সেলিব্রেটি স্বামী

সেলিব্রেটি স্বামী !! Part 03

সকলের সামনে ভালোবাসার অভিনয় দেখিয়ে উনি আমাকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে।তারপর রুমের দরজাটা ভেতর থেকে লক করে ধপাস করে আমাকে উনি ফ্লোরে ছেড়ে দেয়।আগের থেকে সারা শরীরে অসহনীয় ব্যাথা।তার উপর এমন আঘাতে শরীরটা ব্যাথায় কুকড়ে আছে।আমি যেন নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি। মনে হলো যেন শরীরের সব হাড্ডিগুড্ডি ভেঙো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে।আমি আস্তে করে চোখ দুটো বন্ধ করে নিই।আমার কানে উনার কথা ভেসে আসে,
-ওয়াও কত্ত নাটক জানিস রে তুই? তোকে মিডিয়ায় আনলে একদিনে সুপারস্টার হয়ে যাবি।
আমি আর কিছু শুনতে পারি না।ততোক্ষণে নিজের জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।যখন চোখ খুলি তখন নিজেকে বধূ বেসে ফুলে সাজানো বিছানায় আবিষ্কার করি।
আমি তো বোরখা পড়া ছিলাম।আমাকে এভাবে কে সাজালো? উনি সাজিয়েছে? উনি আমার শরীরে হাত দিয়েছে? আমার এতোদিন ধরে পরিপূর্ণ পর্দা করা। নিজেকে স্বামীর জন্য তুলে রাখা। সব ভেঙে দিলো উনি? (মনে মনে)
কান্না পাচ্ছে আমার খুব।নিজের শরীরটাকে বারবার দলা ঘষা করছি।আবার লজ্জা করছে খুব। ঘৃণাও হচ্ছে। ওই রকম একটা নোংরা মানুষ আমার শরীরে এভাবে স্পর্শ করেছে ভেবে।
দরজা খোলার শব্দে কেঁপে উঠি।আমার হাতদুটো দিয়ে শক্ত করে বিছানার চাদর টেনে ধরি।বুকের ভেতর ধুপ ধুপ করছে।খেয়ার করি আমার মুখে লম্বা ঘোমটা টানা।উনি ধীর পায়ে হেঁটে আমার সামনে এসে বসে পরে।আমি ভয় পাচ্ছি।ভয়ে ভয়ে আমতা আমতা করে কিছু বলতে যাবো হঠাৎ খেয়াল করি উনি ঢুলছে।হাতে উনার মদের বোতল।যা দুম করে আমার কোলের উপর রেখে দেয়।নেশা নেশা চোখ দুটো গোলগোল ঘুরিয়ে বিছানায় কনুই ঠেকায়।আর আমার মুখের সামনে উনার দুই হাতের তালুতে নিজের থুতনি ঠেকায়।
-আজ আমি বাসর করবো।কার সাথে? আমার বউয়ের সাথে?
আমার তো ইচ্ছা করছে এই বোতল দিয়ে উনার মাথা ফাটিয়ে দিয়।চলে যায় পালিয়ে।এই রাক্ষসটা আমার সাথে আজ রাতে কি করবে তা আল্লাহই জানে।
উনি আমার হাত ধরে হেঁচকা টানে বিছানায় শুইয়ে দেয়। তারপর আমার পেটের উপরে উঠে বসে।আমার মুখে এখনো ঘোমটা টানা।আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।শরীরে আমার একটুকুও বল নেই।উনি আমার পেট থেকে শাড়ির আঁচলটা সরিয়ে মদের বোতলটার মুখ খুলে সবটুকু মদ আমার পেটের উপরে ঢেলে দেয়। তারপর উনি নিচু হয়ে আমার পেটের কাছে নিজের মুখটা নিয়ে আসে। উনি জ্বিব বেরিয়ে দিতেই আমি একটা চিৎকার দিয় আর উনি আমার পেটে খুব জোড়ে একটা চিমটি কেটে উঠে আসে আমার উপর থেকে।
হা হা হা করে সয়তানি হাসি হাসতে থাকেন উনি।আমি উঠে বসতেও পারছি না শরীরের ব্যাথার জন্য। উনি আমার হাত ধরে টেনে শোয়া ছেড়ে উঠিয়ে বসায়।
-কি? কেমন দিলাম এ্যাক্টিং?
