সিনিয়র বউ –পর্ব-১৬
সাদে বসে বসে জারার কথা গুলো ভাবছি আর কখন
ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা সকালে
ফজরের আজান শুনে ঘুম বাঙ্গলো দেখি সাদে
বেঞ্চের উপর শুয়ে আছি উঠে রুমে এসে
ফ্রেস হয়ে নামাজ পরতে গেলাম নামাজ পড়ে
এসে রুমে আবার ঘুম আম্মুর ডাকে ঘুম থেকে
উঠলাম,,
আম্মু: রিয়াদ তুই মেডিকেল যাবি কখন জারার
আব্বুকে বাসায় নিয়ে যাবি কখন,,?
আমি: হ্যা যাচ্ছি,, বলে নিচে আসলাম অনিকাকে
কোথাও দেখছিনা যাক তাহলে আপদ বিদায় হয়ছে
মনে মনে কথা গুলো বলছি তখনি,,
আব্বু: রিয়াদ তুই মেডিকেল যাবি কখন,,?
আমি: নাস্তা করে রওনা দিব,,
আব্বু: ঠিক আছে আর একদিন ঐখানে থেকে
বউমাকে নিয়া আগামিকাল বাসায় আসবি,,
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে,,, নাস্তা করে ফ্রেসহয়ে
বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম তবে মেডিকেল
যাওয়া যাবেনা কারন জারা আমাকে অনুরুদ করছে ওর
সামনে না যেতে তবে একটু যায় আরাল থেকে
দেখবো আমি ৩০মিনিট পরে মেডিকেল গেলাম
রাস্তায় দারিয়ে আছি তখনি দেখি জারা অার আন্কেল
দুজনে মেডিকেল থেকে বের হচ্ছে যাক
আব্বু জিগ্যাসা করলে বলতে পারব,,তখনি দেখি
দোস্ত
সোহেল,,
সোহেল: কিরে রিয়াদ জারা আপু কি হয়ছে ওনি ঠিক
আছেত,,
আমি: সালা তোর ভাবি লাগে আপু বলিস কেন,,?
সোহেল: তাহলে তুই এই বিয়েটা মেনে নিবি,,?
আমি: তুইত কাল বলছিস জারা অনেক ভাল মেয়ে আমি
ওর সাথে অনেক শুখে থাকব আর এখন এই কথা
জিগ্যাসা করছিস কেন,,তবে জারা আমাকে এখন আর
ভালোবাসে না,,?
সোহেল: কি বলিস তুই,,কিন্ত কেন,,?
আমি: হ্যা ওর আব্বু স্টোক করছে তার জন্য
আমাকে দায় করে,,?
সোহেল: কিন্ত কেন একটু খুলে বল,,
আমি: তাহলে শুন বলছি সবকিছু সোহেলকে
বললাম,,
সোহেল: অকে আমরা যা করব কাল কলেজে
করব তবে আজ সারাটা দিন একটু গুরা গুরি করে কাটিয়ে
দে,,
আমি: ওকে দুস্ত,,বলে চলে আসলাম সারাদিন
এখানে ঐখানে কাটিয়ে রাতে বাসায় গেলাম তখনি,,
আম্মু: কিরে তুইনা আজ জারাদের বাড়ীতে থাকার
কথা কিন্ত চলে আসলি কেন,,?
আমি: জারা ওর আব্বুকে দেখাশুনার জন্য আরো
কয়দিন থাকবে তাই আমি চলে আসছি রাতের খাবার
খেয়ে ঘুম দিলাম আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে
হাল্কা নাস্তা করে কলেজে গেলাম আর
কলেজে গিয়ে আমার মেজাজ ৪২০ হয়ে গেছে
জারার পোস্টার সারা কলেজ লাগিয়ে দিয়ে আর বড়
বড় করে লিখে দিয়েছে জারা এবং সাগরের মদ্দে
গবির ভালোবাসা চলছে,,, সোহেলকে জিগাস্যা
করি,,,
আমি: এই সোহেল সাগরটা আবার কেরে,,?
সোহেল: তোর মনে আছে ঐদিন জারাকে
একটা ছেলে হাঠো গেরে ফুলের তোরা
দিয়েছিল ঐ ছেলেটা হচ্ছে সাগর,,,
আমি: চলত দেখি কই আছে বলে আমি আর
সোহেল দুজনে খোজে বের করলাম সাগর
রাস্তায় দারিয়ে আছে ফুলের তোরা নিয়ে আমি
কাছে গিয়ে হাত থেকে ফুলের তোরাটা নিয়ে
নেই আর তখনি সাগর আমাকে ধাক্কা মারে আমি
পেচনে পড়েযেতেছি তখনি জারা সামনে চলে
আসে আমি জারাকে জরিয়ে দরে মাঠিতে পরে
গেলাম নিচে জারা আমি উপরে জারা আমার দিকে
তাকিয়ে আছে আর আমিও তখনি সাগর আমাকে
টেনে তুলে ফেলে তারপর আমার আর সাগরের
মাঝে হাতা হাতি হয় তা দেখে জারা চলে যায় তারপর
আমাকে সাগরকে আর জারাকে পিন্সিপল স্যার তার
রুমে ডেকে নিয়ে গেছে,,
পিন্সিপল: সাগর কি হয়ছে বল,,?
সাগর: স্যার রিয়াদ আমার ফুলের তোরা নিয়ে
গেছে,,তাই আমি ওর সাথে ঝগড়া করছি,,
পিন্সিপল: রিয়াদ তুমি সাগরের ফুলের তোরা দরছো
কেন,,? আর সাগর তোমার সিনিয়র বড় ভাই তুমি কি
জাননা
নাকি,,?
আমি: জানি স্যার,, তবে ওনি আমার ওয়াইফ কে
ড্রিসট্রাব
করে ফুলের তোরা দিয়ে তাই আমি এমনটা করছি,,
পিন্সিপল: রিয়াদ তুমি বিয়ে করছো কবে আর
তোমার
ওয়াইফ কে,,?
আমি: আমার ওয়াইফ জারা,,
পিন্সিপল: কি বললে তুমি জারা তোমার ওয়াইফ কিন্ত
জারাত তোমার সিনিয়র,,
আমি: বিশ্বাষ না হলে জারাকে জিগাস্যা করে দেখুন
তাহলে সব জানতে পারবেন,,?
পিন্সিপল: জারা রিয়াদ যা বলছে সবকিছু সত্যি বলছে,,?
জারা: স্যার রিয়াদ সব মিথ্যাকথা বলছে আমি রিয়াদকে
চিনিনা আজ প্রথম দেখলাম,,,,
পিন্সিপল: রিয়াদ জারাত বলছে তুমাকে চিনেনা তাহলে
তুমি মিথ্যাকথা বলছো কেন কলেজে আসছো কি
মারা মারি করতে আজকের মত মাফ করে দিলাম ফের
যদি আর কোনদিন কলেজে মারা মারি কর তাহলে টিসি
দিয়ে দেব কথাটা মনে রেখ আর সাগর তুমি
কথাগুলো মনে রাখবে যাও এখন সবাই,, আমি আগে
বেরিয়ে আসলাম জারাকে জিগাস্যা করতে হবে
কেন এমন করছে তাই দারিয়ে আছি তখন দেখলাম
জারা আর সাগর দুজনে হাসতে হাসতে আসতেছে
একসাথে,,,,আমি নিজের চুখ গুলোকে বিশ্বাষ
করাতে পারছিনা আমি কি দেখতেছি তাহলে জারা কি
আমার সাথে এতদিন অবিনয় করছে এই কথাটা জারাকে
জিগাস্যা করতে হবে,,,,,
।
চলবে,,,,