পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 25 (Last-Part)
নীড় মেরিনের উদ্দেশ্যটাই বুঝতে পারলোনা । নীড় মেরিনের উদ্দেশ্যকে ignore করে মেয়েকে বুকে জরিয়ে নিলো। অধরা আর নীড় ছোয়াকে নিয়ে আনন্দ মেতে উঠলো। ছোয়ার খাবার শেষ হওয়ার পর নীড়-অধরার অনেক কষ্ট হলো ছোয়ার খাবার জোগার করতে । কিন্তু করলো। ছোয়াকে না খেয়ে থাকতে দিলোনা । নিজেরা না খেয়ে ছোয়ার খাবার জোগার করলো। অভাব থাকলেও ছোয়াকে নিয়ে ২ভাই-বোন আনন্দে দিন কাটাতে লাগলো। ছোট ছোয়াও বাবার সাথে ভালোই আছে । মায়ের কথা মনে পরেছে। তবুও অধরার জন্য অনেকটাই সুবিধা হয়েছে ।
.
১মাসপর…
মেরিন : অনেক হেসে নিয়েছেন মিস্টার চৌধুরী। আর খুশি হতে হবেনা। অনেক দিন হয়ে গেছে। মেয়েকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছেন। আর হ্যা অভাব অনটনও অনেক দেখেছেন । এবার দুঃখ আর খুশি ২টাই সমাপ্ত হবে।
মেঘ : সোনাবাচ্চা … আরেকবার ভেবে দেখতে …
মেরিন : ভাইয়া ভাবার শক্তি আমার নেই।
মেঘ : you can not deny that u love নীড়… ভালোবাসো তুমি নীড়কে।
মেরিন : ভালোবাসা? নীড় আমার ভালোবাসা না ভাইয়া। আমার ভুল … যখন প্রতিদিন চোখ বন্ধ করে একেকটা দিন ভেসে ওঠে ভাইয়া । ভালোবাসা তো অনেক দূরের কথা ঘৃণাও করিনা আমি নীড়কে । এবার নীড় বুঝবে সুখ নিয়ে খেললে কেমন লাগে … ১টা মাস নিজের মেয়ের সাথে কাটালো … মায়ায় জরিয়ে গেছে। আমি সেই মায়া কেরে নিবো।
.
পরদিন …
অধরা রান্না করছে। আর নীড় মেয়ের সাথে খেলছে । তখন কেউ দরজায় নক করলো। নীড় মেয়েকে কোলে নিয়েই দরজা খুলল। দেখলো পুলিশ দারিয়ে আছে । নীড় অনেক বেশি অবাক হলো ।
নীড় : আপনারা?
পুলিশ : আপনি নাকি আপনার মেয়েকে খান বাড়ি থেকে চুরি করে এনেছেন?
নীড় : what? ফালতু কথা।
মেরিন : সত্যি কথা…
নীড় : মেরিন…
মেরিন : officer … ইনি আমাদের বাসায় গিয়ে আমার মেয়েকে চুরি করে নিয়ে এসেছে। আর প্রতি নিয়ত ফোন করে blackmail করছে। বলছে টাকা না দিলে আমার মেয়ের ক্ষতি করবে….
নীড় : please stop মেরিন… এটা বলোনা। তুমিই তো ছোয়াকে দিয়ে গেছো।
মেরিন : আমি…!? আমার খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই আপনার এই ভিখারি মার্কা ঘরে আমার মেয়েকে দিবো।
নীড় : মেরিন … please …
পুলিশ: আপনাকে গ্রেফতার করা হলো।
মেরিন : no office …
পুলিশ : কিন্তু কেন?
মেরিন : জেলে গেলে ইনি আরো হিংস্র হয়ে উঠবেন । প্রতিশোধ উনার মাথায় চেপে বসবে। আমার আবার প্রতিশোধ টতিশোধ ভালো লাগেনা। শান্তি ভালো লাগে।
পুলিশ : কিন্তু ম্যাম যদি মিস্টার চৌধুরী আবার এমন কিছু করে?
মেরিন : করবে না। টাকার জন্যেই তো সব। টাকা পেলে তো আর আমার মেয়েকে kidnap করবেনা। তাইনা নীড়?
বলেই মেরিন ১টা দলিল types কিছু বের করলো। নীড়ের হাতে দিলো।
মেরিন : এটা চৌধুরী সম্রাজ্ঞের পেপার। সব নিহাল আহমেদ চৌধুরীর নামে আছে । মানে চৌধুরী পাওয়ার আপনাদের। lots of money again…
নীড় ধা ধা করে ছিরে ফেলল।
নীড় : এগুলো কিছু চাইনা। আমি একটু বাচতে চাই… তোমাকে আর মেয়েকে সাথে নিয়ে… চৌধুরী সম্রাজ্ঞ চাইনা । আমি তোমাকে আর ছোয়াকে নিয়ে সাজানো ছোট্ট ১টা সংসার চাই …. please ফিরে আসো ।
মেরিন : awwe… i m going to cry…. tissue paper হবো প্লিজ?
বলেই মেরিন হা হা করে হেসে উঠলো। মেরিন নীড়ের কাছ থেকে ছোয়াকে নিয়ে নিলো ।
মেরিন : আপনার প্রিয় জিনিস অর্থবিত্ত … সেগুলো আপনার কাছে থাক …. আমার প্রিয় জিনিস আমার কাছেই থাক। জা…ন ….
অধরা : মেরিন হাত জোর করে বলছি বন্ধ করো ….
মেরিন : বন্ধই তো করছি…. শেষ করছি। যেটা তোমরা শুরু করেছিলে …
বলেই আরকটা দলিল নীড়ের হাতে দিয়ে মেরিন চলে গেলো। আর পুলিশও চলে গেলো।
.
নীড় হাটু গেরে বসে পরলো । কাদতে লাগলো ।
নীড় : আর কতো শাস্তি পাবো আমি? কতো কতো কতো …
অধরা নীড়ের কাধে হাত রাখলো।
অধরা : কান্না করিস না রে ভাই … সব ঠিক হয়ে যাবে ….
নীড় : কিচ্ছু ঠিক হবেনা আপু… কিচ্ছু না … তুমি মেরিনকে চিনোনা । ও সব ধ্বংস করে দিবে … নিজেকেও … ছোয়াকে ছারা কিভাবে থাকবো ? মরে যাবো … মরে যাবো আমি…
অধরা : নিজেকে সামলা নীড় সামলা…
তখন নিহাল-নীলিমা ওখানে এলো ।
.
অধরা : মামনি বাবা …
নীড় মাথা তুলে দেখলো।
নীড় : মমমামনি বববাবা ….
নীলিমা : মা বাবাদের স্বভাবই তো এটা যে তারা সন্তানদের ওপর বেশিদিন রাগ করে থাকতে পারেনা ।
নিহাল : চলো বাসায় চলো…
নীড় : ববববাবা…. তততোমার কককথা তো মমমমেরিন শুনবে …. তুমি একটাবার বববলোনা…. ওকে ফিরে আসতে ….বববলোনা। আমি ওদেরকে ছারা বাচতে পারবোনা। বববলোনা বাবা…
নিহাল : না… বাবা হয়ে মেয়ের সাথে অন্যায় করতে পারবোনা। চলো বাসায় চলো….
.
কিছুদিনপর…
ছোয়া অনুভব আর ছোয়াকে মেরিন ঘুম পারিয়ে দিয়ে ছাদে গেলো। ওদের পাশে কনিকা আছে । দিনশেষে ও তো শুধুই মেরিন…. আর কিছুইনা…. চোখ জোরা বন্ধ করে আছে। ওর চোখ বন্ধ করতে ভয় করে। নীড়ের করা অত্যাচার গুলো মনে পরে যায়। হঠাৎ মেরিনের মনে হলো যে ও দম নিতে পারছেনা। কেউ ওর মুখ অনেক শক্ত করে চেপে ধরেছে । আর সেই সাথে ওকে তুলেও নিয়ে গেলো। মেরিন তো বুঝে গেছে যে এটা নীড়। তাই মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
.
