প্রেমের পাঁচফোড়ন

প্রেমের পাঁচফোড়ন !! Part- 13

মিস জানো Santu ভাইয়ার অনেক দুঃখ,সে কদিন বাদেই মন খারাপ করে থাকে,কাল বিকালে আমি যখন মাম্মির সাথে ছাদে গেছিলাম গাছে পানি দেওয়ার জন্য তখন দেখলাম মন খারাপ করে দোলনায় বসে আছে
.
কেন?
.
জানি না তো,আমি অনেক জিজ্ঞেস করেছি,বলে না আমাকে
.
ওহ
আহানা মিষ্টিকে পড়িয়ে বাসায় ফিরার সময় তার চোখে পড়লো ১০তলা বিল্ডিংটার একটু দূরে কচু গাছের ক্ষেত
আহানা কচু গাছ অনেক খুঁজে এখন পেয়েছে,কচু গাছের পাতা সিদ্ধ করে মসলা দিয়ে রাঁধলে খুব ভালো লাগে এবং এটা অনেক উপকারী,বিশেষত চোখের জন্য
.
আহানা চুপিচুপি গিয়ে একটা একটা করে পাতা ছিঁড়তে লাগলো
অনেকগুলো পাতা নিয়ে রোডে এনে রাখলো,,আরও ২/৩টা নিলে বেশ হতো,২দিনের জন্য রান্না করতে পারতাম আমি
আহানা আবার ভিতরে গিয়ে পাতায় হাত দিতে গিয়ে পায়ের দিকে নজর গেলো তার,ইয়া বড় বড় দুটো জোঁক আরামসে নিশ্চুপ ভাবে তার রক্ত চুষে যাচ্ছে যা এতক্ষণ সে টেরই পায়নি
চিৎকার দিয়ে মাটিতে বসে পড়লো আহানা,কি করবে কোথায় যাবে বুঝতেসে না
চোখ বন্ধ করে বসে আছে,সকাল ৭টায় তো ঢাকার অভিজাত এলাকার মানুষদের রাস্তায় চোখেই পড়ে না,আর সেই অভিজাত এলাকায় সে চিৎকার করেও মানুষ পাবে না
শান্ত কানে ইয়ারফোন দিয়ে জগিং করতে করতে যাচ্ছে রোড দিয়ে
.
গানের তালে তালে মাথা হেলিয়ে দুলিয়ে কচু ক্ষেতের দিকে একবার তাকিয়ে আবার আরেকদিকে তাকিয়ে থেমে গেলো,এক মিনিট কাকে দেখলাম?
.
শান্ত আবারও তাকালো সেদিকে,আহানা চোখ বন্ধ করে ক্ষেতের মাঝখানে বসে আছে,ভয়ে বিড়বিড় করে কিসব বলতেসে মনে হচ্ছে
কানের থেকে ইয়ারফোনটা খুলতে খুলতে শান্ত সেদিকে এগিয়ে গেলো

এই মেয়ে?মাথা ঠিক আছে তোমার??এরকম জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে মাটিতে বসে কি করতেসো তুমি?
.
প্লিস আমাকে বাঁচান
.
কি হয়েছে?আশেপাশে কোনো গুণ্ডাপাণ্ডা তো দেখতেসি না আমি
.
আরে আমার পা😭
.
শান্ত এগিয়ে এসে তাকিয়ে দেখলো আহানার পায়ের পাতাতে একটা জোঁক আরেকটা পায়ের টাকনুর উপরে,বড় বড়
.
😭এগুলাকে সরান না প্লিস
.
তুমি এখানে আসতে গেসো কেন,আর মাঝখানে কেনোই বা আসলা?
আহানা জবাব না দিয়েই পড়ে যাচ্ছে
– লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জুয়ালিমিন
.
শান্ত হাত দিয়ে জোঁক সরাতে যেতেই আহানা চিৎকার দিয়ে বললো এই কি করতেসেন,হাত দিয়ে ধরতেসেন কেন আপনি!!!
.
হাত দিয়ে ধরে সরাতে ইজি হবে বুঝছো?
.
শান্ত হাত লাগাতেই আহানা ভয়ে শান্তর টি- শার্ট টেনে ধরলো
.
ঐ দেখো তোমার ঘাড়ে একটা
আহানা আর থাকতে পারবে না,শান্তর মুখে এ কথা শুনে এগিয়ে এসে শান্তর কাছে গিয়ে বসে পড়লো ভয়ে
.
প্লিস ঘাড় থেকে সরান,
.
শান্ত হেসে দিয়ে আহানার পায়ের জোঁক ২টো সরিয়ে ফেললো
.
কই ঘাড়ের টা সরিয়েছেন?

আহানার চোখ বন্ধ,শান্ত বললো সরিয়েছি
আহানা এবার হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো,উফ,পা কি জ্বালা করতেসে,উঠে দাঁড়াতেই শান্ত ১০০টা প্রশ্ন করে বসলো,এখানে কেন এসেছে আহানা,কিসের জন্যে এসেছে!
.
কচু পাতা নিতে এসেছিলাম আমি
.
তোমার কি এখন চড়ুই ভাতি খেলার বয়স?ছোটবেলায় আমি কচু পাতা দিয়ে শাক রান্না করে আমার পাতানো বউকে খাওয়াতাম,কাঁচা কাঁচা,সে খেয়েও নিতো,একটা বলদই ছিল
.
পাতানো বউ?
.
ছোটবেলায় সবার এমন পাতানো বউ থাকো,তোমার পাতানো বর নাই?
.
নাহ
.
ওহ তাহলে তোমাকে বুঝিয়ে লাভ নেই,এই পাতা দিয়ে কি করবা সেটা বলো
.
কি করবো আর,রান্না করবো
.
হোয়াটটটটট!!!রান্না?তোমার মাথা ঠিক আছে?এ বয়সে কচু পাতা রেঁধে চড়ুই ভাতি খেলবা তুমি?
.
না ধুর,বলতে তো দিবেন,আর এমন ভাব করেন কেন,জীবনে কচু পাতা রান্না করা খাননি?
.
নাহ, জীবনে এ প্রথম শুনলাম কচু পাতা রেঁধেও খাওয়া যায়,ও মাই গড!
.
এটা সিদ্ধ করে মসলা দিয়ে ভাজি করলে অনেক মজা
.
শান্ত নিচে তাকিয়ে দেখলো আহানার পায়ে আরেকটা জোঁক
.
শান্তর চাহনি দেখে আহানাও তার পায়ের দিকে তাকালো!
আহানা জোঁক দেখে আবারও চিৎকার করে শান্তর হাত চেপে ধরলো
.
প্লিস এটাকে সরান প্লিস!
.
এক শর্তে
.
কি শর্ত?
.
তুমি যে ডিস রান্না করবা আমার জন্য ও আনতে হবে
.
আচ্ছা আনবো, সরান প্লিস প্লিস
.
আমার হাত না ছাড়লে সরাবো কি করে?
.
আহানার এবার হুস আসলো সে শান্তর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে রেখেছে
তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলো ওর হাত
শান্ত ঝুঁকে এই জোঁকটাও সরিয়ে ফেলো দিলো
.
আহানা আর না দাঁড়িয়ে রোডের দিকে দৌড় মারলো,এখানে থাকা আর পসিবল না বাপরে বাপ
জোঁক ১০০টা ধরসে আমাকে
.
মনে থাকবে তো শর্তের কথা?

আহানা কচুপাতা যেগুলো তুলেছিল সেগুলো হাতে নিতে নিতে বললো ঠিক আছে আনবো
বাসায় ফিরে কচুপাতাগুলো কাটতে বসে পড়লো সে,ভালো করে ধুয়ে কেটে সিদ্ধ করে রেখে দিলো,ভার্সিটি থেকে এসে রাঁধবে
সেদিনের পিঠা ২টা ছিল,সেগুলো খেয়ে বের হলো বাসা থেকে,তখন সকাল ১০:১৪বাজে
.
আহানা রুপাকে নিয়ে ক্যামপাসে বসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,শান্তকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না
.
আমাকে খুঁজতেসো?
.
আহানা চোখ বড় করে পাশে তাকিয়ে দেখলো শান্ত মুচকি হেসে ফোনে কথা বলতে বলতে চলে যাচ্ছে
.
কথাটা আমাকে বললো নাকি ফোনে যার সাথে কথা বলতেসে তাকে বললো?আজব লোক,কখন কি করে বুঝি না আমি
.
আজ শান্ত একটা কাজে চলে গেসে তাই আর আহানাকে টিউশনি যাওয়ার পথে ডিস্টার্ব করতে আসেনি
আহানা তো ভয়ে ভয়ে রোড পেরিয়ে চলে গেসে,যাক বাবা বাঁচলাম!
আল্লাহ এই বাঁদরটাকে সুবুদ্ধি দিয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ
আহানা বাসায় ফিরে এসে সিদ্ধ করে রাখা কচু পাতাগুলো মসলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিলো,একটা ছোট বক্সে শান্তর জন্য আলাদা করে রেখে দিলো
মীম আপু বাসায় আছে আজকে,তার ডিউটি শেষ,আহানা উনার থেকে গোটা জিরা এক চামচ নিয়ে ভেজে কচুপাতার উপরে ছিঁটিয়ে দিলো,এতে করে স্বাদ হাজারগুন বেড়ে যায়
যাক হয়ে গেছে,কাল সকালে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো
পরেরদিন ভোরে আহানা বের হলো বক্সটা ব্যাগে নিয়ে,সোজা গিয়ে শান্তর বাসার দরজায় নক করলো
মনে হয় শান্ত ওর জন্যই অপেক্ষা করতেসিলো,নক করার ১০সেকেন্ডের মধ্যেই শান্ত এসে দরজা খুললো

নিন আপনার খাবার
.
শান্ত বক্সটা খুলে দেখলো শুধু কচু পাতার আইটেম টা সাথে আর কিছু নেই
.
একি??শুধু এটা?এটা যেটা দিয়ে খাব সেটা আনো নাই?
.
মানে?আপনি তো বলছেন এটা খাবেন,আবার সাথে অন্য কিছু আনতে হবে সেটা তো বলেন নাই
.
এটা কি দিয়ে খায়?
.
গরম ভাত
.
বুয়া তো ৯টা বাজা ছাড়া আসবে না,ততক্ষণ ওয়েট করার ধৈর্য্য আমার নেই,এক কাজ করো তুমি ভাত রেঁধে দাও আসো
.
কিহহ,আমি?আপনার মাথা ঠিক আছে?
.
কেন?কি সমস্যা?
.
আপনার মা কে বলেন
.
মা এখানে থাকলে তো আর তোমাকে বলতাম না
.
তার মানে আপনি বাসায় একা?আমি একা একটা ছেলের বাসায় যাব না
.
আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলবো নাকি?
.
খেতেও তো পারেন😒
.
উফ!!
.
তাহলে বোন থাকলে বোনকে বলেন
.
শুনো আমার বাসায় আমি, নওশাদ,সূ্র্য আর রিয়াজ থাকি
.
কিহহহহ?আমি যেখানে এতগুলো ছেলে আছে সেখানে যাবো?ইমপসিবল
.
মিষ্টিইইইইইইই!
.
কিই Santuuu?
.
মিষ্টির মা বললেন কি হয়েছে শান্ত?
.
আন্টি মিষ্টি আজ আহানার কাছে আমার বাসায় পড়লে কোনো সমস্যা আছে?আসলে আমার আহানার থেকে একটা assignment নেওয়ার আছে,নোট করে নিতে হবে
.
ওকে সমস্যা নেই,যাও মিষ্টি বই খাতা নিয়ে শান্ত ভাইয়ার বাসায় যাও
.
আহানা ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে,মিথ্যুক কোথাকার!
.
কি?মিষ্টি থাকলে তো আর আমি আর তুমি একা না তাই না?
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে মিষ্টিকে নিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকলো

কি সুন্দর বাসা!!আল্লাহ গো!
মিষ্টি সোফায় গিয়ে বসে পড়লো খাতা কলম নিয়ে
আহানা ওকে একটা অংক করতে দিয়ে শান্তর দিকে তাকাতেই শান্ত বললো শুনো আমাদের ফ্রিজে ফ্রাইড রাইস আছে,ওটা দিয়ে এই ডিসটা খাওয়া যাবে?
.
কি বললেন?ফ্রাইড রাইস? সেটা কি?ভাজা ভাত?সেটা কেমনে খায়
.
কিহ?তুমি ফ্রাইড রাইস চিনো না?জীবনে খাও নাই?
.
না
.
পোলাও চিনো?
.
হ্যাঁ চিনি তো,ঐদিন মিরার বিয়েতে খেয়েছি
.
এর আগে খাও নাই?
.
না
.
ও মাই গড! ওকে ওয়েট
শান্ত ফ্রিজ থেকে ফ্রাইড রাইসের বাটিটা বের করে আহানাকে দেখালো
.
ওহহহ আচ্ছা এগুলো হলো পোলাও ভাজা তার সাথে সবজি,এটা বললেই হতো
.
আমি কি জানি তুমি উপকরন শুনে খাবার চিনো,নাম শুনো নয়
.
না না এটা দিয়ে কচু পাতা খাওয়া যাবে না,জীবনেও এমন নাম শুনি নাই,গরম ভাত দিয়েই খাওয়া যাবে

রাঁধতে পারো তো?
.
কেন পারবো না,আমাকে রান্নাঘর দেখিয়ে দিন
.
শান্ত রান্নাঘর দেখিয়ে দিলো,আহানা ভিতরে ঢুকেই অবাক হয়ে গেলো,ওমা রান্নাঘর দেখি সোফার রুমের চাইতেও সুন্দর😲,প্লেট,বাটি,গ্লাস রাখার একটা ওয়াল কেবিনেট,আহানা হা করে সেটাই দেখতেসে
.
তারপর পাতিল হাতে নিলো চাল ধোয়ার জন্য
.
এই যে শুনুন!!
.
শান্তর বুকে ধুক করে উঠলো আহানার ডাক শুনে
এগিয়ে এসে বললো এই খবরদার আমাকে এমন করে ডাকবা না একদম!
.
আহানা বিস্মিত হয়ে বললো কেন কি হয়েছে?
.
আমার কেমন যেন লাগে,আর তুমি এমন ভাবে ডাকতেসো যেন আমি তোমার বিয়ে করা বর!
.
আজব তো,আমি এতসব ভেবে ডেকেছি নাকি?আর আপনি এত উল্টা পাল্টা চিন্তাভাবনা নিয়ে থাকেন কেন?আমার ঠ্যাকা পড়ে নাই আপনাকে ভাত রেঁধে খাওয়ানোর,চাল কোথায় তা জানার জন্য ডেকেছি
.
এই বালতির ভিতরে
.
আহানা বালতির দিকে তাকাতেই ওর চোখ কপালে উঠে গেলো,এত বড় বালতি ভরা চাল!!
.
তো?

আহানা চুপচাপ বালতি থেকে পাতিলে চাল নিলো,তারপর ধুয়ে ভাত বসিয়ে দিলো,এরপর এসে মিষ্টিকে পড়াতে বসে গেলো,শান্ত একবার এক রুমে পায়চারি করতেসে
.
সোফার রুমের সামনে ২টো রুম,একটাতে নওশাদ,সূর্য আর রিয়াজ থাকে আরেকটায় শান্ত থাকে
.
মিষ্টি তুমি কিছু খাবে?
.
গোলাপজাম খাবো
.
তাহলে মিষ্টি মিষ্টিকে খাবে
.
হু😁
.
শান্ত আহানার দিকে তাকাতেই আহানা বললো ও কিছু খাবে না
.
তোমাকে জিজ্ঞেস করি নাই আমি😒
শান্ত মিষ্টি এনে দিলো,মিষ্টি তার অংক করা শেষে করেই খাওয়া শুরু করে দিসে
আহানা ভাত দেখতে রান্নাঘরে এসে এদিক ওদিক দেখতেসে,কি বিশাল রান্নাঘর,২০জন লোক দাঁড়াতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না
.
এই আমাকে এক কাপ কফি বানিয়ে দাও
.
কফি বানায় কেমনে?
.
জানো না?
.
না
.
কি জানো?তোমার আম্মু তোমাকে রান্নাবান্না শেখায় নি?
.
😒
.
শান্ত নিজে নিজে কফি বানালো,আহানার জন্য ও এক কাপ বানালো,কারন আহানা মিষ্টিকে পড়ানোর সময় ঝিমতেসিলো শান্ত দেখেছিল সেটা
.
মিষ্টির জন্য ভুলে কফি বানিয়ে ফেলসিলাম,বাট ও তো বাচ্চা মেয়ে এসব খায় না,লাইক ও করে না,বরং তুমি খাও এটা
.
আমি?
.
না তোমার ভূত!!
.
আহানা কফি এক চুমুক দিয়ে চোখ,ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো
ইচচচ কি তিতা,আমাকে এসব কি খেতে দিসেন,এর চেয়ে তো রঙ চা ভালো
.
কফি তো এমনই হয়
.
না আমি খাবো না,এটাকে পানীয় আইটেম বানিয়েছে কে?,কি দেখে বানিয়েছে কে জানে!
.
ভাত রাঁধা হয়ে গেছে, আহানা একটা প্লেটে রান্না করা কচুপাতা নিয়ে ভাত বেড়ে ডাইনিং এ এনে রাখলো
.
শান্ত হাত ধুয়ে বসে ছিল সেই কখন থেকে
আহানা প্লেট রাখতেই মেখে এক লোকমা মুখে দিয়ে দিলো সাথে সাথে
.
উমমম এটা তো খুব টেস্টি,আরেহহ এটা তো পাতাবাটা
.
পাতাবাটা?

হ্যাঁ!আমার মা এই ডিসটা বানাতো কিছুদিন পরপর,আমি এটাকে পাতাবাটা বলতাম,একদম আমার মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ,সেম টু সেম,আমার মা ও এভাবে উপর দিয়ে জিরা গুড়া ছিঁটিয়ে দিতো
.
বানাতো মানে?এখন আর বানায় না?
.
শান্তর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো মূহুর্তেই,নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খাবারটা শেষ করে উঠে চলে গেলো হাত ধোয়ার জন্য
.
আহানা ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে,কি বললাম,এভাবে রিয়েক্ট করলেন কেন উনি?
আহানা ভাবতে ভাবতে প্লেটটা নিয়ে ধুয়ে রেখে দিলো
.
আচ্ছা আমি যাই
.
শান্ত তার রুমে বিছানায় আরেকদিকে মুখ করে বসে আছে,কথা বলার মুড নেই তার
আহানা কথাটা বলে চলে গেলো মিষ্টিকে তাদের বাসায় দিয়ে এসে
চলবে♥