বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 21
আবির রুম থেকে গেস্ট রুমে চলে যায়,,তিথি বসে আছে আর কান্না করতে থাকে,,,আবির কেন তার সাথে এতো বাজে ব্যবহার করছে,,,হাতে অনেক টা লাল হয়ে যায়,,,,ব্যাথা ও করছে হাতটা,,,আবিরের প্রতি আজ তিথির রাগ লাগছে আবির কি চাচ্ছে আসলে আজ,,,,
আবির আর সেদিন রুমে আসে নাই,,,তিথি ও আবিরের তেমন খবর নেয় নাই যে সে কোথায়,,,কান্নায় যেন আজ তিথি অনেক টা ভেঙ্গে যায়,,,
তারপরের দিন সকালে,,,
ঘুম থেকে উঠে তিথি নিচে নেমে দেখে আজ আওয়াজ হচ্ছে,, সব জায়গায় সাজানো হচ্ছে,,,ফুল দিয়ে পুরো বাড়ি যেন নতুন বউয়ের মত সাজানো হচ্ছে,,,
মা তিথির কাছে এসে বলে
মাঃ তাড়াতাড়ি নাস্তা করে নাও একটু পরে পার্লারের মেয়ে আসবে মেহদী দিয়েই দিবে তারপর সাজাতে সময় ও লাগবে,,,
তিথিঃ কেন???এতো সব কেন?
মাঃ আজ তোমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান,,আর হ্যাঁ কাজি সাহেব আজ আসবে আবার তোমাদের বিয়ে হবে,,,,
তিথিঃ কেন??বিয়ে তো হয়েছে আবার কাজি সাহেব কেন??
মাঃ কারন তোমার বাবা চায় যে আবার বিয়ে হোক যদি তোমরা আবার আগের মত করো তাই,,আর আমরা ও চাই আজ সবার সামনে বিয়ে পড়ানো হবে,,আর তোমাকে ও নতুন বউয়ের মত সাজানো হবে,,,
তিথিঃ তাই বলে এতো সকালে মা??মানে অনেক তো টাইম আছে তাই আর কি,,,
মাঃ হুম টাইম আছে একটু পরে কিছু থাকবে না,,,আমি চাই না পরে ঝামেলা হোক,,,মেহমান আসা শুরু হয়ে যাবে আত্মীয় গুলো একটু পর আসবে সবাই আর বাকিরা সন্ধ্যায়,,,
তিথি কিছু বলে না চুপচাপ নাস্তা করতে থাকে,,আবিরকে একবার ও দেখে নাই,,আবিরের প্রতি তেমন একটা টান ও ছিলো না তিথির,,,
আরিশা এসে তিথির পাশে বসে,,,
আরিশাঃ কি ব্যাপার ভাবি মন খারাপ বুজি???আজ তো তোমাদের বাসর রাত ও
তিথিঃ হেএএএ মানে???
আরিশাঃ এতো চমকে গেলে যে?না মানে আজ তো তোমাদের বাসর রাত,,,মানে বিয়ের পর অনুষ্ঠান হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী তো আজকেই হবে,,,
আরিশার কথা শুনেই তিথি থমকে যায়,,,পাশে থাকা পানি নিয়ে গটগট করে খেতে লাগে,,,
আরিশাঃ কি হলো??
তিথিঃ না কিছু না,,আচ্ছা আমি রুমে যাই পার্লারের মেয়ে আসলে বলিও,,,
তিথি নিজের রুমে চলে যায়,,তার খুব টেনশন হচ্ছে এই ভেবে যে আজ তাদের বাসর রাত,,,
তিথিঃ বাসর তো করবে না উল্টো আমাকে অত্যাচার করবে,,,এমন হারামি একটা লোক যে একটু রোমান্টিক কথা বলবে তা না উল্টো কি না সব সময় ফায়ার ইচ্ছে তো করে খুন করে ফেলি হু,,,আস্তা একটা রাক্ষস বজ্জাত কালো জিরাফ,,,লাল খরগোশ,,,চকলেট বিড়াল,,,হলুদ কেঁচো হু,,,
তিথি গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ খুব ইচ্ছে করছে গরু মাংস দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেতে কত ইয়ামি খাবার ইশ যদি একবার খাইতাম তাহলে হয়তো মনটা ভালো হয়ে যেতো হুম,,,
তিথি আনমনে ভাবতে থাকে এই সব,,
বারান্দায় গিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখে সবাই অনেক ব্যস্ত কাজে,,,কিছু ক্ষন তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে দেখার জন্য,,একজন ফুল ওয়ালা অনেক গুলো ফুল আনছে অন্য জন অন্য কাজ,,,দেখতে বেশ ভালোই লাগছে তার কিন্তু কেন জানি বোরিং ও লাগছে,,,
রুমে মা আর আবিরের খালা আসে,,,মা তিথিকে ডাক দেয় তিথি রুমে আসে এসে দেখে একজন মহিলা তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
তিথিঃ আসসালামু আলাইকুম,,,
আবিরের খালা তিথির মাথায় হাত দিয়ে বলে
খালাঃ মাশাল্লাহ আমাদের আবিরের বউ তো অনেক সুন্দর,,,বেশ দেখতে আপ্পা
মাঃ হুম আমার ছেলের বউ বলে কথা,,,
তিথি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে,,,
খালাঃ আবির এই কাজ ভালো করেছে প্রেম করে বিয়ে করে বউ ও নিয়ে হাজির,,,আমাদের আবির যে এমন করবে কখনো ভাবতে পারি নাই,,
তিথিঃ( প্রেম না ছাই করেছে,,,বজ্জাত লোক নিজের বউকে একটা চুম্মা দিবে তাও দেয় নাই হু,,,যদিও বজ্জাত টাকে রোমান্টিক কোনো ক্লাসে জয়েন করিয়ে শিখানো যাইতো তাহলে হয়তো একটু রোমাঞ্চ করতো হিহি)
তিথি মুচকি মুচকি হাসছে,,আবিরের খালা তিথির দিকে তাকিয়ে বেক্কল হয়ে যায়
খালাঃ তিথি তুমি নিজে নিজে কি ভেবে হাসছো???
তিথিঃ কিছু না তো এমনি,,,
আবিরের মা আর খালা তিথির সাথে কথা বলতে থাকে,,,বেশ ভালো লাগে তিথির কাছে দুপুরে গনিয়ে আসে,,, পার্লারের মেয়েরা ও এসে যায় খাদিজা এসে বলায় মা পার্লারের মেয়েদের তিথির রুমে ডাকায়,,,
মাঃ তিথি মুখ হাত ধুয়ে আসো ওরা মেহদী দিয়ে দিবে তারপর সাজাবে,,,
খালাঃ মেহদী এর অনুষ্ঠান আগে রাখতা,,হলুদ কত কি অনুষ্ঠান বাকি কিছু করলে না একদিনে সব করবা নাকি,,,
মাঃ আবিরের এইসব পছন্দ না,,আজকের এইসব পর্যন্ত এই ছেলে চায় নাই,,,তবুও জিদ করে তোর দুলাভাই এইসব করছে,,,মেহদী দিবে তারপর সাজাবে কি করবো বল কিছু তো করার নাই,,আর মাত্র দেড়টা বাজে হয়ে যাবে,,,
মা আর খালা মনি চলে যায়,,,তিথি ফ্রেশ হয়ে এসে বসে পার্লারের দুইটা মেয়ে দুই হাতে মেহদী দিতে লাগে,,,, সুন্দর করে মেহদী দিয়ে দেয়,,,এইদিকে আরিশা ও তিথির রুমে আসে আর একটা মেয়ে আরিশাকে ও মেহদী দিয়ে দেয়,,,,
তিথিঃ আরু,,,,
আরিশাঃ জ্বি ভাবি,,,
তিথিঃ কিছু কি ভেবেছিলে?
আরিশাঃ কি নিয়ে?
তিথিঃ আহাদ কে নিয়ে?
আরিশাঃ ভাবি বাদ দাও তো ও একটা পাগল কি না কি বলেছে অইসব ভেবে কি লাভ আছে,,,
তিথিঃ তোমার মনে হচ্ছে না যে তুমি জোর করে আদায় করতে চাও আমানকে,,,
আরিশাঃ মানে কি ভাবি??আজকের তোমার আর ভাইয়ের সুখের দিন তো প্লিজ এইসব বলা বন্ধ করো,,,আমি আমানকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না ওকে,,,,
তিথিঃ হুম সেটায়,,,(তুমি আর তোমার ভাই নিজের মন মত করতে চাও যেমন ভাই তেমন বোন,,,এক একটা ছাগল এর দল হয়েছে হু)
তিথি চুপ করে আছে,,আরিশা কে ও মেহদী লাগানো হয়,,,তিথির পায়ে ও হালকা দেয় সুন্দর করে মেহেদী গুলো দেওয়া হয়,,তিথির হাতে আবিরের নাম লেখা হয় বেশ সুন্দর লাগছে মেহেদির ডিজাইন,,,,
মা রুমে আসে খাবার নিয়ে তিথিকে আর আরিশাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়,,,তিথির কাছে অনেক ভালো লাগে যে মায়ের রুপে একজন শাশুড়ি পেয়েছে যে তালিকা বিষন বেশি ভালোবাসে,,,
আজ সারাদিন আবিরের কোনো খুঁজ খবর নাই,,,তিথি আবিরকে কাল দেখেছে আর দেখে নাই বারবার খুব ইচ্ছে করছে আবিরকে দেখতে কিন্তু আবিরকে যে সে একটি বার ও দেখে নাই মনটা এই দিকে ছোট হয়ে আছে,,যত কিছু হোক তিথির মনে আবির অনেক টা জায়গা করে নেয়,,,
৪ টা বেজে আসছে সব কাজ তাড়াতাড়ি করছে সবাই,,,তিথি তার হাতের মেহেদী গুলো ধুয়ে আসে অনেক টা লাল হয়,,আবিরের নাম টা যে বিষন ভালো লাগে,,,,
মা রুমে আসে বিয়ের লেহেঙ্গা আর গহনা নিয়ে,,,পার্লারের মেয়েদের বুজিয়ে দেয় কি কি করতে হবে,,,,তারা অনুযায়ী তিথিকে সাজাতে থাকে,,,তিথিকে বউয়ের মত সাজিয়ে তুলে,,,
এইদিকে মা আবিরের ফোনে কল দেয় কিন্তু আবির ধরছে না,, আবির গেস্ট রুমে আছে তা ভুলেই গেছে,,,সকাল থেকে আবির গেস্ট রুমে অনেক টা কাজ করেছে কিন্তু তিথির সামনে ইচ্ছে করে আসে নাই,,,,মা আবার কল দেয় এইবার আবির রিসিভ করে
মাঃ কিরে কই তুই???
আবিরঃ মা আমি একটু আগে বের হইছি,,,,এসে যাবো কিছু ক্ষনের মধ্যে চিন্তা করিও না
মাঃ তুই তো গেস্ট রুমে ছিলি বের হলি কখন,, উফফ আবির কি করিস অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে মেহমান ও আসা শুরু করেছে কখন রেডি হবি তুই,,,
আবিরঃ চিন্তা করিও না সব ঠিক হবে ওকে,,,
আবির কল কেটে দেয়,,,
এই দিকে মা তিথির রুমে গিয়ে অলমোস্ট সাজানো শেষ গহনা গুলো পড়াছে,, মাথায় ওড়না দেওয়াছে,৷ আর একজন হাতে চুড়ি পড়াছে,,, মা তিথির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বেশ সুন্দর লাগছে তিথিকে,,,,খয়রি কালারের লেহেঙ্গা,,,বারি গহনা তিথিকে বেশ সুন্দর আর কিউট লাগছে,,মা তিথির দিকে এগিয়ে এসে একটা বক্স থেকে চুড়ি বের করে বলে
মাঃ অনেক আগে বানিয়ে ছিলাম আবিরের বউয়ের জন্য,,,খুব শখ করে এই চুড়ি জোড়া বানিয়েছিলাম আমার ছেলের বউকে নিজের হাতে পড়িয়ে দিবো,,,গতবার দিয়েছিলাম মনে আছে অইগুলো আমার শাশুড়ির কিন্তু এইগুলা ও ভেবেছি দিবো কিন্তু দেওয়া হলো না আজ আশা পূরন হলো,,,
মা তিথির হাতটা নিয়ে চুড়ি গুলো পড়িয়ে দেয়,,,বেশ ভালোই লাগছে তিথির হাতে,,,তিথিকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কথায় আছে মেয়েদের বেশি সুন্দর লাগে তাদের বিয়েতে যদিও তিথির বিয়ে হয়ে গেছে একবার কিন্তু বউ সাজ তো সে আজ নিয়েছে,,,,
পিছন থেকে আরিশা বলে উঠে
আরিশাঃ আমাকে কেমন লাগছে মা??
আরিশা সাদা একটা লেহেঙ্গা পড়ে বেশ ভালো লাগছে,,,,আরিশা অনেক মায়াবী দেখতে আজ তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে,,,,মা আরিশার কাছে এসে ভালো ভাবে তাকিয়ে বলে
মাঃ আমার মেয়েকে সব সময় সুন্দর লাগে কিন্তু আজ তাকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,
মা আরিশা আর তিথিকে রেখে চলে যায়,,,
আবিরকে কল দিচ্ছে আবার অনেক টাইম হয়ে গেছে মেহমান ও এসে গেছে সব রেডি কিন্তু আবির আসে নাই৷৷ কিছু ক্ষন পর আবির আসে সাথে তিথির মা ভাই বাবাকে উয়েলচেয়ারে নিয়ে আসে,,,যদিও তিথির বাবা পুরো সুস্থ না কিন্তু মেয়েকে দেখার জন্য অনেক বুজিয়ে আসে,,মা কিছু টা রাগ কিন্তু আবির মানিয়ে নেয় সবাই কে,,,,তিথির পরিবারকে দেখে সবাই অনেক খুশি,,,
মা এসে তিথির মাকে জড়িয়ে ধরে সবাই কথা বলতে থাকে,,,মা একটু সাইট হয়ে আবিরকে বলে
মাঃ ওদের আনতে যাবি আমাকে তো বলবি,,,এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে আয়,,আমি তিথির মাকে তিথির সাথে দেখা করাই আনি ওকে
আবিরঃ আমার ড্রেস???
মাঃ গেস্ট রুমে রাখা আছে,,তোর রুমে তিথি আছে আর পার্লারের মেয়েরা ও আছে
আবিরঃ মা অযথা কেন পেত্নী বানাতে উঠে বসলে সে তো এমনি পেত্নী এক কেজি ময়দা এনে মুখে মেরে দিলে বেশ সুন্দর লাগতো,,,
মাঃ কষে চড় লাগাবো ফাজিল ছেলে একটা,,,,আজ দেখলে চোখ সরাতে পারবি না বুজলি,,আমার বউমা বলে কথা,,,পেত্নী নাকি পরি লাগছে সময় হলে বুজবি যা এখন,,,,
আবির গেস্ট রুমে চলে যায়,,,তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হতে লাগে আজ খুব মিস করছে আমানকে,,আমান কত না আশা করেছে আবিরের বিয়েতে এই করবে সেই করবে কিন্তু কিছু হলো না,,,,আবিরের মনটা আজ ছোট হয়ে আছে এই ভেবে যে তার সব চেয়ে প্রিয় বন্ধু টা আজ তার কাছে নাই,,সব কিছু এলো মেলো হয়ে গেছে,,,
এইদিকে,,,
মা তিথির মাকে আবিরের রুমে নিয়ে যায়,,তিথির মা দেখে তিথি বউ সাজে আয়নায় নিজেকে দেখছে,,,পার্লারের মেয়েরা লেহেঙ্গা ঠিক করছে,,,
আবিরের মাঃ তিথি দেখো কে এসেছে তোমার সাথে দেখা করতে,,,,
তিথি পিছনে ফিরে তাকায় নিজের মাকে দেখে খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়,,,তিথির মা ও নিজের মেয়েকে এইভাবে বউ সাজে দেখে অনেক খুশি হয়,,,এইভাবে দেখার যে অনেক ইচ্ছে ছিলো নিজের হাতে রেডি করাই দিবে নিজের মেয়েকে,,,কিন্তু তা তো আর হলো না,,,,
তিথিঃ মামনি তুমি এসেছো???
