বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 08
আবির দরজা টা জোরে লাগিয়ে চলে যায়,,বাতাসে দরজা টা একবার খুলছে আর এক বার বন্ধ হচ্ছে, , আর তিথি মাটিতে বসে আছে কপালে রক্ত নিয়ে,, চোখ বেয়ে তো পানি গড়িয়ে পড়ছে,,হাতে পুরো লাল দাগ হয়ে যায়,,আবিরের আঙুলের ছাপ বসে যায় তিথির সে ফর্সা হাতে,৷ হাতটি অনেক জোরে মুচড়ে দেয় আবির,,, তিথি না চাইতে ও আজ কেঁদে দেয়
তিথির সাথে আজ পর্যন্ত কেউ এই ভাবে কথা বলে নাই,,আর এই ভাবে তার হাত কেউ ধরে নাই,,আবিরের চোখে ছিলো প্রচুর রাগ,ঘৃনা,,অভিমান যা তিথি আজ আবিরের চোখে দেখতে পায়,,,কেন জানি আজ একটু ও ভালো লাগছে না তার,,,হয়তো সে এই টা মেনে নিতে পারে নাই,,,,,
আবিরের রাগ টা যেন প্রচুর বেরে যায়,,,একটা খালি ক্লাসে গিয়ে বেঞ্চে সোজোরে লাথি দেয়,,,রাগ টা যে প্রচুর চেপে আছে মাথায়,,,,,আবির আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েকে এই ভাবে কষ্ট দেয় নাই কিন্তু আজ সে দিচ্ছে হয়তো অপমানে মানুষ সব করে,,,আবির রাগী ছেলে ঠিক কিন্তু তার মনটা সবার থেকে আলাদা,,,
নিয়া পিছন থেকে এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,, আবির এক তো প্রচুর রেগে আছে তার মধ্যে নিয়া যে তাকে পাগল করে ছাড়ে,,,আবির হাতটা সরিয়ে তাকিয়ে দেখে নিয়া,,
আবিরঃ কি হচ্ছে কি নিয়া এই সব
নিয়াঃ আরে বেবী কি হলো তোমার আমি তো শুধু হাগ করছি
আবিরঃ তুমি অযথা আমাকে কেন হাগ করলে আমি কি তোমার বিএফ নাকি যে যখন তখন এসে জড়িয়ে ধরবে?
নিয়াঃ তুমি আমার বিএফ তা তো পুরো ভার্সিটি জানে আবির,,,আর তুমি তো জানো আমি কতো লাভ করি তোমায় তাহলে কেন এই ভাবে ব্যবহার করছো😢
আবিরঃ নিয়া প্লিজ মাথা প্রচুর গরম আছে এই সব ফালতু লাভ টাভ নিয়ে আমার সাথে কথা বলবে না ওকে,,,,,আমি শুধু তোমার গুড ফ্রেন্ড ভাবি আর কিছু না,,,
আবির রেগে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায় আর নিয়া ওই ক্লাসে বসে পড়ে,,,নিয়া আবিরকে লাভ করে সে কলেজ লাইফ থেকে,,আবির তাকে কখনো পাত্তা দেয় নাই কিন্তু কখনো মুখের উপর এই ভাবে বলেও নাই,,হয়তো ওই টাকে তার প্রতি ভালোবাসা মনে করে,,,
তিথি চোখের পানি মুছে উঠে দাঁড়ায় ওড়না ঠিক করে ব্যাগটা নিচে থেকে নিয়ে হাঁটা শুরু করে,,
রিতু সে কখন থেকে তিথি খুজছে কিন্তু কোথায় ও পায় না,,হঠাৎ সিড়ির দিকে নজর যায় আর দেখে তিথি নিচে নামছে
রিতু দৌড়ে গিয়ে তিথির সামনে গিয়ে দেখে তিথি চোখের পানি মুছে মুছে নিচে নামে
রিতুঃ কিরে কাঁদিস যে??কি হয়ছে এই তিথিফ
তিথিঃকি,,,কিছু না,,,
রিতুঃ তাহলে কাঁদছিস কেন??এই তিথি কি হয়েছে রে
তিথিঃ বললাম তো কিছু না,,এখন চল ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে,,,
তিথি আর রিতু ক্লাস করে ঠিকই কিন্তু তিথির একটু ঈ ক্লাসে মন নাই বার বার মনে পড়ছে আবির তার সাথে কি ভাবে কথা বলছে,,,,বার বার হাতের দিকে তাকাচ্ছে লালছে হয়ে আছে,,,চোখের কোণায় পানি জমে আছে মনে হচ্ছে এখন আবার টপ করে পড়বে,,,
রিতুঃ কাল থেকে তোর ডান্স ক্লাস শুরু বুজলি,,ক্লাস শেষে তোকে ডান্স ক্লাসে জয়েন করতে হবে,,,
তিথিঃ ওহ আচ্ছা
রিতুঃ কি আচ্ছা হুম,,তোর স্বপ্ন তিথি তোর শখ
তিথিঃ হুম জানি তো বাবু,৷ আচ্ছা শুন না আমার না আজ ভালো লাগছে না চল এই ক্লাস এর পর চলে যাই,,,
রিতু আর কিছু না বলে চুপ করে আছে জানে তিথি কিছু নিয়ে তো চিন্তায় আছে তাই আর কিছু জিজ্ঞেস করে নাই,,,ক্লাস শেষ করে তিথি আর রিতু ক্যান্টিনে যায়,,তিথি ওড়না দিয়ে তার হাতটি পিছিয়ে রাখে,,, আবির ও ওই সময় ক্যান্টিনে যায় তিথিকে দেখে তিথির সামনে দিয়ে গিয়ে পাশের সিটে বসে তিথি কিছু বলতে গিয়ে ও না বলে চুপ করে আছে,,,তিথি অন্য পাশে তাকাচ্ছে আর আবির তিথির দিকে
তিথিঃ কি সমস্যা??
আবির চারপাশে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ কার আমার?
তিথিঃ আপনি ছাড়া তো আর এই খানে কোনো রাম ছাগল নাই যে তাকে বলবো (ঢং দেখে আর বাঁচি না হু)
আবিরঃ কি বললে তুমি আমি রাম ছাগল?
তিথিঃ আমি তো আপনাকে বলি নাই যে আপনি রাম ছাগল৷ আমি বলছি আপনি ছাড়া আর কোনো মানে আর কোনো রাম ছাগল নাই,,এখন যদি আপনি নিজেকে ছাগল মানে রাম ছাগল মনে করেন তাহলে তো আমার কিছু করার নাই তাই না??
আবিরঃ বেশি বকবক করো মুখ ব্যাথা করে না
তিথিঃ আল্লাহ মুখ দিয়েছে কথা বলার জন্য কথা না বলে কি কামড় দিবো আজিব
আবিরঃ তুমি যে জল্লাদ মেয়ে তাও দিতে পারো
তিথি রাগী লুক নিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ কি জন্য আসছেন এই খানে তা বলেন?
আবিরঃ ওহ উয়ায়ায়া ভুলে গেছি, এই নাও (কিছু ফাইল তিথির হাতে ধরিয়ে)
তিথিঃ কি এইটা
আবিরঃ কিছু প্রজেক্ট,,,যা কালকের মধ্যে আমার লাগবে
তিথিঃ তো আমি কি করবো
আবিরঃ তুমি এই টা কালকের মধ্যে আমাকে করে দিবে
তিথিঃ অহ রেলি আমি আপনার কর্মচারী বুজি???আমাকে কি বেতন দিয়ে রাখছেন যে আমি এই টা করবো? আমার তো খাই দাই কাজ নাই যে আজাইরা পাবলিক এর আজাইরা কাজ করবো হু
আবিরঃ আজকের কথা ভুলে যেও না ওকে,,,তুমি করবে তোমার ঘাড় করবে আর যদি না করো তাহলে কাল দেখবে তোমার কি হাল করি
তিথিঃ(বজ্জাত এনাকন্ডা তুই আমাকে ধমক দিচ্ছিস ওকে ফাইন ওয়েট কাল বোজাব মজা) ওকে করে দিবো
আবিরঃ গুড এই ভাবে কথা শুনার অভ্যাস রাখবে ওকে
তিথি শয়তানি হাসি দিয়ে বলে
তিথিঃ হুম তা তো করবোই
আবির উঠে চলে যেতে লাগে আবার ফিরে আসে
আবিরঃ যদি উল্টো পাল্টা কিছু ভেবে রাখো তাহলে দেখবে
তিথি মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ কাল সত্যি আপনার টা সবার থেকে সুন্দর হবে আমি নিজের হাতে যে করবো
আবির আর কিছু না বলে চুপচাপ চলে যায় আর এই দিকে তিথির মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি আসে আবিরকে মজা বুজানোর,,,তিথি শয়তানি হাসি দিয়ে বলে
তিথিঃ কাল যে কি হবে তা তুই নিজে ও ভাবতে পারবি না বজ্জাত এনাকন্ডা 😂
তিথি আর ক্লাস না করে ভার্সিটি থেকে বের হতে লাগে তখন চোখ পড়ে আবিরের গাড়িতে,,,তখন চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই আস্তে করে গাড়ির চারপাশ ঘুরে আর দেখে কেউ আসে কি না,,,৩ মিনিট ঘুরার পর তিথি চাকার পাশে বসে আর মাথা থেকে চিকন ক্লিপ নিয়ে চাকার হাওয়া বের করে দেয়😂তিথির খুবই মজা লাগ্র চাকার হাওয়া বের করতে,,,প্রথম চাকা করে আবার ভাবে আর একটা করবে,,,
তিথিঃ আচ্ছা আজকে দুইটা করি
তিথি আবার আর একটার ও হাওয়া বের করে চারপাশে তাকিয়ে দেয় দৌড়,,,কেউ না থাকায় সুযোগ পাইছে আজ 😂
তিথি বাসায় গিয়ে গান গেয়ে গেয়ে শাওয়ার নেয় আর নিজে নিজে হাসে আবির এর গাড়ির চাকার হাওয়া বের করে দিচ্ছে সে বেচারা ভাববে এক সাথে দুইটা চাকার হাওয়া কি ভাবে যায়😂
আবির ভার্সিটি থেকে বের হয়ে পার্কে যায় আর গাড়ির সামনে গিয়ে আকাশকে বলে
আবিরঃ আকাশ কাল মেঘকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসিস আম্মু তোদের যেতে বলছে,,,
আকাশঃ ওকে
আবির গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিচ্ছে কিন্তু চলছে না,,বের হয়ে দেখে গাড়ির চাকার হাওয়া নাই,,আবার ওই পাশে গিয়ে ওই টার ও নাই,,,আবির একটু অবাক হলো এক সাথে দুইটার কি ভাবে যায়,,এতো কিছু না ভেবে হাঁটা শুরু করে,,
রাতে,,,,,
তিথি ফাইল টা নিয়ে কিছু ক্ষন ভাবে কি লেখবে কি লেখবে পরে আইডিয়া পেয়ে লেখা শুরু করে,,, আর নিজে নিজে হাসে,,,প্রায় দুই ঘন্টা লেখার পর নিজে নিজে হাসতে হাসতে শেষ,, বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় আর বলে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা আরজীবনে তুই আমাকে কোনো ফাইল দিবি না আজকের ওহ থুক্কু কালকের পর😂আহা তিথি তুই তো গ্রেট (নিজের চুল গুলো একটু নাড়া নিয়ে)
চলবে,,,,,,