না বললেও ভালোকিন্তুবাসি

না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 05

মোহনা : ouch….
মোহনা মাথায়ও যথেষ্ট ব্যাথা পেয়েছে। তাই অজ্ঞান হয়ে গেলো। সাগর দৌড়ে দিয়ে মোহনাকে কোলে তুলে নিলো।
সাগর: মোহো… এই মোহো….
সবাই ছুটে এলো। সাগর মোহনাকে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলো। শুইয়ে দিলো।
.
সাগর : মোহো এই মোহো… মোহো পাখি… চোখ মেলো… মমমামনি…. পানি দাও…
সাগর: মোহো এই মোহো…
সাগর পানি ছিটিয়ে দিলো… একটুখানি চোখ মেলে আবার বন্ধ করে ফেলল। আবার পানি ছিটাতে লাগলো। সবাই হাতে পায়ে massage করতে লাগলো। তবুও মোহনার জ্ঞান ফিরলোনা। ফিরবে কি করে? মোহনা তো ২য়বার জ্ঞানই হারায়নি। চোখ মেলে সাগরকে দেখে ওর হাল খারাপ হয়ে গেছে। ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। তাই চোখ বন্ধ করে রাখলো। জ্ঞান না হারালেও ওর কোমড়-হাত-পা অনেক ব্যাথা করছে। জান বেরিয়ে যাচ্ছে ব্যাথায়।
রেদোয়ান : এখন শান্তি হয়েছে তোমার?
শিখা: মেয়েটার কি অবস্থা… কি জবাব দিবো আমি দুলাভাইকে?
সাগরের ইচ্ছা করছে নিজেকে শেষ করে দিতে।
সাগর: বাবা ডালিম কাকাকে ডাক দাও। গাড়ি বের করতে বলো।
রেদোয়ান: হামম।
তখন সাগর বুঝতে পারলো যে মোহনার জ্ঞান আছে।
সাগর খুশি হবে না রাগ করবে বুঝতে পারলোনা। সাগর কোনো react ই করলোনা ।
সাগর মনে মনে : ধন্যবাদ আল্লাহ…. অনেক অনেক ধন্যবাদ।
.
সাগর মোহনার হাত-পা চেক করতে লাগলো। দেখতে লাগলো কোথাও ভেঙেছে কিনা? বুঝতে পারলো যে বাম পায়ে হয়তো ফ্যাকচার হয়েছে। সাগর পাটাতে একটুখানি হাত বুলিয়ে দিলো ১ মোচর…. আর সাথে সাথে মোহনা ওকে বাবারে বলে চিল্লিয়ে উঠলো।
মোহনা: আমার পা… বাবা….
বাচ্চাদের মতো হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
শিখা: সােনাবাচ্চা… কাদেনা মা…
মোহনা: ছোটোআম্মুরে আমার পা…😭
সাগর: এই পায়ে আর কখনো হাটতে পারবেনা। সেই অবস্থাই করে দিলাম।
মোহনা: ছোটআম্মুগো…. এখন আমার কি হবে? আমাকে কে বিয়ে করবে? আমি কিভাবে প্রেম করবো? ও আল্লাহ গো। আমি গেলাম গো।
সাগর: হাটতে না পারাই তো ভালো তোমার জন্য। ২দিন পরপর তো এমনিতেই তোমার পা মচকায়। না থাকবে পা আর না থাকবে মচকানো।
শ্রাবনী: তুই আসলেই ১টা অমানুষ।
সাগর: মামনি… আমি আর বাবা বাহিরে যাচ্ছে। ওর কোমড়ে spray করে দাও।
মোহনা: না… ভীষ…
সাগর: spray না করলে massage করাতে হবে।
মোহনা: এ্যা… খেলবোনা। আবার suicide করবো।
সাগর: suicide করতে হলে গিট দেয়া আগে শিখতে হয়। এবার সুস্থ হও। এরপর আমি সুন্দর করে তোমাকে গিট দেয়া শিখাবো আর তুমি ঝুলবে। না হলে আমি নিজেই ঝোলাবো।
মোহনা:😱😭।
.
পরদিন…
সকলে..
মোহনার ঘুম ভাঙলো।
মোহনা: বাবাগো… আমি যে প্যারালাইজড হয়ে রইলাম, আচ্ছা এটাকে কি প্যারালাইজড বলে? যা মন চায় বলুক… এখন আমার কি হবে? যা হবে দেখা যাবে। আগে fresh হয়ে খেয়ে নেই। চকোলেট….☺️।
মোহনা নিজের পায়েই হেটে দিব্যি washroomএ গেলো। fresh হলো। ওর খেয়ালই নেই যে ও নিজের পায়ে হাটছে। কোমড়েই কেবল ব্যাথা আছে। এরপর চকোলেট খেতে গেলো। কিন্তু ১টাও পেলোনা।
মোহনা: আরে চকোলেট গুলো কোথায় গেলো?
সাগর: এই তো…. এখানে…
মোহনা পিছে ঘুরে দেখে সাগর ওর চকোলেট বক্স ১বার ওপরে ছুরে দিচ্ছে আর catch ধরছে।
মোহনা: আপনি আমার চকোলেট বক্সে হাত দিয়েছেন কার সাহসে?
সাগর: আমার সাহসে।
মোহনা: ভালোয় ভালোয় দিয়ে দিন।
সাগর: দিবো তো… তবে তার আগে তোমাকে আমার কথা শুনতে হবে ।
মোহনা: বয়েই গেছে।
সাগর: সেটা তোমার ইচ্ছা। তুমিই ভালো জানো যে আগামী ৭দিন চকোলেট আইসক্রিম খাবে কি খাবেনা।
মোহনা ভালোমতোই জানে এই মূহুর্তে সাগরের কথা না শুনলে ওকে ওর ভালোবাসাকে হারাতে হবে।
মোহনা: আচ্ছা শুনবো।
সাগর:চুপটি করে বসো। আমি খাবার নিয়ে আসছি খাবে।
মোহনা: ok…🙄.
.
একটুপর…
সাগর খাবার নিয়ে এলো।
মোহনা: সাগর আমি যদি বিষ খেতে চাই দিবেন? i can bear that…
সাগর: না। এগুলোই খেতে হবে।
মোহনা: না….
মোহনার এমন react করার কারন হলো এই কুখ্যাত অখাদ্য খাবারের জন্য। কারন খাবার গুলো হলো: fruit salad … বাঙ্গী, আনারস, etc ফকিন্নি মার্কা ফলের। পালং শাক দিয়ে খাসির মাংস। আর গরুর কলিজা ভূনা। মোহনার ইচ্ছা করছে তাল গাছের সাথে ফাসি দিতে ।
মোহনা মনে মন: তালগাছ তুমি একটু নিচু হও আমি ফাসি দেই…
সাগর: now start…
মোহনা: উহু….
সাগর : you have to…
মোহনা: আমার চকোলেট লাগবেনা… তবুও এগুলো সরান…
সাগর মনে মনে: বোঝো এবার মোহোপাখি… অনেক চিন্তা দিয়েছো ২দিনে এখন কোথায় যাবা চান্দু।
সাগর: এখন থেকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি এগুলোই খাবে।
মোহনা: না… আমি একদম সুস্থ এই দেখুন। আরে আমার পা ঠিক হলো কিভাবে।
yahoo…
বলেই মোহনা লাফ দিলো আর কোমড়ে ব্যাথা পেলো।
মোহনা: বাবা…
সাগর: দেখেছো। এখন খেয়ে নাও।
মোহনা : না…
সাগর জোর করে খাওয়ালো। খাওয়ানোর ১০সেকেন্ডের মাথায় মোহনা সব বের করে দিলো। আর সব গিয়ে পরলো সাগরের ওপরে….
.
কিছুদিনপর…
মোহনা এখন একদম সুস্থ। ওদের বাড়িতে। class শুরু হয়ে গেছে। আজকে শুক্রবার… ২টা বাজে মোহনা ঘুম থেকে উঠে fresh হয়ে টমেটো সস খেতে খেতে ড্রয়িং রুমে গেলো। এটাই ওর আপাদত ১ঘন্টার জন্য নাস্তা। যাইহোক, সেখানে সাগরকে দেখলো।
মোহনা: একি আপনি আজকেও কেন এসেছেন? আজকে না শুক্রবার? আর আমি শুক্রবারে বই ছুইও না ।
সাগর: হ্যা যেন বাকী ৬দিন আপনি দুনিয়া উল্টিয়ে পড়েন।
মোহনা:🙄। আপনি result এ concentrate করেন… পড়াতে না।
সাগর: সেদিনের অপেক্ষাতেই আছি। যেদিন result ১৯ থেকে ২০ হবে সেদিন উল্টা করে গাছে ঝোলাবো।
মোহনা;🙄।
সাগর: whatever … আজকে এসেছি ১টা কাজে।
মোহনা: কি কাজে?🤨।
সাগর: magic carpet দেখাতে।
মোহনা: মানে?🤔।
সাগর: মানে বুঝতে পারবে ॥ আগে এই কার্পেটে পা দাও।
মোহনা: এটা কার্পেট? এটা জালের মতো।
সাগর: তাইজন্যেই তো এটা magical … পা দাও।
মোহনা পা রাখতেই ও জালবন্দী হয়ে ওপরে উঠে গেলো। আর ফ্যানের সাথে ঝুলতে লাগলো।
সাগর: বলেছিলাম না সুস্থ হলে ঝোলাবো।
মোহনা: awwe ki cute লাগছে ঝুলতে।
সাগর: এখনই বের করছি awwwe ki cute…
বলেই সাগর switch এর ওখানে গেলো।
মোহনা: আরে আরে আরে কি করছেন?
সাগর: ফ্যান ছারছি ।
মোহনা: হায় হায় কেন? মরে যাবো তো।
সাগর; যাও। তোমার না ঝুলে মরার শখ….
মোহনা: 😭😭। বাবা ভাইয়া ভাবি… বিদায়….
সাগর ফ্যান ছারলো। তবে একদমই slow power এ। ৩মিনিট রাখলো। মোহনার তো দুনিয়াদারিই ঘুরতে লাগলো।
.
৩মাসপর…
মোহনা: মোহনা খান… কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগে। আপুদের নামের সাথে তো খান কি cute করে suit করে। আমার টা এমন ফ্যাতফ্যাতা লাগে কেন? ধুর ভালো লাগেনা। খান sirname কি cute… যদি আমি মোহনা চৌধুরী হতাম… কিন্তু চৌধুরী তো জল্লাদের sirname…😤 হাতি ঘোড়া ফকিন্নি।
তখন মোহনা বাইরে কারো গলার আওয়াজ পেলো। যেটা মোহনার কাছে বিশ্বকর্কষ গলা।
মোহনা:এই শালি মিসেস ঢাকাইয়া কুট্টি কোথথেকে এসে জুটলো…. 🤬। এসেই যখন পরেছে তখন শুরু হয়ে যা মোহো। যেই ভাবা সেই কাজ।
মোহনা নিজের পরনের ট্রাউজারটা খুলে 3-quarter পরে নিলো। t-shirt আর change করলোনা। উচু করে ঝুটি করলো। আর কানের পর্দা ফাটানোর volume এ গান চালিয়ে দিলো।
মিসেস ঢাকাইয়া হলো মোহনার দীদা। তার নাম মমতা। মমতা আর মোহনা ২জন ২জনের জানেদুশমন। কিন্তু সভাব চরিত্র অভ্যাস সব কিছুতে ২জন same to same… ২জনেরই সাংঘাতিক জেদ।
.
মমতা: আরে নাত বউ, ছালাম লাগবোনা। কেমন আছো? ভালো ?
দীপ্তি : হ্যা দীদা তুমি ভালো আছো।
দীদা: এতোক্ষন আছিলাম না। তয় অহন তোমার চান্দের মতো মুখটা দেইখা ফালাইছি। তাই ভালো হইয়া গেলাম। মাগার ও অপয়াটার কাজকর্মে আর ভালো থাকবার পারলাম কই?
শুভ্র: মা… সবসময় কি এমন করে বলা জরুরী?
মমতা: তুই এই কথা কইতাচোছ ক্যালা? আমি যা কইছি ঠিকই কইছি। ওই দ্যাখ, ক্যামনে কইরা গান বাজাইবার লাগছে। আমি যে আইলাম… ১টা বার দেখা করবারও আইলোনা। গান বাজাইবার লাগছে। ওই মাইয়া তো…
অভ্র: আহ দীদা। চলো fresh হয়ে নিবে।
দীদা fresh হয়ে এসে কেবল বসলো। তখন মোহনা ভাবি ভাবি চিল্লাতে চিল্লাতে ড্রয়িং রুমে হাজির হলো। মমতার তো মোহনাকে দেখে মেজাজ বিগরে গেলো। পোশাক, হেয়ার কাট।
মোহনা: ভাবি… ও ভাবি… ভা… আরে ঢাকাইয়া কুট্টি… তুমি কবে আইয়া পরলা? তো মমতা ব্যানার্জী থুক্কু মমতা খান আপনে আইচেন ক্যালা? যাইবেন কবে?
শুভ্র: মামনি…
মোহনা: কি?🙄।
শুভ্র: কিছুনা।
মমতা: তুই এই মাইয়ারে দেইখা ডরাস? অপয়া অলক্ষী। অভদ্র। চুলের কি ছিরি করছে।
মোহনা: awwe ki cute না। হায়। আমার
চুল গুলো কতো সুন্দর। খান বাড়িতে শুরু হলো cold war… এটা নতুন কিছুইনা। সবাই এটার সাথে অভ্যস্ত।
.
