ভালোবাসার অন্যরুপ

ভালোবাসার অন্যরুপ ! Part- 08

ফাঁকা ক্লাসরুমে ইসমির ঠোঁটের ওপর নির্যাতন চলছে আর ইসমি চেয়েও কিছু করতে পারছে না, অনেক চেষ্টা করেছে ব্যক্তিটিকে সরানোর কিন্তু পারেনি, তাই বাধ্য হয়ে সব কিছু চুপচাপ সহ্য করছে। অন্যদিকে ব্যক্তিটি আপন-মনে ইসমি ঠোঁটের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, ব্যক্তিটি ইসমির দুই হাত নিজের হাতে চেপে ধরে ইসমির কোমরের কাছে আবদ্ধ করে রেখেছে তাই ইসমি চাইলেও ধাক্কা দিয়ে সরাতে পারছে না। বেশ অনেকক্ষণ পর পরম আবেশে ব্যক্তি টি ইসমির ঠোঁট শুষে নিতে থাকে ফলে ইসমির হাত আলগা হয়ে যায়। হাত আলগা হতেই ইসমি নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ব্যক্তিটিকে ধাক্কা মারে আর ব্যক্তি টি অনেকটা পিছিয়ে যায়। পিছিয়ে যেতেই ইসমি ব্যক্তিটির মুখ দেখে। এটা আর কেউ না অর্নিল।
কিছুক্ষণ আগে …………………………..
ইসমি যখন বান্ধবীদের সাথে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল তখন ইসমির চোখ যায় অর্নিলের দিকে, অর্নিল একটা মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আর মেয়েটা ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে, কিছুক্ষণ পরেই অর্নিল মেয়েটার দু-হাত নিজের দু-হাত দিয়ে ধরে কথা বলতে লাগলো। এসব দেখে ইসমি আর এক মুহুর্ত ওখানে না দাঁড়িয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ক্লাসের দিকে পা বাড়ালো আর যেতে যেতে ভাবতে লাগলো।
ইসমি– হাউ ডেয়ার হি? গত ১ মাস আমার পিছনে টই টই করে ঘুরে বেরিয়ে যেই পাত্তা পেলো না ওমনি অন্য মেয়ের কাছে চলে গেলো? কি না করেছে এই ১ মাসে, কতো ফিল্মি কথাই না বলেছে, সব পটানোর জন্য, যেই পাত্তা পেলো না ওমনি অন্য মেয়েকে পটাতে চলে গেলো। আমারই ভুল, বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম ওকে।
এসব বলতে বলতে ইসমি যাচ্ছিল, যেতে যেতে কমন রূমের দিকে চলে গেলো ইসমি, কারণ আজ ক্লাসে মন বসবে না, একটু একা থাকা প্রয়োজন। ইসমি কমন রুমে প্রবেশ করতেই দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো, ইসমি পিছন ফিরে দরজাটা খুলতে যাবে সেই সময় হুট করে কেউ ইসমির হাত ধরে টেনে নিয়ে ওর ঠোঁটের দখল নিয়ে নিলো, হাত দুটো কোমরের কাছে আবদ্ধ করে নিলো, ঘটনার আকস্মিকতায় ইসমি টেরই পেলো না ব্যক্তিটি কে।
এখন ………………………………………
অর্নিল– উমম নাইস লিপস্টিক বেব! আই লাইক ইট! (জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে)
__ঠাসস!!
অর্নিলের কথা শেষ হতে না হতেই ইসমি ঠাস! করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো অর্নিলের গালে। অর্নিল গালে হাত দিয়ে ইসমির দিকে তাকাতেই ইসমি বললো।
ইসমি– ইউ চিপ! হাউ ডেয়ার ইউ কিস মি? তোমার মতো একটা ছেলের স্পর্শে আমার ঘৃণা লাগছে। গত ১ মাস তো খুব আমার পিছন পিছন ঘুরছিলে, ফিল্মি ডায়ালগ দিচ্ছিলে। এখন কি করলে? যেই পাত্তা পেলে না অমনি অন্য মেয়েদের পটাতে চলে গেলে, তোমরা প্রতিটা ছেলেই কি এরকম? শুধু ফ্লার্ট করতে জানো, ফীলিংস নিয়ে খেলতে জানো, ভালোবাসতে জানো না। আর কোনদিন আমার কাছে এই মিথ্যে ভালোবাসার দাবী নিয়ে আসবে না, ওহ আসবেই বা কেনো এখন তো অন্য কোনো মেয়েকে পটাতে হবে। আমি আসছি।
ইসমি কথাগুলো বলেই চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে গেলো ওখান থেকে দৌঁড়ে, অর্নিল এখন ও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, নিজের অজান্তেই ওর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো।
.
.
.
মীরা– তুর্য তুইইইইই!! এভাবে আমাকে মুখ চেপে টেনে আনার মানে টা কি? (রেগে)
তুর্য– কাঁদছিলিস কেনো?
মীরা– (নিশ্চুপ)
তুর্য– (এক হাতে মীরার কাঁধ জড়িয়ে ধরে) কি হয়েছে বল আমাকে?
মীরা– আমি কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না তুর্য! কোনটা ঠিক কোনটা ভুল আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।
তুর্য– মে বি আমান কে সবটা জানিয়ে দেওয়া উচিত।
মীরা– নাহ! আমি যদি আমান কে সবটা জানিয়ে দিই তাহলে নীতার মাধম্যে ফুপি জেনে যাবে আর ফুপি নীলাদ্রি কে জানিয়ে দিলে নীলাদ্রি আমান কে শেষ করে দিতে চাইবে।
তুর্য– নীলাদ্রি কেনো মারবে আমান কে। তুই বলিসনি নীলাদ্রি কে যে তোর বিয়ে হয়ে গেছে?
মীরা– নীলাদ্রি আমাকে বিয়ে করতে চায় তুর্য। তুই খুব ভালো ভাবেই জানিস ফুপি টাকার লোভে নীলাদ্রির সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিল, আমি বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় সেদিনের পর থেকে কোনো ছেলে কে আমার ধারে কাছে আসতে দেয়নি নীলাদ্রি, যারা আসতে চেয়েছে তাদের কে ও শেষ করে দিয়েছে। তাও আবার আমার চোখের সামনে।
তুর্য– ওহ গড! নীলাদ্রির তো তাহলে এতক্ষণে তোর বিয়ের খবর পেয়ে যাওয়ার কথা।
মীরা– পায়নি! নীলাদ্রি এ দেশে নেই, কিন্তু ওর নজরদারি আমার উপর ঠিকই আছে, ফুপি ওকে সব খবর দেয় আমার। আমি ফুপি কে বলেছি যাতে ওকে বলে আমি ৬ মাসের একটা ফ্যাশন কোর্স করছি একটা ফ্যাশন কোম্পানিতে তাই অতো যোগযোগ করতে পারবো না ওর সাথে। কোর্সটার জন্য আমি আমার বান্ধবীর বাসায় রয়েছি আর এটা বলার জন্যই ফুপি আমার থেকে টাকা নেয়।
তুর্য– ওহ তাই তুই আমান কে ৬ মাস পর ডিভোর্স দিবি মানে ফ্যাশন কোর্স কম্পলীট করে আর বান্ধবীর বাসা মানে আমানের বাসা?
মীরা– হমম। আমাদের বিয়ের এখনো ১ মাস ও হয়নি, পরিচয় আজ থেকে ১ মাস আগে হয়েছে।
তুর্য– দেখ নীলাদ্রি কে যখন জানাতে পারবি না তখন আমান কে জানা। ও বুঝবে তোর প্রব্লেম, ও তো তোকে ভালোবাসে।
মীরা– নাহ! ও এখন আর আমাকে ভালোবাসে না তুর্য। ও এখন নীতা কে ভালোবাসে, ওকে বিয়ে করবে ঠিক করেছে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর।
তূর্য– কি বলছিস তুই এসব? আমান নীতা কে বিয়ে করবে ইটস ইম্পসিবল! আমান তো জানে নীতা তোর সাথে কি করেছে, ওতো চালাকি করে তোর জবটা নিজে নিতে চেয়েছিল আর তোকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল, এইসব জানার পরও আমান নীতা কে বিয়ে করবে? তুই শিওর?
মীরা– কিছুদিন আগেই তিনি আমার চোখের সামনে নীতাকে কোলে করে ঘরে নিয়ে এসেছেন আমাকে বলেছেন ছয় মাস পর আমাকে ডিভোর্স দিয়ে নীতাকে বিয়ে করবেন। (বলেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম)
তুর্য– আমান এটা কি করে করতে পারে?

মীরা– কেন পারবেনা? উনি মনে করেন আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর আমি তোকে বিয়ে করবো তাই উনিও নীতাকে বিয়ে করবেন।
তুর্য– দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তুই আমানকে সব টা খুলে বল আমি জানি আমান তোর কথা বুঝবে।
মীরা– আমার ভয় করছে আমি চাইনা ওনার কোন ক্ষতি হোক। তুই কি মনে করিস আমি ওনাকে বলার চেষ্টা করিনি আমি যদি ওনাকে সবটা খুলে বলি তাহলে ফুপি জেনে যাবে আর ফুপি জেনে গেলে নীলাদ্রি কে জানিয়ে দেবে যেটা আমি চাইনা আমাকে সুমিও অনেকবার বলেছে আমানকে সবটা খুলে বলতে আমি ভেবেছিলামও বলব কিন্তু তার আগেই তো উনি নীতাকে নিয়ে এলেন আর উনি যখন এখন নীতাকে ভালবাসেন তাহলে আমি আর ওনাদের মাঝখানে আসতে চাই না। ভালো হবে ডিভোর্সটা হয়ে গেলেই, আমিও আমার মতো থাকতে পারবো আর উনিও ওনার মত বাঁচতে পারবেন। (চোখ দিয়ে পানি পরছে)
তূর্য এরপর কিছু বলতে গেলেই আমি থামিয়ে দিলাম আর বললাম।
মীরা– তুই এখন যা তূর্য। আমার ভালো লাগছেনা আমি বাসায় যাব। আমি যখনই তোর সাথে থাকি উনি কোন না কোনভাবে খবর পেয়ে যান আর আমার যতদূর মনে হয় এখন ও উনি খবর পেয়ে গেছেন, জানিনা বাসায় গিয়ে কি হবে আমি, আমি আসছি।
তুর্যকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমি ওখান থেকে চলে এলাম জানিনা বাসায় গিয়ে কি হবে, কিছুদিন আগে তুর্যর সাথে শপিংমলে দেখা হয়েছিল জানিনা কোথা থেকে আমান চলে আসেন, আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আমাকে বাধ্য হয়ে বলতে হয় যে তূর্য আমার লাভার। সেইদিনই প্রথম স্বীকার করেছিলাম, যে তুর্যকে আমি ভালবাসি, তুর্য আমার লাভার যার জন্য উনি এখনো আমায় ভুল বুঝেন কিন্তু আমি যে বাধ্য, এখন আমি যদি তূর্যর কথা বলে দিই যে ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া, ভাইয়া ছাড়া অন্য কিছুই না তাহলে উনি জানতে চাইবেন আমি কেন ওনাকে দূরে সরিয়ে রাখছি আমার থেকে আর তখন আমাকে হয়তো সত্যিটা বলতে হবে যেটা আমি পারবো না সত্যিটা বললে ফুপি জেনে যাবে আর নীলাদ্রি কে জানিয়ে দেবে যেটা করা আমার পক্ষে অসম্ভব এতে উনার জীবনের ক্ষতি হবে আর আমি আম্মুকে কথা দিয়েছি উনার জীবনের কোনো ক্ষতি আমি হতে দেব না। উপরন্তু নীতা আমাদের বাসায় রয়েছে এখন ফুপির কাছে আরো বেশি সহজ হবে জেনে যাওয়াটা। আমাকে এখন চুপ করেই থাকতে হবে আগে নীতা কে এ বাসা থেকে বের করতে হবে তারপর না হয় আমান কে সবটা বলবো।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে বাসার সামনে চলে এসেছি খেয়ালই হয়নি, বাসায় ঢুকে গেলাম আম্মুকে কোথাও দেখতে পেলাম না তাই নিজের রুমে চলে গেলাম নিজের রুমে ঢুকতেই আমার আমার চোখ স্থির হয়ে গেলো কারন আমার রুমে আমান একা নয় তার সাথে তার উড বি ও আছেন তাও আবার এত ঘনিষ্ঠ অবস্থায়, কেন জানো আমার সহ্য হচ্ছে না ওদেরকে এ অবস্থায় দেখে।
অন্যদিকে……………………………..
ইসমি কমন রুম থেকে বেরিয়ে এসে ভার্সিটির অন্য দিকে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খায় আর সরি বলে চলে নিতে যায় কারণ মেয়েটি আর কেউ নয় কিছুক্ষণ আগে অর্নিলের সাথে থাকা মেয়েটি, কেন জানো না ইসমির মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল মেয়েটিকে দেখে, ওর বুকের বামদিকে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। ইসমি সরি বলে চলে যেতে নিলেই মেয়েটি পিছন থেকে ওকে ডাকে।
মেয়েটি– তুমি ইসমি?
ইসমি– হ্যাঁ কেন কিছু বলবেন
মেয়েটি– হ্যাঁ বলবো তো অবশ্যই তোমাকেই তো খুজছিলাম আমি।
ইসমি– আমাকে কেন খুঁজছি না আমার সাথে আপনার কি দরকার?
মেয়েটিঃ আসলে আমার তোমাকে দরকার না। তোমাকে দরকার অন্য একজনের, আমি তার হয়ে তোমাকে কিছু দিতে এসেছি তার আগে পরিচয়টা হয়ে যাক। হাই আই এম সীমা।

ইসমি– ইট ইসমি। আমাকে অন্য কারো দরকার মানে? আর আপনি কি দিতে এসেছেন আমায়? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা
সীমা– এই নাও এই চিঠিটা না আর এই বক্স টাও নাও।
ইসমি– এটা কি? কি আছে এতে? আর আমাকে এটা কেন দিচ্ছ?
সীমা– এটা আমাকে অর্নিল দা তোমায় দিতে বলেছে, আসলে অর্নিল দা তোমাকে ভালোবাসে। এছাড়া সবাই তো জানে ভার্সিটির, এই গত একমাস কিভাবে অর্নিল দা তোমার পেছনে ঘুরেছে, অর্নিল দার জীবনে কোনদিনই আগে কোন মেয়ে আসেনি, কোনদিনও প্রপোজাল দেয়নি কাউকে, তাই তোমাকে প্রপোজ করতে খুব ভয় পাচ্ছিল আর তার কারণ এই গত এক মাস যেভাবে অর্নিল দা তোমার পেছনে ঘুরেছে আর তাতেও তুমি পাত্তা দাওনি তাতে অর্নিল দা ভেবেছিল তোমাকে সরাসরি প্রপোজ করলে তুমি থাপ্পর ছাড়া আর কিছুই দেবে না, মীরা যেভাবে ভার্সিটির ফাস্ট দিন আমাদের ট্রাস্টি মানে মিস্টার আমান খান কে থাপ্পড় মেরেছিল সেই দেখে বেচারা ভীষণ ভয় পেয়েছে তাই আমাকে এই কিছুক্ষণ আগে চিঠি আর বক্সটা তোমাকে দিয়ে দিতে বলল।
ইসমি– অর্নিল তোমাকে প্রপোজ করেনি আই মিন ও তোমাকে ভালবাসে না?
সীমা– কি বলছো তুমি এসব? অর্নিল দা আমাকে কেন ভালোবাসবে? আমিতো অর্নিল দা আর আমান দার কাছে বোনের মত উনারা আমাকে অনেকদিন আগে থেকে চেনে।

ইসমি– (হায় আল্লাহ! এ আমি কি করলাম? ভুল বুঝে অর্নিল কে থাপ্পর মারলাম? বেচারা থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে আমাকে প্রপোজ করলো না আর আমি কিনা এরপরেও ওকে থাপ্পর মারলাম? কি বড়ো ভুলটাই না করলাম।) মনে মনে।
সীমা– জানো ইসমি এই প্রথম আমি দেখলাম অর্নিল দা কোন মেয়ের জন্য জন্য ফিল করছে। আমি তো ভাবতেই পারছিনা অর্নিলদা কোন মেয়েকে ভালোবাসতে পারে, আসলে অর্নিলদা কোন সময়ে মেয়েদের ধারেকাছেও যায় না। বলতে গেলে অর্নিল দা মেয়েদের কে পছন্দ করেনা। শুনেছিলাম অর্নিল দার একটা বেস্ট ফ্রেন্ড একটা মেয়েকে ভীষণ ভাবে ভালোবেসে ঠকে ছিল যার জন্য নাকি সুইসাইড পর্যন্ত করেছিল ছেলেটি। এই ঘটনার পর থেকেই মেয়েদের প্রতি নাকি এত রাগ তাই মাঝে মাঝে মেয়েদের শাস্তি দেওয়ার জন্য রাগিং করত। বেচারা রাগিং করতে করতে প্রেমেই পড়ে গেল। তুমি কিন্তু রিজেক্ট করো না কারণ অর্নিলদার থেকে বেস্ট আর কেউ নেই আমার মতে তোমার জন্য, তোমরা দুজন মেড ফর ইচ আদার। আচ্ছা অনেক কথা বলে ফেললাম আমি এবার আসি আমার ক্লাস আছে টাটা।
সীমা কথাগুলো বলে চলে গেল, আর ইসমি ভাবতে লাগল কত বড় ভুল করে ফেলেছে ও, ওকে ক্ষমা চাইতে হবে অর্নিলের কাছে। তাই আবার ছুটল কমন রুমের দিকে হয়তো অর্নিল এখনো ওখানেই আছে ইসমির ভাবনা সত্যি হল, কমনরুমে অর্নিল ছিল কিন্তু তার সঙ্গে ইসমি যেটা দেখলো সেটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিল না।