ভালোবাসার অন্যরুপ

ভালোবাসার অন্যরুপ ! Part- 34 (Last-Part)

আমান– বলেছিলাম যাস না। এই ফার্স্ট টাইম আমার মনে নেগেটিভ থিং আসছিল। নীলললললল!! (চিৎকার করে বসে পরলো)
____কিতাআআ এমনে চিল্লাইতাসিস ক্যান??
সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলাম অর্নিল আসছে, একটু খোরাচ্ছে অর্নিল। অর্নিল কে দেখে আমরা সবাই পুরো অবাক। এদিকে সুমি আস্তে আস্তে চোখ খুলেছে। আমান ও উঠে দাঁড়িয়েছে কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে অনেক রেগে রয়েছেন।
অর্নিল– এরম চিল্লাইতেসিলি ক্যান?? মইরা গেস….
____ঠাসসসস!!
অর্নিলের কথা শেষ হওয়ার আগেই ওর গালে সজোরে একটা থাপ্পড় বসে গেলো। অর্নিল মাথা তুলে দেখলো আঁধার ভাইয়া ওর সামনে রেগে, বোম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
অর্নিল– (মনে মনে– খাইসে রেহ! ভাইয়া এমন এটোম বোম্ব হইয়া খারায় আসে ক্যান?? আলাহ! হেতি এটোম বোম্ব হইয়া আসে আরেক জন কি ডায়নামাইট হইয়া আসে?? তারপর ঘরে গিয়া আবার ধানি লঙ্কা। উরি মা! অর্নিল লিটন তোর ওয়াট না লাগালেও নাও ইউ আর ফিনিসড। আর আই পি মি 🙂)
আমান– তোকে যেতে বারণ করেছিলাম?? (শান্ত ভাবে)
অর্নিল– (মনে মনে– নাহ আর বাঁচার উপায় নেই। কার পিছনে লুকাবো। আম্মিইইইই। তোমার এই মাসুম বাচ্চারে বাঁচাও।) (ঢোঁক গিলে) [ফাজিলডা এইবার সত্যি মরবো 😑]
আমান– আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি??
আঁধার– চুপ করে থাকিস না। ধৈর্যর সীমা অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে আমার।
অর্নিল– হ..হ্যাঁ ভা…
আমান– কেনো শুনিসনি আমার কথা??
অর্নিল– আস..

আমান– আজ এতগুলো বছর পর আমার কথার থেকে তোর জেদ বেশি ইম্পরট্যান্ট হয়ে গেলো তোর কাছে?? ছোটো থেকে আমার কথায় উঠতি বসতি আর আজ?? আজ কি হলো?? (একটু জোরে)
অর্নিল– যাওয়া টা দরকার ছিলো ভাই। (সিরিয়াস) [ অর্নিল আর সিরিয়াস ওয়াহ আই ক্যান্ট বিলিভ 😑]
আমান– ওহ রিয়েলি?? আমাদের থেকে ইভেন ইসমির থেকে তোর যাওয়াটা বেশি দরকার ছিলো?? দেখেছিস তোর যাওয়ার পর মেয়েটার কি অবস্থা হয়েছিল?? (ইসমি কে দেখিয়ে)
অর্নিল– মানে কি হয়েছে ওর?? (ইসমির কাছে যেতে নিয়ে)
আঁধার– একদম এগাবি না তুই ওর দিকে। যার নিজের বউয়ের প্রতি কোনো খেয়াল নেই, যাকে ভালোবাসে তার থেকে অন্য কিছু ইম্পরট্যান্ট তার কাছে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই তোর।
আমান– আমাদের কাছেও নিজের কাজ টা ইম্পরট্যান্ট বাট তা বলে এতটাও ইম্পরট্যান্ট নয় যে নিজের বিয়ের পরের দিন নিজের বউ কে ফেলে চলে যাবো। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে নিজের লাইফে নিয়ে এসেছি তার কথা টা ভাববো না যে আমি মরে গেলে, আমার কিছু হয়ে গেলে তার কি হবে?? যেই মেয়েটা শুধুমাত্র তোর ভরসায় বেঁচে আছে, যার তুই ছাড়া কেউ নেই, তার থেকে তোর জেদটা বেশি ইম্পরট্যান্ট হয়ে গেলো আজ তোর কাছে?? আমার আর ভাইয়ের রিস্কের কাজ নেই?? নাকি আমাদের কাছে কাজ টা ইম্পরট্যান্ট না কোনটা?? তোর মতো আমাদের কাছেও কাজ ইম্পরট্যান্ট বাট নট মোর দ্যান আওয়ার ওয়াইফ। আমরা তার কথাটা ভাবি যে আমাদের ভরসায় আছে, যাদের জীবন আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। মুখ দেখতে ভালোবাসিনি। তাকে কিভাবে সুখে রাখতে হয় সেটা জানি তাই ভালবেসেছি। আজ আমার সত্যি মনে হচ্ছে তুই কোনদিন ইসমি কে ভালোই বাসিসনি। আমারই ভুল ছিলো ছোটো থেকে তোকে আদর দিয়ে মানুষ করে। ক্রিমিনালদের সাথে অভিনয় করতে জীবনে সবার সাথেই অভিনয় শুরু করে দিয়েছিস। হয়তো আমার ক্ষেত্রে ভালোবাসাটাও তোর অভি..
অর্নিল– ভাই প্লিজজজজ!! আমি কাওর সাথে অভিনয় করিনি। আমি জাস্ট তাকে শেষ করতে চেয়েছিলাম যে তোকে মার….
অর্নিলের কথা শেষ হওয়ার আগেই আমান নিজের কোমর থেকে গান বার করে পর পর চারটে গুলি চালিয়ে দিলো অর্নিলের দু-হাত আর দু-পায়ের দিকে। তারপর সঙ্গে সঙ্গেই এক হাঁটু গেড়ে বসে আঁধার ভাইয়ার দিকে দুটো গুলি চালালো। এতক্ষণ আমি, আকাশি আপু সুমি চুপ থাকলেও আর পারলাম না। আমান অর্নিল কে কিভাবে গুলি করতে পারে??
মীরা– আমান এটা কি করলে তুমি?? অর্নিল কে কীভাবে….
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই অর্নিলের পিছন থেকে ধপ করে একটা লোক মেঝেতে শুয়ে পরলো, আঁধার ভাইয়ার দিকে তাকিয়েও এক দৃশ্য দেখলাম। কিন্তু অর্নিল বা আঁধার ভাইয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। জানো কিছু হয়ই নি। অর্নিল বটে দু-হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে আর আঁধার ভাইয়া পকেটে দু হাত গুঁজে। আমান উঠে দাঁড়িয়ে গানের মুখ থেকে উঠন্ত ধোঁয়ায় ফুঁ দিয়ে, গান টা আবারও কোমরে গুঁজে নিলো।
অর্নিল– কে বলেছিল গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গাড়ি খাদে ফেলে ওখান থেকে পালিয়ে আমার পিছু করে এখানে আসতে?? আমার হাতে যদি মরতিস তাহলে এমন পঙ্গু হতে হতো না, শেষ ইচ্ছে জেনে সাদরে উপরে পাঠাতাম। যাই হোক অনেক সৌভগ্য তোর আমার ভাই দ্য গ্রেট আমান খানের হাতে পঙ্গু হয়েছিস। কজনেরই বা তোর মতো ভাগ্য বল?? যদিও আমি যদি আগে গাড়ি থেজে ঝাঁপ না দিতাম তাইলে তুই মরতিস না। কিন্তু তোর জন্য আজকে আমি যেই ঝাড় টা খাচ্ছি এবং ইন ফিউচার খাবো সেটার শাস্তি তুই আমার থেকেই পাবি, ওকে লিটন চান্দু?? (লোকটির পাশে বসে বললো)
অর্নিল লোকটার পাশ থেকে উঠে একটা কিক করলো হাতের গুলি লাগা অংশে দ্যান আবার এদিকে চলে এলো।
আঁধার– লিটন তার মানে মরেনি তখন?? কিন্তু নিউসে যে বল…
অর্নিল– আআআআআআআআ!! (চিৎকার করে)
আঁধার– কি হয়েছে নীল?? এভাবে চিল্লালি কেনো??
অর্নিল– 😭😭
আঁধার– কাঁদছিস কেনো ভাই??
অর্নিল– আমার সখের টিভিইইইই!! ভাইঙা ফেলসে রেএএএএ!! 😭😭
আঁধার– 🤣🤣
আমান– টিভি টা তোর মাথায় ভাঙা উচিত ছিলো।
অর্নিল– তুই তো পারলে আমারেই ভাইঙা ফেলোস। আমফানের অলাদ তুফান খানননন। দেইখা নিমু তোরেএএএএ!!
আঁধার– 🤣🤣🤣
অর্নিল– তুই আমারে থাপ্পড় দিসস। তোর বউয়ের হাতে আমি থাপ্পড় না খাওয়াইসি, তাইলে আমার নাম অর্নিল নাহ। একটা তো প্রথম দেখায় থাপ্পড় খাইসে আরেকটারে বিয়ের পর খাওয়ামু।

আমান– তোরে তোওও!!
শবনম– ভাই আমার। কি করে পারিস তুই এতো ফাজিল হতে?? এতো গুলো বকা খেলি থাবড়া খেলি তারপরেও?? ইন্টারেষ্টিং ভেরি ইন্টারেষ্টিং!!
মীরা– কিন্তু এরা কারা??
আমান– যাকে মারার জন্য নীল নাচতে নাচতে বেরিয়ে গেলো সে অর্নিলের পিছনের জন। আর ভাইয়ের পিছনে যে আছে সে ওরই লোক। আমার লিটন কে দরকার তাই পঙ্গু বানিয়েছি। আর ওর লোককে দরকার নেই তাই ডাইরেক্ট হেড শটে উপরের টিকিট ধরিয়েছি।
আঁধার– আমি মেঘ কে ইনফর্মেশন টা দিয়ে দিচ্ছি, ও পুলিশ কমিশনার কে জানিয়ে দেবে।
আমান– সুমননননন!! ওখানে লুকিয়ে থেকে লাভ নেই। বাইরে আয়য়য়য়!!
আমানের চিৎকার শুনে একটা ছেলে গুটি গুটি পায়ে ভিতরে প্রবেশ করলো।
সুমন– ইয়ে মানে কি দরকার স্যার??
আমান– তোর চচ্চড়ি বানানোর দরকার। খিদে পেয়েছে তো তাই তোর চচ্চড়ি বানিয়ে খাবো।
অর্নিল– 😂😂
আমান– সুমনের চচ্চড়ি উইথ অর্নিল ভাজি। (দাঁতে দাঁত চেপে)
অর্নিল– 😬😖🥺😭
সবাই– 😂😂😂
আমান– লিটন কে নিয়ে ট্রিটমেন্ট করিয়ে বেঁধে রাখ। আর এই আবর্জনাটা কে পুলিশের হাতে হ্যান্ডওভার করে দে। অনেকদিন অপারেশন করা হয় না, আজ এইটার অপারেশন করতে হবে।
সুমন– আর অর্নিল স্যার এর কি হবে স্যার??
অর্নিল– সুমনের বাচ্চা তোমারে তো আমিইই???
সুমন– আমার তো বিয়েই হলো না বাচ্চাকি করে হবে?? 😑
অর্নিল– দেখে নেবো আমি সবাই কে। আমার সাধের টিভি।
আমান– আয় তোরে দেখাইতাসি। (শার্টের হাতা ফোল্ড করে)
অর্নিল– আম্মিইইইই!! আমি টিভির কথা কইতাসিলাম।
আমি তাকিয়ে দেখলাম সুমির মুখেও হাসি ফুটেছে, সত্যি আজ খুব খারাপ লাগছিল যখন অর্নিলের খবর টা শুনেছি। সুমির কি হতো যদি অর্নিলের কিছু হয়ে যেতো??
অর্নিল– বাই দ্য ওয়ে কিউটিপাই!! (হাই তুলে) এক কাপ কফি দাও তো। আহ! (আড়মোড়া ভেঙে)
শবনম– আয় খাওয়াচ্ছি। (কান মূলে দিয়ে)
অর্নিল– আরে আরে! আসার পর থেকে নির্যাতন করে যাচ্ছো, তোমার বর থাপ্পড় দিলো এখন তুমি কান মুলতিছো, বলি আমার কান টারে মূলে মূলে কি মুলো বানায় দিবা??
আকাশি আপু হাসতে হাসতে কানটাই ছেড়ে দিলো অর্নিলের, অর্নিল একটা ক্যাবলা মার্কা হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকালো।
মীরা– আমার দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। নিজের বউ কে বলো। (মিথ্যে রাগ দেখিয়ে)
অর্নিল আমার কথা শুনে একটা শুকনো ঢোঁক গিলে সুমির দিকে তাকাতেই সুমি হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো আর ধরাম! করে দরজা বন্ধ করে দিলো। অর্নিল কাঁচুমাচু মুখ করে সুমির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
মীরা– আমার বোনের কথাটা তুমি একবারও ভাবলে না??
অর্নিল– তোমার বোনের কথা ছাড়ো আর আমার কথা ভাবো। ঘরে গেলে যে কি হইব আল্লাহ মালুম। এক কাজ কইরো, আইসব্যাগ রেডি রাখিয়ো।
মীরা– কেনো??
অর্নিল– প্রথমে ধোলাই হবে তারপর দাবাই দেবে। 🙂
আমান অর্নিলের এক কাঁধে এসে হাত রাখলো, তারপরে আঁধার ভাইয়া এসে আরেক কাঁধে হাত রাখলো।
আঁধার– থাপ্পড় টা খুব জোরে লেগেছে??
অর্নিল– (যে গালে মেরেছে সে গালে হাত রেখে) তোর বউ যখন দিবো তখন বুঝবি??
আমান– আপাতত তুই তোর তা বুঝ। চল উপরে, নিজের রুমে।
অর্নিল– ঈঈঈঈ!! অসম্ভব!! (লাফ মেরে সরে গিয়ে) উপরে রুমে গেলে আমারে সারাজীবনের মতো উপরে পাঠায় দিবে।
আমান– হ্যাঁ সেইজন্যই তো পাঠাচ্ছি। (অর্নিলের হাত ধরে)
অর্নিল– ওরে লিটন রে তুই উইঠা আমারে মাইরা ফ্যাল, ভাই তুই আমারে মাইরা ফ্যাল, কিন্তু রুমে নিয়ে যাস না।
কে শোনে কার কথা আমান গিয়ে অর্নিল রে রুমে রেখে লক করে বাইরে থেকে চলে এলো। এখানে এসে দাঁড়াতেই আমরা একে অপরের মুখ চেয়ে হো হো করে হেসে দিলাম। অর্নিল ছেলেটা পারেও।
অর্নিল– ব..ব..বউ!! (ভয়ে ঢোঁক গিলে)
ইসমির হাসি পেলেও সেইহাসি চেপে রেখে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে অর্নিলের দিকে তাকালো।
অর্নিল– ঈঈঈঈ!😬 বউ ধানি লঙ্কা থেকে চন্দ্রমল্লিকা হইয়া গেসে, আল্লাহ বাঁচাও।
ইসমি অর্নিলের কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া না করে, কাবার্ড থেকে নিজের লাগেজ বার করলো। আর তারপর ওটা খুলে নিজের কাপড় জামা ভরতে থাকলো। অর্নিল তো পুরো অবাক, ইসমি না রেগে না বকে, কাপড় জামা গোছাচ্ছে?? ব্যাপার টা বুঝতে পেরেই রাগ হয়ে গেলো অর্নিলের।
অর্নিল– লাগেজ কেন প্যাক করছ??
ইসমি– (নিশ্চুপ)
অর্নিল– কি হলো আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি??
ইসমি– (নিশ্চুপ)
অর্নিল– লাগেজ কেনো প্যাক করছো?? (ইসমির দু-বাহু ধরে)
ইসমি– আপনার সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। আপনি যান আপনার ইম্পরট্যান্ট কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। আমার জন্য আপনাকে ভাবতে হবে না, আমি নিজের টা যেমন এতদিন নিজে বুঝেছি এখনও পারবো। আমি আপনার জীবনে থাকলে আপনার কাজে ক্ষতি হবে, তাই আমি আপনার জীবনে থাকতে চাই না, আমি হোস্টেল চলে যাবো। আর আজ থেকে ৬ মাস পর আপনি ডিভোর্স ও পেয়ে যাবেন। এমনিতেও আপনার কাজে আপনার প্রাণ যেতে পারে যা আমি সামনে থাকতে মেনে নিতে পারবো না। তাই আপনার জীবন থেকে চলে যেতে চাই।
ইসমির কথা শেষ হতে না হতেই অর্নিল একটা ঠাস! করে চড় মেরে দিলো ইসমির গালে। ইসমি গালে হাত দিয়ে নীচে তাকিয়েই ডুকরে কেঁদে উঠলো।
অর্নিল– বসো ওখানে!! (বেশ জোরে বেডের দিকে ইশারা করে)
ইসমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
অর্নিল– আমি বসতে বলেছিইইইই!! (আরো জোরে)
ইসমি হাল্কা কেঁপে উঠে চুপচাপ বসে পরলো, এই কিছুক্ষণ আগে যেই ছেলেটা ফাজলামি করছিল এখন সেই ছেলেটাই ধমকাচ্ছে। কেউ বিস্বাশ করবে না অর্নিলের এই রুপ দেখে, যে অর্নিল এতটা ফাজিল। হবে নাই বা কেনো, আমান খানের ভাই বলে কথা, স্পেশালিটি তো থাকবেই। যেখানে ইসমির রাগ দেখানোর কথা সে খানে, অর্নিল রাগ দেখাচ্ছে, বেচারি ইসমি ভয়ে চুপসে গেছে। ইসমি বসার পর অর্নিল নিজেকে শান্ত করে, ইসমির দু হাত ধরে হাঁটু গেড়ে ওর সামনে বসলো।
অর্নিল– আমি তো তোমাকে বলেছিলাম গত রাতে যে আমার জীবনটাই রিস্ক এ ভরা। যেখানে আমার ভাই কে আঘাত করার প্রশ্ন আসে সেখানে আমি এক মুহুর্তও সময় নষ্ট করবো না। লিটন ভাই কে মারতে চেয়েছিল তাই জন্য আমি মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম ওকে শেষ করার জন্য। মানছি এভাবে যাওয়া টা ঠিক হয়নি কিন্তু কি করতাম?? তোমরা তো আমাকে যেতেই দিচ্ছিলে না। আমি তোমাকে বলেছিলাম যতদিন তুমি আমার পাশে থাকবে ততদিন আমার কিচ্ছু হবে না। মিলেছে আমার কথা?? আর আমি এসব কিছু সার্ভাইভ করেছি বিকস অফ ইউ। আর সেই তুমিই আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো?? তাহলে সার্ভাইভ করে কি লাভ হলো আমার?? মরে গে…
ইসমি অর্নিলের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিল, অর্নিল ইসমির হাত ধরে ওর পাশে বসতেই ইসমি অর্নিল কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
অর্নিল– আই লাভ ইউ মৌ! আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভুলেও ভাববে না।
ইসমি– আই লাভ ইউ টু!!
অর্নিল– উমম, তোমাকে মাউন্টেন ডিও খাওয়াতে হবে।
ইসমি– কেনো??
অর্নিল– তাহলেই তো তুমি রিস্ক নিতে শিখবে। সব সময় মনে রাখবে। “ডার কে আগে জিত হেইন”
ইসমি একটা বালিশ নিয়ে সেটা দিয়ে অর্নিল কে মেরে বললো।
ইসমি– ঋতিক রোষানের ডায়ালগ দেওয়া বন্ধ করো। ফাজিল একটা।
অর্নিল আর ইসমি একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।
বেশ অনেকক্ষণ পর,
আমি ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম তখন আমান এসে নিজের ড্রেস বার করে সোজা ওয়াশরুম চলে গেলো। আমি টিভি টা অফ করে দিলাম, আর আমানের আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো ট্রাউজার আর গলার টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে। আমি ওর টি-শার্ট নিয়ে এগিয়ে যেতেই ও হাত থেকে টি-শার্ট নিয়ে ব্যালকনি তে চলে গেলো। আমি একটু অবাক হলাম, অন্যদিন তো দুষ্টুমি করে আজ কি হলো?? নিশ্চই অর্নিলের জন্য মন খারাপ। আমিও ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম, গিয়ে আমানের পাশে বসে পরলাম।
মীরা– মন খারাপ??
আমান– নাহ! কিছু বলবে??
মীরা– আমি না তুমি বলবে। কি হয়েছে বলো??
আমান– (একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে) আজ নীলের সাথে একটু বেশি রুড বিহেভ করে ফেলেছি। কথায় কথায় ওরম ভাবে ওর আর ইসমির ব্যাপার টা টেনে আনা উচিত হয়নি। লিটন আমাকে মারতে চেয়েছে বলেই ও এতটা জেদ করেছে লিটন কে মারার জন্য। আর আমিই কি না ওকে।
মীরা– কেনো এমন বিহেভ করেছো?? নীল কে হারানোর ভয়েই তো এতটা রিয়াক্ট করেছো আমান। তুমি আর আঁধার ভাইয়া ওকে খুব ভালবাসো তাই রিয়াক্ট করেছো, আর ও যা ফাজিল তাতে ওর কিছুই মনে নেই। দেখছিলে না এতকিছুর পরেও মশকরা করছিল।
আমান– ছোটো থেকে ওকে অনেক আদরে মানুষ করেছি। ওর কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম না।
মীরা– তোমার ভাইয়ের কোনো ক্ষতি হবে ভাবলে কি করে?? সাক্ষাত তুফান খানের ভাই ও। 😂
আমান– হুহ। 😒
মীরা– আমার তুফান খান। আচ্ছা এবার মন খারাপ না করে একটু হাসো তো। চিজজজজ।
আমান– (থতমত খেয়ে) তুমিও কি অর্নিলের থেকে ট্রেনিং নিচ্ছ??
মীরা– ধ্যাত! রসকসহীন একখান। ভালো লাগে না ছাই। (বলেই উঠে যেতে নিলে, আমান হ্যাঁচকা টান মেরে বসিয়ে নিলো)
আমার পিঠ গিয়ে আমানের ভেজা বুকে বারি খেলো, আমান এখনো টি শার্ট পরেনি। আমান আলতো করে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রাখলো।
আমান– একটু থাকো না। ভালো লাগছে না আজকে কিছু।
আমানের কথা শুনে আমি আমানের কাঁধে মাথা এলিয়ে দিলাম। এখন ওর আমাকে প্রয়োজন, থাকতে তো হবেই।
সকালে…………………………
শবনম– উফফ আঁধার! তুমি এখানে কি করছো বলো তো?? যাও ঘরে যাও।
মীরা– আমান! আমার ডিসটার্ব হচ্ছে, তুমি যাবে??
ইসমি– এবার না আমি তোমার নাক কেটে দেবো এই ছুরি দিয়ে, ঘরে না গেলে।
ভাবছেন তো আমাদের তিনজনের এতো বিরক্তি কেনো?? আসলে তিন খান ভাই, আজ আমাদের পিছু পিছু রান্নাঘরে এসেছেন আমাদের হেল্প করতেন। হেল্প নামেই, ডিস্টার্ব ছাড়া আমরা কিছু হচ্ছি না।
আম্মু– কি রে তোরা তিন জন রান্নাঘরে কি করছিস বল তো নতুন বউ হয়ে??
আম্মুর গলা পেতেই আমান মুহুর্তে ইসমির কাছে চলে গেলো, গিয়ে সব্জি কাটতে লাগলো, অর্নিল আকাশি আপুর কাছে চলে গেলো, গিয়ে লুচি বেলতে লাগলো আর আঁধার ভাইয়া আমার কাছে এসে, খুন্তি নাড়াচাড়া করতে লাগলো।
আম্মু– এ কি তোরা তিন ভাই কি করছিস এখানে??
আমান– হেল্প করছি আম্মু।
আঁধার– আসলে ওরা রোজ একা একা করে তাই ভাবলাম…
অর্নিল– একটু হেল্প করি আর কি। কাজ তো নেই আমাদের তাই।
আম্মু এসব শুনে সামান্য হেসে চলে গেলো, নিমিষে আবার যেই কে সেই। আমান আমার কাছে, অর্নিল ইসমির কাছে আর আঁধার ভাইয়া আকাশি আপুর কাছে। তারপর আর কি সেই বদমাসি শুরু হয়ে গেলো।
আম্মু– (মনে মনে– আমার তিন ছেলে আজ সম্পূর্ণ। ভাগ্য করে তিন বউ পেয়েছি আমি। আর আমার এই তিন ছেলেও, নাইলে এই তিনটে বেহায়া বেশরম নির্লজ্জের কোনদিন বিয়েই হতো না, তারুপর একেক টার যা রাগ, জেদ। উফফ বাপ রে বাপ।)
আম্মু কে দুর থেকে দাঁড়িয়ে হাসতে দেখলাম আমি, আমার কিছু বলার আগেই উনি চলে গেলেন তাই আর কিছু বললাম না।
🌸 ১০ বছর পর ❤
____ উফ আব্বি, তুমি না কিচ্ছু পারো না। এটলিস্ট আমাকে ঠিক করে গোসল তো করাও।
আঁধার– ইয়ুগ প্লিজ! এভাবে অপমান করিস না।
ইয়ুগ– তো ঠিক করে করাও। নাইলে আম্মি কে বলে দিবো হু।
আঁধার– শুধু ভয় দেখাতেই জানস।
____ না না না! আমি খাবো না। এই পচা জিনিস তুমি ওকে খাওয়াও।
____ আহাহা! আমিও মোটেই খাবো না এসব আলতু ফালতু জিনিস, তুই খা। তুই আলতু, যেটা খাবি সেটা ফালতু।
____চুন্নি অর্ণা পর্না কর্ণা। তোরে তো আমিইইইই!!
অর্ণা– কিচ্ছু করতে পারবি না, অর্ঘ্য হনু। (মুখ ভেঙিয়ে)
আমান– শাট আপপপপ!! দুজন চুপচাপ এক্ষুনি পুরো খাবার টা ফিনিশ করবে।
অর্ঘ্য– মাম্মিইইইই!!
