শূন্যতায় অস্তিত্ব !! লেখাঃ তাজরীন খন্দকার
শূন্যতায় অস্তিত্ব
_কেমন টিউটর রাখছো আম্মু? পড়াতে এসে দেখো মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত! যদি স্টুডেন্ট রেখে ফোনে মনোযোগ থাকে, তাহলে শিখাবে কি? শুধু শুধু এতোগুলো টাকা দাও।
পাশের রুমে এমন কথা শুনে আমি চমকালাম, হাতের ফোনটা টেবিলে রেখে শোনার চেষ্টা করলাম এরপর কি বলছে। কণ্ঠটা এই বাসায় অপরিচিত একদম, এই বাসায় দেড় মাস ধরে টিউশনি করছি কিন্তু এরকম আওয়াজের কোনো মানুষ দেখিনি৷ কথার মধ্যে প্রচন্ড রাগ বুঝা যাচ্ছে। আন্টি কিছুটা নরম স্বরে বলতে লাগলো,
___ এতদিন পরে বাসায় আসছিস, ওইদিকে কেন তাকাচ্ছিস বলতো?
সাথে সাথে একটু মেজাজের সাথে ছেলেটা উত্তর দিলো,
___মাইনে দিয়ে টিউটর রাখছো না? তাহলে ঠিকঠাক পড়াচ্ছে কিনা এগুলো খেয়াল করবেনা?
তারপর কোনো আওয়াজ শুনলাম না৷ হয়তো ভেতরের রুমে চলে গেছে। আমি ভেবেছিলাম আন্টি কিছু বলবে কিন্তু তিনি আমার সম্পর্কে পজিটিভ কিচ্ছু বললো না। এই রুমের জানালার পাশ দিয়ে অন্য রুমে যেতে হয়, উনি হয়তো পেছন থেকে আমাকে ফোন চালাতে দেখে গেছে। আমার অজান্তেই খারাপ লাগতে লাগলো। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল বারবার।
আমার স্টুডেন্ট ইয়াসের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ক্লাস নাইনে পড়ে সে, কোনো কিছুই তার বুঝার বাইরে না। আমি বুঝতে পারছিলাম না এখন আমার কি বলা উচিত। ইয়াসকে আমি এই কয়দিন টাকার চুক্তিতে পড়াইনি। আমার সামনে ফাইনাল ইয়ার পরিক্ষা তারপরও ওকে আমি এতো সময় দিচ্ছি। এখন টাকার প্রসঙ্গ আসছে যেহেতু তাহলে এই টিউশনিটাই ছেড়ে দিবো।
হাত মুঠো করে আস্তে আস্তে আমি উঠে দাঁড়ালাম।
বাম দিকে আন্টির রুমে যেতে যেতে আচমকা ঝাপসা চোখে কাউকে সামনে দেখে সরে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার সাথে সাথে ছেলেটাও থেমে গেলো, শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে রুম থেকে বের হয়েছিল, আমাকে দেখে থামলো কেন বুঝতে পারলাম না। চোখ নিচু করেই অপেক্ষা করছিলাম সে চলে যায় কিনা। কিন্তু গেলোনা, উল্টো আমার এপাশ ওপাশ কিছুক্ষণ ঘুরে বলে উঠলো,
___প্রীলি তুমি এখানে?
আমি এবার খুব পরিচিত একটা স্বরের সন্ধান পেলাম। চমকে উঠে তার চেহেরার দিকে তাকিয়েই আমি শিউরে ওঠলাম, অস্পষ্টতায় ভেতরেই শব্দটা উচ্চারণ হলো, তিয়াস! একটু একটু করে সরে গিয়ে পেছনে একবার তাকিয়ে কিছু না বলেই আন্টির রুমে চলে গেলাম। গিয়ে বলে আসলাম এই টিউশনিটা করা সম্ভব নয়।
আন্টির প্রশ্নবদ্ধতায় এটাও বলেছিলো তার বড় ছেলের কথা শুনে ছেড়ে দিচ্ছি কিনা। আমি এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে নিজের পরিক্ষার বাহানায় কোনো রকম চলে আসলাম। আন্টির কোনো কথাকেও পাত্তা দিলাম না, আবার তিয়াস পেছন থেকে কিছু বলতে চাচ্ছিলো,সেটাও শুনলাম না।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম আর বারবার কপালের মিহি ঘামগুলো ওড়না দিয়ে মুছে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করছিলাম,ঠিক তিয়াসের মতো!
রুমে এসে ব্যাগটা রেখে বিছানার উপর সোজা হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। উপরের ফ্যানের সাথে মাথাটাও যেন চক্রাকারে ঘুরছে। এতোদিন ওই বাড়িতে আছি অথচ আমি কোনোভাবেই বুঝতে পারিনি ওটা তিয়াসদের পরিবার। জানলে কখনোই আমি ওই বাড়িতে পা রাখতাম না। আমি ওই পরিবারকে দেড় মাসে চিনেছি এবং জেনেছি, কিন্তু শুধুমাত্র তিয়াসকে চিনতাম বহু বছর আগ থেকেই, তখন তার বাবা-মা পরিবার সম্পর্কে কিছু জানতাম না, জানতে চাইও নি।
সে একটুও শুধরায় নি, নাহলে টিউটরকে পাশের রুমে রেখে এরকম ব্যবহার কি করে সম্ভব?
ওইদিকে তিয়াস অনেক্ষণ যাবৎ রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ তার মনে হলো, সে এসে প্রীলিকে শুনিয়ে ফোন চালানো নিয়ে বাজেভাবে কথা বলছিল। এইজন্য প্রীলি টিউশন ছেড়ে দেওয়ার জন্য তখন তার মায়ের রুমে যায়নি তো? তিয়াস তারাহুরো করে বের হতেই দেখলো তার মা তার সামনে। তাকে দেখেই উনি বললেন,
___চল খেতে আয়। আর শুন তুই আসছিস যেহেতু আজ থেকে ইয়াসকে তুই-ই পড়াবি।
তিয়াস বিরবির করে বললো,
___তার মানে প্রীলি টিউশন ছেড়ে দিয়েছে?
তিয়াসের মা কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
___ কিরে প্রীলি কে? লিয়ার কথা বলছিস?
তিয়াস অপ্রস্তুত হয়ে বললো,
___প্রীলিয়া থেকে আমি প্রীলি বলছি আর তুমি লিয়া বলছো। একই তো।
এবার তিয়াসের মা রোজিনা বললো,
___ছাড়বেনা তো কি করবে? এভাবে বলে কেউ? সে টাইম ধরে এক ঘন্টা, আধ ঘন্টা পড়ায় না বুঝলি? তোর ভাই যে গাধা ওরে বসে সব পড়া শিখাইয়া তারপর যায়। এতো সময় মেয়েটা কি করবে বলতো? তাই ফাঁকে ফাঁকে একটু ফোন চালাতো। একমাসের পড়ানোতেই ইয়াসের দ্বিতীয় সাময়িকের রেজাল্ট কতো ভালো হয়েছে জানিস? কালকেই রেজাল্টশিট আনলাম।
তিয়াস চোখ দুটো বন্ধ করে মাথায় একটা হাত রেখে বললো,
___ আমাকে আগে জানানো উচিত ছিল না? আমি কি জানি যে নতুন টিউটর নিছো? তাছাড়া এই মেয়ে আসছে জানলে বিশ্বাস করো, না পড়াইয়া শুধু মোবাইল চালালেও আমি চলে যাওয়ার কথা বলতাম না। উল্টো আমার পক্ষ থেকে বেশি বেতন দিয়া বলতাম বছর বছর ওকেই রাখো।
