পাথরের বুকে ফুল

পাথরের বুকে ফুল !! Part- 10

গাড়িটা খুব জোড়ে আসছিল ওয়াসেনাতের দিকে। গাড়িটি ওয়াসেনাতের খুব কাছে এসে জোড়ে ব্রেক করে যার কারনে ওয়াসেনাত হালকা ধাক্কা খেয়ে মাথায় খানিকটা কেটে পেলে।তারপরও ওয়াসেনাত নিজেকে সামলিয়ে নেয়।উঠে দাড়ায় সাথে ছাগলটাকে নিয়ে। তাকে একটু দূরে ছেড়ে দেয়।ওয়াসেনাত কিছু বলার আগেই গাড়ি থেকে অতি সুদর্শন এক পুুরুষ নেমে আসে।আর বলে উঠে………

__hy you savage girl😠😠.রাস্তা দেখে চলতে পা……
:
:
:
আর বলতে পাড়লো না।সে ওয়াসেনাতের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।ওয়াসেনাতকে তার কাছে এখন এক রাগী হুর পরী মনে হচ্ছে। যে কিনা এখন রেগে তার চোখমুখ শক্ত করে আছে।আর তার সম্পূর্ণমুখ লাল হয়ে আছে। খয়েরী রং এর লং হাতার জামায় কি সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে।এত সুন্দর মেয়ে আগে কখনো তার চোখে পরে নাই।খয়েরি হিজাবে কি মায়াবী লাগছে মেয়েটাকে।তার উপড় হিজাবের এক সাইডে ফুলও লাগিয়েছে।কি অমায়িক লাগছে।আর চোখগুলো তো অজানা তোলির রাজ্য যেখানে মুহুর্তেই অনেকে হারিয়ে যেতে পারবে।ছেলেটার ভাবনার ছেঁদ ঘটে ওয়াসেনাতের বিকট চিৎকারে………….

__ওই ভেবলা কান্ত😠নিজেরে কি মনে করেন হুম।আপনার জন্যে আজ সম্পূর্ণ ছাগল জাতি গাড়ির নিচে চলে যেত।যতসব। আল্লাহ চোখ কেনো দিয়েছে।মাথায় নিয়ে গাড়ি চালানোর জন্যে।শালা গরুর দল😠😠

__এই মেয়ে ছাগল জাতি কিভাবে গাড়ির নিচে পড়তো(ধমকের সুরে)

__কিভাবে পড়তো মানে আপনি যানেন এই ছাগলটা pregnant. so এখন যদি একে আপনি গাড়ি চাপা দিতেন তাহলে ও সহ ওর বাচ্চা মারা যেতো। আর ওর বাচ্চা যদি পৃথিবীতে আসতো তবে সে আরওbaby জন্ম দিতে পারতো আরওর baby গুলো আরও baby দিতো আর…….

__হয়েছে হয়েছে।বুজতে পেড়েছি। সব আসলে টাকার ধান্দা। সৌন্দর্য আর ভোলাবালা চেহেরা দিয়ে সবাইকে পটাতে পাড়লেও ইহান চৌধুরীকে পটাতে পারবে না।তোমাদের মত মেয়েদের ভালো করে চিনি। সোজাসুজি বলো কত টাকা চাই। টাকা নিয়ে আর এই স্টুপিড টাইপের প্রানি নিয়ে সামনে থেকে সরো।((((সুন্দর মেয়েটা। তবে এসব মতলব খোর মেয়েকে ভালো করে যানি। তবে কেনো যেনো মেয়েটার প্রতি কেমন যেনো ফিল হচ্ছে। অনেক gf তো আছে।তাও সবার চাইতে আলাদা লাগছে মেয়েটাকে।প্রেমে পড়লাম নাতো।প্রথম দেখায়ও প্রেম হয় একে না দেখলে তো যানতেই পাড়তাম না।খুব বাজে কথা বলে ফেলেছি।কেমন যেনো বুকে গিয়ে লাগছে।sorry বলবো।হুম।(মনেমনে বলছিল)))
:
:
:
ওয়াসেনাত কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেউ এসে তাকে ঝাপটে ধরে। আকর্ষিক ভাবে ব্যাপারটা ঘটায় ওয়াসেনাত এবং তার সাথের ছেলেটা অবাক। তবে ছেলেটার কেনো যেনো খুব জ্যালাসি কাজ করছে।তার ইচ্ছে করছে এখনই ওয়াসেনাতকে সেই ছেলে থেকে সরিয়ে দিতে।
:
:
ওয়াসেনাতের সব মাথার উপড় দিয়ে যাচ্ছে। তার দম বন্ধ হয়ে আসছে তবে পারফিউমটা চেনা চেনা লাগছে।কিছু বলে উঠার আগেই ছেলেটা তাকে ছেড়ে দিয়ে তার সামনে দাড়ায় ওয়াসেনাত তার সামনের ছেলেকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।কারন তার সামনে অন্য কেউনা অরিএান দাড়িয়ে আছে।আর একি অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মহা যুদ্ধ করে এসেছে।তুর্কি স্টাইলের চুলগুলো এলোমেলো ভাবে সামনে চলে এসেছে, সবুজ চোখ জোড়া ভয়াবহ লাল হয়ে আছে সাদা মুখশ্রী লাল হয়ে রক্ত বর্ন ধারন করেছে,নীল রং এর শার্টের উপড়ে কিছু বুতাম খোলা। কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে তাকে।দেখে মনে হচ্ছে জানপাখি উড়ে যেতে যেতে পিড়ে এসেছে।ওয়াসেনাত অরিএানের এমন রূপ দেখে হতবাক হয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অরিএানের পাগলামি দেখে আবার হতবাক হয়ে দাড়িয়ে পরে।অরিএান পাগলের মত বলে উঠে…………

__ওয়াসেনাত তোমার কিছু হয় নাই তো,কোথাই লেগেছে, বলো আমায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছ,এখানে নাকি হাতে নাকি পায়ে,কোথায় লেগেছে বলো ড্যামেট 😡😡(সম্পর্ন মুখে হাতে পায়ে ধরে ধরে চিৎকার করে)
:
ওয়াসেনাত কিছু বলছে না দেখে আবার বলে উঠে……..

__বলো আমায় plzzzকোথায় ব্যাথা পেয়েছ।বলো…..
:
:
আর কিছু বলার আগেই অরিএান ওয়াসেনাতের মাথার কাটা জায়গাটা দেখে পেলে। সাথে সাথে ঘুড়ে গিয়ে ইহান নামের ছেলেটার মুখে ঘুষি বসিয়ে দেয়। ইহান কিছু বুঝে উঠার আগেই অরিএান তার দিকে না তাকিয়েই তাকে এলোপাথাড়ি মাইর শুরু করে আর বলে উঠে……..

__এই কুত্তা চোখ দিয়ে দেখে গাড়ি চালাতে পারছ না। না পারলে গাড়িকে চালাতে বলে তোর জন্যে যদি আজকে আমার জান, আমার ফুল,আমার ওয়াসেনাতের কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি তোকে জিন্দ পুতে দিতাম।তোর মত savage, contumaciou,undisciplined, discursive ছেলের গাড়ি চালানোর অধিকার নেই।তুই যানোস না তুই কার জানে হাত দিয়েছস। তোকে তো আমি এ……..(প্রচণ্ড ভাবে পিটিয়ে এবার মারতে মারতে তার মুখের দিকে ভালো ভাবে তাকিয়ে অরিএান থমকে যায়।সাথে সাথে দাড়িয়ে ওয়াসেনাতকে আবার নিজের এক হাতে টেনে বাহুতে আবদ্ধ করে বলে উঠে……………….

__ইহান
__তুই (চিৎকার করে)
__তুই আবার আমার জীবনে এসে ভুল করলি।তোদের কেড়ে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই আশে না তাই না।আবার আমার জীবনে এসেছিস।এবার তো তুই আমার কলিজার ফুলে হাত দিয়েছিস। (চিৎকার করে)
__তাই নাকি এটা তোর ফুল??(তাচ্ছিল্যের সুরে)
__এই এই এভাবে তাকাছিস কেনো ওর থেকে দূরে থাকবি।(ওয়াসেনাতকে নিজের বুকে চেপে)
__দেখা যাবে(বাক হেসে ঠোঁটের কোনা বেয়ে গরিয়ে পরা রক্ত মুছতে মুছতে)
:
:
কথাটা বলতে দেড়ি অরিএানের আরো দুইতিন ঘা পড়তে দেড়ি নাই।অরিএান আবার ওয়াসেনাতকে সরিয়ে বেধারাম পিটাতে লাগে তবে এবার সেও কিছু কিলানি খায়।ওয়াসেনাতের মাথায় কিছু ডুকছে না। তবে অরিএানের ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়তে দেখে সে দৌড়ে তাদের কাছে গিয়ে অরিএানকে ছুটানোর চেস্ট করতে লাগে। ওয়াসেনাত ব্যর্থ হয়ে বলে উঠে……….
__মি.আকড়ু আমার মাথা খুব ব্যাথা করছে(মাথায় হাত দিয়ে)
:
:
সাথে সাথে অরিএান ইহানকে ছেড়ে দিয়ে ওয়াসেনাতের কাছে এসে তার মাথায় আস্থে আস্থে হাত রাখে আর বলে………..
__বেশি ব্যাথা করছে,চলো এক্ষনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। আর এই আমার জিনিস থেকে দূরে থাকবি তানা হলে কি হাল করতে পাড়ি ভেবেও কুল পাবিনা।(আঙুল দিয়ে শাসিয়ে)
:
:
কথাটা বলেই অরিএান ওয়াসেনাতকে নিজের বাহুতে আবদ্ধ করে রাস্তা ক্রস করে নিয়ে যায়।ইহান রেগে মেগে আগুন হয়ে বলে উঠে……….
__আমি না তুই সব সময় আমার জিনিসে নজর দিয়ে এসেছিস। এবারও আমার প্রথম দেখায় প্রেমে পড়া ব্যক্তির দিকেও তোর নজর। এবার তোকে ছাড়বো না অরিএান খান।তুই যদি খান হস আমিও চৌধুরী। ইহান চৌধুরী। (গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে)
:
:
:
আগের ঘটনা……..
:
ওয়াসেনাত তার বাবার সাথে একি সিয়েনজিতে করে ভার্সিটি যাবে বলে তার সাথে এসেছে।তার বাবা অফিসের সামনে নেমে যায় আর সে তার বাবাকে বিদায় দিতে নামে ঠিক তখনি একটা ছাগলকে মাঝ রাস্তায় হাটতে দেখে। ছাগলটা pregnant ছিলো তাই পেটের ভারে হাটতে পারছিলো না।আর একটা গাড়ি তার দিকে ছুটে আসছে। ওয়াসেনাত আর না ভেবে ছাগলটাকে বাঁচাতে চলে যায়।(বাকিটা সকলের যানা)
:
:
অরিএান আজ জরুরি একটা মিটিং এর জন্যে ওয়াসেনাতের সাথে দেখা করতে পারে নাই।মিটিং শেষ করে সে তার রুমের কাঁচের দেওয়ালের সামনে দাড়িয়ে ব্যস্ত শহর দেখছিল আর ঠিক তখই ওয়াসেনাতকে দৌড়ে ছাগলকে জড়িয়ে ধরতে দেখে। সামনে খুব জোড়ে গাড়ি আসতে দেখে অরিএানের মনে হচ্ছে তার জীবন এখানেই শেষ। খুব কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে দৌড়ে নিচে নেমে যায়।এই প্রথম অরিএানের মনে হচ্ছে কেউ তার জানটা টেনেহিচড়ে বের করে আনছে।এখন তার মনে হচ্ছে তার নতুন করে বাচার আশা নিভে যাচ্ছে। তার দম বন্ধ হয়ে আসছে।ওয়াসেনাত নামের মেয়েটা তার নিঃশ্বাস এটা সে এই মুহুর্তে খুব ভালো করে বুঝতে পেড়েছে।(বাকিটা সবার যানা)
:
:
বর্তমান……..
:
:
ইহানের কিছু পরিচয় দি…
ইহান চৌধুরী। চৌধুরী গ্রুপের একমাএ অধিপতি। সাথে বড় মাফিয়া । অরিএানের সাথে তার বহু পুরানো শক্রতা। অরিএানের সবচাইতে বড় দুশমনও বলা যায়।তার অনেক কারন আছে ধিড়ে ধিড়ে যানা যাবে।অতি সুদর্শন পুুরুষ বলা যায় তাকে।gfএর কোনো অভাব নাই।লাগলে তো অনেক ছেলেকে ধার দিতে পাড়ে😜😜।তবে তার কথা শুনে বুঝাই যাচ্ছে ও অরিএানের কলিজার ফুলে হাত না শুধু, সম্পূর্ন অধিকার ফলাতে চায়।……….দেখা যাক কি হয়………..
:
:
🍂
🍁
:
:
🍁চলবে…………………….🍂

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *