মিঃ নিরামিষ

মিঃ নিরামিষ !! Part- 05

নিবিড় একটা শাড়ী চয়েজ করে দিলো,মায়ের হাতে দিলো,
মা-বাহ এটা সুন্দর অনেক,তাই না তুলি?
তুলি-একদম না,বিশ্রি
নিবিড়-এটা প্যাক করে দিন
তুলি-😒😡
নিবিড়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনে এবার আংটি কিনতে গেলো সবাই
তুলির মা বাবা পছন্দ করে আংটি কিনলো,তারপর,সবাই বাসায় চলে গেলো ,,পরশু engagement
তুলি মুখ গোমড়া করে বসে আছে,কি করবে বুঝতেছে না,কি করে এই বিয়ে আটকাবে,,
ফোন অফ করে সারাদিন শুয়ে রইলো তুলি,কিছু ভালো লাগতেছে না,,এই লোকটা এমন কেন,দুনিয়াতে মেয়ের অভাব পড়ছে,
মা আমার হাতে শাড়ী ধরিয়ে দিলো
মা-নিবিড়দের বাসায় গিয়ে পরবি,,ওখানে পার্লারের লোক এসে তোকে সাজিয়ে দিবে
তুলি শাড়ীটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,হুম engagement হওয়াচ্ছি
নিবিড়দের বাসায় যাওয়ার পর,তুলি একটা ইস্ত্রি দিয়ে শাড়ীটা পেটে বরাবর মানে শাড়ীর মাঝকানে পুড়ে দিলো
তুলি-হিহিহি,এবার কি করবা নিবিড় চান্দু
তুলি পিছনে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেলো,নিবিড় ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে
তুলি-স্যার এখন কি হবে??
নিবিড় হালকা একটা মুচকি হাসি দিলো,,দরজাটা লাগিয়ে দিলো টেনে
তুলি-দরজা লাগালেন কেন??
নিবিড় আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে লাগলো
তুলি-খবরদার বলে দিচ্ছি
নিবিড় তুলিকে শক্ত করে চেপে ধরলো,,তাকিয়ে দেখলো তুলির গায়ে ব্লাউজ পেটিকোট আছে ওড়না দিয়ে গা ঢেকে রাখছে,,ওড়না গায়ের থেকে ফেলে দিলো,
তুলি-আম্মুউউউউউ
নিবিড় এক হাত দিয়ে তুলির মুখ চেপে ধরলো
শাড়ীটা অর্ধেক পরিয়ে দেখলো মাঝখানে পোড়া,টেবিল থেকে স্ট্রাবলার নিয়ে পোড়া জায়গা টেনে মেরে দিলো,,
তুলি হা করে তাকিয়ে আছে,,
এবার আরেকটা পার্ট দিয়ে সেটা ঢেকে দিয়ে মাথায় গোমটা দিয়ে দিলো
নিবিড়-perfect ♥
তুলি এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো নিবিড়কে
তুলি-অসভ্য লোক
নিবিড় চশমা ঠিক করে হাসি দিয়ে চলে গেলো
মা-তুলি,বাহ রেডি হয়ে গেলি,তুই তো শাড়ী পরতে জানস না,কে পরিয়ে দিলো
তুলি দেখলো নিবিড় মুখচেপে হাসতেছে
তুলি-আমি পরেছি

সোফায় দুজনকে বসানো হলো,,
নিবিড়ের মা-বাহ শাড়ীটাতে বেশ মানিয়েছে,নিবিড় তোর পছন্দ আছে বলতে হবে
তুলি রাগে ফেটে যাচ্ছে
নিবিড় তুলিকে আংটি পরিয়ে দিলো,,
তুলি অনেকক্ষন তাকিয়ে থেকে বাবার ভয়ে আংটি পরিয়ে দিলো নিবিড়ক,
তুলির মন খারাপ,কষ্টে বারান্দায় গিয়ে কেঁদে দিলো,,
নিবিড়-লাভ নেই
তুলি পাশে তাকিয়ে দেখলো পাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে নিবিড়
তুলি-u stupid!!
তুলি নিচ থেকে টবের ভিতর থাকা কয়েকটা পাথর নিয়ে নিবিড়ের গায়ে মারলো
নিবিড়-আরে আরে স্যারকে কেউ মারে এভাবে
নিবিড় দূরে গিয়ে দাঁড়ালো
তুলি রুমে চলে আসলো
মা-কিরে তোর চোখ মুখের এই অবস্থা কেন?
তুলি-মা আমি এই ছেলেকে বিয়ে করবো না মা,বাবাকে বুঝাও না প্লিস😭
মা-তোর বাবা আমার কোনো কথা শুনবে না জানস তো,
আর ছেলেটা ভালো,তোকে ভালো রাখবে,,
তুলি আর কিছু বললো না
খাওয়া দাওয়া শেষে,বাসায় ফিরে আসলো সবাই,,
তুলি-আচ্ছা আমার মত স্মার্ট একটা মেয়ে একটা ছেলেকে সাইজ করতে পারছি না??
কি করবো মাথায় কিছু আসে না,,

বাসা থেকে তুলি একা একা হাঁটতেছে পার্ক দিয়ে,,আজ ৩/৪দিন হয়ে গেলো ঐ নিরামিষের খবর নাই,যাক গে,নিশ্চয় আমাকে কিভাবে জ্বালানো যায় ভাবতেছে,,
তুলি হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ এসে গেছে,এবার ফেরত আসার জন্য ঘুরতেই দেখলো নিবিড়কে,,ফোনে কথা বলতেছে,হাতে শপিং ব্যাগ অনেক গুলো
তুলি না দেখার ভান করে ওখান থেকে কেটে পড়তে লাগলো,ভাগ্যবশত নিবিড় তুলিকে দেখে ফেললো
নিবিড়-আরে আরে আমার হবু বউ যে
তুলি-😒
নিবিড়-হাই!
তুলি-বাই!
নিবিড়-কি খবর তোমার,হবু জামাইকে ফোন দেওয়া যায় না?আসলে আমার দেওয়া উচিত ছিল,আমি এ কদিন exmer খাতা দেখা নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম বুঝছ
তুলি মুখ বাঁকিয়ে হাঁটা ধরলো নিবিড় তুলির হাত ধরে ফেললো
তুলি-কি?বাসায় যাব আমি
নিবিড়-চলুন একটু ঘুরি
তুলি-না,আমি বাসায় যাব
নিবিড় -না,হবু বউকে না খাইয়ে তো বাসায় যেতে দেওয়া যায় না
নিবিড় তুলিকে টেনে restaurant এ নিয়ে গেলো
তুলি-এমন করেন কেন আপনি,বিয়েটা ভাঙলে কি হবে আপনার,মেয়ে পাবেন না নাকি
নিবিড়-আমাদের তো engagement হয়ে গেসে,আর ভাঙার প্রশ্ন আসে না
নিবিড়-হাতে আংটি নেই কেন
তুলি-ডাস্টবিনে ফেলে দিসি
নিবিড়-ভালো করসো,
নিবিড় খাবার অর্ডার করে ব্যাগ থেকে বই নিয়ে পড়তেছে,তুলি গালে হাত দিয়ে বসে আছে
চেহারা দেখো কি নিষ্পাপ, আর আমাকে এমন জ্বালাচ্ছে কেউ দেখে বলবে না,,
নিবিড়-ওহ একটা জিনিস দেওয়ার আছে তোমাকে
নিবিড় একটা নোট বুক দিলো তুলিকে
নিবিড়-এটাতে important সব নোট আছে,পড়িও,তোমার পরীক্ষায় কমন আসবে,,
তুলি-লাগবে না,আমি এমনিতেই A পাবো
নিবিড়-আরে না A+ পেতে হবে তোমাকে আচ্ছা একটা কাজ করা যায়,
তুলি-কি?
নিবিড়-পরে শুনবা,এখন শুনতে হবে না,চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি
তুলি উঠার সময় ইচ্ছে করে নোট বুকটা চেয়ারে রেখে হাঁটা ধরলো
নিবিড়-নোটবুক নাও
তুলি-😒
তুলি নোটবুক টা নিয়ে গেলো
ওকে বাসায় নামিয়ে নিবিড় চলে গেলো
বিকালে বাবা আসলো তুলির রুমে
বাবা-তুলি এখন থেকে বিকাল ৪টায় নিবিড়দের বাসায় যাবা,প্রাইভেট পড়তে,ও পার্সোনালি তোমাকে পড়াবে,ভালো result আসবে
তুলি-আমি তো প্রাইভেট পড়ি অন্য স্যারের কাছে,আর উনি হচ্ছেন ভার্সিটির স্যার,আমার পড়া বুঝবে কি করে
বাবা-ও আরও ভালো বুঝবে,যেটা বলসি করবা
তুলি-হারামি কুত্তা,আমাকে জ্বালানোর জন্য এই প্লেন করছে
চলবে♥

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *