1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃবধুবরনলেখাঃ তানিস্ক শেখ তানি

বধুবরন-সিজন-2 !! লেখাঃ তানিস্ক শেখ তানি

বধুবরন-সিজন-2
লেখাঃ তানিস্ক শেখ তানি

রাতের অন্ধকার ফুড়ে জ্বলে ওঠা জোনাকির আলোর মতোন রাস্তার দু’পাশের দোকান পাট,সুউচ্চ ইমারত গুলোতে আলো জ্বলছে।শুভা চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে সেসব দেখছে আর ভাবছে।একটু আলো যদি ওর সারা শরীরে দিত আল্লাহ! তাহলে শুভার গায়ের রঙও উজ্জ্বল ধবধবে পরিষ্কার দেখাত।এই কালোর রঙের কালিতে শুভার ভেতরের সাদা মনটা কেউ দেখে না।এই ১৭ বছরের জীবনে লাঞ্ছনা বঞ্চনা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য ছাড়া কিছুই জোটে নি শুভার কপালে।সব কিছু এই কালো রঙের কারনে।গায়ের রঙটাই কি সব! আর কি কিছুই থাকে না একটা মানুষকে বিচার করার জন্য? শুভার চোখে বৃষ্টি নেমে আসে।অসময়ের বৃষ্টি।সারাদিন বহুজায়গা ঘুরেও রাধুনীর কাজটা পেলো না।লাস্ট বনানীতে এক বাসায় ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে। এটা না হলে আজ রাতেও ঘুম হবে না শুভার।চাকরি না হলে যে এতিমখানার বাচ্চারা না খেয়ে থাকবে।শুভা না খেলেও চলবে কিন্তু রাবু,সামি,রাতুল কি করে না খেয়ে থাকবে? ওতোটুকু বাচ্চা কি না খেয়ে থাকতে পারে? শুভার চোখের জলের গতি আরও বেড়ে যায় বাচ্চাগুলোর ক্ষুধার্ত অসহায় মুখগুলো মনে করে।

(বিঃ দ্রঃ “বধুবরন-সিজন-2 !! লেখাঃ তানিস্ক শেখ তানি ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

“-এই বনানী বনানী! হেলপারের চড়া গলার আওয়াজে শুভা চোখের জল মুছে তাড়াতাড়ি নেমে পড়ে।ব্যাগ থেকে চিরকুট বের করে জিজ্ঞেস করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছে যায়।বিশাল দ্বিতল বাড়ি।সামনে লোহান গেট শুভার উচ্চতার তিনগুণ সমান।গেটের পাশে লেখা বাড়ি নাম্বার টা আবার চিরকুটের ঠিকানার সাথে মিলিয়ে নেয়।ঠিকই আছে।মনের মধ্যে হতাশা নিয়েই গেটে কয়েকবার শব্দ করতেই মোটাসোটা একটা মধ্যেবয়সী মোচওয়ালা লোক লাঠি হাতে বেরিয়ে আসে।গায়ের পোশাকে শুভা বুঝে নেয় ইনি দারোয়ান।শুভা নিশ্চিত এতোবড় বাড়ির লোক কোনো কালো মেয়েকে তাদের রাধুনী রাখবে না।মোটেও না।বড়লোকরা স্পৃশ্য অস্পৃশ্য খুব মানে।হয়তো দারোয়ানই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবে।এর আগেও এমন হয়েছে শুভার সাথে।শুভাকে অবাক করে দিয়ে দারোয়ান গেটটা খুলে দিল।
“- ভেতরে আছে সাব!
“- জ্বী! শুভার কেন যেন মনে হলো দারোয়ান লোকটা ওকে ভালো চোখে দেখেনি।কেমন মুখ ঝামটে কথাটা বললো।কাজের মেয়ের মতো কালেনীর সাথে এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আর কে করবে?শুভা মাথা নিচু করে ভয় আর সংকোচ নিয়ে সদর দরজায় এসে দাঁড়ালো। দরজা খোলা।বিশাল বসার ঘরে দামি দামি সোফা আর নিচে কার্পেট মোড়ানো। শুভা উঁকি দিতে কেউ কর্কশ গলায় বলে উঠলো,
“- ভাইজান উপরে আছে!
“- জ্বী! মানে! শুভারকে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়েই মুখটা কালো করে বিরবির করতে করতে অন্যদিকে চলে গেলো।এখন পুরো বসার ঘর খালি।বসার ঘরের এক কোন দিয়েই উপরে যাওয়ার সিঁড়ি উঠে গেছে।শুভা ভীরু পায়ে সিড়ি মাড়িয়ে দোতলায় এসে থামলো।এখান থেকে নিচটা দেখা যাচ্ছে। রাজা বাদশাহর মহলের মতো সুন্দর বাড়িটা।ঝাড়বাতি,দামি দামি আসবাবপত্র,দেয়ালের গায়ে ঝুলানো পেইন্টিং, ফুলদানিতে বিদেশী তাজা ফুল।চোখ ঘুরতে ঘুরতে বিশাল বড় ঘঠিটায় গিয়ে আটকায়।সন্ধ্যা ৬ঃ১৫ টা বাজে।শুভাকে তাড়াতাড়ি কথা বলে যেতে হবে এখান থেকে।বেশি রাত হয়ে গেলে বড় মা রেগে যাবে।শুভা এলোমেলো পায়ে হাটাহাটি করতে করতে একটা দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো। উপরে দুটো ঘর।একটাতে অন্ধকার হয়ে আছে। এইটাতে আলো জ্বলছে।ভেতর থেকে কথা বলার আওয়াজ ও আসছে।শুভা নিজেকে গুছিয়ে দরজায় টোকা দিল।দুবার টোকা দিতেই দরজা খুলে গেলো।শুভা ঢুকবে কি ঢুকবে না এমন ভাবনায় পড়ে গেলো।অবশেষে ভেতর থেকে পুরুষালি গলার আওয়াজ ভেসে আসলো।
“-ভেতরে আসো! শুভা কিছুটা চমকে গেলেও পরক্ষণে নিজেকে সামলে ঘরে প্রবেশ করলো।পুরো ঘরটাতে বিশ্রী একটা মৃদু গন্ধ নাকে আসছে।কিসের গন্ধ শুভা বুঝতে পারে না।শুভার কেন যেন বুকটা ধুরু ধুরু করছে।এর আগের ঠিকানার বাড়িগুলোতে শুভা বসার ঘরেই বাড়ির গৃহকর্ত্রীর সাথে কথা বলছে কিন্তু এখানে চিত্র ভিন্ন। সেজন্যই বুকটা কাঁপছে। এখানে আসতো না শুভা কিন্তু এর আগের বাড়ির গৃহকর্ত্রী না করে দিতেই শুভা উঠে চলে যাচ্ছিল তখনই তার স্বামী এসে বললো এই বাড়িতে নাকি একজন রাধুনী লাগবে।