প্রেমাতাল

#প্রেমাতাল পর্ব ৩৬

লেখা- মৌরি মরিয়ম
তিতির বরাবরই এভাবে মুগ্ধর বুকে মাথা রেখে গান শুনতে পছন্দ করে। মুগ্ধর বুকের পাঁজর যেন প্রতিটা ধুকধুক এর মধ্য দিয়ে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয় তিতিরের গাল। আর গানের প্রতিটা কথা, সুর সাথে প্রিয় মানুষটার কণ্ঠস্বর কানের এত কাছে! গান শেষ করে তিতিরের কানে কানে মুগ্ধ বলল,
-“আজ রাতে তো তুমি শেষ।”
তিতির লজ্জায় লজ্জায় এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে চলে যাচ্ছিল। মুগ্ধ হাত ধরে থামাতে গিয়ে খেয়াল করলো তিতিরের হাতে সুন্দর নকশা করা মেহেদি। বলল,
-“তুমি মেহেদি পড়েছো?”
-“হ্যা।”
-“আমি একদমই খেয়াল করিনি। কখন পড়লে? খুব সুন্দর হয়েছে। নতুন বউয়ের হাতে মেহেদি নাহলে কি হয়?”
-“জানো মাও এই কথাটাই বলেছিল। আমি পড়তে চাইনি প্রথমে, লজ্জা লাগছিল। পরে মা আর পিউয়ের জোরাজুরিতে পড়েছি।”
-“কখন লাগিয়েছো? আমি তো দেখলামই না।”
-“তুমি তখন বাজারে গিয়েছিলে। বাজার দিয়েই তো আবার চলে গেলে।”
-“হ্যা, কাজ ছিল তো। নিজের বিয়ের সব আয়োজন তো নিজেকেই করতে হচ্ছে।”
-“হুম, সেজন্যই দেখতে পাওনি।”
-“অল্পসময় রেখেছো তবু কি সুন্দর গাঢ় রঙ হয়েছে দেখেছো? তার মানে হচ্ছে তোমার বর তোমাকে অনেক ভালবাসবে।”
-“আমার বর তো আমাকে এমনিতেই অনেক ভালবাসে, মেহেদির রঙে কিছু যায় আসে না।”
মুগ্ধ ওকে কাছে এনে বলল,
-“ভালবাসা তো আজ রাতে টের পাবে সুন্দরী।”
তিতির এক ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল ঘর থেকে। মুগ্ধ হাসতে লাগলো।
কিচ্ছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হতেই মুগ্ধর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল ড্রইং রুমে ইকরাকে দেখে। সাথে ফুপীও আছে। মা কি ওদেরকে বলেছে নাকি ওরা নিজ দায়িত্বে এসে হাজির হয়েছে? মা ভয়ে ভয়ে তাকালো মুগ্ধর দিকে। মুগ্ধ কিছু বলল না। তবে আশেপাশেই থাকলো। কারন তিতির ওখানেই আছে, কখন যে ফুপী তিতিরকে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে বসে তার ঠিক নেই।
যেমন চিন্তা করলো তেমনই হলো কিছুক্ষণ পরই ফুপী তিতিরকে জিজ্ঞেস করলো,
-“এভাবে বাবা-মা কে না জানিয়ে বিয়ে করছো তোমার ভয় করছে না?”
তিতির কি বলবে ভেবে পেল না আবার চুপ করে থাকলেও তো বেয়াদব ভাববে। ও ভাবতে ভাবতেই মুগ্ধ গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে উত্তর দিল,
-“ফুপী, সবার বিয়েতে যে বাবা-মা থাকবে এমন তো কোন কথা নেই। আমার বাবা-মার বিয়েতেও তো মায়ের বাবা-মা ছিল না। তো? তারা কি সুখী হয়নি?”
-“তোর বাবা-মায়েরটা তো অন্য ব্যাপার ছিল। ভাবীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল তাই।”
মা জানে মুগ্ধ আরো কথা বললে ওর মুখের লাগাম ছুটে যাবে। তাই মুগ্ধ কিছু বলার আগেই মা বলল,
-“ওদের ব্যাপারটা আমাদেরটার চেয়েও বেশি অন্য ব্যাপার। তোমরা তো সবটা জানো না তাই বুঝতে পারছো না।”
যেহেতু মা বলেছে তাই মুগ্ধ আর এব্যাপারে কিছু বলল না। পিউয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
-“পিউ তুই তিতিরকে নিয়ে তোর ঘরে বা আমার ঘরে যা। আমার ফ্রেন্ডরা চলে এসেছে নিচে। এক্ষুনি ওপরে চলে আসবে।”
পিউ তিতিরকে নিয়ে মুগ্ধর ঘরে গেল। ইকরা লুকিয়ে চোখেরজল মুছে নিল তবু মুগ্ধর চোখ এড়ালো না। ইকরা কাঁদছে, কাঁদুক! শুধু ভালবাসলেই তো আর হয়না। ভালবাসার সঠিক পথটাও জানতে হয়।
মুগ্ধর ফ্রেন্ড তমাল চলে এসেছে। তমাল বলল,
-“এতদিনে তাহলে বিয়ে করছিস।”
মুগ্ধ হাসতে হাসতে বলল,
-“কথা বলবিনা শালা, মেরে নাক ফাটিয়ে দেব। তুমি তো তোমার হিরোইনের সাথে বাচ্চাকাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছো আর আমি কেবল সুখের মুখ দেখলাম।”
তমাল মুগ্ধর কাধে হাত রেখে বলল,
-“সরি দোস্ত, আমার বোকামির জন্যই তোদের দুজনের জীবনে কাল নেমে এসেছিল। সেদিন আমার ওই কাজ করা উচিৎ হয়নি। সুপ্তিকে তো আমি ঠিকই বিয়ে করতে পেরেছি। কিন্তু আমার পাপে তোরা…”
মুগ্ধ তমালকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
-“আরে থাম ভাই, ওইসব কথা বলে লাভ নেই। কপালে যা ছিল তাই হয়েছে, এখনো কপালে যা আছে তাই হতে চলেছে।”
তমাল চুপ, মুগ্ধ আবার বল,
-“সুপ্তি আর বাচ্চাদের আনিসনি কেন?”
-“সুপ্তি ওর বাবার বাড়িতে। পরে একদিন বউ দেখাতে নিয়ে আসবো।”
ওরা কথা বলতে বলতেই মুগ্ধর অন্য ফ্রেন্ডরা চলে এল। সবাই গল্পগুজব করছে। মা রান্নাবান্নায় ফিনিশিং দিতে গিয়েছে। ফুপী তাকে হেল্প করছে। ইকরা আর স্নিগ্ধও ড্রইং রুমের এক কোনায় বসে গল্প করছে। পিউ এসে ইকরাদের সাথে জয়েন করলো। তার মানে তিতির এখন একা। মনটা বারবার তিতিরের কাছে যেতে চাইছে। সবার চোখের আড়াল থেকে পা পিছিয়ে পিছিয়ে মুগ্ধ চোরের মত গিয়ে ঘরে ঢুকলো। তিতির আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি ঠিক করছিল। আচ্ছা, এজন্যই তাহলে পিউ বেড়িয়ে গিয়েছে। মুগ্ধ আচমকা গিয়ে তিতিরকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। তিতির লাফিয়ে উঠলো।
-“উফ তুমি না!”
-“ভয় পেলে কেন? কি ভেবেছিলে অন্য কেউ?”
-“নাহ, তবে হঠাৎ তো তাই চমকে গিয়েছিলাম।”
মুগ্ধ পেছন থেকেই তিতিরের কানের নিচে একটা চুমু দিল। তারপর বলল,
-“এই পৃথিবীতে মুগ্ধ ছাড়া আর কেউ কি আছে যে তোমার গায়ে টাচ করতে পারে?”
তিতির মুগ্ধর দিকে ঘুরে গলা জড়িয়ে ধরে চোখে চোখ রাখলো। মুগ্ধ তিতিরের কোমরে হাত রাখলো। বলল,
-“লেটস হ্যাভ আ কিস! ইট উইল বি দ্যা লাস্ট কিস অফ আওয়ার আনম্যারেড আইফ।”
তিতির চোখ নামিয়ে মিষ্টি করে হাসলো। মুগ্ধ তিতিরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে নিবিড়ভাবে চুমু খেল। তিতির ভেসে গেল অন্য কোন দুনিয়ায়। সিলেটের পর এই প্রথম মুগ্ধর এত কাছে আসা। যদিও কাল থেকে নাকি অনেক কিছুই হয়েছে সেসব কিছুই সেভাবে খেয়াল নেই তিতিরের। মুগ্ধ বলার পর সব মনে পড়লেও অনুভূতিগুলো তো আর পাওয়া যায় না। দুজনেই দুজনকে বেহুঁশ হয়ে চুমু খাচ্ছে। কেউই কেউকে ছাড়ছে না। কতক্ষণ যে পার হয়ে গেল কে জানে! হঠাৎ রিংটোন বেজে উঠতেই তিতির ছেড়ে দিল,
-“যাও তোমার ফোন এসেছে।”
মুগ্ধ হেসে বলল,
-“আমার ফোন পকেটে, তোমার ফোন এসেছে।”
মুখে হাসলেও মুগ্ধর কলিজার ভেতর অজানা একটা ভয় একটা কামড় দিয়ে উঠলো। তিতিরের ফোনটা বেড সাইড টেবিলের ওপর রাখা ছিল। তিতির ফোনটা হাতে নিয়েই ছুঁড়ে ফেলে দিল বিছানার ওপর। যেন ইলেক্ট্রিক শক লেগেছে। সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে। মুগ্ধর দিকে ফিরে ভয়ে ভয়ে বলল,
-“ভাইয়া।”
মুগ্ধর সারা শরীরের রক্ত যেন পানি হয়ে গেল। যা বোঝার বুঝে গেল মুগ্ধ। ফোনটা তুলে তিতিরের হাতে দিয়ে বলল,
-“ফোনটা ধরো।”
-“না প্লিজ, আমি ফোন ধরবো না।”
-“তিতির, আমাদের কপালে যা আছে তাই হবে তুমি ফোনটা ধরো। আমার মনটা কেমন যেন করছে।”
-“না আমি ফোন ধরতে পারবো না।”
ওরা কথা বলতে বলতে কলটা কেটে গেল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটা মেসেজ এল। তিতির বলল,
-“ভাইয়া মেসেজ দিয়েছে। আমার ভয় করছে মেসেজ টা ওপেন করতে। কোন বিপদ কি হয়েছে? আমি কি চলে এসে ভুল করলাম?”
মুগ্ধ ফোনটা হাতে নিয়ে মেসেজ ওপেন করলো। মেসেজটায় ছিল,
“Baba heart attack koreche kalke, amader kauke kichu boleni. Aj amra ter peye hospital e anlam, sathe sathe emargency te admit koreche.. Dr. boleche onk deri hoye gese, Allah ke dakte… R kichu paren r na paren plz ektu doa korben, apnader notun jibon shuker hok!”
মুগ্ধ তিতিরকে বলল,
-“তিতির, আমাদেরকে বের হতে হবে এক্ষুনি।”
তিতির মোবাইলটা হাতে নিয়ে মেসেজটা পড়েই ফ্লোরে বসে পড়ে কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
-“আমার পাপে সব হয়েছে, শুধু এই ভয়টা পেয়ে আমি এতবছর আসতে পারিনি।”
-“এসব বলার বা ভাবার সময় এখন না তিতির। প্লিজ তুমি ওঠো।”
তিতিরকে ধরে ওঠলো মুগ্ধ। তিতিরের দৃষ্টি এলোমেলো। কেঁদেই চলেছে, কিছু করার নেই.. পুরো পৃথিবীটা ভেঙে পড়েছে ওর মাথার উপর। ওর বাবা কি চলে যাবে? নাহ, আল্লাহ যেন এতবড় শাস্তি ওকে না দেয়। বাবাকে ও সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। বাবার কিছু হলে ও নিজেকে কক্ষনো ক্ষমা করতে পারবে না। আল্লাহ ওর পাপের শাস্তি যেন ওর বাবাকে না দেয়। মুগ্ধ বলল,
-“আরে কি হলো চলো? আর তার আগে শাড়িটা পালটে নাও। বাবা এভাবে তোমাকে দেখলে তার আরো ক্ষতি হতে পারে।”
তিতির গয়নাগাটি সব খুলল। তাড়াহুড়ো করে হাতের চুরি খুলতে গিয়ে খোদাই করা ডিজাইনের ঘষা লেগে হাত কেটে গেল। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না তিতির। মুগ্ধ যে ঘরে আছে সেদিকে খেয়াল নেই তিতিরের, ওর সামনেই শাড়ি খুলতে লাগলো। উফফ এত সেপটেপিন কেন লাগিয়েছে শাড়িতে! মুগ্ধ হেল্প করলো।
সবগুলো সেপটেপিন খোলা হতেই মুগ্ধ আলমারি থেকে একটা শার্ট নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। দরজার বাইরে গিয়েই পাঞ্জাবিটা খুলে শার্ট টা পড়ে নিল। ওকে এভাবে চেঞ্জ করতে দেখেই মা কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো,
-“কি হয়েছে মুগ্ধ? চেঞ্জ করলি? আর তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?”
-“তিতিরের বাবা হার্ট এট্যাক করেছে।”
মা নির্বাক চোখে তাকিয়ে রইলেন। এর মধ্যে তিতির শাড়ি গয়না হাতে নিয়ে সালোয়ার কামিজ পড়ে বেড়িয়ে এল। ওগুলো মায়ের হাতে দিয়ে বলল,
-“আমাকে মাফ করবেন মা।”
মা বলল,
-“এসব কথা এখন রাখো। তাড়াতাড়ি যাও।”
তিতির মুগ্ধর দিকে তাকাতেই মুগ্ধ বলল,
-“চলো।”
ওরা বেড়িয়ে গেল। সামান্য কজন অতিথিরা অবাক হয়ে চেয়ে রইলো।
মুগ্ধর ৭ তলার বাসা থেকে লিফটে উঠতেই তিতির তাকিয়ে দেখলো ম্যাক্সিমাম ফ্লোরে লিফট কল করা আছে অলরেডি। ৬ তলায় লিফটের দরজা খুলতেই তিতির মুগ্ধর হাত ধরে টেনে বের করলো। তারপর সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামতে লাগলো। অগত্যা মুগ্ধও দৌড় লাগালো। তিতিরের কান্না এক সেকেন্ডের জন্য থামেনি। গাড়িতে ওঠার পর থেকে তিতির বারবার ঘড়ি দেখছিল। মুগ্ধ বলল,
-“টেনশন করোনা। রাস্তায় জ্যাম নেই তাড়াতাড়িই পৌঁছে যাব। তান্নাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করো বাবা কোন হসপিটালে আছে?”
তিতির তাই করলো। তান্না কোন উল্টোপাল্টা কথা বলল না। সোজাসুজি বলে দিল কোন হসপিটালে আছে। মুগ্ধ বলল,
-“এ সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার কাছে আসার জন্য যদি আমি তোমার উপর প্রেশার ক্রিয়েট না করতাম তাহলে তুমি আসতেও না আর এই অঘটন টাও ঘটতো না।”
-“নিজেকে দোষ দিও না। তুমি প্রেশার ক্রিয়েট না করলেও আমি আসতাম। বাসায় আমার উপর দিয়ে যা যাচ্ছিল তা আমি মানতে পারছিলাম না আর। তাই আমি গিয়েছি। কিনতি এটাও সত্যি বাবা নির্বাক ছিলেন সবকিছুতে। মা আর ভাইয়ার অত্যাচারে যেমন বাবা বাধা দেননি তেমনি নিজে এমন কোন কথা বলেনি যাতে আমি কষ্ট পাই। আর আমি বাবাকে এতটা কষ্ট দিলাম? আমি মানুষ না। আমি সত্যিই একটা কুলাঙ্গার।”
-“এসব বলেনা তিতির। সব ঠিক হয়ে যাবে।”
তিতির ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদছে। চোখের পানি গাল বেয়ে বেয়ে পড়ে ওর জামা ভিজে গেছে। মুগ্ধর তো ক্ষমতা নেই এই কান্না থামাবার। আল্লাহ কেন এত কঠিন মুহূর্ত লিখে রাখে কপালে! মুগ্ধ বলল,
-“কাঁদেনা তিতির, কাঁদেনা। আমি বাবাকে হারিয়েছি। আমি বুঝি বাবা হারানোর কষ্টটা কেমন। তুমি অনেক ভাল আর অনেক লক্ষী একটা মেয়ে আল্লাহ তোমাকে এত তাড়াতাড়ি এতটা কষ্ট দেবে না, দেখে নিও কিচ্ছু হবে না বাবার। তুমি তো বাবার কাছেই যাচ্ছো। তোমাকে দেখলে বাবার বুকের কষ্ট একদম কমে যাবে।”
তিতির মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে বলল,
-“আমাকে ভালবেসে তুমি শুধু কষ্টই পেলে। আমি একটু সুখ দিতে পারলাম না তোমাকে।”
মুগ্ধ বাম হাতটা তিতিরের গালে রেখে চোখ মুছে দিয়ে বলল,
-“পাগলী এভাবে ভেবো না। যা পেয়েছি তা হাজার জনম তপস্যা করেও সবাই পায়না। আমার কোন আক্ষেপ নেই। তুমি আমার ভাগ্যেই লেখা নেই। এটা আমি মেনে নিলাম আজকে, তুমিও মেনে নাও।”
তিতির মুগ্ধর হাতটা ধরে কাঁদতে লাগলো। আজ শনিবার, রাস্তায় কোন জ্যাম নেই কিন্তু রাস্তা শেষই হচ্ছে না। বনানী থেকে ধানমন্ডি এটুকু রাস্তা যেন আজ হাজার মাইলের দূরত্ব হয়ে গেছে। ঘড়ির কাঁটা যেন একটা সেকেন্ডের ঘর পার করতে ৫ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে।
To be continued…