পূর্ব রোদ

পূর্ব রোদ !! Part- 02

পূর্ব রোদের রুমে গিয়ে দেখে সব কিছু আগে থেকে এলোমেলো।রেগে গিয়ে পূর্ব পাশের ফুলদানি ভেঙ্গে ফেললো।মাঝেমধ্যে পূর্বের ইচ্ছে করে রোদকে খুন করে ফেলতে কিন্তু তার বাবা-মার জন্য ইচ্ছাকে চেপে রেখেছে।কেনো যে রোদের সাথে তার বিয়েটা হলো?পূর্ব মনে মনে ঠিক করে নিলো সে পালিয়ে যাবে।
পূর্ব ড্রয়িংরুমে গিয়ে রোদের দিকে রাগি চোখে তাকালো।প্রতিক্রিয়া’য় রোদ তাচ্ছিল্যের সুরে হেসে উঠলো।রোদের হাসি দেখে পূর্বের গা জ্বালা করলো।পূর্ব কথা না বলে তার মায়ের ঘরে যাচ্ছে।তা দেখে রোদ তার পিছু নিলো।
“মা!আমার রুমের সব কিছু খুব বিশ্রীভাবে এলোমেলো।আমার একার পক্ষে এতো কিছু ঠিক করা সম্ভব না।”
খুব শান্ত স্বরে কথা বলায় রোদ অবাক হলো।রোদের মনে জানার আগ্রহ হলো পূর্ব কী করতে চাইছে?
“একার পক্ষে?আচ্ছা, রোদ মামুনি তোকে হেল্প করবে।”

“কীহ?আমি হেল্প করবো?নিজের রুমটা যদি নিজে ঠিক করতে না পারে তাহলে থাকে কেনো ঐ রুমে?ফুটপাতে গেলেই তো হয়।যত্তসব!”
“তুই তাহলে যাবি না পূর্বের সাথে?”(চাঁদনি)
“ভূলেও না!”
“ঠিক আছে।আমার ছেলের রুম!আমি যাচ্ছি!”
“আম্মি কী করছো কী?”
চাঁদনি মোহাম্মদ বিছানা থেকে উঠতে গেলে রোদ ধরে ফেলে।ডক্টর বলেছে উনাকে বেড রেস্টে রাখতে।এবার রোদ দ্বিধায় পড়ে গেলো।পূর্বকে হেল্প করতে মোটেও ইচ্ছে করছে না।আর আম্মিকে তো বিছানা থেকে নামতেই দেওয়া যাবে না।ধ্যাত!পূর্বের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মিটিমিটি হাসছে।রোদের এখন নিজের উপর রাগ হচ্ছে।কী দরকার ছিলো ওর রুম এলোমেলো করার?কিন্তু দোষ সব তার মনের।পূর্বের একটু শান্তি দেখলে তার গা জ্বলে উঠে।
ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে বললো,”আম্মি তুমি আর বাবাই কানে তুলা গুঁজে রাখো।নয়তো হরিচন্দনের চিল্লানিতে কানের পর্দা ফেটে যাবে।যাচ্ছি আমি এখন!”
বিরক্তি নিয়ে রোদ পূর্বের রুমের দিকে গেলো।মিটিমিটি হেসে পূর্ব তার পিছু নিলো।চাঁদনি আর সূর্য দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো।
“তুই কাবার্ডের কাপড়,বই,বিছানা ঠিক করে ঝাড়ু দিয়ে দিস।আমি বারান্দারগুলা ঠিক করি।”(রোদ)
” তোরে কী আমি মডেলিং দেখাইতে বলছি যে বারান্দায় যাস?সবকিছু আমি ঠিক করলে তুই আইলি কেন?”
“তোর মতো আকাইম্মার সাথে সাধে আসি নাই।নে এবার কাজ শুরু কর।”
“আমি আকাইম্মা হলে তুই কী?নির্লজ্জ!”

“হ আমি নির্লজ্জ!তোর কী?আমার সাথে না লেগে কাজে হাত লাগা!”
বিরবির করতে করতে পূর্ব বই ঠিক করতে গেলো।ত্রিশ মিনিট কাজ করলে বাকি ত্রিশ মিনিট ঝগড়া দিয়েছে।রোদ পূর্বের রুম থেকে বেরিয়ে এসে রাগে ফুলছে।পূর্বের জন্য গর্ত খুড়ে এখন সে নিজেই সেই গর্তে পড়লো।ঘাড় একদম ব্যাথা হয়ে গেছে।উফফ!
রোদ মুখ-হাত ধুয়ে খাওয়ার জন্য সূর্য মোহাম্মদ’কে ডেকে আনলো।টেবিলে বসে দুজন চুপচাপ খাচ্ছে।রোদের কিছুতে খেতে ইচ্ছে করছে না।তার মাথায় ঘুরছে কীভাবে প্রতিশোধ নিবে?
মোবাইলে কথা বলতে বলতে পূর্ব সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে।ওদের বাড়িটা ডুপ্লেক্স।নিচে রোদ থাকতো আর তার মা-বাবার রুম ছিলো।কিন্তু তার মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে রোদের জায়গায় পূর্বের বাবা-মা থাকে।রোদ পূর্বের পাশের রুমে।হঠাৎ রোদের কানে ভেসে আসলো,
“হ্যা!চিকেন বিরিয়ানি।ওকে।”পূর্বের কথা শুনে রোদ বুঝতে পারলো পূর্ব বাইর থেকে খাবার অর্ডার করছে।তখনি সে বলে উঠলো,
” বাবাই!মাংসটা অনেক ভালো হয়েছে তাই না?”
“হুম রে!পূর্বের তো খুব পছন্দ।কিন্তু আজকে মনে হয় খাবে না।তুই ডেকে ছিলি?”
“বাবাই পছন্দ হলে ঠিকই খেতে আসতো।ওপস!আমি রান্না করলে সেদিন তো তার খাওয়া বারণ…”
রোদ আর কিছু বলার আগেই দেখলো পূর্ব তার কথায় পাত্তা না দিয়ে তার রুমে যাচ্ছে।ভিষণ ক্ষেপে গেলো রোদ!তার কথা পুরা না শুনে চলে গেলো?রাগে প্লেটে পানি ঢেলে রোদ রুমে চলে আসলো।
সেদিন আর কোনোমতেই রোদ তার প্রতিশোধ নিতে পারেনি।সামনে তার এইচএসসি পরিক্ষা।রোদ সেইভাবে পড়াশোনা করছে।পড়াশোনায় রোদ অতোটা ভালো না হলেও খারাপও না।কিন্তু এখন তর মূল লক্ষ্য এইচএসসি পরিক্ষা।কিন্তু তবুও ওদের দুজনের ঝগড়া কমে নি।পরীক্ষার দুদিন আগে ঘুম থেকে উঠে রোদ দেখলো পূর্বের রুমের সামনে দু’জোড়া জুতা।কাল রাতে পূর্ব যখন এসেছিলো তখন সে ঘুমিয়ে পড়ে।তাই সে জানতে পারেনি রাতে তার বন্ধু “তিহান” এসেছে।তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে রোদ তার কিছু পাউডার তিহানের জুতার সাথে মিশিয়ে পূর্বের রুমের সামনে রেখে দিলো।এরপর পর শয়তানি হাসি দিয়ে চলে গেলো।

পূর্বের ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলো তিহান এখনো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।পূর্ব কেয়ার না করে তিহান’কে লাথি দিলো।ধড়ফড়িয়ে তিহান উঠে বসলো।কী সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলো একটু আগে!কিন্তু পূর্ব ঘুমটা ভেঙে দিয়ে সব কিছু নষ্ট করলো।তিহান উল্টো মারতে গেলে পূর্ব বললো,
“একটাও যদি মারিস তাহলে তোকে ন্যাংটা করে বাড়ি পাঠাবো।বাড়িতে এক কাল নাগিনী পুষে রেখেছে বাবা-মা তার জন্য শান্তি… ”
বিড়বিড় করতে করতে পূর্ব রুমের বাইরে চলে গেলো।পূর্বের অবস্থা দেখে তিহানের আফসোস হলো।অতি আবেগে তার মুখটা “চ” এর মতো হয়ে গেলো।তিহান তো মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসে কিন্তু রোদ তাকে পছন্দ করে না।কারণ তিহান কথায় কথায় “ইন্না-লিল্লাহ” বলে।যেটা রোদের কাছে ডিজগাস্টিং লাগে।


“ও মাগো!এতো চুলকাচ্ছে কেনো?উফফ!তিহানের বাচ্চা জুতোই কী রেখেছিস?আল্লাহ গোওও”
দরজায় কান পেতে রোদ পূর্বের চিৎকার শুনছে।একটু আগে তিহানের জুতো’তে চুলকানি’র পাউডার লাগিয়ে ছিলো।যেটা পূর্বের পায়ে লাগতেই চুলকাতে শুরু করে।রোদ ঔষুধ দিয়েছিলো তিহানের উদ্দেশ্য।কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত পূর্ব তার শিকার হয়।তিহানের জুতো যে পূর্ব পরবে তা ভাবেনি।এতে রোদ আরো দ্বিগুণ খুশি হয়েছে।মোবাইলে “ও লা ল্লা,আই লাভ ইউ…” গানটা ছেড়ে দিয়ে নেচে যাচ্ছে।তার পরিকল্পনা এতো ভালো কাজ করবে ভাবতে পারে নি।


“ইন্না-লিল্লাহ।কীরে চিল্লাস কেন?(তিহান)
“কুত্তা তুই জুতা’তে কী নিয়া ঘুরোস?পা লাগতেই চুলকাতে শুরু করলো…উফফ!”
“ইন্না-লিল্লাহ!এইটা কী কথা?আমার ব্রেন্ড জুতোর এই অপমান?”
“চুপ হালা!আহ..এতো চুলকাচ্ছে।তিহান কিছু কর!”
“ইন্না-লিল্লাহ!এতো চুলকাই মানে?”
“চাইনিজ কথা বলতেছি আমি?উফ!”
“আচ্ছা!ওয়াশরুমে চল!”
ওরা দুজন চলে যেতেই রোদ বের হলো।আকাশ ছোঁয়া পরিমান খুশি হয়েছে সে এখন।এই খুশিতে সে এখন রান্না করবে।যেহেতু রোদের পরিক্ষা তাই রান্না করার জন্য একজন মহিলা রেখেছেন।তবুও আজ সে রান্না করবে।


সকালের নাস্তা বানানো শেষ করে রোদ গোসল করতে গেলো।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে তোয়ালে নিয়ে মুখ দিতে কেমন যেন কাটা কাটা অনুভব হলো।রোদ তোয়ালে খেয়াল করে দেখলো সবুজ রংয়ের কিছু পাতা তোয়ালেতে আটকে আছে।পাতাগুলি হাতে তুলে নিলো।একটু পর তার মুখ-হাত চুলকাতে শুরু করলো।যে যে স্থানে পাতাগুলো লেগেছে সেসব জায়গায় বিরতিহীনভাবে চুলকাচ্ছে!একসময় চুলকানো জায়গা’ ফুলে গেলো,গোলপী বর্ণ হয়ে গেছে।রোদ আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে কেঁদে ফেললো।ঠোঁট কামড়ে রোদ কান্না করেই যাচ্ছে আর চুলকাচ্ছে।
একটুপর তার কানে ভেসে আসলো পূর্বের অট্টহাসি।মাথা ঘুরিয়ে দেখলো পূর্ব হালকা হালকা চুলকাচ্ছে আর হাসছে।তবে পূর্বের কাছে এই মুহুর্তে চুলকানি অসুবিধা হচ্ছে না।পূর্বের হাসি দেখে রোদ বুঝতে পারলো এসব ওর কাজ।রেগে তেড়ে আসতে গেলে দরজার সামনে তরল জাতীয় কিছুতে স্লিপ খেয়ে ধপাস করে পড়ে গেলো।
“আল্লাহ আমার কোমরটা গেলো।ভ্যাএএএ!আম্মিইই…এ্যাএএ।হরিচন্দন তুই ফেলছিস এখানে পানি?”
“হাহাহাহাহাহাহা!”

হাসতে হাসতে এক পর্যায়ে পূর্ব বসে গেলো।কিন্তু তবুও হাসি থামছে না।রোদ পানিতে বসে আছে।পূর্বের উপর এখন কী পরিমান রাগ হচ্ছে তা বলা বুঝানো যাবে না।একে তো পানি ঢেলেছে তার উপর হাসছে!রাগে রোদের গা জ্বলে উঠলো।হাসতে হাসতে হাঁপিয়ে গেলে পূর্ব বললো,
“আমি জানতাম।হাহাহাহা।আমি জানতাম তুই রেগে আমার উপর হামলা করবি তাই আগে থেকে পানি ঢেলে রেখেছি।ওহ হো!পেট ব্যাথা হয়ে গেছে হাসতে হাসতে।কেমন লাগছে এখন?জুতো’তে চুলকানির পাউডার দি ছিলি না?এবার বুঝ মজা!ঐ পাতা নাম চুলকানি পাতা।কোথা থেকে আনছি তা বলবো না।”
“বেশ করেছি!জুতা’তে চুলকানির পাউডার আমি দিছি।কিন্তু তুই..আল্লাহ আমারে বাঁচাও।এত্তো চুলকায়.আহ!”
“আমার সাথে আরেক বার লাগতে আসবি তো এমনই হবে।”
পূর্ব দু’পা পেছনে গিয়ে আবার ফিরে এসে বললো,
“হেল্প লাগবে উঠার জন্য?”
“লাগতো নো তোর হেল্প।কু**…”
বুঝা না যায় মতো আরো অনেক গালাগাল করলো রোদ।পূর্ব সেদিকে কর্ণপাত না করে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,”এজ ইউর উয়িশ!”
রোদ উঠতে গেলে আবারো ধপাস করে পড়ে গেলো।পূর্ব অট্টহাসিতে মেতে উঠলো।রোদের এই মুহুর্তে নিজেকে গর্তে পড়া হাতি মনে হচ্ছে।কথায় আছে “হাতি কাঁদায় পড়লে পিঁপড়াও হাসে!”।আর ভাব না দেখিয়ে রোদ পূর্বের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।পূর্ব হাত ধরার ভান করে রোদের হাতে থাবা মারলো।রোদ হা করে থাকিয়ে রইলো!পূর্ব বিষয়টি ক্লিয়ার করতে বললো,” রোদেলা রোদ!আপনাকে হেল্প করতে আমার একটুও মন চায় না।সারাক্ষণ মন চাই আপনাকে ঝামেলার মধ্যে ডুবিয়ে রাখি।বিকজ ইউ নো না হাউ মাচ আই হেইট ইউ!”
কথাগুলো বলে আর এক সেকেন্ডও পূর্ব দাঁড়ালো না।রোদ প্রথমে জোরে বললো,”আই হেইট ইউ টু!”গলার স্বর নামিয়ে বিরবির করে বললো,”কিন্তু একটু হেল্প করলে তো পারতি।এখন আমার ড্রেস পাল্টাতে হবে।ভ্যাএএএএ!আল্লাহ আমাকে উঠাই নাও!এতো নির্যাতন সহ্য হয় না।”
“ইন্না-লিল্লাহ।হেল্প লাগবে ভাবি?” (তিহান)
তিহানের কথা শুনে রোদের মনে হলো আগুনে ঘি ঢালছে।রোদের চাহনি দেখে তিহান ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেলো।দুহাত দিয়ে কান চেপে ধরলো।কারণ এখন রোদ গালাগাল করবে।


“তোদের কোনো বিচার আমাকে দিবি না।যার যা ইচ্ছে তাই কর।”
“আম্মি!তোমার ছেলে আমাকে কতো কষ্ট দিয়েছে জানো?”
“বললাম তো তোদের কথা শুনতে চাই না।জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিস তোরা।সারাদিন বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করিস।তোদের বুঝতে হবে তোরা দুজন স্বামী-স্ত্রী!”
“কচু স্ত্রী!দিছিলা কেন বিয়ে?তোমার ছেলে নিশ্চয়ই বলে নি যে আমাকে না পেলে সুইসাইড করবে।সব দোষ তোমাদের।”
“ভালোর জন্য বিয়ে দিছিলাম।কিন্তু তোরা যে শত্রু হবি তা ভাবিনি।”
“তোমার ছেলে…”

সকালবেলার ঘটনা দু-ডাবল করে পূর্বের মা’কে বুঝিয়ে দিলে তিনি উল্টো বকেন।কারণ তারা সবাই জানে দোষ দুজনেরই থাকে।ওরা দুজন খাওয়ার সময়ও ঝগড়া করে বলে দুজনকে আলাদাভাবে খাবার দেওয়া হয়।রোদ যদি টেবিলে খেতে বসে তাহলে পূর্বকে রুমে নাস্তা পাঠানো হয়।চাঁদনি মোহাম্মদের শরীর আগের থেকে ভালো হয়েছে।তাই টুকটাক কাজ তিনি নিজে করেন।
রোদ রেগে নাস্তার টেবিল থেকে উঠতে গেলে চাঁদনি ধমক দিয়ে বলে,
“নাস্তা সব শেষ না করে কেউ যদি টেবিল থেকে উঠে তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।”
রোদ জানে তার আম্মি রেগে গেলে তুফান আসবে।তাই চুপচাপ খেতে লাগলো।হঠাৎ পূ্র্বের বাবা বললো,”চাঁদনি আমি ঠিক করেছি রোদের পরিক্ষা শেষ হওয়া অবধি ওদের দুজনকে আলাদা রাখবো।তুমি কী বলো?”(বাবা)
“নাআআআ!” (রোদ)
রোদের “না” শুনে চাঁদনি আর সূর্য মোহাম্মদ দুজনেই অবাক হলো।ওরা ভেবেছিলো রোদ এই কথা শুনে নাচতে শুরু করবে।কিন্তু তারা তো জানে না রোদ কেনো না বললো।রোদ বিরবির করে বলছে, “আমরা দুজন আলাদা হয়ে গেলো আজকের ঘটনার প্রতিশোধ কীভাবে নিবো আমি?প্রতিশোধ নিয়ে নিই তারপর যাবো।”
“কী বলছিস বিড়বিড় করে?”(আম্মি)

” না মানে তোমাদের ছাড়া আমি কীভাবে থাকবো?তাই..”
“তুই তো নিজের বাসায় থাকবি।আর বাড়ি তো দূরে না।গাড়ি করে গেলে আধঘন্টা লাগে।আর তোরা দুজন একসাথে থাকলে রোজ ঝগড়া দিবি।তারপর পরিক্ষায় আন্ডা পাবি।তার চেয়ে বরং আলাদা থাক।”(আম্মি)
“কিন্তু…”
“কোনো কিন্তু নই।আমি যা বলেছি তাই হবে ফাইনাল ডিসিশন!”
রোদ মুখ গোমড়া করে বললো,”আচ্ছা!”
“তিহান কী চলে গেছে?” (বাবা)
“হ্যা।সকালে নাস্তা করে গেলো।” (আম্মি)
সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে পূর্ব সব কথা শুনছিলো।পূর্ব ভয়ে ভয়ে ছিলো না জানি ঐ মেয়ে কীভাবে প্রতিশোধ নেয়।কিন্তু এখন তার মায়ের ডিসিশন শুনে নিশ্চিন্ত হলো!যাক তাহলে আপদটা বিদায় হবে।এর চেয়ে খুশির খবর পূর্বের কাছে আর কিছুই হয় না।
চলবে…
বি.দ্রঃভূলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি❤