শুভা যেন অবশ্যই এখানে আসে।শুভা রাজি হচ্ছিল না দেখে লোকটা নির্ভয় দেয়।জোর করে ঠিকানাটা ধরিয়ে দেয়।শুভা আসবে না ভেবেও এখানে আসে।শুভা অনেক্ষণ দাড়িয়ে থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সামনের দিকে মাথা উঁচু করে তাকাতেই দেখে রুমের মাঝামাঝি খাটের একপাশের সিঙ্গেল সোফাটাতে বসে আছে সুদর্শন এক পুরুষ।শুভার ঘরে ঢুকার পর একবারও লোকটা চোখ তুলে তাকায় নি।শুভা ভীরু চাহনীতে একবার সামনে বসা মানুষটাকে দেখে নেয়।বড়লোক বান্ধবী শর্মির বাড়ির টিভিতে হিন্দি নাটকে এমন ফিটফাট,সুন্দর নায়ক দেখেছে।শুভা অবশ্য এসব হিন্দি নায়ক টায়ক চেনে জানে না।কিন্তু শর্মি সবসময় এদের উপর ক্রাশ খাওয়ার গল্প বলে বলে মাথা নষ্ট করে দেয়।এই লোকটাও দেখতে ঠিক ওমন পরিপাটি সুন্দর। এই বাড়িটা এখন যথার্থ অর্থেই রাজমহল লাগছে আর এই লোককে রাজপুত্র। কিন্তু এ রাজপুত্রকে শুভার কেমন যেন লাগছে। বখে যাওয়া রাজপুত্রের মতোন যেন লোকটার এক হাতে জ্বলন্ত সিগারেট অন্য হাতে মনোযোগ দিয়ে সামনে রাখা ল্যাপটপ ঘাটছে।সামনে একটা পেটমোটা কাঁচের বোতল।তার পাশে গ্লাস ভর্তি পানী জাতীয় কিন্তু পানি না।শুভা এখন বুঝতে পারছে এতোক্ষন নাকে লাগা গন্ধটা এই নাপাক বস্তুতে রাখা পানীয়র।শুভার এবার খুব ভয় করছে।সত্যি এখানে আসা উচিত হয় নি শুভার।মনে মনেই বললো,
“- চলে যায়।যেই ভাবা সেই কাজ।চলে যাওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়াতেই কেউ হাত টেনে বিছানায় ফেলে চেপে ধরলো।আচমকা এমন কিছু হওয়াতে শুভা ভয়ে জমে গেলো।কাঁপা কাপা চোখের পাতা খুলে সামনে তাকাতে দেখলো একটু আগে সোফায় বসা লোকটা ওর হাতদুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে শরীরের উপর উবু হয়ে আছে।লোকটার চোখে চোখ রাখতেই আত্মা শুকিয়ে গেলো।কেমন নেশাময় চোখদুটো।শুভার ভয়ে কাঁপা শুকনো ঠোঁট ভেদ করে চিৎকার বের হওয়ার আগেই লোকটা নিজের ঠোঁটটা চেঁপে ধরে।শুভা লোকটার হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেও নিজের গায়ের কামিজটা রক্ষা করতে পারে না।টেনে ছিড়ে শুভার গা থেকে জামাটা খুলে ফেলে গলায় ঠোঁটে পাগলের মতো কামড় বসাতে থাকে।ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠে শুভা।
“- ছাড়ুন আমাকে! দোহায় আমার সর্বনাশ করবেন না।আমাকে ছেড়ে দিন।কাঁদতে কাঁদতে বলে শুভা।শুভা হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে থাকে।হঠাৎ শুভার উপর নেমে আসা ঝড়টা থেমে যায়।শুভা ভেজা চোখের পাতা খুলে সামনে তাকাতেই গায়ে চাদর সহ নিজেকে একা বিছানায় আবিষ্কার করে।তাড়াতাড়ি চাঁদরটা শরীরে জড়িয়ে জড়োসড়ো হয়ে ভয়ার্ত চোখে জোরে জোরে শ্বাস টানতে টানতে বিছানায় বসে কাঁদতে থাকে।তখনই লোকটা ভূমিকম্পের মতো পুরো বাড়ি কাঁপিয়ে চিৎকার করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। শুভা এখান থেকে যেতেও পারছে না।সালোয়ার ছাড়া তো গায়ে আর কিছুই নেই।কি করে বেরোবে এখান থেকে।শরীর টনটন করে ব্যথাচ্ছে।গলা, ঠোঁট মরিচ লাগলে যেন জ্বলে তেমন জ্বলছে।
“- আতিক! আতিক!বাড়ির মালিকের চিৎকার শুনে পুরো বাড়ির চাকর বাকর ভয়ে এক লাইনে দাড়িয়ে পড়ে।আতিক দৌড়ে ভেতরে ঢুকে মাথা নত করে দাড়িয়ে থাকে।
“-কাকে পাঠিয়েছিস আমার ঘরে?জোরে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় আতিকের গালে।থাপ্পড়ের শব্দে উপস্থিত সবাই কেপে ওঠে।আতিকের পুরো একমিনিট মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ হয়ে থাকে থাপ্পড়ের চোটে।ঐ একমিনিট ইচ্ছা মতো লাথি দিতে থাকে রায়ান খান নীল।আতিক নিজেকে সামলে স্যারের মাইর খেতে খেতে কিছু বলার চেষ্টা করে।তাতে আরও চটে যায় নীল।
“- বল এতোবড় অন্যায় কেন করিয়েছিস আমাকে দিয়ে? বল!
“- স্যার আর মাইরেন না স্যার! আতিক বুঝতে পারে না কেন হঠাৎ নীল ওকে এমন বেদম পিটাচ্ছে।জিজ্ঞেস করার সাহসও নেই আতিকের।
“- আমার ঘরে কাকে পাঠিয়েছিস! আতিক কে লাথি দিয়ে দূরে ফেলে হুঙ্কার করে ওঠে।
পুরো বাড়ি শুদ্ধ লোক ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে।আতিক এতোক্ষনে কিছুটা বুঝতে পারে।কিন্তু এর জন্য তো মার খাওয়ার কথা না।গত ৫ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার রাতে স্যারকে রোজ একটা করে খারাপ মেয়ে মানুষ এনে দিচ্ছে। কোনোদিন এমন করে নি।মেয়েগুলো ভালো না বলে শুধু ধমক আর বকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।আজ এমন কেন করলো? দালাল কি ভুল কাওকে পাঠালো? কিন্তু আমাকে তো বললো একদম সলিড জিনিসই পাঠাচ্ছে। আতিক জানে জবাব না দিলে মাইর বেশিই পড়বে তাই তোতলাতে তোতলাতে বলে,
“-স্যার! কি হয়ছে এইটা কি বেশি খারাপ হয়ে গেছে?
“-বাস্টার্ড! তোকে আমি!
“- স্যার! স্যার! মাফ করে দেন।আর এমন হবে না।এরপর ভালো, একদম ইনটেক মেয়ে এনে দেবো স্যার।
“- কোথায় পেয়েছিস ওকে তুই? ঐ মেয়ে জানে কেন ও এখানে এসেছে?
“- হ! কেন জানবো না? ওগো কাম ই তো ধান্দা করা।
“- তাই! হুমম চোখ লাল করে বলে,আচ্ছা তোকে আমি পরে দেখছি।বুয়া!
“- জ্বী ভাইজান!
“- যাও তোমার একটা শাড়ি পড়িয়ে ঐ মেয়েকে এখানে নিয়ে আসো। গো!
নীলের ধমকে বুয়া নিজের ঘর থেকে কাপড় নিয়ে দৌড়ে সাহেবের ঘরে ঢোকে।শুভা তখনও কেঁদে কেঁদে একাকার
বুয়াকে ঢুকতে দেখে ভয় পেয়ে যায়।
“- ভয় পাইয়ো না।লও কাপড় খান পিন্দা আহ! শুভা বুয়ার হাত থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।কাপা কাপা হাতে কোনোমতে শাড়ি পেচিয়ে এসে বুয়ার হাত চেপে ধরে,
“- আপনি আমার ধর্মের বোন লাগেন। আমারে বাঁচান। যাইতে দিন আমাকে প্লিজ।
“- হ! আসেন আমার লগে।শুভা কিছুটা স্বস্তি পেলেও ভয় কাটে না।শরীরে মনে হয় জ্বর উঠে গেছে এমন লাগছে।তারউপর সারাদিন রুটি কলা সারা কিছুই খাই নি।মাথা ভনভন করছে।দূর্বল শরীর নিয়েই বুয়ার পিছু পিছু নিচে নেমে দেখে ঐ লোক গ্লাসের থেকে মুখ চোখ কুচকে কি যেন খাচ্ছে।শুভার এবার ভয়ে শব্দ করেই কেঁদে দেয় বুয়ার হাত শক্ত করে ধরে।লুকিয়ে পড়ে বুয়ার পেছনে।নীল একটু আগে ঐ দালালের সাথে কথা বলেছিল দালাল নীলের কড়া গলার আওয়াজ পেয়ে বিপদ বুঝে সেই যে কল কেটেছে এরপর মোবাইলটাও বন্ধ। নীল এতোক্ষনে বুঝে গেছে চরম অন্যায় হয়ে গেছে ওর দ্বারা।আতিককে খুন করে ফেলতে ইচ্ছা হচ্ছে। নাক মুখ খেচিয়ে উঠতেই আতিক ভয়ে নিচে হাত জোর করে কাঁদতে থাকে। শুভাকে ভয় পেতে দেখে নীল লজ্জিত হয়।মেয়েটার দিকে তাকাতেও নীলের লজ্জা হচ্ছে। ছি! কতোবড় অন্যায় করেছে।কিন্তু জানতে তো হবে এখানে ও কেন আসলো? কোনো শত্রুর পাঠানো মেয়ে নয় তো আবার? নীল চোয়াল শক্ত করে সোজা হয়ে দাড়িয়ে বললো,
“- এই মেয়ে সামনে এসো!
শুভা নীলের কথা শুনে বুয়াকে জোরে চেপে ধরে।কান্না করতে করতে হিচকি শুরু হয়ে গেছে।কালো মুখটা কালো মেঘের মতো হয়ে গেছে।মাথা কাজ করছে না।
“- সামনে আসো!বুয়া টেনে সামনে দাড় করাও।শুভা মাথা নিচু করে ঘোমটা দেওয়া বউয়ের মতো জড়োসড়ো হয়ে দাড়িয়ে জ্বরের রোগীর মতো কাঁপতে থাকে।
“- শোনো!যা জিজ্ঞেস করবো প্রথমবারেই জবাব দেবে।দ্বিতীয় বার যেন এক প্রশ্ন না করা লাগে? বুঝেছ!
“- জ্বী! জ্বী! শুভা ভুত দেখার মতো চমকে ওঠে নীলের ধমক শুনে।তারপরও ভাঙা শব্দে তোতলাতে তোতলাতে শুকনো গলায় জবাব দেয়।
“- এখানে কেন এসেছ?
“- রাধুনীর কাজের জন্য সাহেব!
“- হোয়াট! কিসের জন্য!
“- বাসায় রান্নার কাজ করে দেওয়ার জন্য।
“- কে বলেছে এখানে আসতে?
“- ঐ যে মিরপুরের এক সাহেব। তিনিই আমাকে বলেছে এখানে রান্নার লোক নেবে।
“- কোন মিরপুরের সাহেব! নাম কি?
“- আমি জানি না সাহেব! আমাকে ছেড়ে দিন।শুভা নত মাথায় কেঁদে কেঁদে ভাঙা শব্দে বলে।
“- ফাজলামি করো! নাম ধাম জানো না।সে বললো আর চলে এসেছ?কে পাঠিয়েছে সত্যি করে বলো? নীল চক্ষু লাল বর্ণ করে শুভার দিকে দুকদম তেড়ে আসতেই শুভা ভয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে জ্ঞান হারিয়ে ফ্লোরে ধপ করে লুটিয়ে পড়ে।
শুভা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেতেই মুখের উপর থেকে কাপড় সরে যায়।নীল এই প্রথম সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে শুভার মুখটা দেখলো।তামাটে কালো মেয়েটার মলিন মুখে কি যেন একটা অদ্ভুত মায়া খেলা করছে।নীলের মায়া হয়! খুব মায়া হয় এই অচেনা মেয়ের মুখটা দেখে।

চলবে ………………. বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2 বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2 বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2
বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2 বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2 বধুবরন-সিজন-2 , বধুবরন-সিজন-2

বিঃ দ্রঃ ”লেখাঃ তানিস্ক শেখ তানি ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…………

 

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *