1. নতুন গল্পঃ2. ছোট গল্প গুলোঃযদিও মালেখাঃ নিশাত নীশু

যদিও মা !! লেখাঃ নিশাত নীশু

যদিও মা

আজকে আমার বিয়ে।। আমি পৃথা
বাসর ঘরে বসে আছি।। বিছানায় একটা ২বছেরর বাচ্চা শুয়ে আছে।।বচ্চাটা আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান।বাচ্চাটার নাম আয়ান ইসালাম।।তার স্ত্রী সন্তান জন্মের পরেই চলে গেছে।।সে নাকি অন্য কাউকে ভালোভাসে।।।।
আামর স্বামী আকাশ রহমান।।। পেশায় ইন্জিনিয়ার।।দেখতেও সুন্দর।। প্রথম ওয়াইফ চলে যাওয়া সে অনেক ভেঙে পড়েছিল।।দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায়নি।। কিন্তুর ছেলের জন্য করতে হল।।।
আয়ান যখন আমাকে দেখেছিল তখন আকাশের মা আামাকে দেখিয়ে বলে আয়ান ও তোমার মা।।। আয়ান সামনে এসে কতক্ষণ তাকিয়ে আমার কোলে ওঠে পড়ে।।। আমি ভালোমন্দ কিছু বলিনি।।হঠাৎ ২ বছরের বাচ্চার মা হয়ে গেলাম।

(বিঃ দ্রঃ “ যদিও মা !! লেখাঃ নিশাত নীশু ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

.হঠাৎ ঘোর ভাঙল দরজা খোলার শব্দে।।।আকাশ রুমে আসে।।।আমি ভাবতে থাকি আজকে বাসর রাতেও এই বাচ্চা আমাদের সাথে থাকবে।
আয়ানঃআমি তোমাকে শুধু আয়ানের জন্যই বিয়ে করেছি।এর থেকে কিছু আশা করবে না।।আয়ানের দেখাশুনো করবে।।
ওর কথা শুনে খুব কান্না পায় কারণ কোনো মেয়েই বাসর রাতে এসব সহ্য করবে না।। কিছু বলিনি।। চুপ করে ছিলাম।। মনে মনে বলি তোমাকে একদিন করেই ছাড়ব।।
.
.
পরদিন খুব সকালে আয়ানের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়
আয়ামঃমাম্মাম মাম্মাম।।উঠো। উঠো না।।আমাল খুব খিদে পেয়েছে।। থাবার দেও।।মাম্মাম….
.
সকাল সকাল মাম্মাম চিল্লানিতে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।। আমার তো মনেই ছিলনা আমার ২ বছরের বেবিও আছে।।। যদিও আমার না।।
মেজাজ খারাপ করে বলে উঠি
আমিঃএই ছেলে হয়েছে টা কি।।সকাল সকাল জ্বালাচ্ছো কেনো।।।সর এখান থেকে।।ঘুমুতে দিচ্ছে না(রেগে বলি)
আয়ান ভয়ে কান্না করে দেয়।।।মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে যায়।।
হঠাৎ আকাশ দরজা টাক দেয়।।। আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠি।।। আয়ান কান্না করেই যাচ্ছে।।আমি ওর মুখ চেপে ধরি।।।
আমিঃএকদম চুপ।।এত কান্নাকাটির কিসের।।কানবি না।।দিচ্ছি তো খাবার।।।বাবার সামনে একটুও কানবি না।।।। দাঁড়া একটা চকলেট দিচ্ছি।।। ওকে একটা চকলেট দিলাম।। ও কান্না থামিয়ে হেসে দিলো।।।
আমি স্বাভাবিক হয়ে হেসে দরজা খুললাম।। আকাশঃআয়ান কান্না করছিল কেন?(চোখ কুঁচকে)
আমি কি করব বুজতে পারছিলাম না।।।
আমিঃও চকলেট খাবে।। আমি বলছিলাম যে খাবার খেয়ে খেতে তাই জেদ করে কান্না করে দেয়।
আকাশ আয়ানের দিকে তাকালো।।আয়ানের হাতে চকলেট
আকাশঃআচ্ছা ঠিক আছে।।।ওর জন্য খাবার বানাও।।। নিচে খালা আছে সে সব বুঝিয়ে দিবে।।আয়ান চল আমার সাথে।।।।।।
.
.
.আমি মুখ ধুয়ে নিচে নামলাম।।গিয়ে খাবার বানাই।।। টেবিলে খাবার সার্ভ করে আমিও খেতে বসি।।।
আয়ানঃমাম্মাম।।আমালে থায়িয়ে দেও।।আলি হাতে থেতে পারিনা।।।
শুনে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।।কিন্তু আকাশ সামনে বসা।।তাই হাসি মুখে আয়ানকে খায়িয়ে দেই।।।।নিজে খেয়ে উপরে চলে যাই।।। আকাশ ল্যাপটপে কাজ করছে।।।
আমিঃবাবা ফোন দিছিল।।বাসায় যেতে বলছে।।প্লিজ যাবেন।।।বাবা-মা তো জানে না আমাদের সম্পর্ক কেমন।।।
আকাশঃআচ্ছা।।আয়ানকে রেডি কর।।।
আমি আয়ানকে রেডি করে বাবার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।।।


বাবার বাসায় ।।।
আয়ান বাবা মা সবার সাথে সহজেই মিশে যায়।।।বাবা মা আমাকে বলে তোর ছেলেটা তো অনেক চালাক।।।। আমাদের নাতি টা অনেক ভালো।।।
শুনে মেজাজ খারাপ করে রুমে চলে যাই।।।বেডে শুয়ে চোখ বুজতেই ঘুমিয়ে পড়ি।।।।

দুপুরের দিকে ঘুম থেকে মাকে কাজে হেল্প করি।।।। রাতে আকাশকে আর আামাকে এক রুমে ঘুমাতে দেয়া হয়।।আকাশ বাবা-মা ঘুমানোর পর আমার সাথে ঘুমাবে না বলে আয়ানের সাথে পাশের রুমে শুতে চলে যায়।।।।আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।।।।

হঠাৎ রাতে পাশে ফিরতে যাব তখন টের পাই কেউ আমার সাথে মিশে শুয়ে আছে।। ফিরে দেখি আয়ান।।।
হঠাৎ মনে হল বিছানা ভিজা।।লাইট জ্বালিয়ে দেখি আয়ান বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছে।।। দেখে অনেক রাগ হয়।।ঘুমন্ত আয়ানকে টান দিয়ে উঠিয়ে ফেলি।।গালে একটা থাপ্পড় মারি।।আয়ান নিচে পড়ে যায় আর কান্না করে দেয়।।
আমিঃএই কানবি না।।।।কান্না করলে আবার মারব।।।তুই আমার বিছানায় কেনো? বিছানা ভিজালি কেন?
আয়ান ঃমাম্মাম আমি তোমাল কাতে থোব।।।মাম্মাম বুততে পারি নি যে হিশু করে দিব।।।মাম্মাম থরি।।
আয়ান আমাকে জরিয়ে ধরা ধরলে ওকে এক ধাক্কা দেই।।
আমু;এই সড়।।।। তোর গা ভিজা।।ধরবি না আমায়।।যা গোছল করে ড্রেস চেঞ্জ করে আয়
আয়ানঃমাম্মাম।।আমি তো পারি না একা।।তুমি কলিয়ে দেও।।।
আমিঃনা পারলে বা পারবি।।।আমি ঘুমাব।।
আমি বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ি লাইট অফ করে।।।
আয়ান চিৎকার দেয়।। মাম্মাম আমার ভয় কলে।।।। মাম্মাম………………….
.
.
.
চলবে………… যদিও মা

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ নিশাত নীশু ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…………

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *