বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০৪

সকালে –

তারা – বাবা ব্যাগ কেন গুছাচ্ছ? ?

বাবা – গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।

তারা – হঠাত।

বাবা – হ্যা ফোন আসল আমাদের জমি নিয়ে
প্রব্লেম হচ্ছে।
কিছু দিনের জন্য যাচ্ছি।

তারা- আমিও যাব।

বাবা – অফিসের কি হবে।
আমি তো চলেই আসব।আর তাছাড়া ওইখানে
কত রকম সমস্যা হতে পারে এরর মাঝে আমি
তোকে নিতে চাইনা।

তারা – কিন্তু বাবা আমি একা থাকতে ভয়
পাই জানোনা?

বাবা – আমি তোর থাকার ব্যবস্থা করেই
যাব।

তারা – মানে? কোথায়?
?
বাবা -তুই আগগে আমমার ব্যাগ টা গুছিয়ে দে

তারা – আচ্ছা ব্যাগ দেও আমি গুছাচ্ছি।
তারা : বাবা কই যে রেখে যাবে কে জানে

বাবা –
চল।

তারা – আরে আমি রেডি তো হয়ে নেই।

বাবা – আচ্ছা।

তারা – আনটির শাড়ি টাও সাথে নিয়ে নেইই
।আমি রেডি চল।

দেখলাম আমরা স্যারের বাসায় আসলাম।
একি বাবা এখানে? ??

বাবা – হুম এইখানেই তো থাকবি

তারা – কিহহহ???
।এইখানে

বাবা – হুম

তারা( হচ্ছে কি কিছুই তো বুঝতে পারছিনা)
ঘরে গেলাম।
বাবা – এইখানে আমি থাকবনা।

মেঘের মা – কোন সমস্যা? ?

তারা- না মানে ….
বাবা( কাদো কাদো চেহারা নিয়ে
তাকালাম।

মেঘ – মা মা আমি…
তারা! স্যার! আপনারা?

মেঘের মা – রফিক সাহেব আপনি বলুন কি
বলবেন।

।তারার বাবা- আসলে আমার গ্রামের বাড়ি
তে আমার জমি নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
আমি ওইখানে যাচ্ছি।
এমন না যে আমি তারার জন্য ছুটি চাইলে
মেঘ দিবে না কিন্তু ওই ভেজাল এ আমি ওকে
নিতে চাচ্ছি না । তাই কিছু দিন যদি তারা
এইখানে থাকে…..

মেঘের মা – আমাদের কোন সমস্যা নেই।
আমার তারাকে খুব পছন্দ। আমার সাথে ও
থাকলে আমি খুশি ই হব।

তারার বাবা – মেঘ? ??

মেঘ – স্যার আমার কোন সমস্যা নেই।
কারন আমার মা খুশি।

মেঘের মা- মিমি তারাকে উপরের ঘরে নিয়ে
যযা
।তারা-
উপরে গেলাম।
ওমা এত ঘর! !! আর ২ জন মানুষ! !!
যাক বাবা বড় লোকেদের ব্যপার।

মিমি – এটা আপনার রুম।

তারা- আচ্ছা কি সুন্দর।

তারার বাবা- মেঘ বাবা তোমার অসুবিধা
হবে না তো।
মেঘের মা – আরে না কি যে বলেন।
আমাদের কোন অসুবিধা হবেনা।

তারা-
মিমি স্যার এর রুম কোন টা? মিমি-
আপনার opposite এ ১ টা রুম আগে তারা-
আআচ্ছা যাও।
উনার ঘর টা দেখে আসি

রুমে ঢুকে মনে হল কোনো গুহায় ঢুকেছি
একি???
ঘরের দেওয়াল বাদে সব কালো। ঘরের
ফার্নিচার ও কালো।
ই আল্লাহ কালো কারো এত পছন্দ হতে পারে
জানতাম না। মেঘ – এই রুমে কি করছো।
তারা- ইয়ে মানে ভুলে ঢুকে পরেছি। মেঘ –
তোমার বাবা যাচ্ছে । তারা – তুমি এখনি
যাবে। বাবা – হুম।
আচ্ছা আসি তাহলে।
শুন ভাল মত থাকবি।
কোন সমস্যা করিস না।
তারা- হুম।

মেঘ – চলুন আমি বাস স্ট্যান্ড দিয়ে আসি। ।
তারা – আমিও যাব।

মেঘ – হুম।

তারা- বাবাকে দিয়ে সোজা অফিসে
গেলাম।
উফফ ক্ষুদা তে পেটে ইদুর মিলখা হয়ে গেছে।

হিয়া – কিরে পেটে হাত দিয়ে বসে আছিস
কেন?
তারা-
কি করব ক্ষুদা লাগছে।

হিয়া – কেন্টিন এ যা খেয়ে আয়। ।
তারা – খাচ্ছিলাম আর নিজের সাথে কথা
বলছিলাম অই রাক্ষসের বাসায় এখন থেকে
থাকতে হবে।
আল্লাহ হানে আমার কপালে কি আছে।
আল্লাহ বাচাও।
মেঘ – তারা কই?
দেখলাম এইখানেই আসছে। তারাকে ধরে
কেবিন এ নিয়ে গেলাম হাত টা শক্ত করে
ধরলাম

তারা- স্যার স্যার কি করেছি আমি। ব্যথা
লাগছে ছাড়ুন।

মেঘ – তারা! আমার বাসায় থাকছ ভাল কথা
ভাল ভাবে থাকবে।
বেশি তিড়িং বিড়িং আমার পছন্দ না। মনে
যেন থাকে। বুঝলা?
যাও।

তারা- হুহ।
হাত টা শেষ করে দিল আমার। ফাযিল।

মেঘের মা – কিরে তুই চলে আসলি তারা কই। ।
মেঘ – অর টাইম হলে আসবে।

মা- মেয়েটা কে একা রেখে চলে আসলি?? ।
মেঘ – তো?

তারা- ভিজতে ভিজতে বাড়ি আসলাম।
বাইরে ঝড় হচ্ছে।

মা- কিরে তোর কি অবস্থা যা তাড়াতাড়ি
চেঞ্জ কর।
সব তোর জন্য মেঘ।

মেঘ – কিন্তু।

মা- কাল কে থেকে অ তোর সাথে যাবে
তোর সাথে আসবে।
বাস কথা শেষ।

তারা- ভাল হইছে।
ফাযিল কুত্তা।
হাচি দিতে দিতে শেষ।

মেঘের মা – আরে আনটি আপনিখাবার আনতে
গেলেন কেন।

মিমি কে পাঠেতেন।নাহয় আমি ই যেতাম। “।
মা- নিজের মেয়ে হলে তখন ও মিমি কে
পাঠাতাম ??
দেখ তোকে আমি আপন ই ভাবি। আমার
জানিস ১ টা মেয়ের কত শখ ছিল। তুই আজ
থেকে আমাকে মামনি বলে ডাকবি। ঠিক
আছে।
নে খেয়ে নে। তারপর ওষধ খেয়ে ঘুমা। ।
তারা- মামনি বলার যখন অধিকার দিয়েছ ১
টা আব্দার করি?

মামনি – বল

তারা- তুমি খাইয়ে দেও।

মামনি – পাগলি ১ টা দিচ্ছি। নে এবার চুপ
করে ঘুমা।

তারা- তুমি আমার সাথে ঘুমাও আজ। ।
মামনি – আচ্ছা।

সকালে –
মেঘ – মা মা
কি ব্যপার মা কই।

তারা- উফফ সকাল সকাল চিল্লাচ্ছেন কেন? ?
মামনি ঘুমাচ্ছে।

মেঘ – মামনি? ???

তারা- জি মামনি।
উনি আমার রুমে?

মেঘ – doc. মা কে সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা
করতে বারোন করেছে আর তুমি মা কে উপরে
নিয়ে গেছ???( চিতকার করে)
ওর কাছে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।

তারা- ঢক গিলতে গিলতে না মানে .. ইয়ে
আমি।

মেঘ – তারার মুখ টা চেপে ধরলাম শক্ত করে।

তারা- জোরে করে চিমটি দিয়ে বস্লাম। ।
মেঘ – আহহ ওই…

মামনি – কি হচ্ছে কি এইসব? ? মেঘ – না
কিচ্ছু না।

তারা-
মামনি তোমার ছেলে আমাকে বকছে। আমি
নাকি তোমাকে উপরে নিয়ে গেছি। ।
মামনি – তোকে এক থাপ্পড় লাগায় দিব। না
জেনে তোকে কথা বলতে কে বলে? আমি ই
গেছি অর কাছে ও বলেনি। সরি বল।
সরি বল।

মেঘ – মুখ ঘুরিয়ে সরি।
( অফিস আসো তারপর বুঝাব; ১ দিনেই আমার
মা কে হাত করেছ তাইনা)

তারা- মামনি তোমার ছেলেকে বলনা আমি
আজ যাবনা।
আমি অসুস্থ!

মামনি – তারা আজ যাবেনা।
ওর শরীর ভাল না।

মেঘ – কিন্তু মা!

মামনি – একদম চুপ।

অফিসে-
মেঘ – বাসায় যেয়ে নেই পরে মজা বুঝাব। ।
তারা- বেচে গেছি আজ অফিস গেলে আমার
খবর ছিল।
যাক সারাদিন মামনির সাথে মজা করে
কাটানো যাবে।

সারাদিন আমি আর মামনি মজা করে
কাটালাম।
আমি আর মামনি খেয়ে নিলাম। মামনি তুমি
ঘুমাও আমি উপরে গেলাম। ।
মামনি -আচ্ছা

তারা- বারান্দা তে বসে ল্যাপটপ এ মুভি
দেখছিলাম।
ওরে বাবা স্যার এসে গেছে।দেখলে খবর
আছে। রুমে যাই।

মেঘ – মায়ের রুমে মা কে দেখে আসলাম।
ঘুমিয়ে গেছে।

মিমি খাবার সার্ভ কর।

মিমি রান্না আজ অন্য রকম লাগছে। ।
মিমি – জি স্যার।
তারা ম্যাম করেছে।
খুব মজা হয়েছে তাইনা।

মেঘ -( ভালই তো)
হুহ কিসের ভাল একটু ও না।

তারা- উপরে দাড়িয়ে শুন ছিলাম। হুহ ভাল
তো লাগবেইনা।
আমি যে রান্না করেছি তাই।

মেঘ – তারার ১ টা ব্যবস্থা করতে হবে।দেখছ
পানি খাব মিমি আজ পানি রেখে যায় নি।
আবার নিচে যেতে হবে আল্লাহ। ।
রান্না ঘরের সামনে যেতেই দেখি তারা
পানি খাচ্ছে।
পিছনে দাড়ালাম।

তারা – ঘরে পানি নিয়ে যেয়ে রাখি আবার
পরে কে নামবে নিচে।
পিছনে ঘুরেই স্যার কে দেখলাম পানি বোতল
পড়ল স্যারের পায়ে।

মেঘ – আল্লাহ।

তারা- সরি স্যার।
সরি।
ভাগ তারা ভাগ।
এখন মিলখা হয়ে যা।

মেঘ – ওই ওই যাবা কই। পাইছি।তারা চিতকার
দেওয়ার আগেই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।

এবার কথা বল দেখি।
হাত ২ টা শক্ত করে ধরে নিজের সাথে
জরিয়ে ধরে রাখলাম।
সকালে খুব তো মাকে দেখে সাহস বেড়ে
গেছিল তাইনা।
এখন ভয় পাচ্ছ কেন?
কি ভেবেছ তোমাকে পাব না।?
বল বল এখন কথা বল।

তারা( ছাগল মুখ ধরে রাখছে কথা কিভাবে
বলব)

মেঘ – মুখ থেকে হাত সরাচ্ছি যদি বেশি
আওয়াজ করো তাহলে কিন্তু খবর আছে। ।
তারা- তখন থেকে বলছেন কথা বল। কিভাবে
বলব এভাবে ধরে রাখলে। গরু।

মেঘ – কি বললা?? আমি গরু???

তারা- মামনি? ?

মেঘ – পিছনে ঘুড়লাম।
মা কই?

তারা- হাতে কামোড় মেরেই দৌড়। ।
মেঘ – ওই ওই দাড়াও দাড়াও।
যাহ আমাকে গরু বানিয়ে দিল। মেয়ের বুদ্ধি
আছে বলতে হবে। আমিও দেখে নিব।

রাতে হঠাত শব্দে ঘুম ভেংগে গেল ।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *