বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 22
কিছুর আওয়াজ পেয়ে সবাই আসে আর তাদের ঘিরে ধরে,,আবির কিছুর আওয়াজ পেয়ে কেবিনের বাহিরে এসে ভিড়ের মাঝে ঢুকে আর দেখে শিহাবের বুকে তিথিকে পরে আছে,,,,,,,আবিরের প্রচন্ড রাগ উঠে যায় তিথিকে শিহাবের বুলে দেখে,,,রাগে তার চোখ দুটো পুরো লাল হয়ে গেছে,,,,
আবির ধমকের সুরে বলে
আবিরঃ কি হচ্ছে এখানে😠😠
আবিরের আওয়াজ পেয়ে তিথি মাথাটা তুলে দেখে সে শিহাবের উপর পরে আছে,,,তাড়াতাড়ি উঠে পরে নিজের ওড়না ঠিক করে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির রেগে পুরো আগুন,,,,তিথির তো ভয়ে অবস্থা খারাপ,,,শিহাব উঠে তিথির পাশে এসে বলে
শিহাবঃ তিথি তুমি ঠিক আছো??লাগে নাই তো কথায়ও
তিথিঃ আ,,,,মি ঠিক আ,,,ছি(আবিরের দিকে তাকিয়ে)
আবিরঃ এইখানে কি ফিল্ম চলছে যে সবাই ভিড় ধরে দাঁড়িয়ে আছেন😠😠😠কাজে যান যার যার,,(চিল্লিয়ে বলে উঠে)
সবাই যার যার কাজে চলে যায়,,,,শিহাব তিথির দিকে সে কখন থেকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে তা আবির খেয়াল করছে,,শিহাবের এমন চাহিনীতে আবির আরো ক্ষেপে যায়,,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ কি হচ্ছে এখানে??😠😠
তিথিঃ স্যার আ,,,আসলে আ,,,মি,,,,,,,,,
শিহাবঃ আসলে উনি ব্যালেন্স হারিয়ে পরে যায়,,,আমি উনাকে ধরে গিয়ে উনি উল্টো আমার গায়ে পরে যায়,,এতে মিস তিথির কোনো দোষ নাই,,,,,
আবিরঃ হুম বুজেছি,,,,,আপনি মিটিং রুমে অপেক্ষা করেন,,, (শিহাবকে উদ্দেশ্য করে)আর মিস তিথি তাড়াতাড়ি আমার কেবিনে আসুন যে ফাইল দিয়েছি তা নিয়ে এখনই….
তিথিঃ জ্বি স্যার (কাঁপা কাঁপা গলায়)
আবির নিজের কেবিনে চলে যায় তিথি এখনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,ভয়ে তার অবস্থা খারাপ,,,তার মধ্যে শিহাব এসে তিথিকে বলে
শিহাবঃ ভাবতে ও পারি নাই তোমার সাথে আবার দেখা হবে,,,,,
তিথিঃ আমাকে ধাক্কা কে দিয়েছে???
শিহাবঃ আসলে আমার পা পিছলে গেছে তাই,,আর কি,,,,সরি
তিথিঃ আপনি স্যারকে মিথ্যা বলেছেন কেন যে আমি ব্যালেন্স হারিয়ে আপনার গায়ে পরেছি😠😠
শিহাবঃ সরি আসলে আমি বলতে গেছি আর একটা কিন্তু বলছি অন্যটা,,,সরি আচ্ছা আমি কে বলবো,,,
তিথি শিহাবের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে চলে যায়,,,নিজের টেবিলে গিয়ে ভাবে
তিথিঃএই শয়তান টারে তো আমি বাংলাদেশি ঝাড়ু দিয়ে পিঠিয়ে সোজা বানামু😠😠এক তো নিজে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তার মধ্যে এতো বড় মিথ্যা😠😠লাল হনুমানটা এখনও তিথিকে চিনে নাই,,,যদি চিনতো তাহলে এতো বড় মিথ্যা বলতো না,,,তা যাই হোক আজকে কি হবে আমার,,,,,আমি তো সিউর বজ্জাত এনাকন্ডা আমাকে আস্তা গিলে খাবে,,,এখন কি করি😭😭😭😭😭আম্মুউউউউ আমাকে বাঁচাওঅঅঅঅ
রাফিঃ কার হাত থেকে তোকে বাঁচাবে তিথি?
তিথি পিছনে ফিরে দেখে রাফি,,,,
তিথিঃ আর কে জানিস না?
রাফিঃ তুই না বললে জানবো কি ভাবে আজিব,,,
তিথিঃ ওই হারামি তুই বলতে চাস আমি আজিব মাইয়া😠😠😠
রাফিঃ কি😱😱😱আল্লাহ তুই কি???একটা বলি আর একটা বুজিস উফফফফ
তিথিঃ শয়তান ছেলে তুই বুজাতে চাস আমি উল্টো বুজি??আমার মাথা মোটা😠😠😠
রাফিঃ ওরে আল্লাহ কেন যে তোর সাথে কথা বলতে এসেছি উফফফফ
তিথিঃ তোকে কে বলছে আমার সাথে কথা বলতে হুররর
রাফি আর কিছু না বলে চলে যায়,,,তিথি ফাইল গুলো নিয়ে আবিরের কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,,দোয়া পড়া শুরু করে দিচ্ছে,,,,,আর আল্লাহকে ডাকছে
তিথিঃ আল্লাহ প্লিজ আজকে আমাকে বাঁচাইও প্লিজ,,,এখন আমার বিয়ে হয় নাই,,,আমার কতো গুলো স্বপ্ন, বিয়ে হবে😍😍বাচ্চা ববে😍😍ওদের বিয়ে দিমু😍ওদের বাচ্চা হবে😍ওদের বিয়ে দিমু😍😍তারপর জামাই এর সাথে হানিমুনে যামু😍😍আহা কি না স্বপ্ন কিন্তু একটা ও পূরন হয় নাইএখনও 😭😭,,,,,, প্লিজ আল্লাহ আমাকে বাঁচাও
এই বলে তিথি কাঁপা কাঁপা হাতে দরজাটা খুলতে না খুলতে তার হাত কেউ যেন জোরে টান দেয়,,,,কেবিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দেয় আবির,,,,ভয়ে সব ফাইল তিথির হাত থেকে পরে যায়,,,,আবির তিথির হাত অনেক জোরে চেপে ধরে আর দেওয়ালে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে
আবিরঃ ওই ছেলের বুকের উপর কেন ছিলে😠😠😠😠
তিথিঃ আ,,,সলে আমি ইচ্ছে করে পরি নাই,,,,,,,,ধাক্কা খেয়ে পরে গেছে,,,,
তিথি ভয়ে চোখ নামিয়ে রেখেছে আবিরের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না,,,,, আবিরের চোখ দুটো যে লাল হয়ে আছে,,যেন চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে,,,,,আসলে ভালোবাসার মানুষটিকে অন্যের পাশে কেউ সহ্য করতে পারে না,,,,আবির ও সেম,,,,আবিরের প্রত্যেকটা নিশ্বাস এসে তিথির মুখে পরছে,,,,,আবির তিথির হাতটা ছেড়ে দিয়ে তিথির থুতনিটা ধরে উপরে তুলে বলে
আবিরেরঃ আমার চোখের দিকে তাকাও
তিথি আবিরের চোখের দিকে তাকায় আবিরের চোখে তাকাতে তার কেমন যেন ভয় লাগে আবার লজ্জাও লাগে,,লজ্জায় চোখ দুটো নামিয়ে ফেলে,,,,আবির তিথির চোখে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ তোমাকে অন্যের সাথে দেখলে আমার খুব কষ্ট হয় তোতাপাখি,৷
তিথি আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ আমি শুধু আপনার,,, বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে উনার উপর পরি নাই,,,,হঠাৎ করে ধাক্কা লাগায় আমি পরি যাই,,,,বি,,,,শ্বাস ক,,,রুন (কাঁদো কাঁদো গলায়)
আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে বলে
আবিরঃ আমি জানি তিথি,,,,তোমার উপর আমার পুরো বিশ্বাস আছে,,কিন্তু ওই ছেলেকে আমার মোটেও সুবিধার মনে হয় নাই,,,,,ওর থেকে দূরে থাকবে,,,ওকে
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,,,আবির তিথির কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বলে,,,,
আবিরঃ তোতাপাখি
তিথিঃ জ্বি
আবিরঃ আমার না খুব ইচ্ছে করছে,,,,,,,,,,,,
তিথিঃ কি ইচ্ছে করছে?
আবিরঃ আমার খুব ইচ্ছে করছে তুমি নিজে আমাকে,,,,,,,,(ঠোঁটে ইশারা করে)দিবে
লজ্জায় তিথির গাল দুটো লাল টমেটো হয়ে গেছে,,৷ আবিরের তো তা দেখে যেন আরো নিশা লেগে গেছে,,,, তিথির গালে নিজের গাল ঘষা দিয়ে বলে
আবিরঃ প্লিজ তোতাপাখি,,,,আজকে তোমার ইচ্ছেতে চাই,,,জোর করে নয়,,,,,,
তিথি তো এতো লজ্জা পায় যে মুখটা নিচে করে রেখেছে,,,,,আবির তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ মে আই প্লিজ
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে,,,আবির তিথির চুলের মধ্যে নিজের দুই হাত রেখে তিথির মাথাটা তার অনেক কাছে নিয়ে আসে,,,,,,,, তিথির সে গোলাপি ঠোঁট দুটোতে ডুবে যায় আবির,,তিথি আবিরের শার্ট অনেক শক্ত করে আকড়ে ধরে রাখে,,,,,,দুইজনে যেন এক অজানা দেশে ,,,,সে নেশা করা ঠোঁট যা আবিরকে মাতাল করে তুলে,, ,,,,অনেক ক্ষন পর আবির তিথির ঠোঁট দুটো ছেড়ে দেয়,,,,তিথির ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে দেখে কিছুটা কেটে ও গেছে,,,লজ্জা তিথি মাথা উপরে তুলতে পারছে না,,,,,,,লজ্জাটা যেন আজ অনেক গুন বেরে গেছে,,,তিথির সে মায়াবী চেহারা যেন আবিরকে তিথির প্রতি দূর্বল করে দেয়,,,সে যতই রেগে থাকুক না কেন তিথির চেহারায় তাকালে যেন সব রাগ উড়ে যায়,,,,,হয়তো ভালোবাসা এমন,,,,যতই রেগে থাকুক না কেন ভালোবাসার মানুষটির দিকে তাকালে যেন সব ভুলে যায়,,হয়তো এর নাম ভালোবাসা,,,,,
আবির তিথির থুতনি ধরে উপরে তুলে মুছে দেয় তার বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে,,,,,আবিরের ছোঁয়ায় যেন তিথি বার বারে কেঁপে ওঠে,,,,,আবির তিথির ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ ওই ছেলে থেকে দূরে থাকবে কেমন??
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,,আবির তিথির কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ আমি সব পারবো কিন্তু তোমায় হারাতে নয়,,,,,তোমায় যে বড্ড বেশি ভালোবাসি তোতাপাখি,,,
তিথি আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে আবিরের চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে আর চোখের কোণায় পানি এসে জমে আছে,,,আবির যে বড্ড বেশি ভালোবাসে এই পাগলীকে,,,,,,তিথি তার পা দুটো উঁচু করে আবিরের গালে দুই হাত রাখে আর আবিরের দুই চোখে আলতো করে চুমু দেয়,,,,আবিরের চোখে জমা থাকা পানি গুলো গড়িয়ে পড়ে,,,,তিথি আবিরের চোখে চুমু দিয়ে আবিরের গালে নিজের গাল ঘষা দেয় আর বলে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা,,,আমি শুধু আপনার তোতাপাখি,,,,ঘুমপরী,,,,মিস তিতা,,,,,সব সব সব
তিথি আবিরের কপালে নিজের কপাল লাগিয়ে বলে
তিথিঃ আমি জানি আপনি আমায় অনেক ভালোবাসেন,,হয়তো আপনার মতো কেউ আমাকে এতো ভালোবাসতে পারবে না,,,,জানেন আমি কেন আপনাকে এতো ভালোবাসি,,,,
আবির তার মাথাটা হালকা নাড়িয়ে বলে না,,,,তিথি একটু মুচকি হেসে আবিরের ঘাড়ে হাত রাখে,,,,আর কপালে আগের মতো নিজের কপাল রেখে দেয়,,,,,একটা বড় নিশ্বাস ফেলে বলে
তিথিঃ ভালোবাসা কি আমি জানি না,,,,আপনি আমায় শিখালেন,,,,,,পরিবার কি জানি না😢আপনি আমায় একটা পরিবার দিলেন,,,,,,,আমাকে আমার চেয়ে বুজেন,,,,,,না বলা সব কথা বুজে নেন,,,,,আমি জানি আমি আপনার জন্য পারফেক্ট নয়,,,,
আবির তিথির কপাল থেকে নিজের কপাল সরিয়ে তিথির দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ থাপ্পড় মনে হয় কালকে আস্তে পরছে তাই না😠
তিথি কাঁদো কাঁদো গলায় বলে
তিথিঃ কে,,,কেন?
আবিরঃ আজকে বলছেো আর যদি বলো যে তুমি আমার জন্য পারফেক্ট নয় তাহলে থাপ্পড় মেরে সব দাঁত ফেলে দিবো,,,,,হাত পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো,,,
তিথিঃ তাহলে আমি খাবো কি করে😭😭😭😭😭হাঁটবো কি করে😭😭😭আপনি আসলে একটা নীল ভাল্লুক 😭😭😭চকলেট ইঁদুর😭😭😭
আবিরঃ কি😱😱😱😱নীল টিকটিকি আর চকলেট ইঁদুর,,,ওরে আল্লাহ এই সব তুমি পাও কই তিথি
তিথিঃ এরা আমার সাথে প্রতিদিন দেখা করতে আসে,,,,জানেন আমি না ওদের সাথে,,,,,,
তিথি আর কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ তুমি যে এলিয়েন এতে আমার আর কোনো সন্দেহ নাই,,,,,
তিথিঃ আমি এলিয়েন?😠😠😠
আবিরঃ শুধু এলিয়েন না তুমি তো তিতা এলিয়েন😂😂😂
😂😂😂😂😂😂(নীল ভাল্লুক আর চকলেট ইঁদুর😛😛)😂😂😂😂
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,