মায়াবিনী

® মায়াবিনী—– পর্ব- ১০

নীল: হুম…আর তো কয়েকটা দিন মাত্র তারপরই তো শুরু হবে আসল খেলা…
:——–
নীল:তো..
:—-
নীল: হা.হা.. সুদে আসলে সব আদায় করে নিবো…!
: —–
নীল: হুম…সহস্রাধিকের ক্ষতির তুলনায় গুটিকয়েক ক্ষতিগ্রস্ত হবে….!
:—-
: সরি কিছুই করার নেই…! এখন যা চলবে সব সিস্টেমেটিক… এখানে আর কারোরই কিছুই করার নেই…ঠিক রসায়নে বিজ্ঞানে যাকে বলে চেইন বিক্রিয়া…! একবার চলতে শুরু করেছে তো থামানোর সাধ্যি এক ওপরওয়ালা ছাড়া কারোও নেই…
:—–
নীল: হা হা,,, ওপরওয়ালা অতোটা নিষ্ঠুর নয়…!
:—-
নীল: লাইফ রিস্ক……!!! হাহ্ হাহ্ হা হা…. এপথে নিজের জীবনের কোনো মূল্য নেই…যখন তখন যা নই তাই হতে পারে….! সেটা শুধু আল্লাহ্‌ ই জানে কার কতক্ষণ মেয়াদ আছে…সেটা না জানি আমি আর না ওরা…..
:—
নীল: হুম…ও এখন সব থেকে নিরাপদ জায়গাতে আছে….! ওদের পুরো টিম হাজার চেষ্টা করে মরলেও ওর টিকিও ছুতে পারবেনা…..
:—-
নীল: সব কিছু রেডি তো..
: —-
নীল: আমি কিন্তু আবারও বলছে এক ন্যানো সেকেন্ডের জন্য যদি অসতর্ক হয় তাহলে তার মাসুল এই জীবনেও কিন্তু দিয়ে শেষ হবেনা.. আর আমাদের নীতিটা আসা করি ভূলে যাওনি…
: —–
নীল : সো নাও রেডি ফর দা অপারেশন….!
অয়নী দরজাতে দাড়িয়ে ছিলো নীলের গলায় এমন উদ্ভট কণ্ঠ আর এই ধরনের কথা শুনে অয়নীর হাত পা কাপছিলো তাই আর দাড়িয়ে থাকতে পারেনি….! ওখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো। হাতে নীলের জন্য কফির মগ ছিলো। ওখানেই সেটা আগে পড়ে যাওয়াতে নীল পিছন ফিরে তাকায় আর দেখে অয়নী মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে….!
নীল: আমি পরে কথা বলছি…আজ বিকালের ভিতরে সব রেডি চায়.বাই….
নীল অয়নী অয়নী বলে চিৎকার করে এসে অয়নীর মাথার নিচে হাত রাখে….নয়তে আজ হয়তো মাথাটাই ফেটে যেতো।
নীল অয়নীকে বিছানতে শুইয়ে দিয়ে মনে মনে বলছে…
” এখনই কি সর্বনাশটাই না হতে যাচ্ছিলো। গত দুই বছর ধরে তোমাকে আমার লোকেরা চোখে চোখে রেখেছে….নিরাপত্তা দিয়েছে..বাট আমি,সামনে যাইনি বা যেতে চাইনি গেলে হয়তে আমার এই বানানানো সব কিছু নষ্ট হয়ে যেতো….! আর আজ কিনা তুমি পড়ে যাচ্ছিলে..মাথায় আঘাত পেলে আজ তেমাকে বাঁচানো আমার হাত থেকে বেরিয়ে যেতো..!
মাথায় একবার বড় একটা অপারেশন হয়েছে আর আজকে….! আল্লাহ্‌ র হাজার শুকুরিয়া যে মাথায় লাগেনি…তোমার কিছু হলে তো..
সাথী: নীল..নীল…কি হলো রে তুই চিৎকার করে উঠলি কেনো..
নীল: আ.আ..ও অয়নী অসুস্থ হয়ে পড়েছে…মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলো। কি বিপত্তিটাই না ঘটতো এখন..!
সাথী: বিপত্তি…..! মানে বুঝলাম না…
নীল: ওওও..ও কিছু না..
সাথী: তোর মুখ,চোখ,এমন,দেখাচ্ছে কেন….
নীল: কো…কই না..নাতো.. কেমন দেখাবে আশ্চর্য… কি যে বলিস না তুই মাঝে মাঝে…এই জন্য দুলাভাই তোকে মাঝে মাঝে বলে গোয়েন্দা হলে ভালো করতিস….দেশ একটা রত্ন পেতো….!
সাথী: উহু….!
নীল: কি…
সাথী: তোর ভাইয়া কখোনোই আমাকে গোয়েন্দা হওয়ার কথা বলেনা…! সে বলে পুলিশ অফিসার হতে আমি ধমক দিতে পারি ভালো ভাবে সেজন্য…গোয়েন্দা তো কখোনো হতে বলেনি
নীল: ও…ও.. ওইতো একই বিষয়..গোয়েন্দা তো পুলিশেরই আরেকটা সংগঠন…
সাথী: কথা ঘোরানের ব্যার্থ চেষ্টা করিসনা…
নীল:মা..মানে
সাথী: কি হয়েছে খুলে বল,
নীল: ধুর্ কি হবে আমার.
সাথী: আমার কাছে লুকাতে চাওয়া আর বোকামি করা একই বিষয়…
নীল: আরে তুই যা ভাবছিস তা না বোন,,
সাথী: শোন নীল গত একমাস ধরে তোকে আমি খেয়াল করছি কেমন যেনো অমনোযোগী হয়ে গেছিস…সারাদিন বাইরে থাকিস খোঁজ নিয়ে দেখেছি তুই হাসপাতালেও সেভাবে থাকিস না… কিন্তু বাড়িতেও থাকিস না….অনেক রাত পর্যন্ত ঘরে আলো জ্বলে… একদিন দেখলাম রাত চারটা পর্যন্ত লেপটপে কি যেনো ঘাটাঘাটি করছিলি…আর আমাকে দেখলেই তুই ইদানিং চমকে উঠিস…বিশেষ করে ল্যাপটপ টা সাথে সাথে বন্ধ করে দিস….!
নীল: কি বলতে চাইছিস…!
সাথী: বলতে নয়,,,জানতে চাইছি সত্যিটা কি.. সেদিন লাইব্রেরি ঘরে বই পড়তে গিয়ে দেখলাম টেবিলে একটা বই পড়ে….ইংরেজিতে লেখা ছিলো সব। ভেবেছিলাম ইংরেজি উপন্যাস হয়তোবা….কিন্তু নাহ্ এতো কঠিন ভাবে ইংরেজি লেখা ছিলো যে একটা শব্দও বুঝতে পারিনি…সব অপরিচিত শব্দ…!
নীল: তার মানে,,
সাথী : তুই দেখি ইদানিং ফোনে সময় বেশি ব্যায় করিস….
নীল: তারমানে তুই কি আমাকে কোনোভাবে সন্দেহ করছিস বোন…! আমার চরিত্র নিয়ে কি তোর সংশয় আছে….
সাথী: আমি কিন্তু তা একবারও বলিনি…আর আমার ভাইয়ের চরিত্র নিয়ে আমার অহংকার ও দৃড় বিশ্বাস আছে….!
নীল: তাহলে,,
সাথী: কথা ঘোরাস না…কোনো ঝামেলাতে পড়লে বল আমাকে…আমি তোকে সাহায্য করবো..
নীল : আরে আপু..!
অয়নীর জ্ঞান এসেছে…
অয়নী: নী..নীল..
নীল: হ্যা অয়নী বলো…!
অয়নী: নীল…!
নীল: হু বলো আমি সাথী আপু সবাই আছি এখানে…!
অয়নী: নীল ওটা কে,,
নীল: কোনটা,
অয়নী: ওই যে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে..
নীল: না তো জানালর পাশে কেও নেই তো…!
অয়নী: আছে…আমি দেখেছি তখন..
নীল: কিহ্ কখন আর আমাকে ডাকোনি কেনো…
অয়নী: তোমাকে কফি দিতে আসছিলাম তখন দেখেছি….! নীল ওখানে কে দাড়িয়ে,,
নীল: ওখানে কেও নেই অয়নী….!
নীলের হঠাৎ মনে হয়ে গেলো তখন তো জানালার ধারে দাড়িয়ে নীল কথা বলছিলো..! তার মানে…ওহ্ নো আবারও কি কিছু শুনে ফেললো,,
নীল: আরে না না…তুমি ভূল দেখেছো…!
অয়নী বড্ড ভয় পেয়েছে তখন..! নীল কয়েকটা ঔষুধ খাইয়ে দিলো। আর একটা ঘুমের ঔষুধও..
নীল: বোন থাক আমি হাসপাতালে যাচ্ছি একটা পেশেন্ট এর মারাত্মক অবস্থা….!