পরদিন…
বিকালে…
সাগর এলো। দীদাকে দেখেই বুঝতে পারলো পরিবেশ গরম।
দীদা: আররে… সাগর দাদু যে। আসো আসো একটু সুখ দুঃখের আলাপ করি….
সাগর: ভালো আছো দীদা?
দীদা: ভালোবাসার মানুষ সামনে থাকলে কি কেই খারাপ থাকবার পারে?
সাগর: তাই নাকী সুন্দরী বুড়ি।
দীদা: আবার জিগায়…
মোহনা : আরে আপনি এখানে? কখন থেকে বসে আছি।
সাগর মোহনাকে দেখে ভীষম খেলো। কারন মোহনা আজকে সেই রকমভাবে সেজেছে। আর অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে। সাগর হা হয়ে রইলো। পরে বুঝলো কাহিনি কি। সাগরের এতো হাসি পাচ্ছে যা বলার বাইরে।
মোহনা সাগরের হাত ধরে
বলল : চলুন চলুন…
মোহনা সাগরের হাত ধরেছে…😱…
দীদা : বেহায়া মাইয়া।
সাগর মোহনার রুমে গেলো। রুমে গিয়েই পলকেই সাগরের হাত ছেরে দিলো। আর হাতের চুরি আর কানের দুল সব খুলে বেডে ছুরে মারলো।
মোহনা: উফফ… এগুলো পরে থাকা যায়?
সাগর: তো পরতে বলেছে কে? 🤨😏।
মোহনার সাগরের দিকে তাকালো।
মোহনা: 😁।
সাগর: i think জোরে জোরে হাসলে effect ভালো হবে।😁।
মোহনা জোরে জোরে হাসতে লাগলো। যা হয়তো নিচতালা পর্যন্ত শোনা যাবে।
সাগর : মোহো পাগলী।
.
৩দিনপর…
বিকালে…
দীদা: ও নাতবউ…
দীপ্তি: হ্যা দীদা…অহনা কবে আসবে…
দীদা: কালই চলে আসবে। গ্রামে , দাদাশশুড় বাড়ি গেছে তো।
দীদা: ও… নাতবউ তুমি ঢাকাইয়া ভাসায় (ভাষায়) কথা কওনা ক্যালা? সেখার(শেখার) দরকার তো।
দীপ্তি : না মানে দীদা বলতে পারিনা।…
দীদা: কয় কি? যেইর জন্য… শাখারী পট্টির থেকা… আমার বাপের বাড়ির কাছে থেককা তোমারে আনলাম আর তুমি কও পারিনা।
এটাই হইসে অহনকার সিক্ষিত সমাজের দোস। নিজেকে ঐতিহ্য ,, কি জানি কয়? culture … culture এর দোস…. তা না হইলে কি ঢাকাইয়া কুট্টি হইয়া কেউ ঢাকাইয়া ভাসা না পারে
দীপ্তি: 😅।
দীদা: তুমি তো দেকবার লাগচি পুরান ঢাকার মান ইজ্জত ডুবাইয়া ছারবা… কোনো সাজগোজ নাই,, ক্যামনে কইরা থাকো তুমি…. থাকবে ক্যামন কইরা… ওই অপয়ার পিচেই তো দিন স্যাস (শেষ)….।
অহনা: দীদা…
দীদা: আরে আমার কলিজাটা… আয় সোনা আয়….
মোহনা ওর রুমের দরজার সামনে দারিয়ে সব দেখছে। আর দীদার কথার নকল করছে ।
মোহনা : আহা কি ভাব…. ওরে বাবা আপু আর ভাবিকে খাইয়েও দিচ্ছে। এই ২জনের কি ঘিন্না পিত্তা নেই। এই কুট্টির হাতে খায় কিভাবে।
.
পরদিন…
অহনা দীপ্তি আর দীদা রান্না করছে। মোহনা এসে কসানো মাংস নিয়ে গপাগপ খেতে লাগলো।
দীদা: হায় হায় এই মাইয়া কততো বড় অসভ্য … ক্যামন কইরা আগতা খাওয়া ধরলো।
মোহনা: ক্যামন করে আবার মুখ দিয়ে…
দীদা: খালি গিলতেই পারো না কি খুনতিটা ধরতেও পারো।
মোহনা: খুনতি কি? 🤔
দীদা: 😡।
অহনা ইশারা দিয়ে দেখালো।
মোহনা: ও… ওই যে আপুর হাতেরটা?
দীদা: রান্না টান্না পারোনা তাইলে?
মোহনা : নাহ, ফালতু জিনিস। আর শিখার কি দরকার বলেন তো।
আমার বাবার বাসা & শশুড় বাসা ২টাই বড়লোক… আমি কি আর মানুষের মতো ফকিন্নি ঘরের মেয়ে ।
আমি কি আর যেন তেন ঘরের মেয়ে? আমি খান বাড়ির মেয়ে … খান বাড়ির ।
আমার বাপ-দাদারা তো আর দালাল না। আর পাকিস্তান আমলের বাড়িঘর দখল করে নিজের নামেও করায়নি। নিজের টাকায় এই মগবাজারে বাড়ি করেছে। কারোটা দখল করেনি, নিজের দক্ষতায় করেছে। মেহেনতের ফসল মেহেনতের।
অহনা আর দীপ্তি মনে মনে হাসতে হাসতে শেষ। ওদের ইচ্ছা করছে জোরে জোরে হাসতে। কারন ওরা ভালো করেই জানে মোহনা কথা গুলো দীদাকেই শুনিয়েছে।
দীদা: খান বাড়ির মেয়ে হওয়া নিয়ে এতো গর্ব?
খান বাড়ির মাইয়া হওয়ার কোনো যোগ্যতা আছে? নাই। মাগার নামের লগে খান থাকায় এতো বাহাদুরী।
মোহনা: মোহনা মানেই বাহাদুরী। খান থাকলেও বাহাদুরী আর না থাকলেও । 😎
দীদা : আচ্ছা… না থাকলেও? খান নাম না থাকলে সাথে বাহাদুরী আর দেখান লাগতোনা।
মোহনা: আর যদি খান নাম ছারাই বাহাদুরী দেখাতে পারি তবে কি আপনি আপনার তলপি তলপা নিয়ে জান্নাতবাসী হবেন? অবশ্য শুক্রবারে মরলে নাকি জান্নাতবাসী হয়। whatever … কালই দেখতে পারবেন খান sirname ছারাও মোহনা বাহাদুরী কিভাবে দেখায়। ভাবি , আপু খেলতে গেলাম।
বলেই মেরিন কক-ব্যাট নিয়ে খেলতে গেলো। একটু খেলে সাগরকে ফোন দিলো।
.
সাগর class করে ফিরে মাত্র fresh হয়ে বসলো। তখন দেখলো মোহনার ফোন।
সাগর: মোহো আমাকে ফোন করেছে? দীদা থাকতে আর কতো কি দেখতে হবে কে জানে। 🤣।
সাগর: hello…
মোহনা: বাসায় আসুন তো।
সাগর: কিন্তু কালকে না তোমার স্কুল ছুটি। স্কুল ছুটি থাকলে তো তুমি পড়তে বসোনা।
মোহনা: আপনি আসবেন কি আসবেন না?
সাগর : আসছি।
সাগরের আর খাওয়া হলোনা। ও গেলো। গিয়ে দেখে মোহনা ব্যাডমিন্টন খেলছে।
.
সাগর: এই পাগলরে কে বোঝাবে যে ব্যাডমিন্টন শীতকালে খেলে।
রিংকু: আপু…
মোহনা: কি?
রিংকু: ভাইয়া আসছে।
মোহনা ছুটে গেলো। মুখ ভরা হাসি নিয়ে।
সাগর মনে মনে : এ আমার সামনে এসে হাসছে? ঘাপলা আছে। মহা ঘাপলা।
মোহনা: সাগর সাগর সাগর…
সাগর মনে মনে: নাম ধরেও ডাকছে?😱। সাগররে… মনে হয় কেয়ামতে ২-১ঘন্টার মধ্যেই।
মোহনা: সাগর… 📢📢📢..
সাগর: কি?🤨🧐
মোহনা: না মানে আমি mbbs পাস করলে মানে আর ৭-৮বছর পর আপনার সাথে আমার বিয়ে হবে।
সাগর: হ্যা।
মোহনা : আমি মোহনা খান থেকে মোহনা সাগর খান চৌধুরী হবো।
সাগর: yeah… continue …
মোহনা : তো আমি যদি বিয়ের আগে মানে এখন মানে আজ কালকের মধ্যে বিয়ে ছারাই খান থেকে চৌধুরী হতে চাই মানে মোহনা খান থেকে মোহনা চৌধুরী হতে আপনি কি সেই ইচ্ছা পূরন করবেন?
সাগর জবাব কি দিবে? ওর মাথা ৩৬০° angle এ ঘুরতে লাগলো।
.
চলবে…