প্রেমের পাঁচফোড়ন

প্রেমের পাঁচফোড়ন !! Part- 67

আচ্ছা এবার শান্তি হইসে আপনার??
.
হইসে তো,কি জোস লাগতেসে তোমাকে,এবার একটা ছবি তুলবো
.
খবরদার!! না বলতেসি

শাহরিয়ার শান্ত কখনও আহানার কথা শুনে না
.
শেষমেষ শান্ত আহানাকে ধরে ছবিটা তুলেই নিলো
.
সবাই ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে,বাবা বললেন যাওয়ার আগে একবার বাসা থেকো ঘুরে আসতে
তাই সবাই মিলে রিসোর্ট থেকে সোজা শান্তদের বাসায় ফিরে গেলো
রেনু মা তখন থেকে তার রুমে কি যেন করছেন, দরজা খুলছেনই না
মিতু তার একটা শখের আংটি যেটা সে জন্মদিনে বাবার থেকে পেয়েছিল সেটা আহানাকে দিলো গিফট হিসেবে
সিলভার কালারের, মাঝখানে গুনে গুনে ৩টা পাথর,মাজেরটা সাইজে একটু বড়
এবার যাওয়ার সময় হলো,আহানা রেনু মায়ের রুমের দিকে চেয়ে চলে যেতে নিতেই রেনু মা দরজা খুলে বেরিয়ে এক ডাক দিলেন
আহানা খুশি হয়ে উনার দিকে তাকালো
উনি এগিয়ে আসলেন,তার হাতে একটা বাঁধায় করা শাড়ীর প্যাকেট
তিনি প্যাকেটটা আহানার হাতে দিয়ে বললেন”” এটা শান্তির শাড়ী,ও আমাকে একবার বলেছিলো ওর একটা শাড়ী আছে, মেরুন কালারের,যেটা সে শান্তর বউয়ের জন্য রেখেছে,শান্তর বউ যখন গর্ভবতী হবে,৬মাসের সময় তখন সে যেন এটা পরে,কারণ শান্ত ওর পেটে থাকতে এটা সে ৬মাসের সময় পরেছিল,বংশীয় রীতি যাকে বলে
এটা আমি রেখে দিয়েছি,এটা শুধু তোমার প্রাপ্য,নিয়ে যাও”
আহানা শাড়ীটা হাতে নিয়ে সালাম করলো রেনু মাকে
উনি ওর মাথায় হাত রেখে বললেন “সুখী হও”
.
শান্তর এই প্রথম মনে হলো রেনু মা তাকে আর আহানাকে একটু হলেও ভালোবাসে
আহানার হাত ধরে চলে যাচ্ছে সে,রেনু আবারও ওদের থামতে বললো
শান্তর সামনে দাঁড়িয়ে ওর কপালে চুমু দিয়ে ওর হাতটা ধরলেন তিনি
আঁচলের পিছনে লুকানো একটা ছোট্ট বক্স বের করে সেটা থেকে একটা ঘড়ি নিলো তারপর শান্তর হাতে পরাতে পরাতে বললেন””সায়নের জন্য কিনতে গেসিলাম ভাবলাম শান্তর জন্য ও কিনি,কেমন লাগলো?”
.
শান্তর চোখে পানি এসে গেসে,মা মারা যাওয়ার ১০টা বছরে এই প্রথম সে রেনু মায়ের নতুন রুপ দেখলো যার মধ্যে তার জন্য অনেকখানি সহানুভূতি রয়েছে
শান্ত খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরলো রেনুকে
রেনু চোখের পানি মুছে বললো “বউকে নিয়ে আবার আসিস,সাথে যেন নাতিপুতি ও থাকে””

শান্ত হেসে দিয়ে সালাম করে আহানাকে নিয়ে চলে গেলো
ট্রেনে বসে হাতের ঘড়িটার দিকে চেয়ে আছে সে
কালো রঙের ঘড়ি,বেশ দেখতে তবে তার পছন্দের কাতারে পড়ে না তাও প্রিয়জন কিছু দিলে সেটা হয় সবচেয়ে দামি জিনিস
তাও তো দিসে,এটাই বা কম কিসে!!
আহানা শান্তর হাত জড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে
ট্রেন ছুটে যাচ্ছে তার গন্তব্যের দিকে,সবুজ ক্ষেত,খোলা মাঠ,ঘরবাড়ি একবার একটা পেরিয়ে যাচ্ছে,আবার সমীকরণের মত ফিরেও আসতেসে,সিকুয়েন্স যাকে বলে আর কি,আগে ঘরবাড়ি পরে ক্ষেত পরে মাঠ,আবার ঘরবারি আবার ক্ষেত তারপর মাঠ
নওশাদ আর রুপা অন্য কেবিনে,একসাথে টিকেট পায়নি বলে তারা এবার শান্ত আহানার পাশে বসেনি
রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা ঢাকায় পৌঁছে গেলো,ওমা সেকি বৃষ্টি,খোলা জায়গায় দাঁড়ানো ও সম্ভব হচ্ছে না,শান্ত আর নওশাদ তাড়াহুড়ো করে ২টো রিকসা নিলো
বাসায় যেতে যেতে লেগে গেলো আরও ১ঘন্টা
তখন বাজে সাড়ে ১০টা
শান্ত আহানাকে নিয়ে বাসায় ফিরে ব্যাগ রেখে এক কাপড়েই ওকে নিয়ে হসপিটাল চলে আসলো
রক্ত বাকি ২ব্যাগ দিয়ে দিতেই হবে,এত দেরি করা মোটেও ঠিক না
হসপিটালে এসে হলো আরেক বিপদ,বিপদটা হলো এই যে ডাক্তার যিনি রিপোর্ট নিয়ে কথা বলার কথা উনি আমেরিকায় এখন,উনার একটা পার্সোনাল কাজে ইমিডিয়েটলি চলে গেসেন
আর তাই হয়ত উনার ফোন বন্ধ পেয়েছে শান্ত
এখন কি করবে,নার্স রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়েছে,রিপোর্টে কি আছে তা সঠিক করে বুঝাতে পারবে একমাত্র ডাক্তারই
.
নার্স বললো অন্য একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে
শান্ত সেটাই করলো,ডাঃ সালাউদ্দিনের সাথে দেখা করলো শান্ত আর আহানা
উনি রিপোর্ট দেখে বললেন”রক্ত দিয়ে দেওয়া দরকার,রিপোর্টে যা বুঝলাম তাতে তো মনে হয় উনার শরীরে রক্ত উৎপন্নই হয় না
এটা তো ভালো কথা নয়,রক্ত উৎপন্ন না হলে পেশেন্টকে এভাবে কত রক্ত দেওয়া যাবে??এখন আপাতত আমি কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি আর উনাকে বেশি বেশি আনার,কবুতরের মাংস,এসব খাওয়ান,বাকিটা ডাঃ রোস্তম জানেন,আমি আপাতত কিছুই বলতে পারতেসি না
.
কিন্তু ডাঃ রোস্তম আমাকে বলতে চেয়েছিলেন আহানার কি যেন হয়েছে,নেটের জন্য শুনতে পাইনি আমি
.
রিপোর্টে যা আছে তা তো বললামই
.
আচ্ছা উনার আমেরিকার নাম্বার আছে আপনার কাছে?
.
নাহ,উনি উনার পার্সোনাল নাম্বার কাউকে দেন না,চিন্তা করবেন না,১/২সপ্তাহের ভিতরেই চলে আসবেন উনি
.
ওকে
.
এখন আপনি আপনার ওয়াইফকে বাকি রক্তের ব্যাগ নিয়ে রক্ত দিয়ে দেন,দেরি না করে
.
আচ্ছা
.
আহানা হসপিটালের বেডে বসে আছে,শান্ত কেক আর পাউরুটি এনে আহানাকে জোর করে খাইয়ে দিলো,ডাক্তার এসে ক্যানেলার লাগিয়ে চলে গেলেন
.
আহানা বালিশে মাথা রেখে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত সোফায় হেলান দিয়ে বসে আহানার দিকে চেয়ে মিষ্টি করে হেসে দিয়ে বললো”দেখলা?? বললাম না তোমার বড় কোনো অসুখই নেই,তুমি শুধু শুধু এত সব ভাবসো
.
আহানা ও হেসে দিলো,মনে হলো ঘাড়ের উপর থেকে বোঝা উঠে গেসে
.
আহানা তোমাকে আর অফিস যেতে হবে না,আমি চাকরি করবো
তোমার শরীর খারাপ নিয়ে চাকরি করতে হবে না
.
না আমি চাকরি করবো😒আমার ও তো নিজের ইনকাম করার অধিকার আছে!
.
👿করিও,তোমার স্বাধীনতায় তো আর কিছু করতে পারি না আমি,তোমার লাইফ তোমার ইচ্ছা,শরীর খারাপ করলে একদম বলতে আসবা না আমাকে
শান্ত রেগে রুম থেকে চলে গেলো
.
আহানা আর কিছু বললো না,ঘুম আসতেসে তাই ঘুমিয়ে গেলো,যখন চোখ খুললো তখন দেখলো সকাল হয়ে গেসে
শান্ত ওর পাশে চেয়ারে বসে মাথা বেডে রেখে ঘুমাচ্ছে
আহানা শান্তর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,রক্তের ব্যাগ শেষের পথে,তাই এবার আহানা শান্তকে ডাক দিলো উঠার জন্য
সে উঠে ডাক্তারকে নিয়ে আসলো,উনি এসে রক্তের ব্যাগ খুলে দিলেন

বাসায় ফিরে আহানা চুপ করে বসে আছে আর শান্ত রান্না করতেসে
নাস্তা খেয়ে একসাথে অফিস যাবে
শান্ত গাল ফুলিয়ে ডাল আর আলুর ভর্তা বানাচ্ছে,আহানা তার কথার অবাধ্য হয়ে অফিস যেতে চায় এটা সে মানতেই পারছে না
রান্নাঘর মনে হয় ভেঙ্গেই ফেলবে,ঠাসঠুস!
আহানা সোফায় বসে তার স্বামীর রাগ আর কাজ দেখে যাচ্ছে,শান্ত পারতেসে না রাগে আহানাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে
খাবার এনে ঠাস করে টেবিলে রেখে আহানার হাতে ধরিয়ে দিলো
নিজে খেতে খেতে বললো “নেন খান,আপনি তো সুস্থ সবল মহিলা,অফিস যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন তো খান নিজে নিজে
আপনাকে আর আমি খাওয়াই দিব না
এমন ভাব করে যেন উনার স্বামী ফকির,টাকা দেয় না উনাকে
উনি একমাত্র উপার্জন কর্তা পরিবারের””
.
আহানা চুপ করে থেকে কিছুই খেলো না
কিছু না খেয়েই উঠে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো
শান্ত ও খেলো না
আহানাকে কি বেশি বকে দিয়েছি?তো বকবো না তো কি করবো আমি??
কথা শুনে না আমার!নির্ঘাত অফিসে গেলে শরীর খারাপ করবে ওর
.
আহানা এক হাত দিয়ে চোখ মুছতেসে আরেক হাতে ক্যানেলার,পরশু আরেক ব্যাগ রক্ত দিবে তাই আর সেটা খোলা হয়নি
শান্ত বিছানায় এসে পিছন থেকে আহানাকে জড়িয়ে ধরলো
ফিসফিস করে বললো “রাগ করেছো?”
.
না কিসের রাগ!ভাবতেসি চাকরিটা ছেড়ে দিব
.
না,ছাড়তে হবে না,যেও অফিস
আমি তোমার পাশে থাকবো তোমার শরীর খারাপ করলেই তোমাকে সামলে নিব,এখন উঠে বসো,তোমার কারণে আমারও খাওয়া হয়নি

আহানা বোকার মত চেয়ে আছে শান্তর মুখের দিকে
চেয়ে আছে তো আছেই,যেন এ চোখে সে পৃথিবীর সকল সুখ দেখতে পাচ্ছে,মাথাটা উঁচু করে শান্তর ঠোঁটটা স্পর্শ করলো সে
তারপর উঠে বসলো গোল হয়ে
শান্ত আহানার মাথার চুলে হাত বুলিয়ে প্লেট নিয়ে আসলো,নিজেও খেলো সাথে আহানাকেও খাইয়ে দিলো
.
অফিস টাইমে শান্ত বাইক নিয়ে আহানার বাসার সামনে এসে পড়েছে,আহানা এক হাত দিয়ে চুলটা আঁচড়িয়ে বের হয়ে শান্তর বাইকে উঠে বসলো,শান্তকে মনে পড়লেই বাইকের আয়নার তাকিয়ে দেখে সে,শান্তর চোখ সামনের রোডটার দিকে
একটা সময় সে গলিতে ঢুকতে ঢুকতে বললো””ওমন করে কি দেখো এত””
.
আহানা চমকে মুখ লুকিয়ে বললো”না এমনি কিছু না তো”
.
কিছু তো একটা আছে তা না হলে হুট করে বাইকের আয়নায় শান্তকে দেখার এত স্বাদ জাগলো কেন??
.
কেন দেখতে পারি না আমি?এখন কি বিনিময়ে কিছু দিতে হবে নাকি আপনাকে?
.
৩টা চুমু আর ৫বার কিস,ব্যস এইটুকুই
.
কিহহ,আপনি খুব খারাপ,নির্লজ্জ কোথাকার
.
তোমাকে বললাম না আমাকে কোথাকার বলবা না!
.
কোথাকার কোথাকার
.
বাসায় গিয়ে তোমাকে ধুয়ে শুকাতে দিব আমি
.
আমি আপনাকে ইস্ত্রি করবো
.
দেখা যাবে
.
দেখা যাবে
.
দুজনেই অফিসে এসে কাজে লেগে পড়লো,আহানার অসুস্থতা দেখে শান্ত আহানার কিছু কাজ করে দিলো সময় বাঁচিয়ে

এভাবে তাদের দিন চলতেসে,শান্ত এক হাতে অফিস+ভার্সিটরর কাজ করছে আরেক হাতে আহানাকে সামলাচ্ছে,আহানা এখন মোটামুটি সুস্থ তবে দূর্বলতা একটু হলেও অনুভূত হয় তার
রক্ত বাকি ব্যাগ ও দেওয়া হয়ে গেসে
দেখতে দেখতে ১টা মাস কেটে গেলো,,আহানা বলতে গেলে এখন সম্পূর্ন সুস্থ
আজ সে কতদিন পর ভার্সিটিতে যাবে,শান্ত এতদিন ওকে অফিস যেতে দিলেও ভার্সিটিতে যেতে দেয়নি
তো আজ শান্ত রাজি হলো কারণ আজ আহানার পরীক্ষা আছে ভার্সিটিতে
শান্ত ওকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো ব্যাংকে,বাবা না বলে টাকা পাঠিয়েছেন সেটা তুলতে যাচ্ছে সে
আহানা নিরিবিলি পরীক্ষাটা দিলো,এখন সে রুপার সাথে ক্যামপাসে বসে শান্তর অপেক্ষা করছে,রুপা আর নওশাদ আড্ডা দিতেসে,আহানা উঠে গিয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছটার নিচে এসে দাঁড়ালো
কতটা দিন পর সে এই জায়গায় এসেছে,চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া কুড়াচ্ছে সে
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক,রোগের কথা সে ভুলেই গেছে
ভাবতেও পারেনি সে আবারও সুস্থ হয়ে যাবে,মনে তো হয়েছিল এই পৃথিবীতে আর টিকে থাকা সম্ভব না কিন্তু সেটা ভুল ছিল
আমি আবারও সেই আগের মত কাজ+ভার্সিটির ক্লাস সব সামলাতে পারবো সাথে সংসারটাও
আজ অফিস শেষে বাসার জন্য কিছু আসবাবপত্র কিনবো আমি আর শান্ত মিলে
আমি ৫০% টাকা দিব আর শান্ত ৫০%
কার্পেট আর ফুলের টব,আরও কত কি!
আমি আমার বাসায় থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি,শান্ত ও মানা করে না,বরং সে তার ফ্ল্যাট রেখে আমার সাথেই থাকে বেশিরভাগ

আহানা!
.
ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আহানা শান্তর দিকে তাকালো,শান্ত বাইক নিয়ে এসে গেসে,ফোনে কথা বলতে বলতে আহানাকে বললো আসতে
আহানা গিয়ে ওর পাশে বসলো,শান্ত ফোন পকেটে ঢুকিয়ে বললো “পরীক্ষা কেমন হলো তোমার?”
.
ভালো
.
আচ্ছা
.
দুজনে এবার একটা রেস্টুরেন্টে আসলো,এখান থেকে খেয়ে নিয়ে অফিস যাবে
আহানা কয়েকদিন ঠিকমত খাবার দাবার খাচ্ছিলো তবে ইদানিং ২/৩ধরে শান্ত খেয়াল করতেসে আহানার খাবারের প্রতি প্রচুর অনীহা
সারাদিন আচার খাবে,দাদির আচারের ভর্তি ভর্তি বোয়াম ছিল ৩টা,একটা জলপাই, একটা আমের আর একটা চালতার,সবগুলোতে এখন খুঁজেও এক চামচ আচার পাওয়া মুশকিল হবে,কারণ সব আহানা একাই খেয়েছে,শেষে শান্ত বাজার থেকে আচার কিনে এনে দাদির আচারের বোয়াম আবার ভর্তি করেছে
এখনও রেস্টুরেন্টো এসে আচারি চিকেন খাবে বলতেসে,আজব সব ব্যাপার,এসব খেলে কি রক্ত হবে?
বুঝতেসো না কেন তুমি?
.
ক্ষতিও তো হবে না
.
এটাই লাস্ট,এরপর থেকে ২প্লেট ভাত খাবা দুপুরে,আমি কিছু শুনতে চাই না
.
আচ্ছা খাবো,এখন ফুচকা খাবো
.
মাত্রই তো ভাত খেলাম,এখন আবার ফুচকা?

তো কি হইসে,আমার না ফুচকা খেতে মন চাচ্ছে,ইসসস টক টক,খুব মজা
.
খাওয়াবো তবে এখন না,অফিস শেষ করে,এখন চলো অফিসে
.
আহানা গাল ফুলিয়ে গিয়ে বাইকে বসলো
.
কি??ফুচকা খাওয়াইনি বলে ওড়না বাইকে বিছিয়ে বসতে হবে??
.
হুহ,আমি কিপটাদের সাথে কথা বলি না
.
আমি কিপটা?তুমি যে দুদিনে ৩বোতল আাচার শেষ দিসো সেই আমিই কিনে আনি ডিব্বা ভর্তি করেছি,এর পরেও আমাকে কিপটা বলবা?
.
হ্যাঁ আপনি কিপটা
.
শান্ত আহানার ওড়না ঠিক করে ওর মাথায় পরিয়ে দিয়ে বাইকে উঠতে উঠতে বললো “যাও ফুচকার সাথে ঝালমুড়িও খাওয়াবো
.
সত্যি?
.
হ্যাঁ
চলবে♥