একটুপর…
মেরিন চেয়ারে বসা। হাত পা চোখ মুখ বাধা । নীড় মেরিনের মুখের বাধন খুলে দিলো।
মেরিন : আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে তুলে আনার ?
নীড় মেরিনের চোখের বাধন খুলে দিলো ।
নীড় : চোখ দিয়ে দেখোনি তবুও বুঝে গেছো যে এটা আমি…
মেরিন : পশুদের স্পর্শ আর মানুষের স্পর্শে আকাশ পাতাল পার্থক্য । তাই … বোঝাটাই স্বাভাবিক। নয়কি ?
নীড় : হামম। মেরিন u know i am the #Perfect_Villain … & u r my mrs… আমি ভুল করেছি। আমার বিষয়টা খতিয়ে দেখার দরকার ছিলো । কিন্তু আমি দেখিনি … এটা ভুল না এটা পাপ।
যে প্রতিশোধের নেশায় তুমি এখন জ্বলছো সেটাতে ৮-১০বছর ধরে জ্বলেছি। নিজের ভালোবাসাকে নিজে কাফন পরিয়েছি ….
ভালোবাসা বদলে ঘৃণা কিনেছি ….
নিজের সর্ব সুখ বাজী ধরেছি …
আজকে নিঃস্ব ।
যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছি আজকে তার ভালোবাসা তো দূরের কথা…. ঘৃণাও পাচ্ছিনা …
হয়তো তুমি বিশ্বাস করবেনা যে আমি তোমাকে ভালোবাসি … আপুর বিয়েতে ছদ্মবেশে যখন গিয়েছিলাম তখন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম। ভালোবেসে ফেলেছিলাম ….
কিন্তু প্রতিশোধের নেশায় এমন অন্ধই হয়ে ছিলাম যে …
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মেরিন …
নিজে প্রতিশোধের আগুনে পুড়ে বুঝেছি যে its meaningless…
আমাদের এই প্রতিশোধের নেশায় ২টা নিষ্পাপ জীবনের সব আনন্দ শেষ করে দিচ্ছি।
অনুভব-ছোয়ার জীবন থেকে সব আনন্দ শেষ করে দিচ্ছি। জানি অনুভবের বিষয় ভাইয়ার। কিন্তু ছোয়া…. ও তো তোমার আমার ভালোবাসার চিহ্ন ….
মেরিন : oh really ? ভালোবাসার চিহ্ন? ছোয়া আপনার ভালোবাসার চিহ্ন না। আপনার হিংস্রতার চিহ্ন। ছোয়ার অস্তিত্বের পিছে আপনার একান্ত উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে দুর্বল করা … আর ছিলো আপনার কামনা বাসনা । বিন্দুমাত্র ভালোবাসা ছিলোনা ।
নীড় : এমন করে বলো না মেরিন ….
মেরিন : এমন করেই বলবো …
.
নীড় : আচ্ছা বলো … কিন্তু ছোয়াকে কেন ওর মা-বাবা ২জনের ভালোবাসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছো?
মেরিন : এমন বাবার সন্তান হলে এটাই পরিনতি হয়।
নীড় : জা…ন …. তুমি আমাকে খুব ভালোভাবে চিনো …. তাই না? নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন পারেনা এমন কোনো কাজ নেই … আমার থেকে বড় কোনো ভিলেন নেই । তাই আমাকে আবার সেই ভিলেন অবতারে যেতে বাধ্য করোনা প্লিজ …. শেষ বারের মতো ভালোভাবে জিজ্ঞেস বলছি …
চলো আমি তুমি ছোয়া…
৩জন মিলে নতুন করে জীবন শুরু করি।
না হলে ….
মেরিন : না হলে?
