বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ২০
মেঘ- কারন আমি switch টিপে door lock kore
diyechi.
তারা : কেন? ??
।
মেঘ – এমনি।
।
তারা : দেরি হয়ে যাচ্ছে door unlock korun.
.
মেঘ : করব যদি একটা কিস দেও।
।
তারা : কিহ?
পাগল নাকি।
জিবনেও না।
।
মেঘ – অকে তাহলে আনার সাথে এইখানেই
থাক।
।
তারা : আল্লাহ।
বসে থাকলাম চেয়ারে।
দেখছি উনি ফোন এ কথা বলতে বলতে
জানালার সামনে দাড়ালেন।
আমিও সুযোগ মত রিমোট টা নিয়ে দরজা খুলে
দিলাম দৌড়।
।
মেঘ – তারা! তারা! দাড়াও দাড়াও।
।
তারা – হায় আল্লাহ একটা taxi অ নাই।
অই রাক্ষস টার জন্য রাত তখন ১১ টা।
ভয় অ লাগছে।
ঠান্ডা অ লাগছে।
।
মেঘ – অই মেয়ে এত রাতে কি একা যেতে
পারবা।
দেখছ রাস্তা খালি গাড়িতে উঠো।
।
তারা : উপায় না পেয়ে উঠলাম।
।
মেঘ – গাড়িতে কত কথা বললাম কিন্তু তারা
কিছুই বলল না।
বাসার সামনে নেমে
তারা : tnx.
।চলে আসলাম।
।
মেঘ – পাগলি একটা।
কবে যে আমাকে মাফ করবে আল্লাহ জানে।
।
অফিসে –
মেঘ – good morning all.
all staff – good morning sir.
.
তারা : এইখানে sign লাগবে স্যার।
।
মেঘ – কোথায়।
।
তারা : এইখানে।
।
মেঘ : বুঝছিনা।
পাশে এসে দাড়িয়ে দেখিয়ে দেও।
।
তারা, ( জানিতো ইচ্ছা করে এমন করছে)
গেলাম পাশে দেখিয়ে দিলাম এইখানে।
।
মেঘ – অ একটু নিচু হতেই সুযোগ বুঝে আমিও
গালে চুমু দিয়ে বসলাম।
।
তারা – এটা কি হল।
।
মেঘ – কি হল?
।
তারা – disgusting.
চলে আসলাম
দিন দিন টর্চার যেন বেড়েই চলেছে।
কেবিন এ গেলে যখন তখন কিস করে বসবে,
জরিয়ে ধরবে। এভাবে কি তার সাথে পারা
যায়।
আর বাসায় তো আছে ই।
যখন তখন ঘরে ঢুকে যায় ।
আল্লাহ।
এত কিভাবে সহ্য করা যায়।
।
ফাইল দিয়ে উনার কেবিন থেকে বের হলাম।
উনি উনার সুযোগ মত কিস করে নিয়েছে।
।
এনি – wht is this tara.
.
tara ; wht.
?
.
anni – kane kane bollam.( did he kiss u again)
.
তারা – u saw it again??
.
anni – no.
ur lips are wet .
look.
.
tara – o Allah.
its nothing.
seriously.
জলদি করে আনার টেবিল এ এসে বসলাম।
অইদিন কিস করার সময় এনি দেখে
ফেলেছিল।
উনার আবার কি।
প্রব্লেম এ তো পড়লাম আমি।
এনি মনে করে উনি আমার বয়ফ্রেন্ড।
মনে না করার ই বা কি আছে।
যা দেখে তা দেখলে মানুষ তাই ভাববে।
জিদ্দে গেলাম উনার রুমে।
অই অই আপনি পাইছেন কি হ্যা।
।
মেঘ*- কি হল।
।
তারা – আপনি জানেন সবাই আপনারে আর
আমাকে নিয়া কত কথা বলছে।
মেঘ – কি বলে? ?
।
তারা – আপনি নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড।
।
মেঘ – খারাপ কি বলছে? ?
।
আমিতো তোমার বয়ফ্রেন্ড ই।
।
তারা :কে কে বলছে।
মেঘ – আমি।
।
তারা; উফফফফ
কথা বলাই বেজার আপনার সাথে।
।
মেঘ – হেহেহে।
।
তারা – হাসবেন না।
দুর
।
চলে আসলাম।
।
হিয়া – কি রে রেগে আছিস কেন।
।
তারা – রাগবনা কি করব।
অই খাটাশ এর জালায় কি আর ভাল থাকার
যো আছে।
।
হিয়া – cool down. yr.
তারা – দুর তোর cool down my foot.
.
থাক গেলাম
।
হিয়া – কই।
অফিস টাইম শেষ হয়নাই।
তারা – ছাদে যাই হাওয়া খেয়ে আসি।
।
ছাদে –
।
মেঘ – ছাদে দেখি তারা দাড়িয়ে- আছে।
বাতাসে চুল উড়ছে।
শিতে কেপে কেপে উঠছে ।
শেষ বিকালের আলো গায়ে মাখাচ্ছে।
।
কি করছ তারা।
।
তারা – আপ্নাকে বলব কেন।
।
মেঘ – তারাকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে
আনলাম।
।
তারা – ছাড়ুন।
।
মেঘ – চেঁচামিচি কিরলে তোমার ই লোছ।
সবাই আসবে আমাদের এই ভাবে
দেখবে।
।
তারা – চুপ হয়ে গেলাম।
।
মেঘ – তারা তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
তোমার চীখে ডুবে যেতে ইচ্ছা করছে।
।
তারা – নটাংকি করার আর জায়গা পান না?
।
মেঘ – কথাটা শুনে রাগ উঠে গেল।
ধরলাম চুলের মুঠি।
।
তারা – ( ব্যথায়) আহহ।
।
মেঘ – তুমি আমার রাগ উঠাও কেন।
।
চুল হাতে নিয়ে কিস করলাম।তারপর
তারা চলে গেল।
তারাকে মানানো সহজ হবেনা।
একদম ই না।
।
রাস্তায় একদিন ইমুর সাথে দেখা।
ইমু – মেঘ তুই? ?
তুই লন্ডন এ ??
what a surprise! !! তারা কই?
নিশ্চয় honeymoon এ আসছিস।
।
মেঘ – আরে রাখ তোর আজাইরা প্যচাল।
।
ইমু – কেন কি হল।
তারা কই? ?
।
মেঘ – আগে কাহিনি শোন।
সব বললাম।
।
ইমু – ৪-৫ টা কিল ঘুসি দিলাম।
এর জন্যই তোকে বলে আসছিলাম রাগ টাকে
control কর।
আর তুই!! ভাল হইছে। তারা ভাল করছে।
এখন কি করবি? ?
।
মেঘ – তুই বল না কি করব।
।
ইমু – আমি কি জানি??
।
যা খুশি কর।
।
মেঘ – তুই আর রাগিস না প্লিজ।
টেনশন এ আছি এমনি তে।
।
ইমু – আগে তারার মন থেকে অভিমান এর মেঘ
কাটাতে হবে।
শোন এই ক্ষেত্রে জেলাসি ভাল কাজ করবে।
অকে জেলাস ফিল করাতে হবে
।
নেঘ – আর এই কাজে তুই হেল্প করবি
আমাকে।
।
ইমু – আমি? ??
কি কস।
।
মেঘ – হুম হুম।
মিনে আছে তারা তোকে দেখে আগে কত
রাগ হত।
।
তাই তুই এই কাজ করবি।
।
ইমু – অকে।
কাল কে অফিসে যাব আমি।
ঠিকানা দে ফোন এ পাঠিয়ে।
।
মেঘ – ইমুর কথা মত ইমুর জন্য কেবিন এর
বাইরে দাড়িয়ে আছি।
।
তারা – কিরে হিয়া উনি বাইরে দাড়িয়ে কি
করে।
।
হিয়া – কি জানি।
।
তারা – এই যে কি করছেন এইখানে
দাড়িয়ে??
।
মেঘ – যাই করি।
।
তারা – অকে যা খুশি করেন।
।
ইমু – হাই মেঘ. বলেই তারার সামনে মেঘ কে
জরিয়ে ধরলাম।
।
তারা – হ্যা হয়ে গেলাম।
মেঘ – কিরে কি করছিস ( ফিস্ফিস করে)
।
ইমু – চুপ থাক।
চল কেবিন এ।
।
হিয়া- কিরে এটা কি হল?
।
তারা – আমি কি জানি।
।
মেঘ – ইমু কি বুঝলি?
।
ইমু – বুঝলাম অভিমানকাটতে সময় লাগবে।
।
হিয়া – মেয়েটা কে রে?
।
তারা – উনার ফ্রেন্ড বলছিলাম না ইমুর কথা
এটা অই মেয়ে।
।
হিয়া – অমা।
এতদিন পর কি করে এইখানে।
।
তারা – আমি কি জানি।
।
হিয়া – তা চিল্লাচ্ছিস কেন।
।
তারা – এম্নি।
( বাহ বাহ এখন এবার ইমুরে জুটায়ছে) দুর
আমার কি।
।
।
মেঘ : ladies and gentleman im presenting imu
as our new employe in our office.
pls welcome her.
.
তারা – ( বাহ বাহ কি সুন্দর)
।
হিয়া – ব্যপার খানা কি হল।
।
তারা – আমারে প্রশ্ন করে কি হবে। আমি কি
জানি?
।
মেঘ – ইমু কে নিয়ে রুমে গেলাম।
কিরে তোর কথা মতই ত সব করছি সব ঠিক হবে
ত।
ইমু – হবে হবে।
।
মেঘ – তারাকে দেখিয়ে মাঝে মাঝে ইমু কে
জরিয়ে ধরি, হাত ধরি, হাসাহাসি করি।
আর তারা রেগে রেগে উঠে।
আস্তে আস্তে কাজ হচ্ছে।
।
আজ valentine day-
মেঘ – অফিসে যেয়ে দেখি সবাই সবাই কে
ফুল দিচ্ছে।
তারার টেবিল এর দিকে তাকালাম
ফুল দিয়ে টেবিল এ ভরে গেছে।
।
কিন্তু তারা কই।
।
হিয়া।
।
হিয়া – জি স্যার।
।
মেঘ – তারা কই?
।
হিয়া – কফি নিতে গিয়েছে।
।
মেঘ – আমিও গেলাম গিয়ে দেখি তারাকে
অন্য জন ফুল দিচ্ছে।
রাগ হচ্ছিল কিছু বলতে যাব তখনি ইমু হাত
ধরল।
।
তারা – ইমু মনে হল।
দেখলাম উনাকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে।
আমিও গেলাম পিছে পিছে।
।
ইমু – তারাকি আছে এইখানে।
।
মেঘ – হুম।
।
ইমু – ড্রামা শুরু করি।
happy valentine day megh dr.
ummah.
.
রোদ- তারা নে ফুল তোর জন্য।
।
তারা – ফুল টা হাতে নিয়ে ৩-৪ টা বাএই
মারলাম রোদ এর মুখে ফুল দিয়ে।
তারপর চলে গেলাম।
( হাহ কত বড় সাহস । বাহ ভালই ত। ভালই
চলছে।
কি সুন্দর সবার সামনে গালে কিস করে)
লজ্জা নাই।
করলে রুমে যেয়ে কর।
সবার সামনে কেন।
।
হিয়া – কিরে কি বিড়বিড় করিস।
।
রোদ – অই এটা কি করলি।
সবার ফুল নিল আর আমার সময়।
।
তারা – সরি রে।
মেজাজ খারাপ ছিল।
।
মেঘ – হেহেহে দেখলি কি রেগে গেছে।
।
ইমু – হেহেহে হুম।
।
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!