তিয়াসের মা ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,
___লিয়াকে আগে থেকেই চিনতিস? নাকি দেখে ভালো লেগেছে?
তিয়াস আড়চোখে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে একটু মিটমিটিয়ে হেসে সেখান থেকে চলে গেলো। তিনি ছেলের এমন হাসিতে ধরে নিলেন লিয়াকে দেখার পরে ভালো লেগেছে হয়তো। তিয়াসের মা রোজিনাও এইকয়দিনে লিয়াকে খুব পছন্দ করেন৷ শ্যামলার মধ্যে উজ্জ্বল গায়ের রঙ লিয়ার, চোখ দুটো যেন শুধু মায়া দিয়েই সৃষ্ট হয়েছে। সে আহামরি সুন্দরী নয়। কিন্তু চিমচাম গড়ন আর মিষ্টভাষী আচরণে না চাইলেও যে কেউ মায়ায় পড়ে যাবে। প্রীলিয়া নামটা উনার কাছে কঠিন মনে হয় বলেই তিনি শেষের দিকের সহজ শব্দটা উচ্চারণ করে শুধু লিয়া ডাকেন। লিয়া ডাকতে ডাকতে এখন প্রীলিয়ার পুরো নামটাও ভুলে গেছেন। এমনিতেও তিয়াস ছাড়া সবাই-ই লিয়া বলে ডাকে।
সন্ধ্যা নেমে আসলো, আমি এখনো বিছানা থেকে উঠিনি। দুপুরে তাড়াহুড়োতে খেয়েও যাইনি। মাগরিবের আজানের সাথে সাথে আমার রুমমেট প্রভা রুমে এসে লাইটের সুইচ দিয়েই হিজাব খুলতে খুলতে পরিশ্রান্ত স্বরে বললো,
___,কিরে লিয়া অসময় ঘুমাচ্ছিস! রুমও অন্ধকার, কোনো সমস্যা হয়েছে? অসুস্থ বোধ করছিস নাকি?
আমি এক হাত ভর করে আস্তে করে উঠে এলোপাতাড়ি হয়ে থাকা চুলগুলোকে খোঁপা করে গিয়ে ভাতের পাতিল তুলে দেখলাম সকালের রান্না ভাত একদম ভিজে উঠেছে। এগুলো ফেলে দিয়ে ভাত বসালাম।
হাতমুখ ধুয়ে এসে দেখলাম প্রভা তার খুব কাছের একজন ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। প্রভা যখন তার এই ছেলে বন্ধুটার খুব প্রশংসা করে আমি কেন জানি অসহ্য একটা অনূভুতি আঁচ করি। তারপরও কোনো রকম এই বিষয়টা এড়িয়ে যাই। আমার কাছে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব শব্দটা খুব বিষাক্ত লাগে। আজকে ওর কথার মাঝেই আমি বলে উঠলাম,
___ প্রভা এই শহরটা অনেক ছোট নারে?
প্রভা ফোনের স্ক্রিন সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
___ ছোট মনে হয় তোর? আজ পর্যন্ত বাসা, ইউনিভার্সিটি, আর দুইটা টিউশন ছাড়া কোথাও গিয়েছিস? কীভাবে জানিস এই শহর ছোট?
আমি মুখ মুছতে মুছতে ওর দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম একটা হাসি দিয়ে বললাম,
___ কথা বল তোর ফ্রেন্ডের সাথে।
সন্ধ্যারাতেই খেয়েদেয়ে পড়তে বসলাম। প্রচুর পড়ালেখা করতে হবে। পারিবারিক কাঠামোর বাইরে নিজের একটা পরিচয় বানানো আমার জন্য আবশ্যক।
মন বসছিলো না, তাও জোর করে পড়ার চেষ্টা করছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই ফোনের রিং বেজে ওঠলো। আমি স্ক্রিনে তাকাতেই চমকে উঠলাম, স্টুডেন্টের মা, মানে তিয়াসের মায়ের নাম্বার থেকে ফোন। এর আগে উনার নাম্বার থেকে অসংখ্য ফোন এসেছে কিন্তু আজকের মতো এমনভাবে চমকাইনি। ফোন রিসিভ করতে আমার হাত কাঁপছিলো। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে আন্টি বলতে লাগলো,
___লিয়া তুমি আমাকে এতো দিনেও চিনলেনা? আজ পর্যন্ত আমি কি কখনো তোমাকে মন্দ বলেছি? তোমার পরিক্ষা থাকলে তুমি সময় নিবে, তারপর পরবর্তীতে আবার পড়াবে৷ কিন্তু হুট করে টিউশন ছেড়ে দিবার সিদ্ধান্ত কেন নিলে? তিয়াসের কথার উপরে রাগ করে তো? তাহলে কাল আসো, ওকে দিয়ে সরি বলাবো।
আমি থতমত খেয়ে বললাম,
___ না না আন্টি সরি বলতে হবে না। তাছাড়া উনি তো খুব মেধাবী, কিছুদিন উনি পড়াক। তারপর চলে গেলে নাহয় আমি আসার চেষ্টা করবো।
ওপাশে কিছুক্ষণ বিরবির করে শব্দ হলো, তারপর আন্টি বললো,
___আচ্ছা তা বুঝলাম। কিন্তু তিয়াস তোমাকে সরি বলতে চায়। তুমি কি ওর সাথে দেখা করতে পারবে?
আন্টির কথা শুনে আমি আশ্চর্য থেকেও আশ্চর্য হলাম। তিনি কিনা মা হয়ে ছেলেকে দিয়ে একটা অচেনা মেয়েকে সরি বলানোর সুপারিশ করছেন। আমার কান দিয়ে যেন গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি ঠিকাছে বলে কেটে দিলেও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তার মানে কি তিয়াস আমার ব্যপারে ওর মা’কে সব বলে দিয়েছে?
যদি বলে দিয়ে থাকে তাহলে আমি এই মুখ নিয়ে কি করে আর আন্টির সামনে যাবো?
আন্টি আমাকে খুব ভালো জানেন, তিনি কি করে মানতে পারবেন আমার ভুলের জন্য হয়ে যাওয়া এতকিছু?
না না আমি কিছুতেই আবার অতীত ফিরিয়ে আনবোনা। সব ভুলে গেছি আমি, আমারই ভুল ছিলো, তাই সেসব ভুলগুলোকে ৪ বছরের ন্যায় এবারও আমাকেই শুধরাতে হবে। আমি আবার উধাও হয়ে যাবো৷
পেছনের দরজার সামনে গিয়ে বারান্দায় দেখলাম প্রভা এখনো কথা বলছে। একটা বিরক্তির নিঃশ্বাস নিয়ে শুয়ে পড়লাম। পরেরদিন সকাল সকাল প্রভাকে বললাম,
___ প্রভা এখান থেকে একটু দূরে কোথাও নতুন বাসা খুঁজবো, আর আমি সেখানে তোকে নিয়ে থাকবোনা। পরিক্ষার কয়েকটা মাসই তো, তারপর সেবারের মতো এবারও শহর ছেড়ে পালাবো।
প্রভা কিছুই বুঝলো না। শুধু হা হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো।
দুইদিনের মাথায় নতুন বাসায় উঠে গেলাম৷ এখন দুটো টিউশনিই ছেড়ে দিতে হলো। নতুন টিউশনির সন্ধান করবো কাল। এই বাসা থেকে কলেজ মাইলখানেক দূরে। হোক দূরে তবুও দূরেই থাকতে চাই।
আগের নাম্বার অফ করে দিয়েছি সেদিনই, এখন নতুন নাম্বার তুলে বাবাকে ফোন দিলাম।
ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই বাবার কণ্ঠে আজ ভীষণ উৎফুল্লতার রেশ পেলাম। জিজ্ঞাসা করলাম,
