বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Part- 14

আবিরঃ কি যাদু আছে এই মেয়েটার মাঝে জানি না,,যেন এক অজানা দেশে চলে যাই।।মেয়েটা যে এত সুন্দর তা জানা ছিল না।।মেয়েটার মাঝে যে বার বার হারাতে ইচ্ছে করে,,,কেন এমন টা মনে হয় জানি না,, আজকে যে অপ্সরা ও ওর কাছে হার মানবে 😍😍just wow😍😍

তিথি অনেক ক্ষন যাবত খেয়াল করছে যে আবির তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে,,,,,তিথি আবিরের কাছে গিয়ে আবির কে একটু ঝাকুনি দিয়ে বলে

তিথিঃ স্যার কাজ না করে এখানে এই ভাবে দাঁড়িয়ে কি দেখছেন??

তিথির কথায় আবিরের ঘোড় কাটে,,আবির তিথিকে কিছু বলতে যাবে তখন আংকেল এসে বলে

আংকেলঃ সে কি আবির বাবা তুমি এখনো রেডি না হয়ে আছো যে বর পক্ষ যে চলে আসবে এখন।।তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে আসো রুমে কাপড় রাখা আছে..

আবিরঃ জ্বি আংকেল যাচ্ছি র একটু কাজ বাকি ওই টা শেষ করে যাচ্ছি..

আংকেলঃ বাকি কাজ আমরা দেখে নিবো তুমি যাও…

আবির র কিছু না বলে চলে যায়…

আংকেলঃ তিথি ঝুমুরকে কি সাজানো শেষ..

তিথিঃ জ্বি আংকেল শেষ,,আংকেল কোনো কাজ থাকলে আমাকে দিন।।।

আংকেলঃ কোনো কাজ নাই বর পক্ষরা চলে আসবে এখন তুমি গিয়ে দেখো সবাই রেডি হয়েছে কি না…

তিথিঃ জ্বি আংকেল..

আবির গিয়ে রেডি হয়ে আসে র তিথিকে খুঁজতে থাকে,,,,,,বর পক্ষ রা ও চলে আসে…সবাই তাদের অনেক যত্নে সাগতম জানাচ্ছে,,,মেয়েরা সবাই গেট ধরে দাঁড়িয়ে আছে টাকা নেওয়ার জন্য,,, তখন তিথি ও চলে আসে বর পক্ষের থেকে গেটের টাকা নেওয়ার জন্য সে ও অনেক ব্যস্ত হয়ে পরে….কিছু ছেলে তো তিথিকে দেখে পুরো হাাাা করে রয়েছে,,,তিথিকে যে ভিষণ সুন্দর লাগছে যে কেউ তার প্রেমে পড়ে যাবে,,,

তিথিঃ টাকা না দিয়ে যেতে পারবেন না কিন্তু

বরের একটা বন্ধু তিথির দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে র বলে

বরের বন্ধুঃ কি সুন্দর মেয়েটা আমি তো এই মেয়ের সাথে প্রেম করে ছাড়বো

তখন একটা ছেলে বলে

এক ছেলেঃ লাভ নাই

বরের বন্ধুঃ কি লাভ নাই

ছেলেটিঃ বিবাহিত (আবির কে দিখিয়ে বলে)ওই যে ছেলেটা দেখছিস ওর বউ…শহরে থাকে কালকে বিপদে পরেছে এখানে এসেছে,,

তিথি বরের কাছ থেকে টাকা না নিয়ে গেট ছাড়ছে না।।।তখন বরের বন্ধুটি বলে

বরের বন্ধুঃ এত সুন্দর একটা মেয়ে যদি বলে তাহলে দিয়ে দে ভাই…

বর টাকা দেওয়ার পর তিথি র বাকি মেয়েরা এক সাথে চিৎকার করে উঠে,,,সবাই কে আসতে দেওয়া হয়,,আবিরকে দেখে কিছু মেয়ে বলা বলি করছে

বরের বোনঃ ছেলেটা কি সুন্দর😍😍চল উনার সাথে কথা বলি..

২ টা মেয়ে আবিরের সামনে যায় র আবিরকে বলে

বরের বোনঃ হ্যালো..আমি নিলা

আবিরঃ হ্যালো আম আবির…..

নিলাঃ আপনি কনের কি হোন

আবিরঃ ভাই।।।

নিলাঃ ও আমি বরের ছোট বোন তাহলে তো আপনি আমার তালতো ভাই😊আপনার নাম্বার টা দেওয়া যাবে..

আবিরঃ কেন??

নিলাঃ কেন আবার কি কথা বলার জন্য,,

তিথি পিছন থেকে সব শুনছে,,,রাগে তার গা জ্বলে যাচ্ছে

তিথিঃ শয়তান মেয়ে,শাঁতচুন্নি,বড গাছে থাকা পেত্নী আমার বজ্জাত বসের সাথে লাইন মারা দাঁড়া দেখাছি

তিথি মেয়ে গুলোর সামনে গিয়ে বলে,,

তিথিঃ হ্যালো

নিলাঃ আপনি কে??

তিথিঃ আমি এনার বিয়ে করা বউ..

আবিরের এক হাত ধরে,,আবির তো পুরো শকড যে তিথি করছে টা কি,,,আবির শুধু একটু মুচকি হেসে বলে

আবিরঃ তিথি হাত টা ছাড়ো সবাই দেখছে(তিথির কানে ফিসফিসিয়ে বলে)

তিথিঃ জানু তুমি জানো তোমাকে আমি অনেক খুঁজছি..

আবিরঃ (জানু😱😲😲এই মেয়ে টার মাথায় কি আসলে সমস্যা আছে এমন ব্যবহার করছে কেন)

তিথি আবিরকে এই ভাবে জানু বলায় মেয়ে গুলো নাক ফুলিয়ে চলে যায়….

তিথি মেয়ে গুলোর কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ আবির তো তিথির হাসি দেখে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে,,,,আবির যে তিথির মায়ার জালে পরে গেছে…আবির তার মায়ের কথা টা মনে পরে যায়

মাঃ এক দিন তুই ও ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলবি আবির র সে দিন কিন্তু দূরে নাই…

আবিরঃ আম্মু আমি র এই শয়তান মেয়েকে ইম্পসিবল

মাঃ জ্বি তুই র অনেক যলদি…

আবির সে কখন থেকে তিথির দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে তাই তিথি আবিরকে একটু ঝাকুনি দিয়ে বলে

তিথিঃ স্যার কি ভাবছেন

আবিরঃ হুমম

তিথিঃ কি হুম

আবিরঃ কি…ছু না…আমি আসছি

আবির চলে যায় র তিথি আবিরের যাওয়া দেখে থাকে…

তিথিঃ বজ্জাত বসটার হলো টা কি?

সবাই অনেক খুশি তিথি গিয়ে ঝুমুরকে নিয়ে আসে,,,এনে বরের পাশে বসিয়ে দেয়…আবির খেয়াল করছে যে ঝুমুরের বাবা সে কখন থেকে বরের বাবার সাথে কথা বলছে তাও হাত জোর করে,,আবির অনেক টা অবাক হয়,,,আবির যেতে লাগে র তখন ঝুমুরের মা আবির কে ডাকে র বলে

ঝুমুরের মাঃ আবির একটু এই দিকে আসবে

আবিরঃ জ্বি আন্টি বলুন

ঝুমুরের মাঃ সবার খাওয়া হয়েছে কি না একটু দেখে আসবে,,,

আবির চলে যায়… ঝুমুরের বাবা বরের বাবার কাছে হাত জোর করে বলে

ঝুমুরের বাবাঃ বেহাই সাহেব আমাকে কিছু দিন সময় দেন আমি সব টাকা দিয়ে দিবো..

বরের বাবাঃ পুরো টাকা এখন দিতে না পারলে এই বিয়ে হবে না…টাকা নিয়ে আসুন তার পর বিয়ে হবে

ঝুমুরের বাবাঃ এমন টা করবেন না আমি অনেক চেস্টা করেছি কিন্তু পুরো টাকার ব্যবস্থা করতে পারি নাই….😭😭

বরের বাবা র কিছু না শুনে বর কে নিয়ে যেতে লাগে সবাই তো পুরো অবাক হচ্ছে টা কি….তিথি বরের বাবার সামনে দাঁড়িয়ে বলে

তিথিঃ বিয়ে তো এখনো হয় নাই আপনি বরকে কথায় নিয়ে যাচ্ছেন?

বরের বাবাঃ এই বিয়ে হবে না…

তিথিঃ হবে না মানে???

বরের বাবাঃ পুরো টাকা যখন দিতে পারে নাই তাহলে আমার ছেলের সাথে এই মেয়ের বিয়ে হবে না…

তিথি বরের বাবার কথায় অনেক টা রেগে যায় র বলে

তিথিঃ আপনার ছেলেকে বিয়ে করাতে তাহলে আসেন নাই বিক্রি করতে এসেছেন তাহলে.😠😡আপনার ছেলে তাহলে পন্য যা বিক্রি করা হয়(হাত তালি দিয়ে)

বরের বাবাঃ তোমার এত বড় সাহস আমার সাথে এই ভাবে কথা বলার…ঝুমুরের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে…….আমাদের আপনি এখানে অপমান করার জন্য ডেকেছেন😡😠😡

তিথিঃ অপমান এর মানে বুজেন আপনি😡😠আপনি যে আপনার ছেলেকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন এতে কনে পক্ষের কতো টা অপমান হবে তা ভেবে দেখেছেন… দেখবেন কি করে টাকার লাভে তো অন্ধ হয়ে গেছেন,,,

বরের বাবাঃ কি বললে😠😠বেয়াদব মেয়ে এখন তো এই বিয়ে হবে না যদি পুরো টাকা এখন না পাই

তিথি অনেক টা রেগে যায় এইটা দেখে যে বর একটা কথা ও বলে নাই….তিথি বরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় র বলে

তিথিঃ আপনি যে পন্য তা নিজের পিঠে লেখি রাখলে তো পারতেন যাতে সবাই আপনার সঠিক মূল্য দিতে পারে.😠বিয়ে তো করতে আসেন নাই নিজেকে বিক্রি করতে এসেছেন,লজ্জা পাওয়া উচিত আপনার,,

বর চুপ করেছে…

আবির খেয়াল করে বর কনে যে পাশে আছে ওই পাশে চেঁচামেচি শুনা যাচ্ছে র অনেক টা ভিড় ও…আবির গিয়ে দেখে ঝুমুর,র তার বাবা-মা কান্না করছে র তিথি অনেক টা রেগে বর র তার বাবার সাথে কথা বলছে,,,

আবিরঃ কি হয়েছে?

তিথি আবির কে সব বলে।।আবিরের মাথা অনেক টা খারাপ হয়ে যায় র বলে

আবিরঃ কতো টাকা লাগবে??😠সামান্য কিছু টাকার জন্য আপনি বিয়ে টা ভেঙ্গে দিচ্ছেন কেমন বিবেক😠

বরের বাবাঃ তুমি কে আবার??

আবিরঃ আমি ঝুমুরের বড় ভাই…

সবাই অনেক টা অবাক হয় আবিরের কথায়…আবির তাদের অপেক্ষা করতে বলে রুমে যায় র অনেক ক্ষন পর আসে র একটা চেক বই নিয়ে আসে….সেখানে সাইন করে বরের বাবার হাতে রেখে বলে

আবিরঃ এমাউন্ট আমি দিই নাই যা লাগে দিয়ে নিবেন,,আমি সাইন করে দিয়েছি আপনি এমাউন্ট বসিয়ে টাকা তুলে নিয়েন

সবাই পুরো অবাক,,তিথি আবির কে এসে বলে

তিথিঃ আপনি ওদের টাকা কেন দিচ্ছেন ওরা আজকে টাকার জন্য বিয়ে ভেঙ্গে দিতে চাচ্ছে আবার যদি তাদের টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে হয়তো তারা ঝুমুরকে কি করবে কে জানে..

আবির ছেলের বাবার কাছে এসে বলে

আবিরঃ ঝুমুর আমার ছোট বোন যদি ওর কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আমি সবাই কে মাটিতে পুঁতে ফেলবো…আবির রহমান আমার নাম…যা বলি তা করি…আমার বোনের গায়ে যদি একটা ফুলের টুকাও লাগে না তখন দেখবেন যে আবির রহমান কতো টা খারাপ,,

আবিরের কথায় বরের বাবা অনেক ভয় পেয়ে যায়…র বরকে বলে বসে যেতে র কাজিকে বিয়ে পড়াতে বলে…ঝুমুরের বাবা এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে র কান্না করে দেয়….আবির তাদের শান্তনা দেয়…..

বিয়ে টা অনেক ভালো ভাবে হয়ে যায়….ঝুমুর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যেতে লাগে আবার ফিরে আসে র আবিরকে জড়িয়ে ধরে বলে

ঝুমুরঃ তোমাকে কি যে বলে ধন্যবাদ দিবো ভাইয়া

আবিরঃ ভাইয়া ও বলেছো আবার ধন্যবাদ ও দিতে চাচ্ছো..নিজের ভাই হলে কি এমনটা বলতে পারতে..

সবার মুখে অনেক হাসি…ঝুমুর হাসি মুখে সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়…ঝুমুরের বাবা-মা আবিরের কাছে এসে বলে

ঝুমুরের বাবাঃ তোমার ওই ঋণ কখনো শুধ করতে পারবো না বাবা…

আবিরঃ আংকেল আমি যা করেছি আমার ছোট বোনের জন্য করেছি..প্লিজ এই সব বলে আমাকে লজ্জা দিবেন না…আজকে যদি ঝুমুর আমার বোন হতো তাহলে কি আমি তা করতাম না..

ঝুমুরের মা তিথির মাথায় হাত রেখে বলে

ঝুমুরের মাঃ আজকে তুমি ও অনেক করেছো দোয়া করি যাতে সারাজীবন তোমরা এক সাথে সুখে থাকো…র সুখে সংসার করো

ঝুমুরের মায়ের কথায় আবির র তিথি শকড হয়ে যায়..র একে অপরের দিকে তাকায়,,

আবিরঃ আংকেল এখন আমাদের যেতে হবে পরে রাত হয়ে যাবে,আমরা আসি তাহলে আজকে

ঝুমুরের মাঃ সে কি আজকে চলে যাবে র কিছু দিন থাকো

আবিরঃ না আন্টি এক দিন সময় করে আসবো আজকে যেতে হবে..

আবির র তিথি বের হয়ে যায় সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে,,,…সারা রাস্তা কেউ কারো সাথে তেমন কথা ও বলে নাই….বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে যায়…আবির র তিথি যার যার রুমে গিয়ে শুয়ে পরে…আবিরের মা র তাদের ডাকে নাই কারণ তিনি বুজতে পেরেছে যে এত সময় জার্নি করে এসেছে তাই তারা অনেক ক্লান্ত,,

আবির ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে তিথির কথা গুলো ভাবতে থাকে,,,,তিথির জন্য এক অজানা ভালো লাগা কাজ করে তার মধ্যে তা সে ঠিক বুজতে পারছে,,তিথির সাথে কাটানো সব মুহূর্ত আবিরের চোখে ভাসে…আবির মুচকি হাসতে থাকে,,সে তিথির কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরে,,,

তিথি শাওয়ার নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে র আবিরের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে করতে থাকে…অজান্তে তার মুখে হাসি চলে আসে….তিথি অনেক ক্ষন আবিরের কথা ভেবে ঘুমিয়ে পরে…

সকালে,,,,,,,,,

সকালে,,

চলবে…..