এ্যাক্টিং? কি বলছেন উনি? (মনে মনে)
উনি আমার হাত ধরে টেনে আমার মুখের কাছে নিজের মুখটা নিয়ে আসে। আমার মুখে এখনো ঘোমটা।পাতলা ঘোমটাতে আমি উনাকে দেখতে পারলেও ওপাশ থেকে উনি আমাকে দেখতে পারছেন না।
-কি ভাবলি? তোর সাথে আমি বাসর করবো? একটা জঙ্গলি! বোরখাওয়ালী! তুই কল্পনায়ও আনতে পারবি না হাজার হাজার সুন্দরী মেয়েরা আমার জন্য লাইন দিয়ে বসে আছে।জাস্ট একটাবার বলবো আমাকে কিস দাও? হুমড়ি খেয়ে সব মেয়েরা ঝাঁপিয়ে পড়বে আমার উপর।
আমি উনার কথা শুনছি।ভাবছি কতটা অসভ্য আর নোংরা এই লোকটা? যে কিনা বাসর রাতে বউকে এসব বলছে! ছিঃ আমার কি মাথা খারাপ? যে এই লোকটার সাথে বাসর করতে চাইবো? আমার তো উনাকে দেখলেই ঘৃণা হয়। গা ঘিনঘিন করে আমার।
আমি শত সংসয় কাটিয়ে উনাকে একটা প্রশ্ন করি শুধু,
-আমাকে আপনি স্পর্শ কেন করেছেন? তখন জ্ঞান ছিলো না আমার। সেই অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমাকে আপনি স্পর্শ করেছেন।
উনি আমাকে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ছুড়ে নিচে ফেলে দেয়।
-তোর মতোন মেয়েকে স্পর্শ করবো আমি?
হেসে লুটোপুটি খান উনি।বিছানার উপর গড়াগড়ি খাই হাসতে হাসতে। হাত পা ছুড়ছে আর বলছে, সস্তা। মোড়কে ধাকা মেয়ে তুই। ডাফার! তোর মা তোকে চেঞ্জ করে দিয়েছে। তোকে সাজিয়ে দিয়েছেও তোর মা।
আমি কথা বলার মতোন অবস্থায় নেয়।যেভাবে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলেছেন উনি তাতে ব্যাথায় আমার শরীর বন্ধ হয়ে আছে।কোমড়ের দিকটাতে ঝিমঝিম শব্দ করছে মনে হচ্ছে।
উনি নিচে মেনে এসে জুতা পরে আমার পায়ের উপর নিজের পা রেখে দাড়ায়।আর পায়ে মোচড় দিয়ে বলে,
-কি ব্যাথা লাগছে? সুপারস্টার আহান খানের গালে চর মারা তাই না? তোকে বিয়ে কেন করেছি জানিস? সারাটা জীবন এই যন্ত্রণাটা ভোগ করাবো বলে।
আমি ব্যাথায় ছটফট করছি।দাপাদাপি করছি।কিন্তু উঠে দাড়াবার শক্তিটা আমার মধ্যে নেয়। আমি চিৎকার করতে পারছি না।আর করলেও কেউ শুনবে না।আমি যে বন্দী হয়ে গেছি সারাজীবনের জন্য এই নোংরা লোকটার কাছে।সেটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি।
উনি জুতা পরা অবস্থায় আমার পায়ের উপরে উঠে হেঁটে আমার বুক পর্যন্ত এসে দাড়ায়। আমার ভেতরটা ব্যাথায় ফেটে যাচ্ছে।কিন্তু শরীর আমার নিস্তেজ।কিছু করতে পারছি না শুধুই শুনছি।উনি আমার মুখের উপরে জুতা পরা পা নিয়ে আসতেই আমি নিজের চোখদুটো বন্ধ করে দিয়।আর উনি লাফ দিয়ে নেমে যায় আমার উপর থেকে।
-তোকে বিয়ে করে একদিন থেকে ভালোই হয়েছে।সেদিন যে থাপ্পড়টা দিলি তুই আমায়? তারপর গল্পটা সাজালাম।মিডিয়াতে জানিয়ে দিলাম স্ট্রাটার্স দিয়ে প্রথম থাপ্পড়ে বোরখাওলীর সাথে প্রেম।আর আগামী সপ্তাহে বিয়ে। সকলে ভাবে আমাদের মধ্যে অনেক প্রেম।আমাদের প্রেমের কাহিনী শুনে কত বড় বড় রোমান্টিক মুভির অফার দিয়েছে কতজন; তোকে যে কি বলবো না? মেরে ফেলার হলে তো তোকে আগেই মেরে ফেলতাম।কিন্তু যেই সার্ভিসটা দিচ্ছিস তাতে আর মারলাম না।তুই বেঁচে থাক আর চার দেয়ালের মধ্যে এই যন্ত্রণাটা ভোগ কর।
কথাগুলো বলে আমাকে একটা লাথি দিয়ে উনি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে।
চলবে,,,,