পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 02

মেরিন ভেতরে ঢুকে দেখলো cold storage …
মেরিন: আরে এটাতো cold storage … তাহলে ওই মেয়েটা কেন বলল যে এটা লাইব্রেরী… আর দরজাতেও লেখা। এতো সাহস আমাকে নিয়ে মজা। নিরকে বলে এমন শাস্তি দিবো যে… আগে এখান থেকে বের হই… না হলে জমে যাবো।
.
মেরিন যেই দরজা খুলতে নিলো দেখলো ওটা খুলছেনা।
মেরিন: আরে এটা খুলছেনা কেন?
মেরিন অনেক চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারলোনা।
মেরিন: কি ব্যাপার ? দরজা খুলছেনা কেন? help… কেউ কি বাহিরে আছো ? hello… আমিও না… phone করি।
মেরিন mobile বের করতে গিয়ে দেখে mobile নেই।
মেরিন: আরে আমার mobile কোথায় গেলো? আনিই নি?
oh no… এখন? শীতে তো কুলফি হয়ে যাবো। help… নির… নির…
দেখি অন্যকোন বের হওয়ার পথ আছে কি না?
মেরিন খুজতে লাগলো। কিন্তু পেলোনা। মেরিন হাতে হাত ঘষতে লাগলো। কাপাকাপি শুরু হয়ে গেলো।
মেরিন:my goodness… please help me আল্লাহ ।
.
ওদিকে…
নির্ঝর: দোলা…
দোলা: আরে জিজু… কি খবর?
নির্ঝর: ভালো। but… মেরিন কোথায়?
দোলা: ও তো আসেইনি ভাইয়া।
নির্ঝর: আসেইনি? ও এসেছে। ওর car park করা।
দোলা : কি বলছো কি?
নির্ঝর: হ্যা… ফোন করছি switched off… বলছে। তুমি তোমারটা দিয়ে try করে দেখো তো।
দোলা: জী ভাইয়া।
দোলা ফোন করলো। কিন্তু switched off পেলো।
নির্ঝর: গেলো কোথায়?
নির্ঝর অস্থির হয়ে উঠলো। পাগলের মতো খুজতে লাগলো।
.
ওদিকে….
নীড় : what the hell is happening with me… ওই মেয়েটা আমার মাথা থেকে বের হচ্ছেনা কেন? নীড় ওর কথা ভাবা বন্ধ কর… মেয়েটার মুখ যতোটাই সুন্দর মন ততোটাই কুৎসিত… মন কুৎসিত? কিন্তু ও তো এমন কিছু… করেছে.. আমাকে শাস্তি দিয়েছে। ওকে তো আম…
তখন ওর গালে ১টা থাপ্পর পরলো। নীড় রেগে তাকালো। দেখে নির্ঝর।
নীড়: বস তুমি?
নির্ঝর নীড়কে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মারতে শুরু করলো।
নির্ঝর: কোথায় আমার মেরিন? কি করেছিস ওর সাথে?
নির্ঝর উরাধুরা মারতে লাগলো নীড়কে। এবার আর নীড় রাগ control করা সম্ভবনা। নির্ঝরের ২ হাত শক্ত করে ধরে লাল লাল চোখ করে
বলল: তুই এই ভার্সিটির ভিপি হতে পারিস। কিন্তু আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। এমন ভার্সিটি আমি দিনের মধ্যে ১০টা কিনতে পারি। তুই ভিপি বলে তোকে সম্মান করি। তোর মতো নির্ঝর মাহমুদ আমার servant হওয়ার যোগ্যতাও রাখিসনা। তারওপর তুই আমার গায়ে হাত তুলেছিস। তোর এই হাত আজকে ভেঙে গুরিয়ে দিবো। এতো সাহস আমার গায়ে হাত….
নীড়কে অকারনে কেউ আঘাত করলে নীড় তার কি দশা করে সেটা তুই দেখবি…
নির্ঝর: অকারনে? তুই আমার মেরিনের সাথে কি করেছিস? কোথায় ও?
নীড় : what nonsense? আমি ওর সাথে কি করবো? আর কি করে জানবো যে ও কোথায়?
নির্ঝর: তুমি জানোনা মেরিন কোথায়?
নীড়: আমি কি করে জানবো?
নির্ঝর : মিথ্যা বলছো তুমি।
নীড়: মিথ্যা বলবো কেন? ওর সাথে কেবল সকালে একটু দেখা হয়েছে।
নির্ঝর: তাহলে কোথায় গেলো জান..
নীড়: কোথায় গেলো মানে?
দোলা: মানে ওকে কোথাও পাচ্ছিনা।
নীড়: কককি? ববাসায় চলে যায়নি তো?
নির্ঝর: না… ওর গাড়িতো ওখানেই আছে এখনো।
কথাটা শুনে কেন যেন নীড়ের বুকটা কেপে উঠলো।
নীড়: চলো খুজে দেখি।
নির্ঝর: সারা ভার্সিটি খুজে দেখেছি…
দোলা: জিজু… cse ভবন আর chemistry ভবন দেখা বাকী…
নীড়: চলো খুজে দেখি…
ওরা খুজতে লাগলো।
নীড়: মেয়েটা কি নিমিষেই হাওয়া হয়ে যেতে পারে? কিভাবে পাবো ওকে… idea…. cctv footage …
.
নীড় দৌড়ে cctv control room এ গেলো।
সেখানে দেখতে লাগলো।
নীড়: oh my god…
নীড় দৌড় cold storage এর ওখানে গেলো। দেখলো দরজা বাইরে থেকে লাগানো। নীড় দরজা খুলল। ভেতরে ঢুকে দেখে মেরিন পরে আছে। নীড় ছুটে ওর কাছে গেছে গেলো।
নীড়: মেরিন… মেরিন…
নীড় দেখে মেরিনের breathing বন্ধ হয়ে গেছে। নীড় মেরিনকে কোলে তুলে বের হলো। হসপিটালে নিয়ে গেলো।
.
একটুপর…
নির্ঝর আর দোলা ছুটে এলো।
নির্ঝর: কোথায় আমার জান?
নীড় মনে মনে: ঢং দেখলে বাচিনা… জান… huh.. এতোই যখন জান জান করিস তো cctv footage check করলি না কেন?
নির্ঝর: কি হলো বলো।
নীড়: ভেতরে। doctor check up করছে।
দোলা: ১মিনিট যদি আপনি কিছু করেনই নি তাহলে ওকে পেলেন কোথায়?
নীড়: আজব পাবলিক তো। একে তো বাচাও তারওপর কথা শোনো। নূন্যতম common sense থাকলে তোমরাও পারতে।
দোলা: মানে?
নীড়: idiot… পৃথিবীতে cctv বলতে ১টা বস্তু আছে। তখন ডক্টর বের হলো।
নির্ঝর: ডক্টর আমার জান…. i mean… আমার মেরিন কেমন আছে?
ডক্টর: ভালো। জ্ঞান ফিরেছে। ভেতরে যেতে পারেন।
নির্ঝর-দোলা ভেতরে গেলো। নীড়ও পিছে পিছে গেলো। নির্ঝর মেরিনকে বুকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো । মেরিনকে নির্ঝরের বুকে দেখে নীড়ের বুকে চিনচিন ব্যাথা উঠলো। নীড় সহ্য করতে না পেরে হনহন করে চলে গেলো।
.
পরদিন…
নীড় ভার্সিটিতে এলো। নীড় আসতেই নির্ঝর দৌড়ে গেলো।
নির্ঝর: নীড়.. নীড়…
নীড়: আরে বস…
নির্ঝর: i am sorry .. & thank u…
নীড়: sorry & thank you…?
নির্ঝর: কালকে অযথা তোমাকে মেরেছি তাইজন্য sorry … আর তুমি আমার জানের জান বাচিয়েছো সেজন্য thank u…
নীড়: nothing is wanted … কেউ বিপদে পরলে তার সাহায্য করার শিক্ষাই আমি আমার বাবার কাছে পেয়েছি। তারজন্য thanks বলার কিছুই নেই। আর sorry ? সত্যি না জেনে কখনো নিজে থেকেই সবটা ভেবে নেয়া বোকামো…
নির্ঝর: sorry again…
নীড়: বস ১টা কথা বলি। তু্মি আমাদের ভিপি। তোমার সম্মান অনেক বেশি। ২টা বছর ধরে তুমি ১জন দায়িত্ববান ভিপি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এখন তুমি personal life টা গুলিয়ে ফেলছো। তাই তোমাকে request করছি যে personal life আলাদা রাখো।
নির্ঝর: i understand …
নীড়: আর আমিও sorry… অনেক কথা শুনিয়ে ফেলেছি তোমাকে।
নির্ঝর: আর ধ্যাত… পাগল… যাও class এ যাও। bye..
নীড় : bye boss…
.
৩দিনপর…
এই কদিন মেরিন আর ভার্সিটিতে আসেনি আজকে এলো।
আকাশ : guys guys…
রাব্বি: কি?
আকাশ : কাহিনি কি বলতো?
সূর্য: কিসের কাহিনি…?
আকাশ : ভিপির বউর খবর নেই কেন? সেদিন নীড় ভিপির বউকে কোলে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভিপির বউ গায়েব…
নীড়: তোদের মাথায় actually কোথায় সমস্যা? শুধু মাথায় না… কানেও সমস্যা। সেদিনের সব কথা আমি বলেছি। otherwise ওই বেয়াদব মেয়েকে কোলে নেয়া তো দূরের কথা touchও করতে আমার বয়েই গেছে। 2nd hand মেয়ে ১টা….
কি রে তোদের মুখের এমন ১২টা বেজে আছে কেন?
ইমান: পিছে ঘোর… বুঝতে পারবি।
নীড় পিছে ঘুরলো।
.
নীড় ঘুরে দেখে মেরিন দারিয়ে আছে।
নীড় মনে মনে: আবার এই আপদটা…
মেরিন নীড়ের দিকে এগিয়ে এলো।
নীড় : তুমি আবার আমার এখানে?
মেরিন: কি করবো বলুন তো… যেতে যেতে পথে আপনার এই পথটাই যে পরে। তাই…
নীড়: 😒।
সূর্য: আপনার হাতে ফুলের তোরা কেন ভাবি?
মেরিন: এসে তো ছিলাম ১টা গরুকে দিতে। কিন্তু গরু তো গরুই হয়। সে কি আর ফুলের মর্ম বোঝে? anyway … মিস্টার whatever চৌধুরী…
নীড়: নীড় আহমেদ চৌধুরী…
মেরিন : so what…. thank you…. very much… সেদিন আমাকে বাচানোর জন্য।
মেরিন ফুলের তোরাটা এগিয়ে দিলো।
নীড় :😒।
মেরিন: কি হলো নিন।
নীড় নিলো।
মেরিন: বেয়াদব বলতে পারেন। সেটা আপনার ইচ্ছা। 2nd handও বলতে পারেন। but 2nd hand বলার কারন জানতে পারি?
নীড়: কারনের কি আছে? তুমি তো 2nd handই। নয়কি? তুমি তো কারো বাগদত্তা। তাইনা।
মেরিন: বাগদত্তা হওয়ার সাথে 2nd hand হওয়ার কি সম্পর্ক?
নীড়: ওটা বোঝার বয়স তোমার এখনো হয়নি।
বলেই নীড় চলে গেলো।
.
কিছুদিনপর…
মেরিন: আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি নির?
নির্ঝর: surprise জান।
মেরিন: কি এমন surprise ? বলোনা।
নির্ঝর: বললে কি আর সেটা surprise থাকে জান?
মেরিন: একটু বললে কি হয়? huh…
নির্ঝর মেরিনের গাল টেনে
বলল: পাগলি?
মেরিন: কি আমি পাগলি? যাও বিয়ে cancel …
নির্ঝর break মারলো।
নির্ঝর: ওই মাইয়া ওই কতোবার বিয়ে cancel করবা হামম?
মেরিন: huh… গন্ডার।
নির্ঝর: হামম।
.
কিছুক্ষনপর…
গাড়ি থামলো।
নির্ঝর: come জান।
মেরিন নামলো।
নির্ঝর: ম্যাডাম, আমি আপনার হাতটা ধরতে পারি? please ?
মেরিন: কেন?
নির্ঝর: হাতটা ধরলে কি হয়? কিস তো আর করতে চাইনি। সেটা মানলাম বিয়ের পর but হাতটা ধরলে কি হয়?
মেরিন: বাবা গো … হাত না ধরা নিয়ে তো দেখি রচনা লিখে ফেলবে।
নির্ঝর:হামম। একটু ধরি।
মেরিন: ok… ধরো।
নির্ঝর: thank you… love you জানু…
মেরিন মুচকি হাসলো।
নির্ঝর: এখনও কি সময় আসেনি ভালোবাসার?
মেরিন: …
নির্ঝর: আচ্ছা চলো। surprise আমাদেক জন্য wait করছে।
মেরিন: হামম।
.
নির্ঝর: এই দারাও দারাও… চোখ বন্ধ করো।
মেরিন: কেন?
নির্ঝর: এতো প্রশ্ন করো কেন? ১টা কথা ১বারে করলে কি হয়? এটাই lawyer দের দোষ। খালি প্রশ্ন করে।
মেরিন: আর এই কারনেই politician science এর student দের বিয়ে করতে অযথা পেচাল পারে। বুঝলেন মিস্টার talkative…
নির্ঝর: ভালো হয়েছে। এবার তো চোখ বন্ধ করো…
মেরিন চোখ বন্ধ করলো । একটুপর যখন চোখ মেলল দেখতে পারলো অসামান্য ১ সুন্দর দৃশ্য। বিলের ধারে ফুলের বাগান। actually এখানে ফুল চাষ করা হয়।
মেরিন: wow… দারুন…
মেরিন লাফিয়ে ওখানে গেলো। ফুল গুলোকে ছুয়ে দিতে দিতে আগে বারতে লাগলো। হঠাৎ ১টা কাটা ওর হাতে বিধে গেলো।
মেরিন: আহ….
.
নির্ঝর: কি হয়েছে জান? এমা কাটা? রক্ত পরছে…
নির্ঝর পাগল হয়ে গেলো। খুব সাবধানো কাটা টা বের করলো। এরপর রুমাল বের করে বেধে দিলো।
নির্ঝর: sorry জান… i am really very sorry… জান… যদি আমি তোমাকে এখানে না নিয়ে আসতাম তাহলে এমনটা হতোনা… i am sorry জান… চলো এখনই বাসায় যাবো।
মেরিন: নির… পাগল হলে নাকি? এতোটুকু কেটেছে… এরজন্য এমন করতে হয়?
নির্ঝর: তোমার কাছে একটুখানি হতে পারে। কিন্তু আমার কাছেনা। আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছে। কতোটা কষ্ট হচ্ছে বোঝাতে পারবোনা…
মেরিন: এতো ভালোবাসো আমাকে?
নির্ঝর: আমার জীবনের থেকেও বেশি…
মেরিন: …
নির্ঝর: তবে দেখো আমার ভাগ্য… তোমাকে এতো ভালোবেসে কি লাভ…. আজও তোমার মনে আমার জন্য ভালোবাসা জাগাতে পারলাম না…
ভালোবাসি শুনতে পারলাম না…
মেরিন: …
নির্ঝর: চলো বাসায় চলো…
মেরিন: কেন বাসায় যাবো কেন? picnic করতে এসেছি । picnic করেই যাবো….
নির্ঝর: কিন্তু…
মেরিন: কোনো কিন্তু না…
নির্ঝর: হামম। এইরে…
মেরিন: কি হলো?
নির্ঝর: খাবারের ঝুড়ি-tentতো গাড়িতেই রয়ে গেছে… বসো আমি নিয়ে আসছি…
মেরিন: হামম।
নির্ঝর গেলো।
.
মেরিন বিলের পার দিয়ে হাটতে লাগলো।
মেরিন: নির তো ঠিকই বলেছে… কেন আমি ওকে ভালোবাসতে পারিনা? নির্ঝর তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে… ও তো সব দিক দিয়েই perfect। তবে কেন ওকে ভালোবাসতে পারিনা… কতো চেষ্টা করি নিরকে ভালোবাসার… কিন্তু কিছুতেই পারিনা। কেন? কেন কেন কেন…
মেরিন এসব ভাবছিলো তখন….
.
চলবে….