃথিবীতে আসতে দিতে চাই না সেটা বলছেন সে।আমাকে বকা ঝকা করে স্নিগ্ধাকে নিয়ে চলে গেলেন সে।আর আমি বিছানায় বসে কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমে তলিয়ে পরলাম বুঝতে পারলাম না। ঘুমের মধ্যে ঠোঁট, মুখে কারও গরম নিশ্বাস অনুভব করলাম।ঠোঁট দুটো বন্ধ হয়ে আছে। নিশ্বাস যেন থেমে গেছে। চোখ খুলতেই মুখের সামনে উনার মুখটা দেখতে পেলাম।আমি উনার পিঠে আলতো হাত রাখলাম।উনি আমার ঠোঁট ছেড়ে দিলে দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে বললাম,
-আহান স্নিগ্ধা কি সত্যিই প্রেগনেন্ট? আট মাসের গর্ভবতী।পরে গিয়ে পেটটা সোজা মেঝেতে পরেছিলো।কোনো ক্ষতি হলো না কেন?
আমার মুখে স্নিগ্ধার কথাটা শুনে মনে হলো আবার অস্বস্তিতে পরলেন উনি।আমার উপর থেকে উঠে বালিশটা নিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলেন।আমি উঠে বসে উনার মুখের উপর আরেকটা বালিশ উঠিয়ে ছুড়ে মারলাম।আমার দিকে এক পলক রাগি দৃস্টিতে তাকিয়ে বালিশটাকে কোলবালিশের মতো জড়িয়ে অন্য দিকে ঘুরে ঘুমিয়ে পরলেন উনি।
🍁
সকালে স্নিগ্ধা কিছু একটা বলতে আমার রুমে এসেছে।কালকে শ্বাশুড়ি মায়ের বকাঝকা করাই অনেক খারাপ লেগেছে তার। আমাকে ছরি বলছে সে।
-বিশ্বাস করো আরিশা আমি কিছুতেই চাই নি আমার জন্য তুমি শ্বাশুড়ি মায়ের কাছে কথা শোনো।
-এক মিনিট! শ্বাশুড়ি মা মানে কি? উনি শুধু আমার শ্বাশুড়ি মা।সে আমাকে বকবে, মারবে যা খুশি করবে আপনার কাছে আমি বিচার দিয় নি।আসতে পারেন আপনি এখন!
-ছরি ভুল হয়ে গেছে। তোমার শ্বাশুড়ি মা হবে। কিন্তু আমার জন্য তো কাল আহান তোমার উপর রাগ করল তাই না? সোফায় গিয়ে ঘুমালো।আমারই দোষ।যদি তখন সাবধানে চলতাম।তাহলে এমন কিছুই হতো না।
কথাটা শুনতেই চমকে উঠলাম আমি।মনে মনে ভাবলাম, উনি সোফায় ঘুমিয়েছে সেটা স্নিগ্ধা কিভাবে জানলো? স্নিগ্ধাকে ঝাকিয়ে বললাম আমি,
-আপনি কিভাবে জানলেন উনি কাল রাতে সোফায় ঘুমিয়েছে?
স্নিগ্ধা চুপ হয়ে আছে।আমি ওনার থুতনিটা ধরে উঁচু করে বললাম,
-চুপ করে থাকবেন না বলেন স্নিগ্ধা?
স্নিগ্ধা আমতা আমতা করে বলল,
-আহান বলেছে।
আমি স্নিগ্ধাকে ছেড়ে দিলাম।অসহায় দৃষ্টিতে স্নিগ্ধার দিকে তাকালাম।স্নিগ্ধ নিচু দৃষ্টিতে বলল আমাকে,
-যতোই হোক আহানের সন্তানের মা হতে চলেছি আমি।আমার কাছে তো আসবেই তাই না? আহান আমাকে সব বলে তোমাদের মধ্যে আমাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়।আমি চাই না তোমাদের মধ্যে ঝামেলা হোক তাই চলে যাবো।শুধু তোমার শ্বাশুড়ি মায়ের কথা ভেবে যেতে পারি না।
-চুপপ করুন।আপনার গর্ভে উনার সন্তান না।
-এটা তুমি বললেই সত্যি হয়ে যাবে না আরিশা।সব প্রমাণ মিডিয়ার কাছে আছে।তোমার শ্বাশুড়ি মাও বিশ্বাস করেন এটা।গোটা পৃথিবী জানে আমার গর্ভে সুপারস্টার আহান খানের সন্তান।
-ওই ছবিগুলো মিথ্যা।
-তাই? তুমি নিজে জিজ্ঞাসা করো তো আহানের কাছে। ছবিগুলো মিথ্যা কিনা।যদি মিথ্যা হয় সত্যি আমি চলে যাবো এখান থেকে।কিছুক্ষণ চুপ থেকে,,জানো আরিশা তোমার মতোন আমারও একটা জীবন ছিলো।বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিলো ডাক্তার হবো।বাবা কৃষক।খুব গরীব পরিবারে জন্ম আমার।লেখাপড়ায়ও ভালো ছিলাম।এসএসসি পাশ করার পর যখন কলেজে উঠলাম।বাবা আমাকে শহরে পাঠিয়ে দিলো একটা ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে। একদিন কলেজ শেষে হোস্টেলে ফিরছিলাম।হোস্টেলের গেইটের সামনে শুটিং চলছিলো সিনেমার।সুপারস্টার আহান খান সেই সিনেমার হিরো।যার পাগলের মতোন ফেন আমি।ভীর ঠেলে ছুটে শুটিং এর মধ্যে গিয়ে অটোগ্রাফ চাইলাম।সে আমাকে প্রথমবার দেখেই আমার পাগলামি গুলো পছন্দ করে শুটিং বন্ধ করে দিলো।আমার সাথে দু’ঘন্টা সময় কাটালো।একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে আমার দিকে দু’ঘন্টা তাকিয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে।তারপর পেয়েছি বলে চিৎকার করে উঠে দাড়িয়ে বলল, তুমি কি আমার সিনেমার হিরোইন হবে? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।রাজি হয়ে গেলাম।সিনেমার কন্টাক্ট পেপার সেই দিনই সাইন করে দিলাম।বাবাকে ফোন করে খুশির খবরটা দিলাম কিন্তু বাবা খুশি হলেন না।আমাকে বলে দিলেন আমি যদি এই জগতে পা রাখি তাহলে বাবা ভুলে যাবে আমি তার মেয়ে। আমি বাবার কথা ভাবতে লাগলাম।এদিকে আহানেরও ফোন আসছিলো।আমি ফোন রিসিভ করতেই আহান বলল শুটিং এর জন্য নিজে আমাকে নিতে এসেছে।বেলকনিতে দাড়িয়ে দেখলাম সকলকে অটোগ্রাফ দিচ্ছে আহান।সেই মুহূর্তে আমি ভুলে গেলাম আমার বাবা ছিলো।আমার একটা পরিচয় ছিলো।শুধু আহানের সাথে একটু সময় কাটাবো বলে। মরিচিকার মতোন আহানকে প্রতিটাদিন দেখতে চাইতাম।আমার অতীতের সব কিছু ভুলে এই জগতে আসা।আমাদের জুটিটা দর্শকের এতো পছন্দ ছিলো যে গত দশ বছরে আহান আমার সাথে শতাধিক সিনেমা করেছে।আহান অনেক এক্টরের সাথে সিনেমা করেছে কিন্তু আমি শুধু আহানের সাথে। আমাদের দুজনের জুটিটা হয়ে উঠেছে দর্শকের কাছে সেরা জুটি।যেদিন আহানকে আমি প্রপোজ করতে চেয়েছিলাম সেদিন শুনি ওর বিয়ে।আমি এসেছিলাম বিয়ের দিন সেই ভাগ্যবতী মেয়েটাকে দেখতে যে আহানকে পাবে।কিন্তু পারি নি।তোমার সমস্ত শরীর আপাদমস্তক ঢাকা ছিলো।তোমাদের বিয়ের কিছুদিন পর আহান আমার বাসায় আসে।আমাকে বলে ও কত কস্টে আছে।সুপারস্টার আহান খান একটা সাধারণ মেয়ের জন্য কাঁদছে এটা দেখে আমি অবাক হই।ওই দিন আহান মদ খেয়ে ভুলটা করে বসে।যার মাসুল এখন আমার গর্ভে।রাতে ওকে আমি নিজে ড্রাইভ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়।কাউকে বলি নি কি হয়েছিলো আমাদের মধ্যে।পরের দিন শুনি আহান হার্ট অ্যাটাক করেছে।আমি যাই নি দেখতে।চলে যায় সেই রাতে এই দেশ ছেড়ে।নিজেকে গা ঢাকা দিয়ে কিছুদিন বাইরের দেশে থাকি।যখন জানতে পারি আমি প্রেগনেন্ট তখন আমার সন্তানের কথা ভাবি।ওতো নিষ্পাপ।কোনো দোষ করে নি তাহলে আমার ভুলের মাশুল ও কেন পাবে? সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কথা ভেবে ফিরে এলাম এদেশে আবার।আহানকে বললাম ও কোনো কথা বলল না।ফোন দিলেও রিসিভ করে চুপ করে থাকতো।তাই মিডিয়ার সাহায্য নিলাম।ওই ছবিগুলো দেখিয়ে আহানের বাড়িতে একটু জায়গা নিলাম।আহান তোমাকে হারাতে চাই না।তাই তোমার কাছে কথা ঘুরিয়ে দেয়। তবে সত্য এটাই আমার গর্ভের সন্তানের বাবা আহান।আজ তোমাকে এসব বলার একটাই কারণ তুমি আমাকে এতোগুলো দিন ভুল বুঝে এসেছো।কিন্তু আমার সন্তানকে নিয়ে কখনো এমনটা আর বলো না আরিশা।টাকা, ধন, দৌলত কিছুর অভাব নেই আমার।শুধু আছে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের অভাব।তাই এখানে পরে আছি।
🍁
এওয়ার্ডস ফাংশনের সামনে একটা গাড়ি এসে দাড়ালো।গাড়ি থেকে পরপর দুজন মানুষ নামলেন।একজন ডিসুজা আর অন্যজন চুমপুয়িং। ডিসুজা ঘুরে এসে গাড়ির পেছনের দরজাটা খুলে শুদ্ধ বাংলায় স্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে বললেন,
-আজ তোমায় সকলের সামনে আসতে হবে ম্যাশ। গাড়ি থেকে নামো।
ডিসুজা নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিলেন ম্যাশের দিকে।ম্যাশ একটু দ্বিধা বোধ নিয়ে আমতা আমতা করে বললেন,
-আপনি সরে দাড়ান আমি নামছি।
ডিসুজা কপাল কুঁচকে ম্যাশের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-আজ কোনো লুকোচুরি নয়।তোমাকে নিজের হাতে আজকের এওয়ার্ডটা নিতে হবে।
ম্যাশ এদিকে ওদিকে তাকিয়ে বললেন,
-আচ্ছা নিবো।
গাড়ি থেকে ম্যাশ নামতেই ছুটে এলো ম্যাশের ফেনেরা।সকলে এসে ম্যাশের মাথা থেকে পা পর্যন্ত খুটিয়ে দেখে ম্যাশের পেছনে উঁকি দিচ্ছে।ডিসুজা হেসে উঠে বললেন,
-আরে তোমরা গাড়িতে কাকে খুঁজছো? এটাই তোমাদের ম্যাশ।
কথাটা বলার সাথে ম্যাশ যেন ভীরের মধ্যে আটকা পরে গেলো। পেছনের গাড়ি থেকে কয়েকজন গার্ড এসে ফেনদের দূরে সরিয়ে ম্যাশকে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে।ম্যাশের পড়নে সাদা গাউন।মুখে ওরনা দিয়ে পেচিয়ে হিজাব বাঁধা।মুখ দেখা যাচ্ছে না।ডিসুজার কথা রাখতে ম্যাশ এই এওয়ার্ড ফাংশনে এসেছেন।কিন্তু কিছুতেই নিজেকে মিডিয়ায় প্রকাশ করতে চাই না সে।
ফাংশন শুরু হয়ে গিয়েছে।একে একে অনেক গায়ক, গায়িকারা এসে গান গাইলো।যখন বললো রকস্টার রুহান গান গায়বে ম্যাশের বুকের ভেতরটা ধুপ করে কেঁপে উঠলো।ম্যাশের হাতে পায়ে গাউনের সাথে ম্যাচ করে মোজা পরা।চোখ দুটো শুধু বেড়িয়ে আছে।রুহান নামটা শুনে অঝোরে অশ্রু গড়িয়ে পরছে সেই দু’চোখ বেয়ে।ম্যাশের ডান পাশের সিটে চুমপুয়িং বসা।সে ম্যাশের হাতটা চেপে ধরে কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললেন,
সবার আগে আমার গল্প পেতে নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজে আসবেন।
-নিজেকে ভেঙে পরতে দিও না মাইশা।যার জন্য নিজেকে ম্যাশ করে তুলেছো তার সামনে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হবে তো।
ম্যাশ হালকা মাথা ঝাকিয়ে চুমপুয়িং এর কথায় সম্মতি জানালেন।
স্টেজের সব লাইট অফ।মাইক হাতে রুহান দাড়িয়ে আছে সমস্ত লাইট এসে শুধু রুহানের উপরে পরেছে।রুহান গান গেয়ে চলেছে।কস্টের গান। গাইতে গাইতে হঠাৎ থেমে গেলেন মাঝপথে।স্টেজের মাঝখানে বসে পড়লেন রুহান।সকলে রুহানকে উঠতে বলছে রুহান উঠছে না।এক ধ্যানে বসে আছে কারও কথা কানে যাচ্ছে না তার। চুমপুয়িং ম্যাশের হাতটা শক্ত করে ধরে আছে যেন ম্যাশ ছুটে রুহানের কাছে না যেতে পারে এই মুহূর্তে। ম্যাশ চুমপুয়িং এর দিকে তাকিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে বলছে প্লিজ আপু যেতে দিন আমায়।ম্যাশের এমন ব্যাকুলতা দেখে চুমপুয়িং ম্যাশকে ছেড়ে দিলেন চোখের ইশারায় ম্যাশকে বললেন যেতে।ম্যাশ উঠে দাড়িয়ে ছুটতে ছুটতে স্টেজের কাছে চলে আসে।স্টেজের ভেতরে ঢুকতে যাবে এমন সময় রুহান গান গেয়ে ওঠে।ম্যাশ থেমে যায়। তাকিয়ে দেখে রুহানের হাত ধরে সেনডি দাড়িয়ে আছে।আর রুহান গান গাইছে।
চলবে,,,,