___ বাবা তুমি ভালো আছো?
বাবা আমার এই প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বললো,
___,নাম্বার কি করে রেখেছিস। শুন মা তুই আজকেই বাড়িতে আয় না।
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম,
___ তুমি জানোনা আমি কতটা ব্যস্ত? আমি পরিক্ষার পরে তবেই আসবো।
প্রতিত্তোরে বাবা বললো,
___তোর দাদুর শরীরটা খারাপ। তোকে দেখতে চাইছে। আয় না লিয়া!
আমি জোরে একটা শ্বাস ছেড়ে বললাম,
___ আচ্ছা! শূন্যতায় অস্তিত্ব !! লেখাঃ তাজরীন খন্দকা
দুপুরের আগে আগেই রওয়ানা দিলাম। পৌঁছাতে বিকেল প্রায়। স্টেশনে নামতেই দেখি আমার ছোট ভাই, আমার চাচাতো ভাই,আর তাদের কয়েকটা বন্ধুবান্ধব আমাকে এগিয়ে নিতে দাঁড়িয়ে আছে।
আমাকে দেখেই ব্যাগ নিয়ে ওরা সামনে এগুতে লাগলো৷ আজ পর্যন্ত কোনোদিনও আমাকে কেউ স্টেশন থেকে এগিয়ে নিতে আসেনি৷ তখনও কিছু বুঝতে পারিনি,
কিন্তু বাড়ির দরজায় পা রাখতেই আমার টনক নড়লো, বাড়িঘরের এতো মানুষ আমাকে ভীড় করার কারণ কি? সবাই হাসিমুখে যেন কোনো নতুন বঁধুকে বরণ করতে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি মা’কে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করতেই পাশের বাসার ভাবী বলে উঠলো,
___ লিয়া কাল তোমার গায়ে হলুদ। বিরাট পরিবার থেকে সমন্ধ বুঝলে? তাইতো এতো মানুষ এসেছে তোমাকে দেখার জন্য। আমাদের লিয়া তো মেজর এহসান মাহবুবের পুত্রবধূ হচ্ছে!
এতক্ষণ আমি হা হয়ে শুনছিলাম, কিন্তু ভাবীর শেষ কথাটা শুনে আমার সারা শরীর শক্ত হয়ে গেলো। আমি শুধু রোবটের মতো তাকিয়েই ছিলাম সবার দিকে। এর মধ্যে আম্মু এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে বললো,
___ দরজার মধ্যে মেয়েটাকে এসব বলার কি দরকার বলোতো। ভেতরে আসতে দাও না , তারপর যা বলার বলো।
আমি এতো চেনা ঘরটার মধ্যে আজকে প্রবেশ করেও কেন জানি অচেনা অচেনা অনূভুতি পাচ্ছিলাম। কেউ না জানিয়ে আমার জীবনের এতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো! তারপর এতোগুলো বছর যার থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম ,তার কাছেই সপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত? কিন্তু সে কেন এটা করতে চাচ্ছে?
বিঃ দ্রঃ একটু নিচে ভালো করে লক্ষ করুন পরবর্তী পর্বের লিংক দেয়া আছে
এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল
গল্পটা অনেক সুন্দর হইছে!
লেখক চাইলে হয়তো আরও একটু বড় করতে পারতেন!
আপু আযনাকে প্রথমে ধন্যবাদ যানাবো
কারন হলো আই গল্পটা আমার জীবনকে পালটে দিয়েছে
হয়তো এখনো ছোট
আপু আপনাকে বলতে চাচ্ছি এই গল্পটা কি আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া গল্প?
যদি বলতে আপনার কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমার আইডি খুজেঁ আমাকে বলতে পারেন
FACEBOOK NAME:Mk khalid
আপু আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ যানাবো
কারন হলো এই গল্পটা আমার জীবনকে পালটে দিয়েছে
হয়তো আমি এখনো ছোট
আপু আপনাকে বলতে চাচ্ছি এই গল্পটা কি আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া গল্প?
যদি বলতে আপনার কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমার আইডি খুজেঁ আমাকে বলতে পারেন
FACEBOOK NAME:Mk khalid
অসাধারণ একটা মর্মান্তিক গল্প। আমার সব কিছু আবেগি করে দিলো এই গল্প। আসলে একটা মানুষ কিভাবে প্রতারিত হতে পারে এই পল্প না পড়লে বুঝতাম না।আচ্ছা আপনার কোনো বই লাইব্রেরি তে পাওয়া যাবে,,,??? আপনার গল্প সত্যি নাটক সিনেমার গল্প কে হার মানাবে।আচ্ছা আপনি চাইলে কোনো ফিল্ম পরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন।আপনার গল্প কোনো নাটক সিনেমায় প্রকাশিত করতে পারেন।।।।। আসলে আপনার মতো আমার মনে অনেক গল্প আসে।কিন্তু সেই গুলো প্রকাশ করার সুযোগ পাইনা।।।।। আমি আসিফ।।।
Pingback: এলোমেলো মন বাংলা রোমান্টিক গল্প - Golper Pata