অর্ণা– পাপা আমাদের বকছেএএ…
আমান– চুপ চুপ চুপ!! চুপ যা আমার বাপ মা। আমি তোদের বাবা না তোরা দুজন আমার বাবা মা বুঝতে পারি না আমি।
অর্ঘ্য এবং অর্ণা– হিহিহি।
আমান– খাবার টা শেষ করো প্লিজ 🥺 নাহলে তোমাদের মাম্মি আমাকে বকা দেবে 🥺
অর্ঘ্য– বলো ঝাড়ু নিয়ে তাড়া করবে। 😂
অর্ণা– ঠিক। 😂
আমান– বাহ! কি ইমেজ আমার ছেলে-মেয়ের কাছে।
____ ড্যাডিইইইই!! কখন হবে?? আমার খিদে পেয়েছে।
অর্নিল– এখনি হয়ে যাবে ইতি বেবি।
ইতি– খাওয়ার মতো হবে তো??
অর্নিল– এভাবে বলিস না বেবি, অনেক কষ্টে এই নিয়ে পাঁচ বার বানিয়েছি। 🤧
ইতি– ওসব জানি না। ভালো না হলে খাবো না।
আকাশি– হা হা হা হা! ঠিক হয়েছে বুঝুক এবার।
মীরা– কি গো এতো হাসছো কেনো??
আকাশি– (সব কথা বলে) বুঝলি??
মীরা– আমারটা শোনো।
ইসমি– তোদের টা রাখ। আমার টাকে দেখ রান্নাঘরে। হিহিহিহি।
আকাশি– ঠিক হয়েছে, রোজ আমাদের কে বলা না??
মীরা– খাওয়াতে নিলেই খাবে না, আর এসে ওদের সাপোর্ট নেবে। এখন বুঝুক কেমন মজা।
ইসমি– ও যা খুতখুতে তাতে ওর যে কি হবে কে জানে??
আকাশি– হমম সেটাই। ইয়ুগ তো আমাকে ছাড়া গোসলই করে না।
মীরা– যতই না না করুক, অর্ঘ্য-অর্ণা শেষমেস আমার হাতেই খাবে।
ইসমি– যা বলেছিস। খুতখুতে হলেও ইতির আমার হাতে বানানো খাবারই চাই।
এইসব ভেবে যে যার বরের কাছে চলে গেলাম।
আকাশি রুমে গিয়ে দেখলো আঁধার ইয়ুগ কে ড্রেস পড়াচ্ছে। ড্রেস পরানো হতেই ইয়ুগ ছুটে শবনমের কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো।
ইয়ুগ– আম্মি, আব্বি ইস নট ব্যাড।
শবনম– তাহলে এবার থেকে আব্বির কাছেই গোসল করো।
আঁধার– নাআআআআআ!! একদম নাআআআআআ।
ইয়ুগ আঁধারের দিকে তাকিয়ে হেসে শবনমের দিকে ফিরে শবনমের গালে পাপ্পি দিয়ে নীচে চলে গেলো।
শবনম– তোমরা দুজন কি একসাথে গোসল করেছো??
আঁধার নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলো পুরো শার্ট ভিজে গেছে, সেই দেখে শবনম মিটিমিটি হাসছে, আঁধার এক টানে শবনম কে নিজের কাছে নিয়ে এসে বললো।
আঁধার– এবার তুমি আমার সাথে গোসল করবে। কাম। (কোলে তুলে নিয়ে)
শবনম– আঁধারররর!! ছাড়ো প্লিজজজ!!
আঁধার– নো ওয়েএএএ। ইটস বাথ উইথ রোম্যান্স টাইম মেরি জান।
আঁধার শবনম কে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
ইসমি রান্নাঘরে আসতেই দেখলো, ইতি স্ল্যাবের উপর বসে বিচারকদের মতো খাবার টেস্ট করছে আর অর্নিল ভয়ে চুপসে দাঁড়িয়ে আছে।
ইতি– উমমম! ইটস গুড ড্যাডি!!
অর্নিল– রিয়েলি??
ইতি– ইয়াপপপপ!!
অর্নিল জানো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। ইসমি বললো।
ইসমি– ইতি, যাও ড্রয়িং রুমে গিয়ে খাও।
ইতি– মাম্মা ইটস টু গুড। এবার থেকে ড্যাডিই আমার জন্য খাবার বানাবে।
কথাটা বলেই ইতি চলে গেলো আর ইসমি অর্নিলের দিকে তাকাতেই দেখলো অর্নিল ঢলে পরছে, সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে অর্নিল কে ধরলো।
ইসমি– ঠিক আছো তুমি নীল??
অর্নিল– পাঁচ বারের বার গিয়ে ঠিক হয়েছে। তোমার মনে হয় আমি ঠিক থাকতে পারি??
ইসমি– (হাসি চেপে) আচ্ছা চলো ঘরে চলো।
অর্নিল– হমম ঘরে তো যেতেই হবে। নাহলে তোমাকে টেস্ট করবো কীভাবে??
ইসমি– (ভ্যাবাচাকা খেয়ে) মানে??
অর্নিল– এতক্ষণ ইতি আমার খাওয়ার টেস্ট করছিল এবার আমি তোমাকে টেস্ট করবো। লেটস গো মৌ।
ইসমি– তুমি না বললে তুমি ঠিক নেই??
অর্নিল– আই অ্যাম অলওয়েস ফিট অ্যান্ড ফাইন অবাউট ইউ।
কথাটা বলেই অর্নিল ইসমি কে কোলে তুলে নিয়ে সিঁড়ির দিকে হাঁটা ধরলো, গন্তব্য নিজের রুম।
আমি রুমে এসে দেখলাম অর্ঘ্য আর অর্ণা পানি খাচ্ছে। পানি শেষ করে আমার কাছে ছুটে এসে দুজন দু-গালে হামি দিলো। আমিও দুজন কে হামি দিলাম।
অর্ঘ্য– মাম্মিইই খাবার টা ইয়াম ছিলো।
অর্ণা– পাপা আমাদের খুব যত্ন করে খাইয়েছে।
মীরা– তাই?? পুরো টা ফিনিশ করেছো তো??
অর্ঘ্য ও অর্ণা– ইয়াপ মাম্মি।
অর্ঘ্য– এবার থেকে পাপার কাছেই খাবো।
অর্ণা– এখন আমরা খেলতে যাই??
মীরা– যাও।
আমি আমানের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমান আমার দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে, আমি গিয়ে বেডে বসতেই আমান ধপ করে শুয়ে পরলো সোজা হয়ে।
মীরা– এবার থেকে তোমার কাছেই খাবে। এতো সহজে হার মানে হবে?? হিহিহিহি
হঠাৎ করেই আমান আমার হাত ধরে পিছন দিকে টেনে বুকের উপর ফেললো।
মীরা– কি হচ্ছে টা কি?? দরজা খোলা ছাড়ো।
আমান– কেউ আসবে না। আমর ভাইয়েরা আমার মতই ক্লান্ত হয়ে বউয়ের সাথে ব্যস্ত।
মীরা– আচ্ছা তাই নাকি?? (হেসে)
আমান– এতক্ষণ ওদের খাইয়েছি, এবার আমি তোমায় খাবো।
মীরা– আমানননন!!
আমান আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে নীচে ফেলে নিজে আমার উপরে উঠে এলো।
আঁধার আর শবনমের ছেলে আশকার খান ইয়ুগ, বয়স ৮ বছর। আমান আর আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে অদৃত খান অর্ঘ্য, বয়স ৬ বছর, অমৃতা খান অর্ণা, বয়স ৪ বছর। অর্নিল আর ইসমির মেয়ে অসমি খান ইতি, বয়স ৪ বছর। আমাদের বিয়ের ২ বছরের মাথায় আঁধার ভাইয়া আর আকাশি আপুর ছেলে যখন ইয়ুগ হয়েছে তখন মেঘ আর দিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ বছরের মাথায় অদৃত। আমাদের বিয়ের ৬ বছরের মাথায় আর দিয়ার বিয়ের ৪ বছরের মাথায় আমার সুমি আর দিয়ার তিনজনেরই মেয়ে হয়। মেঘ আর দিয়ার মেয়ে রোদেলা আহমেদ মুন, বয়স ৪ বছর।
~~~~~~ 🌸 সমাপ্ত ❤ ~~~~~~

আজ আর ফিরে আসবো আগামী পর্বে বলা হলো না। গল্প শেষে সবার কাছে একটাই প্রশ্ন।
–) আমি বলেছিলাম গল্প শেষে বলবেন গল্প টা সেরিয়াল এর মতো নাকি নামের মতো অন্যরকম?? জানিয়ে যাবেন প্লিজ।
এই গল্পটার জন্য আপনাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি তাই ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আমান আর মীরা কে বিদায় জানাতে। আপনারা অনেকেই হয়তো বলবেন সিসন ২ আনতে কিন্তু এখন সম্ভব নয়। আমি আমার পুরোন গল্প স্টার্ট করবো তাই বলে কি আপনারা আমায় ভুলে যাবেন?? 🙂
–) সিসন ২ কাকে নিয়ে চান?? আমান মীরাদের নিয়ে নাকি ওদের সবার ছেলে মেয়েদের নিয়ে??
সবাই প্লিজ গঠনমূলক মন্তব্য করবেন,

 

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ আয়শা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

👉আমাদের ফেসবুক পেজ