না বললেও ভালোকিন্তুবাসি

না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 18

সাগর-মোহনার বিয়ে হয়ে গেলো। তখন রাজ-রিতু এসে হাজির হলো।
রিতু : oh no… বিয়ে হয়েও গেছে…. stupid idiot … তোর জন্য late হয়ে গেলাম তোর নাম যে রাজ রেখেছেনা সে আস্ত ১টা পাঠা ।
আমার প্রানুর বিয়ের সাক্ষী হতে পারলামনা। 😭 ।
সাগর : ok ok.. stop stop… এখনো হতে পারো। ভাইয়া পেপারটা দাও তো।
নিশান দিলো।
সাগর : এই নাও এখানে signature করো।
রিতু : কাবিন নামা?
সাগর : হামম। যেটার ১ম সাক্ষী তুমি আর 2nd নাগরাজ থুরি রাজ। 😁।
সব process শেষ করে সবাই বাসায় ফিরলো।
.
মোহনা চুপচাপ রুমে বসে আছে ।
শিখা : মেয়েটা চুপচাপ বসে আছে….
সাগর : মামনি… ওকে ওর মতো থাকতে দাও।
শিখা যদি আবার কিছু….
সাগর : না কিছু করবে না। কারন ও এখন এটা ভাবতে বসবে যে actually ঘটেছেটা কি? আর ওই বা কি করলো।
রেদোয়ান : ওর কথা বাদ দাও। এখন আমি তোমাকে যেটা বলবো সেটা শোনো।
সাগর : বলো।
রেদোয়ান : আমাদের সবার থেকে তুমি মামনিকে ভালো করে চিনো। এটা মনে রেখো যে তোমাদের বিয়েটা মিনিমাম আরো ২-৩বছর পর হতো। accidently এখন হয়ে গেলো । but i respect your decision …. কিন্তু ওকে space দাও। আবার friendship করো। বুঝেছো?
সাগর : হামম বাবা।
ইফতারের সময়ও মোহনা রুমেই রইলো। শিখা ওর ইফতার রুমেই দিয়ে গেলো।
.
রাতে…
সাগর :সাগর সাগর সাগর….you have to strong … বাবা যাই বলুক মোহোকে handle করকে strong হতেই হবে। তবে তার আগে firework এর ব্যাবস্থা না হলে আজীবন খোটা দিবে যে বিয়ের পর ১ম বিয়েতে কিছুই করতে পারিনি । আরেকটু আগে বের হলে ভালো হতো।
সাগর অনেকগুলো বাজি , পটাকা , ফুলঝুরি blah blah নিয়ে এলো।
সাগর :যাই হোক এবার মিস নাগিন oh no no no…. মিসেস নাগিন will be very happy…..
.
ওদিকে…
মোহনা : কি হলো? কিভাবে হয়ে গেলো? আমি কেন signature করলাম? বিয়ে হয়ে গেলো। আমি আমার engagement , গায়ে হলুদে নাচতে পারলাম না। এটা কোনো কথা না কবিতা। বোরিং। আবার ১টা জিনিস ভালোই হয়েছে। অমন মহাধুম ধাম করে বিয়ে হলে সং সেজে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হতো। ভাবি আর আপুকে বসে থাকতে দেখেছি। হলুদ , বিয়ে , বৌভাত। yuck… এতো ঘন্টা মানুষ বসে থাকে কিভাবে? আমি তো ১০ মিনিটও চুপচাপ বসে থাকতে পারিনা। তো ওই জনম জনম ক্যামনে বসে থাকবো? মানে থাকতাম… তাও আবার jewelry & ভারী ভারী শাড়ি পরে। কি জঘন্য ব্যাপার। ভালোই হয়েছে awwe ki cute… বাচলাম। আমি তো জীবনেও আর বিয়ে করবোনা ☺☺☺।
তখন মোহনার ফোন বাজলো।
মোহনা : আমার কথা আবার কার মনে পরলো? হ্যালো … 😒…
সাগর : ৫মিনিটের মধ্যে ছাদে আসো… না হলে খবর আছে।
মোহনা : who the hell are you… আমাকে order করছো। সাহস দেখে অবাক।
সাগর :stupid … চিনেছো? বুঝেছো সাহস কোথায় থেকে এলো?
মোহনা : ….
সাগর : ওপরে আসো…
মোহনা : কেন?
সাগর : আসতে বলেছি তাই আসো।
মোহনা সাগরকে ১বস্তা বকা দিতে দিতে ছাদে গেলো।
.
ছাদে গিয়ে দেখলো শিখা-রেদোয়ান-সাগর ছাদে আর অনেক firework… যা দেখে মোহনা খুশি হয়ে গেলো। লাফ দিয়ে ভেতরে গেলো।
মোহনা : awwe ki cute… firework…
রেদোয়ান : তাইনা। চলো চলো lets start…
মোহনা : আবার জিগায় …
মোহনার খুশি দেখে সবাই খুশি হয়ে গেলো । সবাই খুশি খুশি আতসবাজী করতে লাগলো। চাঁদরাত বলে কথা । আতসবাজী তো বানতা হ্যা। আধা ঘন্টা পর শিখা-রেদোয়ান চলে গেলো।
সাগর : আরো করতে চান মিসেস নাগিন…
মোহনা : মিসেস নাগিন? কিন্তু আমি তো মিস নাগিন ছিলাম।
সাগর : ছিলে… but now u
we are married … আর তুমি মিসেস নাগিন। তুমি যেন আমাকে কি ডাকতে? জল্লাদ। এখন তুমি আমার বউ । মানে তুমি আমার জল্লাদনী।
মেরিন : তাহলে তো আপনিও নাগ।
সাগর : no problem .. i am happy with this… তো লং ড্রাইভে যাবা?
মোহনা : হামম হামম।
সাগর : চলো।
২জন লং ড্রাইভে গেলো ।
.
অনেকক্ষনপর…
সাগর : মিসেস নাগিন… ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে। ঝড়ো বাতাসও বইছে ।
মোহনা : তো?
সাগর : এখন back করা দরকার। drive করা risky হবে।
মোহনা : এখনই?
সাগর : হামম। কালকে ঈদ না?
মোহনা : ok…
ওরা বাসায় যেতে যেতে ভীষন জোরে বৃষ্টি নেমে গেলো। সাগর গাড়ি জায়গা মতো রেখে রুমে গিয়ে দেখে মোহনা নেই।
সাগর : নির্ঘাত ভিজতে চলে গেছে। এই মেয়ে না… আবার ছাদে যাও এখন…
সাগর ছাদে গেলো। সাথে ২টা ice cream নিয়ে। ছাদে গিয়ে দেখে মোহনা লাফাচ্ছে। লাফাতে লাফাতে মোহনা দেখলো ওর সামনে ice cream… কোথায় থেকে আসলো কে দিলো সেটা না ভেবে মোহনা খাওয়া ধরলো।
সাগর : welcome .. 😒..
মোহনা : 😁।
২জনে বৃষ্টিতে ভিজে রুমে গেলো।
.
মোহনা : এমা মেহেদি দিবোনা? ছোটআম্মুকে ডেকে আনি।
মোহনা মেহেদি নিয়ে ছুটলো। সাগর বাধা দিতে দিতে মোহনা চলেও গেলো।
সাগর : এই মেয়ে কেন চলে গেলো? মামনি বাবা তো …
মোহনা যাচ্ছে। তবে দরজার কাছে যাওয়ার আগে ১টা জানালা পরে। মোহনার নজর জানালায় পরলো। দেখলো রেদোয়ান পরম যত্নে শিখাকে মেহেদি পরিয়ে দিচ্ছে। আর ২জন cute cute কথা বলছে।
মোহন মনে মনে : awwwwe ki cute…
সাগর: মো…
মোহনা : 🤫🤫🤫। hshh…
মোহনা সাগরকে টেনে নিয়ে এলো।
মোহনা : আপনার কি common sense বলতে নেই? ওখানে বকবক করতে গিয়েছিলেন কেন? ছোটআম্মু ছোটআব্বু একটু awwwe ki cute time spend করছে। আর আপনি??
সাগর : আমার common sense নেই। ঠিক বলেছো।
মোহনা : আমি ঠিকই বলি।
সাগর : বাবা প্রতি চাঁদরাতেই মামনিকে নিজের হাতে মেহেদি দিয়ে দেয়। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি।
মোহনা : awwwwe…
সাগর : they are my idle …
মোহনা : 😍।
সাগর : এখন বসেন… আমিও আপনাকে মেহেদি দিয়ে দেই।
মোহনা : নিজেকে ছোটআব্বু মনে করেন?
সাগর : না। তোমার ছোটআব্বুর ছেলে।
মোহনা : দেখেন অতো ধৈর্য্য নেই বসে থাকার।
সাগর : বসতে বললাম তো।
.