সাথী: হুম যা…!
নীল: আচ্ছা গেলাম,,
সাথী: কতোবার বলেছিনা গেলাম বলবিনা….! বলবি আসি..
নীল: আচ্ছা বাবা ভূল হয়ে গপছে…সরি…আসি হ্যা,,
সাথী: হুম…তাড়াতাড়ি ফিরিস আজ একসাথে সবাই মিলে ডিনার করবো। আমি নিজের হাতে রাঁধবো…! সো দেরি করলে কপালে দুঃখ আছে…আর আগামীকাল থেকেই তো বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হবে….! তখন আর সময় পাবোনা…. আর বিয়ের আমেজ কাটতে না কাটতে হয়তো তোর ভাইয়ার ওখানে চলে যাবো… সো মনে থাকে যেনো,,
নীল: যথা আজ্ঞা…!
নীলে হাসপাতালের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো….!
অয়নী বিকালের দিকে ঘুম ভাঙ্গলো…উঠে দেখে রোয়াকে বসে সুপ্ত সাথীর কোলে মাথা রেখে গল্প শুনছে….!
অয়নী দেখে ঠোটের কোন থেকে থেকে একটা অস্ফুটকার হাসি বের হলো ভাবছে,
” মানুষ কি ভালো..সুপ্তকে সবাই এ বাড়ির সবাই আপন করে নিয়েছে…! এ বাড়ির কাজের লোক থেকে শুরু করে মালিসহ সবাই আর সাথী আপু তো ওক ছাড়া কথাই বলেনা…নীল আসলে তো ওর ঘাড়ের ওপরেই সুপ্ত দিনরাত কাটিয়ে দেই…! কত্তো ভালবাসে সবাই ওকে….
সাথী: কিরে ঘুম ভাঙ্গলো…!
অয়নী: না মানে আসলে আপা শরীরটা দুর্বল লাগছিলো তো খুব তাই…!
সাথী: তোর কাছে কি কৈফিয়ত চেয়েছি আমি যে এভাবে কথা বলছিস হুম..
অয়নী: আচ্ছা আর বলবনা….
সাথী: যা ফ্রেস হয়ে এখানে আয়…মনটা ভালো হয়ে যাবে
অয়নী: জ্বী আপা..!
তারপর দুজন মিলে বারান্দায় বসে গল্প করতে লাগলো…বিয়েতে কি প্ল্যানিং… কি করবে,, কোথায় প্যান্ডেল করবে… কিভাবে সাজানো হবে…খাবার মেনুতে কি থাকবে…! রিসিপসনে কে থাকবে….কার ঘাড়ে কি দায়িত্ব দেওয়া হবে…এইসব…
দুজনে হাসাহসি করছিলো আর গল্প করছিলো। সাথীর ফোন আসলো
সাথী কিছু বলার আগেই ফোনের ওপর পাশ থেকে একজন বলে উঠলো,
: হ্যালো সাথী মেডাম আমি ডেকোরেশন এর ম্যানেজার বলছিলাম,,
: হু বলুন
: আপনি তো আমাদের কে আগামীকাল যেতে বলেছেন..
: হুম..তো
: কিন্তু..
: কি
: নীল স্যার তো আমাদের যেতে নিষেধ করে দিলো
: কিহ্ কিন্তু কেনো…!
: জানিনা ম্যাডাম…
: ও
: স্যার বললো আমাদের যাওয়া লাগবেনা। স্যার অন্য জায়গা থেকে লোক আনবে…দরকার হলে আমাদের বিল দিয়ে দিবে…
: তো আপনি কি বললেন..
: আমরা বললাম আমাদের টাকা লাগবেনা..আপনাদের সাহায্যতেই তো আমরা আজও,টিকে আছি শহরের বুকে
: নীল কি কিছুই বলেনি…!
: না ম্যাডাম
: ওওও..আচ্ছা তাহলে আর কি বলবে…সরি…আমিই আপনাদের কল করেছিলাম..
: না না ম্যাডাম কি বলছেন….আপনার আমাদের সিলেক্ট করেছিলেন এটাই অনেক…
: ওকে.. কিছু মনে করবেননা যেনে প্লিজ…বাই দা ওয়ে আমার ভাইয়ের বিয়েতে আপনাদের নিমন্ত্রণ থাকলো আসবেন সবাই..
: জ্বী,,জ্বী….ম্যাডাম…আচ্ছা ম্যাডাম রাখি….আসসালামু আলাইকুম
: অলাইকুম আসসালাম…!
অয়নী: আপা কে ফোন দিয়েছিলো…!
সাথী: ও ওই ডেকোরেশনেরর লোকেরা আমি ওদের সাজাতে আসতে বলেছিলাম..নীল আসতে নিষেধ করে দিয়েছে…! বাদ দে…তুই বাগান থেকে ঘুরে আয় আমি নীলের জন্য রাতে রান্না করতে যাই.. আজ সবাই একসাথে ডিনার করবো..
অয়নী: চলে আমিও যাবো…
সাথী: তাই,, তো চল,
অয়নী: হু..আপু আমিও রান্না করবে কিন্তু….!
সাথী: আচ্ছা বাবা চল….
অয়নী আর সাথী দুজনই তাদের সব থেকে পছন্দর কাজ রান্নাবাড়াতে ব্যাস্ত….
রাতে সাথী আর অয়নী ডাইনিং টেবিলে বসে আছে…
নীলের ফেরার তে নামই নেই.
সাথী: উফ এই ছেলেটা এতই কেয়ারলেস…
অয়নী: ওর তো সন্ধ্যায় আসার কথা
সাথী: জানিস আগে আমি লাঠি নিয়ে সন্ধ্যায় বসে থাকতাম,,, ও ভয়ে ভয়ে আগেই চলে আসতো..
অয়নী: আপু আবার লাঠি নিয়ে বসে থাকবা তো
সাথী: আমার ভাইটাকে দেখে রাখিস,
কিন্তু…আমি চলে যাবো তোকে কিন্তু সব দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি….! আমার ভাইটা পাগলাটে অকারণেই মাঝে মাঝে রাগ করে..কিছু মনে করিস না যেনো… প্রিয় লোকজেনদের ওপর ও যতদ্রুত অভিমান করে তত দ্রুতই আবার ভূলে যায়
অয়নী: হুম…
সাথী: দেখছিস কেমন কেয়ারলেস…বললাম আজ সবাই ডিনার করবো আর পাগলটার আসার নামগন্ধ নেই..!
অয়নী: হু!
সাথী: যা ফোন দে তো…দেখ তো কতদূর…!
অয়নী: হুম যাচ্ছি..
অয়নী ঘরে এসে নীলকে কল দিলো…
নীল রিসিভ করে বললো
নীল: হুম বলো….শরীর এখন কেমন আছে..
অয়নী:হুম ভালো..
নীল: কি করছো..
অয়নী: অপেক্ষা..
নীল: তাই বুঝি
অয়নী: জ্বী …
নীল: তা কার জন্য অপেক্ষা এতে অপেক্ষা ম্যাডাম
অয়নী: একটা ইডিয়েটের জন্য..
নীল : আঁ..কারজন্য
অয়নী: একটা ইডিয়েট যার সময় জ্ঞান বলতে আল্লাহ্‌ কোনে কিছু দেয়নি….! শুধু দিয়েছে বদমাইশি বুদ্ধি…!!
নীল: ওমা কে সেটা
অয়নী: বদমাইশটার নাম হচ্ছে নীল….নীল…নীল.. শুনতে পেয়েছ
নীল: বাপরে,, না শুনে উপায় আছে..কানের পোকা গুলোও বেরিয়ে গেছে বোধয়…!
অয়নী: দ্রুত চলে আসো… সাথী আপু সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছে… আর আজ সুপ্তটাও না খেয়ে বসে আছে
নীল: কেনো….
অয়নী: তার মুখে এক কথা বাবাইয়ের পাশে সে খাবে আজ নয়তে আর খাবেনা….
নীল: কিহ্
অয়নী: হুম
নীল: তাহলে তে দ্রুতো আসতে হয়
অয়নী : কেও তে নিষেধ করছেনা….!
নীল : সত্যিই কি তাই
অয়নী: পাজি কেথাকার… তারাতারি আসো….
নীল: আচ্ছা আসছি….!
অয়নী ফোন কাটতে যাবে মনে হলো যেনো ফোনের ওপাস থেকে কেও কথা বলছে তাই ফোন আবারও কানে নিতেই শুনতে পেলো নীলের সেই ভযংকর গলাতে কথা বলছে,,কাওকে বলছিলো
: মন দিয়ে শোনো এই অপারেশন টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু…একবছর এর পরিকল্পনা যদি নষ্ট হয় তো একজনও বেঁচে থাকবেনা…একটুর জন্যও অসতর্ক হলেই কিন্তু…আমি আবারও বলছি এক ন্যানো সেকেন্ডের জন্য ভূল পদক্ষেপ বা ভূল সিদ্ধান্ত অনেকের জীবনে কালবৈশাখী ঝড় ডেকে আনবে…আশা করি তোমরা বুঝতে পারছো….!
তখন অনেক জোরে সবাই বলে উঠলো,
: (সম্মিলিত কন্ঠে) ইয়েস সার…..!
: কারা কারা অংশগ্রহণ করছে…
: Sir, the most well trained officers…
: Ok done..!
: yes sir..
: Let’s make our dream true…!
: (সবাই একসাথে জোরে বললো) Yes sir, we will try to do our best till our end of life….
অয়নী বুক,কেপে উঠলো। ও বুঝতে পারছেনা যে কে এই নীল..কি তার আসল পরিচয়….বাজে ছেলে নয়। আজ এতদিন এই বাড়িতে আছি। কখোনো কোনো খারাপ ইনটেনশন দেখিনি…তাহলে..
এই কণ্ঠটা আমার খুব চেনা কিন্তু মনে করতে পারছিনা….! কোথায় শুনেছি আমি…..!!!
হ্যা মনে হয়েছে…হ্যা..মনে হয়েছে… আজ থেকে দুই বছর আগে সেদিন রাতে যার সাথে কথা বলেছিলাম তারও একই রকন কণ্ঠ..আর তার নামটাও ছিলো নীল….!!
তয়রমানে আমার চেনা নীলই কি তাহলে সেদিনের সেই অচেনা নীল…তাহলে তে নীল একজন….
” অয়নী…. অয়নী..কি রে কোথায় গেলি…! নিচে আয়..”
“হ্যা আপু আসতেছি…..!”
কিছুক্ষণ পর নীল আসলো
নীল: সরি সরি…! দেরি হয়ে গেলো…!
সাথী: আজ একবার বাগান বাড়িতে যেতে হবে..
নীল: কেনো..
সাথী: আমার লাঠিটা ওখানে আছে আনতে হবে…!
নীল: উহুম্ উহুম.. অয়নী খেয়েছো..
অয়নী: আপাতত আমার সাথে কথা বলবানা….!
নীল: বাপরে সবাই খেপে আছে দেখছি..বাবাই তুমিও কিছু বলো সবাই বলছে তুমি এ সুযোগ থেকে বাদ যাবা কেনো..
সুপ্ত: বাবাই তোমাল শাস্তি আছে একটা
নীল: তা কি সেটা..
সুপ্ত: আজ আমাকে দুইটা ভূতের গল্প শোনাতে হবে…..!!
সুপ্তর ওই একটাই কাজ যাই হোক যেকোনো কাজ যেকোনো অযুহাতে একটাই দাবি ভূতের গল্প শোনা চায় তার….!
নীল: আচ্ছা…
নীল ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার টেবিলে সে ইশারাই সবকিছু দিতে বলছে…!
সাথীর হাসি বের হলেও তা চেপে রেখে খাওয়া দাওয়া করে উঠে গেলো। অয়নীও তাই করলে… নীল খাওয়া সেরে বসে আছে টেবিলে..! সুপ্ত এসে নীলের হাত ধরে টানছে আর বলছে..!
সুপ্ত : বাবাই ও বাবাই
নীল: কি বাবা
সুপ্ত: ভূতের গল্প…!!
পরেরদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে বাড়ি সাজানোর কাজ। বাড়িতে সব আত্মীয় সজন রা চলে এসেছে… সবাই হই হুল্লোড়….ছোটো বাচ্চারা গানের তালে তালে নাচছে…প্রিয় গান বাজাচ্ছে…..
আর এদিকে নীলের ওপর ফরমান জারি হয়েছে…দুই ঘন্টার বেশি এখন বাড়ির বাইরে থাকতে পারবেনা….! থাকলেই সাথীর লাঠিটা তার কাজ শুরু করবে…!
অয়নী নিচে এসে অন্য ঘরে যাচ্ছে। নীল এসে অয়নীর চোখ দুহাত দিয়ে চেপে ধরলো…!
অয়নী: কি হচ্ছে টা কি..!
নীল: কিছুক্ষণ পরেই বুঝবে
অয়নী: মানে
নীল: আমার তরফ থেকে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে…!
অয়নী: কি সেটা
নীল: চলোতো..তারপর দেখাচ্ছি…!
বাসার দরজার সামনে এসে নীল অয়নীর চোখ খুলে দিয়েছে…
অয়নী চোখ খুলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা…!
আশ্চর্যের সাথে জোরে বলে উঠলো..
” তুমি…!!!!!”””
< << চলবে>>>