1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃপেইনলেখাঃ এপিস ইন্ডিকা

পেইন !! লেখাঃ এপিস ইন্ডিকা

পেইন …

মেয়েরা প্রতিবারি আমার কাছে টিসুর ন্যায়।।যা ইউস করার পর আমি ডাস্টবিনে ফেলে দেই।।হাতের মাঝে একটি টিসু নিয়ে ডাস্টবিনের দিক ফেলতে ফেলতে বলে উঠে শিশির।।
শিশিরের মুখে এমন কথা শুনে অবাকের শেষ চুড়ায় তানিয়া।।

(বিঃ দ্রঃ “ পেইন !! লেখাঃ এপিস ইন্ডিকা ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

—-তুমি আমার সাথে এমনটা করতে পারো না।।
কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পরে তানিয়া।।অসহায় ভাবে তাকিয়ে শিশিরের দিকে চোখ থেকে জল যেন গড়িয়ে পরা বন্ধ হচ্ছে না তার।।

তানিয়ার সামনে এক হাটু গেরে মুখটায় তার বাম হাত দিয়ে চেপে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে শিশির,,

—-ইয়েশ বেবী আই কেন।। আমি পাড়ি।। নাউ ইউ গেট লষ্ট।।তোমার এই মুখটি যেন দ্বিতীয় বার আর না দেখি।। বলে মুখটি থেকে ঝাড়া মেরে হাত শরিয়ে দেয় শিশির।।
তার পর উঠে দাড়িয়ে নিজের শরীরের পরিহিত কোর্টটি ভাল ভেবে ঝেড়ে ঠিক করে হন হন করে বের হয় যায় সেখান থেকে।।
তানিয়ে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে তার যাওয়ার দিক।।
তার উপর উঠে দাড়িয়ে চলে যেতে থাকে নিজের অজানা গন্তব্য।।


ড্রাইভ করছে শিশির।।ঠোটে তার মন ভোলানো চমৎকার হাসি।।যে হাসিতে মুহুর্তের মাঝে দিওয়ানা হয়ে উঠে তানিয়ার মতো মেয়েরা।।তানিয়া হচ্ছে তার সাবেক গার্ল ফ্রেন্ড।।যার সাথে সপ্তাহ খানেক আগেই সম্পর্কে জড়িয়েছিল শিশির।।আর আজ তার স্টাইলেই ব্রেক আপ করেছে।।তার একটি কারণ আছে অবশ্য, তানিয়াদের মতো মেয়েদের পেইন দিতে আনন্দ পায় সে।।তার একটি পার্সোনাল কারণ আছে অবশ্য।।
.
.
.
ঢাকার নামিদামী পাভে এসেছে শিশির তার নতুন শিকারের খুঁজেতে।।পকেট থেকে ফোনটি বের করে ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চেক করলো সেখানে কিছুক্ষণ আগে একটি পিক পাঠিয়েছে রাহুল।। পিকটি দেখে সামনের একটি টেবিল তাকালো।।তার পর সেই মন ভোলানো একটি চমৎকার হাসি দিয়ে এগিয়ে গেল সেই টেবিলের কাছে।।
—-হাই ম্যাম!
সামনের মেয়েটির দিক হাত বাড়িয়ে বলতে লাগে শিশির।।
মেয়েটিও সামনে থাকা অতি আকর্ষক ছেলেটির দিকে তাকিয়ে হাসি ফোঁটলো ঠোঁটের কনে তার, সেও হাত বারিয়ে দিল আর বলো,,
—-হ্যালো।।
বলে হাত মিলালো মেয়েটি।।
শিশির বাঁকা হাসলো।।তারপর বলল,,
—-আমি আপনার সাথে ডান্স করার সৌভাগ্য পেতে পারি?
—-হে অবশ্যই কেন নয়!


অনেক ক্ষন যাবৎ ডান্স করছে শিশির মেয়েটি সাথে।।মেয়েটি শিশিরের সাথে তাল মিলাচ্ছে।।মেয়েটি পরিহিত বুক খোলা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছে।। যাতে মেয়েটিকে খুব আকর্ষিত দেখাচ্ছে,,।। পাভের অর্ধেক ছেলেদের নজর কেরেছে সে।।
শিশির ডান্স করার এক পর্যায় মেয়েটিকে ঘুরিয়ে পিঠের সাথে বুক লাগিয়ে, মেয়েটির গলায় শিশির তার থুতনি রেখে বলতে লাগে,,

—-তুমিকি জানো তুমি খুব হট

মেয়েটি শিশিরের এমন স্পর্শ নেশাগ্রস্ত হয়ে বলতে লাগে,,

—-তুমি কম কিসে।।

তার পর মেয়েটি ঘুরে দাড়িয়ে শিশিরের গলায় দু হাত বেঁধ দিয়ে আবার বলতে লাগে,,

—-তোমার শরীরে মন মাতানো পারফিউম আমাকে পুড়োপুড়ি মাতাল করে দিচ্ছে।।

শিশির এবার তার হাত দুটো মেয়েটির কমোরে দিয়ে তার সাথে চেপে ধরলো।।আর বলতে লাগলো,,

—আই নিড ইউ!মে আই।।

মেয়েটি যেন এতো ক্ষন এই প্রত্যাশায় ছিল।।সে শিশিরকে খুব আয়েসে জড়িয়ে ধরলো।।
শিশির তাকে কোলে তুলে নিল।।আর সেই পাভের একটি রুমে দিক পা বারালো।।
রুমে এসে মেতে উঠলো তার নিত্যদীনের খেলায়।।
ভোর ৫ টা বাজে,শিশিরকে জড়িয়ে ধরে আরামসে ঘুমাচ্ছে কাল রাতের সেই পাভের মেয়ে ঝিনুক।।ঝিনুককে নিজের শরীর থেকে সরিয়ে বেড এ শুয়ে দিল শিশির।।তারপর এলো মেলো ভাবে পড়ে থাকা কাপড় গুলো গায়ে পড়ে নিল সামনের ডেসিং টেবিলের আয়নার দিক তাকিয়ে।।আয়নায় শিশির নিজের প্রতিছবি না দেখে পিছনে গভীর ঘুমে থাকা ঝিনুককে দেখে বাঁকা হাসলো।।আর বলল,,,

—-কাল থেকে আর কারও বেডে যাওয়ার ক্ষমতা থাকবে না মিস।।।শিশির আর পিছনে না তাকিয়েই রুমের দরজা দিয়ে হাতা ফোল্ড করতে করতে বের হয়ে গেল।।শিশিরে চোখে মুখে প্রশান্তির হাসি।।
তার গাড়ির দরজা খুলে গাড়ির ভিতরে বসে,,
শ্বা করে চলে গেল সে।।
.
.
বিছানায় শায়িত ঝিনুক ঘুমের মাঝে বেডর ওপর পাশ হাতরাচ্ছে চোখ বন্ধ করেই।।পাশে কাউকে না পাওয়ায় চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে না তার পাশে কেউ নেই।।ঝিনুক উঠে বসলো,, এদিক ওদিক দেখল।।

—-নাহ চলে গেছে।। দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো ঝিনুক।।
তার পর গায়ের মাঝে ভাল করে চাদরটা জড়িয়ে চলে গেল ওয়াশরুমে।।
.
.
—-আর কটা বাকি??
পিছন থেকে রাহুল বলে উঠে।।
দেয়ালে লাগানো অনেক গুলো ছবির মাঝে দাগ দেয়া,।।বাকি শুধু দুইটা ছবি যার একটি ছবিতে ক্রশ করে কেটে দিয়ে বলে উঠে,,
—-আর একটা! তারপর আমি জিতে যাবো।।
তখন রাহুল বলে উঠে,,,
—-এর পর তোর পেইন কিছুটাতো কমবে।।
শিশির হাসলো।।
রাহুল শিশিরের সামনে শ্যাম্পেইনের গ্লাস এগিয়ে দিল।।
শিশির নিল।।তার পরেই রাহুল বলে উঠে গ্লাসটা উচু করে।।
—আজ কি সাম তেরি জিত কি নাম।।
শিশির ও গ্লাসটি উপরে তুলল।।আর হাসতে হাসতে বলল,,
—-থ্যাংকস ব্রো।। তুই না থাকলে এটা কখনোই সম্ভব হতো না।।
—-চাপ নিস না।। উই আর ফ্রেন্ড।। আ আ আ বেষ্ট ফ্রেন্ড।।
দুজনেই হাসতে লাগলো।।



ঘুম ভাঙ্গতেই মাথায় ৮০ মন ওজেনের বাশ পড়লো তার।।একর পর এক কল এসে যাচ্ছে বাহিরে মিডিয়ার জন্য পা রাখতে পারছে না তুহীন শেখ।।
তিনি মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছেন।।
সামনেই পড়ে আছে কত গুলো খবরের কাগজ যেখানে ফ্রন্ট পেজে ইয়া বড় বড় করে লিখা,,
তুহীন শেখের বড় মেয়ে ঝিনুকের ভিডিও ফাস তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে।।টিভি ওন করতেই দেখা যাচ্ছে সব চ্যানেলএ একি খবর বার বার।।পেপারে তো শুধু পিক দেয়া।।কিন্তু টিভিতে ভিডিও সহ দেখাচ্ছে।।ঝিনুক দরজা বন্ধ করে তার রুমে বসে।।রুমের বাহির থেকে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন ঝিনুকের মা বার বার,,আর বলচ্ছেন,,,
—-কুলাঙ্গার মেয়ে আজ ৪০ বছরের সম্মান একে বারে মাটিতে মিশিয়ে দিলি।।বের হ তুই।।তোর চুলের মুঠি ধরে বের করবো আমার বাসা থেকে।।
তখনি ঝিনুকের বাবা তেড়ে এসে ঝিনুকের মার গাল বরাবর কসে থাপর মেরে বলতে লাগে,,
—-মাগীর জ্বি তোর জন্যই হইসে সব।।নিজে যেমন ছিলি তেমনি মেয়েকে বানিয়েছিস।।স্মার্ট বানবে নে এবার তো স্মার্টের উর্ধে।। এখন দুই জন মিলে কর গিয়ে মাগী বাচি।।
চলে গেলেন তুহীন শেখ।। মাথা ফ্যাটে যাচ্ছে তার ব্যাথায়।।
মাটিতে বসে ঝিনুকের মা গালে হাত দিয়ে মরা কান্না জুরে বলতে লাগে তুহীন শেখ কে,,
—-আমি না হয় খারাপ জাগার ছিলাম আর তুমি?? ভুলে গেছ সব ২৩ বছরের আগের কাহিনী।।
তার পর উঠে এসে মুখ মুখী দাড়ায় তুহীন শেখের,,আর আঙ্গুল তুলে ফিসফিসিয়ে বলে উঠে,,
—-এ সব কিছু রফা দফা কর।।ছেলে মানুষির মনে এসেছে ভুল করে ফেলেছে।।যেভাবে হকো আমি আমার মেয়ের শরীরে লাগা দাগ পরিষ্কার দেখতে চাই।।
তুহীন শেখের বিরক্ত লাগছে তার বউয়ের কথা শুনে তিনি প্রতিবার মেয়েকে ছুট দিয়ে গেছে।।কিছুতো বলেই নি উল্টো তিনি বললে ৪/৫ টা কথা শুনতে হয়েছে তার বউয়ের কাছ থেকে।।
তিনি দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লেন।।তার বউকে তার থেকে কিছুটা ধাক্কা দিয়ে দূরে শরিয়ে দিয়ে বলতে লাগেন,,
—-আসলেই আমার অতীতের করা কাজের পাপ এখন তো আমারি বইতে হবে।।
তুহীনের বউ কিছু বুঝলেন তো দূর,, মুখ বাকিয়ে আবার মেয়ের দড়জায় করা নারতে লাগলো।।
.
.
.
শিশিরে সামনে পরে থাকা নিউজ পেপার আর সামনের টিভিতে ভিডিও গুলো দেখে বাঁকা হসচ্ছে।।
পাশে থাকা রাহুল চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলতে লাগে,,,
—-বলতে হবে দোস্ত মেয়েটি খুব মজাই করছে কাল রাতে।।ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে তোর থেকে ইন্জয় ও বেশী করেছে।।।
—–হুম
গম্ভীর ভাবে বলল শিশির।।
রাহুল পিঠে চাপর মেরে বলে উঠলো,,
—তোর পেইন যে এখন ভাড়ী পড়ছে তাদের উপর।।
এক চোখ টিপ মেরে।।
শিশির মৃদু হেসে বলে উঠে,,
—-এই পেইন যে ধংস করতে যথেষ্ট।।
উঠে চলে গেল শিশির।।
শিশিরের যাওয়ার দিক চেয়ে রইল রাহুল।।
..
..

 

চলবে … পেইন পেইন পেইন পেইন পেইন পেইন পেইন পেইন পেইন

 

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ এপিস ইন্ডিকা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…………

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *