না বললেও ভালোকিন্তুবাসি

না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 07

সাগর: idea… এবার মোহো পাখি… দেখি তুমি রুষা আপু রুষা আপু বন্ধ করো কিনা… i think করবে।
.
পরদিন….
বেলা ১টা…
মোহনার ঘুম ভাঙলো। এরপর মনের সুখে হেলে দুলে fresh হয়ে খেয়ে নিলো। তখন মোহনার মোবাইলে video call এলো। মোহনা দেখে সাগর । ধরলো না। মনের সুখে tom & jerry দেখতে ব্যাস্ত। সাগর nonstop দিতেই আছে। মোহনা ধরছেই না।
মোহনা: মোহোরে এরপর দিলে ধরে ফেলিস। না হলে হুদ্দাই প্যা প্যা শুনতে হবে ।
পরের বার মোহনা ১বস্তা রাগ নিয়ে ধরলো। আর ধরেই মোহনা খুশিতে দে লাফ। কারন সাগর বাইকের দোকানে দারিয়ে আছে। যার মানে সাগর বাইক কিনতে গেছে।
সাগর; stop stop.. হাসি বন্ধ করেন। আর বলেন এতোক্ষন ফোন ধরেন নি কেন? আর প্লিজ ভালো বাহানা দিয়েন।
মোহনা: কেক বানাচ্ছিলাম। ( ডাহা মিথ্যা কথা )
সাগর: is it true?
মোহনা: 200%… এই দেখন চুল ছুয়ে বলছি।
সাগর: 😒।
মোহনা : ওই যে ওই red & black mixed টা কিনবেন কিন্তু।
সাগর: এসেছিলাম তো কিনতেই। but কিনবোনা।
মোহনা: কেন? 📢।
সাগর: কারন তুমি ফোন ধরোনি। তাই।
মোহনা: হায়হায় বলে কি..আমি তো আপনারই জন্য কেক বানাচ্ছিলাম। আপনার প্রিয়টা ।
সাগর: থাপ্পর চিনো? ফালতু বাহানা।
মোহনা: সত্যি বলছি।
সাগর: আমার প্রিয় কি তুমি কি ভুলেও সেটা জানো?
মোহনা:হ্যা…
মনে মনে : না.. 😓
সাগর: good… তো বলো আমি কোন flavor এর কেক খাই। like করি?
মোহনা মনে মনে : হায় হায় বলে কি… আমি তো জানিনা.. আচ্ছা উনি তো বুইড়া খাটাশ। আর আমার opposite .. তো নির্ঘাত strawberry
হবে উনার প্রিয়। কিন্তু কখনো তো খেতে দেখলাম না। হ্যা strawberry ই হবে।
সাগর: বলো..
সাগরের ঝাড়ি খেয়ে মোহনা চমকে উঠে বলে দিলো:ভ্যাভ্যাভ্যানিলা… সাগর অবাক হলো । মোহনা এটা জানে! যেটা শুনে সাগর চরম অবাক হলো।
সাগর : how could you know ?
মোহনা: i know? ও হ্যা i know …😅😅.
প্রথম সাগর না বুঝলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারলো যে মোহনা আন্দাজে ঢিল মেরেছে। actually ঢিলও মারেনি । just নিজের অজান্তেই মুখ ফসকে বলেছে। মনে মনে হেসে নিলো।
.
মোহনা: এখন তো কিনবেন? 😳। তাও ওই red&black …
সাগর: হামম। ওটাই কিনেছি। আমি জানতাম এটাই কিনতে বলবে।
মোহনা :yeappy… awwe ki cute…
সাগর: কালকে চালিয়ে আসবো।
মোহনা: কেন কালকে কেন? আজকে কেন নয়?
সাগর: কারন হাতে এখনও licence আসেনি । got it… bye.
সাগর রেখে দিলো।
মোহনা:ওরে govt. follower রে.. এই লোকটারে তো western দেশে পাঠানো দরকার। কি ভাব…. huh….
.
পরদিন…
বিকালে…
মোহনা : ৩টা বেজে গেলে এখনও এলোনা…
দিপ্তী: এই পাগলী… মাত্র ৩টা বাজে। সাগর তো বলেছেই যে বিকালে আসবে।
মোহনা: ভাবি… তুমি জানোনা যে ৩টা থেকেই বিকাল শুরু হয়ে।
দিপ্তী:হাহাহা। হায়রে মোহো পাগলিরে… যে always চায় যেন সাগর মগবাজারেরই আশেপাশে না আসুক সে আজকে সাগরের জন্য wait করছে। ভাবা যায়!
মোহনা: উফফ ভাবি ভুল ভাবছো। আমি জল্লাদের না বাইকের wait করছি।
দিপ্তী: তাই বুঝি?
মোহনা: হামম। ফোন করি।
দিপ্তী: মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি…
মোহনা: হামম।
দিপ্তী: ফোন করোনা। class ও থাকতে পারে।
মোহনা: উনার class তো ৮টা থেকে ২টার মধ্যে থাকে।
দিপ্তী: মাঝে মধ্যে schedule change ও হয়। তাইনা?
মোহনা: ধুর ভালো লাগেনা….
.
৪টা….
মোহনা: এখন তো ফোন করবো ভাবি…
অভ্র : কাকে ফোন করবে আমার পিকুটা?
মোহনা: ভাইয়া…
অভ্র: কার wait করছিলে… আর এই নাও।
মোহনা: awwe ki cute chocolate …
অভ্র: বললে না তো কার wait?
মোহনা:জল্লাদের…
অভ্র : good… what?😱.. এই বসো বসো দেখি তোমার জ্বর টর এসেছি কিনা। দিপ থার্মোমিটারটা আনো তো।
দিপ্তী: হাহাহা…
মোহনা: ভাইয়া আমার জ্বর আসে নিতো। আমার একটুও শীত করছেনা।
অভ্র: কোনো না কোনো কাহিনি তো আছেই। মাথায় ব্যাথা ট্যাথা পাওনি তো…
মোহনা: না ভাই…. ওই তুমি মজা করছো আমার সাথে?😤।
অভ্র: মজা? আমার ঘরে কয়টা মাথা আছে যে আমি তোমার সাথে মজা করবো… 😁..
মোহনা:😔। আজকে বাবা এসে নিক। বিচার দিবো। huh…
মোহনা নিচে চলে গেলো।
.
মোহনা: huh… সবগুলাই চিড়িয়াখানার ইদুর… জল্লাদকে ১টা ফোন করা দরকার…
মোহনা ফোন করলো কিন্তু সাগর ধরলোনা।
মোহনা: এতো সাহস আমার ফোন ধরে না। দিতেই থাকনো দিতেই থাকবো ….
মোহনা আবার দিলো। এবার সাগর ধরলো।
মোহনা মনে মনে : শালা আমার মনে মনে হুমকিতেই ভয় পায়। huh…
সাগর: মোহো।
মোহনা: আপনি কোথায়? এখনও আসলেন না কেন?
সাগর: আমি তো আসতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু…
মোহনা: কিন্তু?
সাগর: কিন্তু রুষা…
মোহনা: রুষাপু?
সাগর: হামম। ও এসে চিপকে আছে।
মোহনা: হাহাহাহা.. ১টা গান গেয়ে ফেলুন। ফাইস্যা গেছি আমি ফাইস্যা গেছি মাইনকা চিপায়… 😂😂
সাগর মনে মনে : এই মাইয়া তো আমার দুঃখে নিজের সুখটাই ভুলে গেছে।
সাগর: হ্যা গো তাই গাইতে হবে । আজকে বাইকটা চালানোর কথা ছিলো। তুমি পিছে বসে থাকবে আমি চালাবো… then আমি তোমাকে বাইক চালানোও শিখাবো। আর হলো না।
মোহনা: এ্যা… হ্যা তাই তো। আমি তো ভাবিইনি… আপনি এখনই চলে আসুন।
সাগর : কিভাবে আসবো? রুষা… তুমি তো জানোই… she is চিপকু…
মোহনা: আমি কিছু জানিনা। আপনি আসবেন তো আসবেন।
সাগর: আমি তো আসতেই চাইছি…. but মনে হয়না যে আসতে পারবো। sorry…
মোহনা: আরে এমনিতে তো দুরে থাকে রুষা দুরে থাকো রুষা করেন। তো আজকে?
সাগর: তো আজকে… 😒.. তুমিই তো ফাসিয়েছো আমার i mean তোমার তো পরীক্ষা শেষ বলে।
মোহনা: এখন?
সাগর: i don’t know what to do…
মোহনা: তো বলুন যে কাজ আছে। বলুন যে আপনি আমাকে পড়াতে আসবেন।
সাগর: আমি বললে মোটেও বিশ্বাস করবেনা।
মোহনা: 😖।
সাগর: bye… মোহোপাখি। কালকে আসবো। পাক্কা।
সাগর ফোন রেখে হাসতে হাসতে লুটোপুটি খেতে লাগলো।
সাগর: এবার দেখো মোহোপাখি কেমন লাগে? jealousy তো তোমার জনমে হবেনা। but … as fer as i know u… রুষাপু রুষাপু করা বন্ধ হবে। সেই সাথে রুষা সামনে এলে যে indirectly দুঃখ আছে সেটা কেউ না জানুক আমি জানি। my গুন্ডি মোহোপাখি।
.
পরদিন….
সাগর গেলোনা। রুষার বাহানা দিয়ে । মোহনার মাথা নষ্টর ওপরে নষ্ট।
সাগর ওর নানাভাইকে ফোন করলো।
নানাভাই : কি খবর বন্ধু?
সাগর : ভালো নানাভাই… তুমি আর নান কেমন আছে?
নানাভাই: তার কি? সেও ভালো আছে।
সাগর : great … শোনো নানুভাই চলো পিকনিকে যাই।
নানাভাই : পিকনিক?
সাগর : হামম। পিকনিক। কে কে যাবো শোনো। the khans, the chowdhuris & তোমরা। & make sure যেন রুষাও যায়।
নানাভাই: রুষা?
সাগর : হামম।
নানাভাই: কিন্তু রুষা যাওয়া মানে negativity চলে আসবে।
সাগর : সেটাই তো চাই।
নানাভাই: কিন্তু মোহনার কথা তো ভাবো।
সাগর : ওকে punishment দেয়ার জন্যেই তো সব।
নানাভাই : মানে?
সাগর : বলবো। তার আগে শোনো পিকনিকে কি কি করতে হবে…
নানাভাই: হামম।
সাগর : আর main কথা…আমি এই পিকনিক arrange করিনি । তুমি করেছো।
নানাভাই : হামম।
.
২দিনপর…
সবাই মিলে পিকনিকে গেলো। রুষা তো পারলে সাগরের কোলে বসে যায়। এতে সাগরের problem হলেও মোহনার হতোনা। কিন্তু আজকে problem হচ্ছে। সাগরের সাথে বসেছে বলে না। ৪দিন ধরে রুষার জন্য বাইকে চরতে পারেনি বলে। মোহনার ইচ্ছা করছে রুষাকে কাচা খেয়ে ফেলতে।
মোহনা মনে মনে : রুষা কাঠাল-বাঙ্গীর খোসা… তোকে যে কি করবো নিজেও জানিনা। huh…
সাগর মনে মনে : আজকে রুষামনির কপালে যে শনি রবি সোম মঙ্গল সব ঘুরছে সেটা মোহোপাখির চোখের চাহনিই বলে দিচ্ছে। আল্লাহ রক্ষা করুক। 😁😁।
.
ওরা নুহাশপল্লিতে পৌছালো। journey তে মোহনার হাল খারাপ। vertigo এর রোগী। ১০বার গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে মোহনা fresh বাতাস খেয়েছে। তাও tired…
সাগর মনে মনে : damn it.. ভুলেই গিয়েছিলাম যে ওর vertigo আছে। plan flop হবে না তো? না না খেলাধুলার কথা শুনলেই ঠিক হয়ে যাবে। hope so…
সবাই একটু rest নিলো। এরপর breakfast করলো। চারদিকের পরিবেশ দেখে মোহনাও ভালো হয়ে গেলো। তারপর ঘোরাঘুরি করলো।
.
কিছুক্ষনপর…
নানাভাই : শোনো শোনো সবাই শোনো ঘোরা তো অনেক হলো। এখন একটু খেলাধুলা হয়ে যাক।
মোহনা: yeah…
শ্রাবনী: কি খেলা? passing the parcel ?
অহনা : না না হ্যান্ডবল…
রিম্পা: ব্যাডমিন্টন…
দিপ্তী: গানের কলি…
অায়ান : হায়রে মহিলা পার্টিরে…
অভ্র : নানাভাইকে তো বলতে দাও।
সৌরভ : সেটাই তো…
নিশান : সেটা মহিলাবৃন্দদের কে বোঝাবে?
নানাভাই: এই পুরুষ সমাজ চুপ। আমার ডার্লিংদের কিছু বলবেনা। they all are sweetheart…
সাগর : আর আমরা বুঝি কিছুনা?
নানাভাই : no… তোমরা হচ্ছো good for nothing … সে যাই হোক খেলায় আসি নতুন কিছু।
মোহনা: নানাভাইয়া চলো wrestling ।
সবাই : 😱।
সাগর মনে মনে : হামম… তুমি তো এটা বলবেই। তুমি তো এখন এই ধান্দায় আছো কিভাবে রুষাকে ধুয়ে দিবে।
সাগর : তুমি কি পাগল? wrestling ? কখনো তো যুক্তি সম্পন্ন কথা বলো।
মোহনা : huh…
নানাভাই: সাগর… তুমি চুপ। তবে ১টা কথা মানতেই হবে আমার girlfriend এর সাথে আমার ভাবনা অনেক মিলে।
শিপন ( সাগরের মামা): বাবা wrestling খেলবে?