তিথির মাঃ না এসে কি আর পারি,,আজ আমার মেয়ের জীবনে যে অনেক বড় দিন,,,কিভাবে মিস করি
তিথিঃ আজ আমি অনেক খুশি মামনি,,,
আবিরের মাঃ মা মেয়ে কথা বলুন আমরা আসি,,একটু পর নিচে আসতে হবে ততক্ষনে না হয় আপনারা আপনাদের মাঝের ভুল গুলো ঠিক করে নেন,,,
আবিরের মা চলে যায়,,এই দিকে তিথির মা তিথিকে বিছানায় বসিয়ে হাতে হাত রেখে বলে
তিথির মাঃ আজ যে আমার মেয়েকে পরি লাগছে,,,,
তিথিঃ আমার উপর এখনও রেগে আছো??
তিথির মাঃ আমি তারিফ করছি আর তুই কি না?
তিথিঃ আগে বলো প্লিজ মামনি,,,,এখনও কি রেগে আছো?
তিথির মাঃ আমার মেয়ের উপর রেগে থাকবো তা কখনো কি হয়?হ্যাঁ অভিমান হয়েছে যা আবির এসে ভেঙ্গে দিয়েছে,,,জানিস আবির অনেক ভালো তোর বাবার চিকিৎসার খরচ আমাদের সব দায়িত্ব সে নিয়েছে,,আবির সব বলেছে যে দোষ দুইজন করেছিস তাহলে তোকে কেন শাস্তি দিতাম,,,অনেক ভাগ্য করে এমন জীবন সাথী পেয়েছিস তিথি,,,এমন ছেলে যে আমি আর তোর বাবা চেয়েছি সব সময়,,,,
তিথি চুপ করে আছে,,তিথির মা তিথির হাত ধরে বলে
তিথির মাঃ আবির আর তার পুরো পরিবার অনেক ভালো,,,আমি জানি তুই অনেক সুখে থাকবি ওদের কাছে,,তোর বাবা নিচে আছে দেখা করবি না?
তিথিঃ হুম,,চলো
তিথির মাঃ এখন না একটু পর,,,যখন ডাকতে আসবে তখন,,,আচ্ছা তিথি শুন,,,
তিথিঃ জ্বি মামনি,,,
তিথির মাঃ কখনো পরিবার এর অবাধ্য হইস না,,সব সময় আবিরের পাশে থাকিস,,অনেক ভালো ছেলে বুজলি,, আজ আমাদের নিজে নিয়ে এসেছে,,,
তিথি তার মামনির কথা গুলো শুনে মনে মনে অনেক খুশি,,আবির তার এতো চিন্তা করে,,,তার পরিবার কে নিজে নিয়ে আসে আবার তার আর তার পরিবার এর মাঝে সব ভুল গুলো ও ঠিক করে দেয়,,,
কিছু ক্ষন পর তিথিকে ডাকতে আসে আবিরের মা,, আবিরের মা আর তিথির মা মিলে তিথিকে নিচে নিয়ে যায়,,
এই দিকে আবির একটা সাদা শার্ট আর কালো কোর্ট পড়ে,,,বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে আবিরকে,,কয়েকটা লোকের সাথে কথা বলছে,,,আরিশা আবিরের কাছে এসে বলে
আরিশাঃ ভাই ভাবি আসছে,,,
আবির সিড়ির দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় তিথিকে দেখে,,,তিথিকে যে আজ অনেক সুন্দর লাগছে পুরো পরীর মত,,,চোখ যেন সরছেই না আবিরের আজ তিথির দিক থেকে,,,,তিথির চোখ যায় আবিরের দিকে বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে আবিরকে,,আবিরের চোখ যেন তিথির উপর তা দেখেই তিথি অনেক লজ্জা পেয়ে যায়,,,চোখ নামিয়ে ফেলে,,,
তিথিকে আবিরের পাশে দাঁড় করানো হয়,,,,দুইজনকে বেশ সুন্দর লাগছে,,,ছবি তুলা হচ্ছে তাদের আবির তিথির দিকে বারবার তাকাচ্ছে একটু পর পর,,,আবিরের এমন কান্ডতে তিথি কিছু টা না অনেক টা লজ্জা পায়,,,,
চলবে,,,,,,,,,