প্রেমের পাঁচফোড়ন

প্রেমের পাঁচফোড়ন !! Part- 71

আহানা হালকা হেসে শান্তর মুখের দিকে চেয়ে রইলো
আচ্ছা যদি ভয়টা সত্যি হয়ে যায়?
আমার শান্ত কি করে থাকবে,সে কি বিয়ে করবে আবার?ওর বাবার মত,তখন আমার সন্তানকেও কি তার বাবার মত অবহেলা অনাচার সহ্য করতে হবে তার সৎ মা থেকে?
আমার সন্তানকে আমি অনাথ করে দিবো?
আমার কাছে তো কোনো উপায় নেই,আমি এবোরশান করলেও তার সাথে অন্যায় করা হবে আর না করলে ভবিষ্যতেও তার সাথে অন্যায় হবে!
শান্ত ল্যাপটপের বাটনে টিপাটিপি করতে করতে আহানার দিকে তাকিয়ে দেখলো সে চুপ করে ফ্লোরের দিকে চেয়ে আছে
তার গাল বেয়ে একের পর এক অশ্রু বেয়ে বেয়ে নিচে গড়িয়ে চলে যাচ্ছে
শান্ত হাত থেকে ল্যাপটপটা রেখে আহানাকে বুকে টেনে নিলো
সে জানে আহানা কেন কাঁদছে,তার হাতেও যে কিছু নেই
আহানা এবোরশান করাবে না আর না করালে তার লাইফ রিস্ক!
এখন তো ৬মাস শেষ হয়ে ৭মাসে পা রাখলো আহানা,এখন চাইলেও এবোরশান করানো যাবে না
আহানা তুমি ভেবো না,তোমার কিছু হলে তোমার মিঃ অশান্ত ও তোমার সাথে চলে যাবে,তার এই পৃথিবীতে থাকার কোনো অধিকার নেই
বাচ্চা তার দাদার কাছে থাকবে

পরেরদিন ভোরবেলায় শান্ত আহানাকে নিয়ে আশ্রমের দিকে চললো
বৃষ্টি এখন আর তেমন হয় না,রাস্তাঘাট পরিষ্কার,আহানা আর শান্ত এখানকার কৃষ্ণচূড়া গাছটার নিচে বসে আছে
শান্ত কৃষ্ণচূড়া ফুলের কলি থেকে খোসা নিয়ে আহানার হাতে নখ বানাচ্ছে আর আহানা আশেপাশে তাকিয়ে দৃশ্য দেখে যাচ্ছে
খালি ক্ষেত,ধান নিয়ে যাওয়ার পর যে গোড়া থেকে যায় সেটাই আছে এখন
দূরের বড় রোডটায় রিকসা,বাইক,অটো এসব চলছে দেখা যায় সেসব
.
দেখো কি সুন্দর নখ বানাই দিলাম তোমার
.
ওয়াও! এজ লাইক রাক্ষসী
.
হুহ,আমার বউয়ের হাতে বড় নখ সুন্দরই লাগছে
.
আহানা শান্তর মাথা থেকে একটা শুকনো পাতা সরিয়ে ওর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বললো”আমাদের ভবিষ্যত কি শান্ত?”