নানাভাই: না আবার হ্যাও।
শিখা : clearly বলো তো।
নানাভাই: আরে retired govt. detective … একটু তো পেচাবোই। আজকে আমরা রিং দিয়ে খেলবো। লোহার রিং। just ১টা চারকোনা কোটের মধ্যে ২জন ২জন করে যাবে রিং নিয়ে লরবে।
শিপন: তুমি কি পাগল বাবা? ব্যাথা ট্যাথা পাওয়া যাবে।
শিখা : হ্যা তাই তো…
নানাভাই: ব্যাথা পাবে কেন? ছেলেরা আলাদা আলাদা মেয়েরা আলাদা আলাদা। সবার নাম লিখে নিবো কাগজে। যাদের যাদের নাম একসাথে আসবে তারা তারা pair up হবে। ব্যাথা পাওয়ার কোনো কারনই নেই।
রুষা:but মাটি গায়ে লাগলে ?
নানাভাই : আরে fresh হয়ে নিবো। বিকালে কানামাছি আর হ্যান্ডবল খেলে নিবো।
মোহনা মনে মনে : বাহ my boyfriend … তোমাকে তো কলিজার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখবো। সব খেলা আমার মন মতো । কোনো রকমে রুষা কাঠাল-বাঙ্গীর খোসার সাথে নাম উঠলে একে তো ধুয়ে দিবোই । কানামাছি খেলায় ইচ্ছা করে চোর হয়ে এই রুষার ১টা ১টা করে চুল ছিরবো। আর হ্যান্ডবল… হ্যান্ডবল খেলে তো এর সুন্দর মুখটা বান্দর করে দিবো। রুষা তোকে আজকে রোস্ট বানাবো।
.
খেলা শুরু হলো। মোহনা আর রুষার নাম একসাথেই উঠলো। কারন সব সাগরের plan। রিং খেলার সময় তো মোহনা মাটিতে পরে থাকা রুষাকে টেনে টেনে নিয়ে গেছে। রুষা বেশিক্ষন না পেরে রিং ছেরে দিয়েছে। এরপর মেয়েরা কানামাছি খেলা শুরু করে। মোহনা ইচ্ছা করে ধরা দিয়ে চোর হয় । এরপর রুষাকে ধরার বাহানায় ওর চুল টেনে ধংব্স করে দেয়। কিন্তু রুষাকে চোর বানায়না। চোর বানালে বারবার ওর চুল টানবে কি করে? সাগরের হাসতে হাসতে হাল খারাপ। অবশেষে আসলো হ্যান্ডবল খেলা। মোহনা বল দিয়ে ১বার রুষার নাক ফাটিয়েছে ১বার কপাল তো ১বার মাথা। না হয়ে ১বার পেটে মেরেছে না হয় পায়ে না হয় হাতে। মোট কথা রুষার হাল কেরোসিন। আজকের দিনটা রুষার জন্যে just জঘন্য ছিলো। রুষা মিনিমাম ১সপ্তাহ বেড থেকে উঠতে পারবেনা। আর সাগরের জন্য best comedy …
মোহনা মনে মনে : আমার dream পূরনে বাধা… দেখ কেমন লাগে… huh।
পিকনিক টিকনিক করে সবাই বাসায় ফিরলো।
.
পরদিন…
সাগর class করে just বের হচ্ছে। তখন দেখে মোহনা দারিয়ে আছে। ওকে দেখে মোহনা এগিয়ে এলো।
রাহাত : এই গুলুমুলু পিচ্চিটা তোর দিকে এগিয়ে আসছে মনে হচ্ছে। তোর ছোট বোন?
ধ্রুব : আরে ছোট বোন তোর। আমার ভাবি।
রাহাত: মানে?
ধ্রুব : মা…
মোহনা: আজকে কিন্তু no বাহানা।
রাহাত : বাহানা? এই মিস পিচ্চি বাহানা..
মোহনা : আমার নাম বাহানা না। মোহনা। আর আমি পিচ্চিনা। আমি এবার ssc দিয়েছি।
রাহাত : ও। তো ssc দেয়া বাহানা i mean মোহনা আপনি এখানে হঠাৎ ?
.
( আমি একটু আল্লাদি family এর মেয়ে আর আমাদের family তে ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি আল্লাদ করা হয়। তাই আমি গল্পে আল্লাদি আর নেকু হয়। 😁। )
চলবে…