নীড় : আমি ভিলেন অবতার নিতে বাধ্য হবো … জা…ন। ভিলেন হয়ে নিজের বউ আর মেয়েকে নিজের কাছে রাখবো ।
মেরিন : আপনার সব অপরাধ আমাকে কষ্ট দিয়েছে । কোনোটাই আমাকে মৃত্যুর কারন দেয়নি। কিন্তু নিজের স্ত্রীর অমন অশ্লীস ছবি তুলে আপনি যখন blackmail করতেন তখন নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করতো। পৃথিবীর কোনো স্বামীই হয়তো এমন করে ছবি তুলে বউকে blackmail করেনা। ওই ১টা কারনে অনেকবার ইচ্ছা হয়েছে নিজেকে শেষ করে দেই । কিন্তু মরে গেলে আমার বাবার নির্দোষ হওয়া প্রমান কে করবে? বাবাকে নির্দোষ প্রমান করাই একমাত্র কারন ছিলো আমার বেচে থাকার …. আর কোনো কারন ছিলোনা ….
এখন বেচে থাকার কোনো কারন নেই। তাই আপনার কোনো ভিলেনগিরিই আমাকে effect করবেনা … পথ খুজে পাবোনা ব্যাস শেষ করে দিবো নিজেকে …
নীড় : মেরিন …
মেরিন : i mean it…
নীড় : বেশ যতো শাস্তি দেয়ার দাও … দেখি তুমি বেশি কাদাতে পারো না আমি বেশি কাদতে পারি …
… আমাকে কষ্ট দিতে দিতে তুমি tired হয়ে যাবে। তবুও আমি হবো না …
মেরিন : দেখা যাবে। আপনি পেছন থেকে হামলা করেছেন। আর সামনে থেকে …. আমিই জয়ী । আর perfect villain আপনি না আমি…
নীড় : জয়ী ? perfect villain ? হ্যাহ … আমি তো তোমাকে কষ্ট দিয়েছি তোমাকে নিজের কাছে রেখে। আর তুমি দূরে রেখে। নিঃসন্দেহে আমিই perfect villain…
যদি ক্ষমতা থাকে তবে কাছে রেখে কষ্ট দাও ….
নীড় মেরিনকে মুক্ত করে দিলো।
.
৩দিনপর …
মেঘ বসে পেপার পড়ছে … তখন অধরা এসে মেঘের পা ধরলো ।
মেঘ : একি? তুমি? তোমার সাহস কিভাবে হয় এ বাড়িতে ঢোকার? sec…
অধরা : দোহায় লাগে মেঘ আমার ১টা কথা শোনো । এটা মেরিনের ভালোর বিষয়ে ।
মেঘ : ….
অধরা : দেখো নীড় মেরিনকে অনেক ভালোবাসে। যেদিন থেকে ও প্রথম মেরিনকে দেখেছিলো সেদিন থেকে ভালোবাসে … আর এরচেয়েও বড় সত্য এই যে … মেরিনও নীড়কে ভালোবাসে। দুঃখ কষ্ট অভিমানের নিচে চাপা পরে আছে মাত্র ….
নীড়-মেরিনের প্রকৃত খুশি ওদের নিজেদের সাথেই …. কিন্তু আজ ওরা আলাদা …. ২জন তো পুরছেই কিন্তু সেই সাথে ছোয়াকেও নিয়ে যাচ্ছে ওই দিকে … তুমি কি চাওনা ওরা সুখে থাক। আমি বলছিনা আমাকে ফিরিয়ে আনো …. কিন্তু ওদের কথাটা ১টাবার ভাবো। please …. এতোটুকুই বলার ছিলো। আসছি ….
অধরা চলে গেলো ।
মেঘ অধরার বলা কথাগুলো পর্যবেক্ষন করতে লাগলো। আসলেই তো অধরা।ঠিকই বলেছে ।
.
পরদিন ….
মেঘ : সোনাবাচ্চা আসবো?
মেরিন : আরে ভাইয়া আসো …
মেঘ ঢুকলো।
মেঘ : ২জন ঘুমিয়ে পরেছে ?
মেরিন : হামম।
মেঘ : ভালোই হয়েছে। আসো তো একটু আমার সাথে। কথা আছে।
মেরিন গেলো।
মেঘ : ধরো কফি খাও ।
মেরিন ; কি বলবে ভাইয়া ? বলে ফেলো….
মেঘ : বোন …
মেরিন : তোমার কাছে এটা আশা করিনি। তুমি নীড়ের ….
মেঘ : বুঝে গেছো?
মেরিন : হামম। i hate drama ভাইয়া …. তাই ১টা simple কথা জিজ্ঞেস করবো।
মেঘ : করো….
মেরিন : ছোয়া ওর মা-বাবা ২জনের কাছেই থাকবে কথা দিলাম। কিন্তু যদি অনুভব ওর মা-বাবা ২জনের ভালোবাসা পায় ….
মেঘ : বেশ… তাই হবে ।
মেরিন : আগে ভাবি আসবে।
মেঘ : না তুমি যাবে। পরে দেখা যাবে যে …
মেরিন : মেরিন কি কখনো কথার বরখেলাপ করে? তবুও তোমাকে ছুয়ে কথা দিলাম ছোয়া ওর মা-বাবা ২জনের কাছেই থাকবে …. একটু সময় দাও আমাকে ….
পরদিনই অধরাকে খান বাড়িতে আনা হলো …
.
৫দিনপর…
চৌধুরী বাড়িতে …
কেউ ১জন ছোয়াকে কোলে কোরে ভেতরে নিয়ে এলো।
ছেলেটা : ১টা আপামনি এই বাবু আর এইগুলা দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো । ছেলেটা ছোয়াকে নীড়েরে কোলে দিয়ে আরেক টা খাম + চিঠি দিয়ে সে দৌড়ে চলে গেলো। নীড় পড়লো।
”
আজকে permanently মেয়েকে তোমার কাছে দিয়ে গেলাম।court order সহ …আমিও তোমাকে তোমার কাছে থেকে তোমার মেয়েকে আলাদা করতে পারবো না।
ইচ্ছা করছিলো নতুন করে তোমাদের নিয়ে জীবন সাজাই …কিন্তু পারলাম না মনকে মানাতে । জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে ।
তা়ই জীবনটাই শেষ করে দিবো। আল্লাহ তো আল্লাহই। অতুলনীয়।
তিনি ছারা আজকে আমাকে বাচায় কার সাধ্য ?
ডক্টর কবিরাজ আমাকে বাচাতে পারবেনা। যেই নীড় আমাকে বহুবার বাচিয়েছে মানে তুমি ….
সেই তুমিও পারবেনা…. কারন এটা তোমার…
ভালোথেকো। আমিও তোমাকে ভালেবাসি …
”
.
চিঠিটা পড়ে নীড় ধপ করে বসে পরলো ।
নিহাল : কি হয়েছে?
নীলিমা : চিঠিটা নিয়ে পড়োনা।
নিহাল পড়লো।।
নীলিমা : অসম্ভব… এটা হতে পারেনা । নীড় আমার মনে হয়না মেরি বেশি দূর গেছে। বাচা ওকে। যে করেই হোক।
নিহাল : ওঠো নীড়। যাও।
নীড় গাড়ি নিয়ে বের হলো। ভেবে পাচ্ছেনা কোথায় পাবে মেরিনকে। নীড় গাড়ি থামিয়ে চিঠিটা ২-৩বার পড়লো। তারপর বুঝতে পারলো যে মেরিন পানিতে ঝাপিয়ে মরতে গেছে। কারন পানি নীড়ের ভয়। তখন নীড় ছুটলো সেই নদীর তীরে যেখানে ওরা বিয়ের আগে প্রায়ই যেতো।
.
নীড় গাড়ি থেকে নামতে নামতে দেখলো মেরিন পানিতে ঝাপ দিয়ে দিলো।
নীড় : মেরিন…
নীড়ও ঝাপ দিলো। হ্যা নীড়ও সাতার শিখেছে। কারন নিরবের কোলে মেরিনকে সহ্য করতে পারেনি। তাই নিজের সব ভয় কাটিয়ে সাতার শিখেছে।
নীড় মেরিনকে তুলে আনলো। জ্ঞান ফেরালো। এরপর ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীড় : stupid …. i love u …
নীড় মেরিনকে বুকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
নীড় : কিচ্ছু চাইনা… তোমাকে ছারা …. শেষ সুযোগ দাও… please …
২জনের মধ্যে মেলোড্রামা হলো ।
মেরিন : তুমি পানিতে?
নীড় : আমার জানকে অন্যের কোলে মেনে নেয়া অসম্ভব …
মেরিন : i love u…
নীড় : চলো বাসায়…
মেরিন : উহু…
নীড় : কেন?
মেরিন : কিছুদিন পর আমাদের anniversary … সেদিন যাবো …
নীড় : ok… তাহলে বউ সেজে থাকবে?
মেরিন : হামম। ততোদিন প্রেম করবে?
নীড় : আবার জিগায়….
.
anniversary এর দিন …
চৌধুরীরা খান বাড়িতে গেলো। আর গিয়ে অবাক । কারন সেখানে সবার মুখে শোকের ছায়া।
নিহাল: কি হয়েছে? সবাই এতো উদাস কেন?
….
নিহাল : বলো….
নীড় দেখলো যে সবাই আছে মেরিন নেই।
নীড় : মেরিন কোথায়?
সবাই : ….
নীড় : বলো মেরিন কোথায়….
মেঘ : নেই… মেরিন নেই… সবাইকে কাদিয়ে চলে গেছে……
.
[{(
নীড় যা করেছে ভুল বুঝে করেছে। আর মেরিন তো ইচ্ছা করে করছে।
নীড় তো ৪দেয়ালের মাঝে শাস্তি দিয়েছে। মেরিন তো সবার সামনে ভিক্ষা করাচ্ছে ।
নীড় তো শারীরিক অত্যাচার করেছে। কিন্তু মেরিন তো মানসিক অত্যাচার করছে ।
নীড় তো সত্যি সত্যি মেরিনকে ভালোবেসেছে।
আরো comment এ আমি রাগ করিনি। আমি সবার মতামতকে respect করি। আমার যেটা ভালো লাগবে সেটা সবার নাই লাগতে পারে।
কিন্তু আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে ।
মেরিন কি নীড়কে ভালোবাসেনি?
কোন স্বামী ছবি নিয়ে স্ত্রীকে blackmail করে?
কোন মেয়ে চোখের সামনে মা-বাবার কষ্ট দেখতে পারে?
কোন বোন ভাইয়ের মৃত্যু দেখতে পারে? ভাইয়ের জীবন নরক হতে দেখতে পারে?
নীড় কি মেরিনকে কোনো মানসিক কষ্টই দেয়নি?
নীড়ের শাস্তি চাই শাস্তি চাই বলে তো পাগল হচ্ছিলেন। এখন?
ভিক্ষা চাওয়ানো ঠিক হয়নি তাইনা? নীড় যখন মেরিনকে কাজের মেয়ে রহিমা বানিয়ে রেখেছিলো , পায়ে হাটিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠাতো তখন ভালো লাগতো?
=> আচ্ছা মেয়েদের পরিচয় কি ? কেবল বউ আর মায়ের? আর কোনো পরিচয় নেই?
মেয়েদের প্রধান পরিচয় সে ১জন মানুষ।
এরপর কারো সন্তান।
এরপর বোন।
তারপর হলো কারো বউ then মা ….
কিন্তু মেয়েদের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপানো হয় কেবল বউ আর মায়ের তাইনা?
মানে মা-বাবা-ভাই-বোনের ওপর কোনো দায়িত্ব নই। খালি স্বামী আর সন্তানের ওপরই দায়িত্ব। what a logic ….
)}]
চলবে না কি সমাপ্ত?
আপাদত সমাপ্ত ☺😒