শান্ত আরেকদিকে ফিরে বসে কয়েকটা কঙ্কর নিয়ে মাটির রাস্তায় ফেলতে ফেলতে বললো”সেটা তো তুমি জানো আহানা!আমাকে কেন বলতেসো,তবে একটা কথা মাথায় রেখো তোমার কিছু হলে আমি থাকবো না এরপরে
তোমার কাছে দুটো অপশন ছিল,একটি সুন্দর জীবন আর একটি আপনজনকে হারানোর জীবন
তুমি ২য়টা বেছে নিয়েছো এর আবার কিসের ভবিষ্যত থাকবে?
.
আহানা আকাশের দিকে তাকিয়ে বড় একটা নিশ্বাস ফেলে বললো”যদি ২য় অপশনেই আমি তোমাকে সুখের জীবন এনে দিতে পারি?”
.
আমার মা আমার হাত ধরে বলেছিল সে এই রোগ থেকে সেরে উঠবে!
.
আমার হাতে কিছু নেই শান্ত!যা হবে তা দেখা যাবে,আপনার জন্য যদি আমি থেকে থাকি তাহলে এই বড় ঝড় -বৃষ্টি শেষ হয়ে একটা রঙধনু ফুটে উঠবে,মিলিয়ে নিয়েন!
.
সবসময় পজিটিভ হয় না আহানা,আমার সাথে আজ পর্যন্ত কোনো পজিটিভ হয়নি,সব নেগেটিভ,সবচেয়ে আপনজনকে হারিয়ে এখন আবার আরেক আপনজনকে হারাতে চলেছি আমি
ছেলে হয়েছি বলে কি এত এত কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা রাখি?
আমার মনের ভেতরটা ঠিক তোমাদের মতন,আমার ও আঘাত লাগে
বাট তুমি বুঝবা না,তোমার কাছে… থাক যাই হোক এসব নিয়ে কিছু বলতে চাই না,সব তোমার কারণে হচ্ছে,তুমি খুশি থাকো
কথা গুলো বলে শান্ত উঠে চলে গেলো আশ্রমের দিকে
.
আহানা উঠে দাঁড়িয়ে চোখ মুছে বললো”আমি তো কদিন পরে চলেই যাবো! তাহলে এ কদিন ভালোবাসবে না?”
.
কথাটা শুনে শান্ত থেমে গেলো,আহানার দিকে পিছন ফিরে তাকানোর শক্তি তার নেই
হাঁটু গেড়ে সেই জায়গাতেই বসে গেলো সে,দুহাত দিয়ে মাথা ধরে এক চিৎকার দিলো
আহানা তার জায়গায় দাঁড়িয়ে কাঁদতেসে
শান্ত ও কাঁদতেসে,কাঁদতে কাঁদতে বললো”আহানা আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিব না,তুমি আমার আহান্ত হয়ে আমার কাছেই থাকবে”

আহানা আস্তে আস্তে শান্তর পাশে এসে দাঁড়ালো,শান্তর হাত ধরে ওকে উঠতে বললো
দুজনে এবার আশ্রমে এসেছে,শান্ত তার মায়ের কবর দেখতেছে আর আহানা ডোবাটার কাছে এসে পেটে হাত দিয়ে বললো”বাবু জানো,তোমার মা কে এই ডোবাটায় তোমার নানা নানু রেখে গিয়েছিল কিন্তু আমি এমন করবো না তোমার সাথে,আমি তোমাকে বাঁচানোর জন্য সবটা করবো,করতেসিও,ভয় পাবা না একদম,তুমি একজন স্ট্রং মায়ের স্ট্রং সন্তান হবে,স্বাধীন হবে,নিজের খরচ নিজে চালাবে বড় হয়ে
ততদিন তোমার বাবা তোমার খেয়াল রাখবে
যদি মাও থাকে তাহলে মাও খুব খেয়াল রাখবে তোমার টেনসন নিবা না কেমন?
.
আহানা?
.
হুম
.
চলো যাই,সকাল ৯টা বেজে গেসে,সবাই নাস্তা নিয়ে বসে আছে হয়ত,ওয়েট করতেসে মনে হয়
আরে হ্যাঁ তোমাকে একটা কথাই তো বলতে ভুলে গেসিলাম
.
কি?
.
নওশাদ ফোন করেছিল রুপা নাকি সেন্সলেস হয়ে গেসিলো
সে ওকে নিয়ে হসপিটালে এখন
.
সেকি!!কি হইসে ওর,ঠিক আছে তো?
.
হুম ঠিক আছে,খুশির খবর আছে
.
কি?
.
রুপা প্রেগন্যান্ট!
.
আলহামদুলিল্লাহ, এটা তো খুশির খবর!!!আমার বেস্টুও মা হতে চলেছে,আমি অনেক খুশি
.
শান্ত আহানার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বললো সব ঠিকঠাক থাকলে আমাদের বাবুর সাথে নওশাদ রুপার বাবুর বিয়ে দিব দেখো,তারপর আমি আর নওশাদ হবো বেয়াইন
.
হাহা!আচ্ছা দিয়েন

বাসায় ফিরে আহানা সবার সাথে নাস্তা করতে বসলো,ফুফু কোথা থেকে এসে আহানার হাতে তাবিজ লাগিয়ে দিলেন
মূলত শান্তর কথায় তিনি এই তাবিজটার ব্যবস্থা করেছেন
শান্ত কিছুুই বাদ রাখছে না যেটা দিয়ে সে আহানাকে সেভ করতে পারবে,প্রতিদিন প্রতিটা মূহুর্তে আহানাকে হারিয়ে ফেলার ভয় তাকে শান্তিতে দাঁড়াতে বসতে দেয় না
সকালের নাস্তা সেরে আহানা শান্তর রুমে এসে জানালার ধারে বসে আছে,মাথা ধরে আছে সেই কখন থেকে
শান্তকে কিছু বললেই ভেবে নিবে সব শেষ হতে যাচ্ছে
এমনিতেও প্রচুর টেনসনে থাকে আজকাল

মোহনগঞ্জে ১০/১২দিনের মত থেকে শান্ত আর আহানা ঢাকায় ফিরে আসলো,সকাল থেকে দাদি পায়ে ব্যাথা উপেক্ষা করে কয়েকবার আহানাকে দেখে গেছেন
শান্ত অফিসে গেছে,রুপা তাই আহানার কাছে এসে থাকতেসে,ও প্রেগন্যান্ট হলো কয়েকদিন আগে আর ওর বাবা মা যখন শুনলো তারা বিয়ে করার জন্য মিথ্যে বলসিলো যে রুপা প্রেগন্যান্ট এটার জন্য তেমন বকা দেয়নি তারা
আহানা শুনে বেশ খুশি হলো ও তো ভাবসে যেদিন তারা সত্যিটা জানবে সেদিন বিরাট বড় একটা ঝড় হবে
রুপা রান্না করবে আজ,কিছু কিছু শিখেছে,যেমন আলুর ভর্তা,ডাল,ডিম ভাজি এসব,কিন্তু অলি এসে বললো দাদি বলেছেন আজ তিনি খাবার পাঠাবেন,রুপা যেন রান্না না করে,রুপাও প্রেগন্যান্ট এটা তিনি জানতে পেরে আজ ওদের জন্য রান্না করতেসেন উনি
নওশাদ একটা প্রাইভেট ব্যাংকে জব পেয়েছে ব্যাংকারের
তাই রুপার বাবা রুপাকে নওশাদদের বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন এখন
শান্ত ২বার ফোন করে আহানার খোঁজখবর নিয়েছে
দাদি অলিকে দিয়ে খাবারের বক্স উপরে পাঠিয়ে দিয়েছেন
আহানা আর রুপা খেয়ে দেয়ে এখন দুজন মিলে ঘুমাচ্ছে
শান্ত সন্ধায় বাসায় ফিরেছে নওশাদের সাথে,নওশাদ যাওয়ার সময় রুপাকে নিয়ে যাবে,দুজনে এসে দেখে তাদের বউরা ঘুমাচ্ছে
দুজনেই স্বস্তি পেলো তাদের সুস্থ সবল দেখে

দেখতে দেখতে সেই যন্ত্রনার সময়টা এসেই পড়লো
এবোরশান/মৃত্যু/কোইনসিডেন্স এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ৯টা মাস কেটে গেছে কখন বুঝাই যায়নি
শান্ত এক পলকের জন্যও আহানাকে চোখের বাইরে করতেসে না,তার চোখে পানি এসে এসে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বারবার
আহানাকে বুঝতে দিচ্ছে না সে কতটা কষ্টে আছে আজ সকাল থেকে
অবশ্য আহানার নিজেরই ভয় করছে,তবে তার নিজেকে নিয়ে না তার বাচ্চাকে নিয়ে
শান্ত ৩/৪জন লোক রেডি করেছে তারা ইমারজেন্সিতে আহানাকে রক্ত দিবে
ডাঃ বলেছেন বিকালের দিকে হসপিটালে যেতে
কিন্তু আহানার সকাল ১০টা দেখে শরীর খারাপ শুরু হয়ে গেছে,পেটের অসহ্যকর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে সে
শান্তর হাত মুঠো করে ধরে এপাশ ওপাশ করছে শুধু আর বড় বড় করে শ্বাস নিচ্ছে
শান্ত দেরি না করে ওকে নিয়ে সেই মূহুর্তেই হসপিটালে চলে আসলো
বেডে ওকে শুইয়ে দিয়ে ডাঃ রোস্তমকে আসতে বললো সে
সমস্যাটা অবশেষে দাঁড়িয়েই পড়লো আর তা হলো বাচ্চা বের করার এখনও কিছু করেনি কেউ অথচ এখন থেকে ব্লিডিং শুরু
শান্ত ঘেমে একাকার,শুধু চিৎকার করে বলতেসে আমার কিচ্ছু লাগবে না,আমার আহানাকে লাগবে,আপনি ওসব বাদ দিয়ে আহানাকে বাঁচান
আহানা কাঁপতে কাঁপতে বললো”শান্ত!!এসব আপনি কি বলতেসেন,একদম এসব বলবেন না,আমার বাচ্চার কিছু হবে না”!
কথা বলতে বলতে আহানা জ্ঞান হারিয়ে ফেললো
ডাঃ রোস্তম আরও ১একজন ডাক্তার ডেকে আনলেন,নার্স প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আনলেন
.
উনার সেন্স আনাতে হবে,এই অবস্থায় সিজার করানো যাবে না কোনোমতেই,এমনিতেও এত ব্লিডিং হচ্ছে সিজার করলে ক্ষতি হয়ে যাবে
.
শান্ত বাইরে দাঁড়িয়ে ছটফট করতেসে,তাকে ঢুকতে দিচ্ছে না কেউ
নওশাদ রুপাও এসে গেসে,বাবা আর বাকিরা মোহনগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে ঢাকার উদ্দেশ্যে
আহানার জ্ঞান ফিরানোর ট্রাই করতেসে নার্সরা মিলে
আহানা চোখ খুললো প্রায়ই ১৫/১৬মিনিট পর,চোখ খুলেই হাত বাড়িয়ে দরজার দিকে দেখিয়ে বললো”শান্তকে আসতে দিন”
.
রোস্তম নার্সকে ইশারা করলো, নার্স গিয়ে দরজা খুলে শান্তকে বললো আহানা ডাকতেসে আপনাকে,ভিতরে আসুন
শান্ত সাথে সাথে রুমে ঢুকে গেলো,পাশে এসে আহানার হাত ধরে নিচে বসে ওর কাছে মুখ নিয়ে ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো “কিছু হবে না তোমার আহানা,আমি তোমাকে বাঁচাবো,সাহস রাখো

শান্ত আমি বাঁচবো না,আপনি বাচ্চাকে বাঁচান
.
শান্ত কথা বলতে পারছে না,মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না তার
সবাই এখন এমন একটা সিচুয়েশনে আছে না পারছে রক্ত দিতে না পারছে ডেলিবারি শুরু করতে
.
আমি আগেই বলছিলাম এমন রিস্ক নিবেন না,এখন আমি ঠিক করে বলতেও পারবো না আদৌ আমি কাকে বাঁচাতে পারবো
.
আহানা শান্তর হাত খাঁমছে ধরে আরেক হাত দিয়ে শান্তর মাথা ধরলো
শশশশানননন্ত!আআআমমমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি,আপনার মতই!তেমনই বাচ্চাটাকেও বাসি,সে তো আপনারই অংশ,আমি তাকে মরতে দিতে পারি না,তার খেয়াল রাখবেন,একটা ভালো মা আনবেন তার জন্য,সবসময় তার চোখের দিকে তাকাবেন,সে ভালো আছে নাকি খারাপ ঠিক বুঝতে পারবেন,তাকে একা থাকতে দিবেন না শান্ত!
.
আহানা প্লিস এসব বলা বন্ধ করো,ডাক্তার আপনারা কিছু করছেন না কেন,আমার আহানাকে বাঁচান ব্যস,আর কোনোদিকে কন্সান্ট্রেট করবেন না
.
আপনি রক্তের ব্যবস্থা করুন,আমরা আমাদের মত কাজ চালু করছি
.
শান্ত চোখ মুছে আহানার দিকে তাকিয়ে ওর কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো
আহানা শান্তকে ঝাপসা দেখছে,কালো জ্যাকেট পরা ছেলেটি দৌড়ে দৌড়ে চলে যাচ্ছে রুম থেকে,আর কখনও কি একে আবারও দেখার সুযোগটা হবে?
আহানা চোখ মুছে বড় একটা শ্বাস নিলো,তারপর রোস্তমের দিকে চেয়ে বললো আমি কি বলবো শুনুন
.
আপনারা বাচ্চাকে বাঁচান,আমাকে আজ বাঁচালে আমি কাল নাহয় পরশু এমনিতেও মরে যাবো এটা খুব ভালো করে জানেন আপনি ডাঃরোস্তম!!
যে মরে যাবে তার জন্য একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে মেরে কি উপকার হবে?
সে আমার বাচ্চা,এইটা আমার জীবন,আমার অধিকার সবচাইতে বেশি এসব ব্যাপারে ডিসিশন নেওয়ার,আপনি আমার কথা ভাবা বাদ দিয়ে আমার বাচ্চাকে বাঁচান,আমার শরীর থেকে সব রক্ত চলে যাচ্ছে ৮/৯ঘন্টা ধরে ১ব্যাগ দিলে আপনার কি মনে হয় আমি বাঁচবো??
বাঁচবো না, তাহলে এই অনিশ্চিত জীবনের উপর নির্ভর করে আপনি আমার সন্তানকে মারতে পারেন না,আপনি আমার সন্তানকে বাঁচান,এখন!!!
সিজার করতে হলে করেন,তাকে ঠিকমত এই দুনিয়ায় নিয়ে আসেন,আমারটা ভাবতে হবে না আপানকে
শান্তর কথা শুনবেন না,সে জানে না আমাকে বাঁচালেও আমি দুএকদিনে ঠিকই মরে যাবো তাহলে কেন আমি সাথে করে আমার বাচ্চাকেও মেরে দিয়ে যাব,তা হয়
না
আগে বাচ্চাকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন

ঠিক আছে,রুদ্র!সিজার করার ব্যবস্থা করো জলদি!!
.
আহানা হাতের দিকে তাকালো,শান্তর দেওয়া সেই চুড়ি,যেটা শান্ত ওকে ওর জন্মদিনে দিয়েছিলো,হাতটাকে বুকে ধরে সে আরেকদিকে ফিরে গেলো
শান্ত রক্তর ব্যাগ নিয়ে ছুটে এসেছে,ডাঃ বললেন সিজার করতেসেনন,১০মিনিট আগেই সিজারের কাজ আরম্ভ হয়ে গেসে
শান্ত চিৎকার করে রুমে ঢুকতে যেতেই নওশাদ আর বাকিরা মিলে ওকে আটকালো
.
আহানা এটা তুমি কি করলে!!!তুমি আমার কথা রাখলে না আহানা!!আমি বাঁচবো না আহানা!
.
নওশাদ রুপাও কাঁদতেসে,শান্তকে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে,শান্ত চিৎকার করে শুধু একটা নামই নিচ্ছে সেটা হলো আহানা
আহানার কানে আওয়াজ যাবে না,কারণ তাকে অবশ হওয়ার ইনজেকশান দিয়ে দেওয়া হয়ে গেসে
চলবে♥