একটুপর…
সাগর মোহনাকে মেহেদি দিয়ে দিচ্ছে।
সাগর : ১টা কথা বলি…
মোহনা : বলেন। 😒।
সাগর : তুমি এখন আমার স্ত্রী। চৌধুরী বাড়ির বউ। মামনি বাবা এখন আর তোমার ছোটআব্বু ছোটআম্মু না। তোমার শশুড় শাশুড়ি ।
মোহনা : তো?
সাগর : এখন থেকে তুমি বাবাকে just বাবা ডাকবে। আর মামনিকে মামনি বা just আম্মু ডাকবে।
মোহনা : পারবোনা।
সাগর : কেন?
মোহনা : don’t you know ?
সাগর : i know যে তুমি ” আম্মু” কথাটাকে hate করো। তুমি তো আর কাউকে না তোমার ছোটআম্মুকেই আম্মু ডাকবে। আচ্ছা fine… তাহলে মামনি ডাকবা। হয়ে গেলো।
মোহনা : উহু। আর হ্যা আমি কেবল “আম্মু” word না এখন “বাবা” wordটাও hate করি।
সাগর জানে মোহনা এখন mentally disturbed … আর কোথাও না কোথাও মনটাও খারাপ। তাই ওই টপিকে গেলোনা।
সাগর : কিন্তু বিয়ের পরও যদি তুমি মামনি বাবাকে ছোটআব্বু ছোটআম্মু ডাকো তাহলে কেমন weird sound করেনা?
মোহনা : তা তো করেই।
সাগর : তাহলে বলো দেখি কি করা যায়?
মোহনা : পেয়েছি। শশুড়বাবা আর শাশুড়িআম্মু ডাকবো। আর শ্রাবনী আপুকে ননাসআপু। ☺। awwe ki cute না??? 😊😊।
সাগর : হামম।
.
পরদিন…
ঈদের দিন মোহনা সবসময় সকাল সকাল ওঠ। ওর ভালো লাগে। সকাল বেলা উঠে তারাতারি shower নিয়ে নতুন জামা পরে। আজকে ঘুম থেকে উঠে মন খারাপ করে বসে আছে। কারন এখানে ওর নতুন কোনো জামা নেই। সব নতুন জামাতো ওই বাসায় । সাগর fresh হয়ে এসে দেখে মোহনা মন খারাপ করে ২গালে হাত দিয়ে বসে আছে। সাগর হাসলো । কারন তো ও জানেই।
সাগর : মিসেস নাগিন দেখো তো কোনটা আমাকে suit করবে? নামায পরতে যাবো তো।
মোহনা সামনে তাকিয়ে দেখে সাগর ১হাতে নীল রঙের পাঞ্জাবি আর অন্য হাতে নীল রঙের ১টা খুব সুন্দর মেয়েদের ড্রেস নিয়ে দারিয়ে আছে ।
মোহনা : আপনি মেয়েদের ড্রেস পরবেন?
সাগর : হামম। 1st try করবো।
মোহনা : আপনার মতো গাধা মানুষ আর কি করতে পারে?
সাগর : তো তুমি কি চাও এই ড্রেসটা আমি তোমাকে দেই?
মোহনা : হামম। 😎।
সাগর : কেন দিবো কেন?
মোহনা : 😒।
সাগর : হাহাহাহাহা… দিবো দিবো। এটাতো তোমারই।
মোহনা খুশি হয়ে সেটা নিয়ে washroom এ ঢুকলো।
সাগর : পাগলি….
.
খানবাড়ি থেকে মোহনার মোবাইলে হাজারবার call এলো। কিন্তু মোহনা ধরলোনা। সাগরের দাদুভাই ফোন করলো।
রেদোয়ান : বাবা… সবই তো শুনলে । তাই মনে হয়না কালকে আসতে পারবো। দাদাকে ( বড়ভাই। নাম কামরান চৌধুরী। retired major …. ) বলে দিও।
কামরান দাদুভাইয়ের হাত থেকে ফোন নিলো।
বলল : কেন না আসার কারন কি? মোহনা? একে তো ওই mannerless , unpunctual , irresponsible মেয়েকেই সাগর বিয়ে করলো। এখন আবার ওর জন্য তোমরা বাড়ি আসবেনা?
রেদোয়ান : দাদা মামনিকে টানছো কেন?
কামরান : তো কি করবো? ও চৌধুরী বাড়ির বউ। আর চৌধুরী বাড়ির বউ হয়ে ও এ বাড়িতে এসে সবার সাথে ঈদ পালন করবেনা?
রেদোয়ান : দাদা ও তো না করেনি।
কামরান : তাহলে?
রেদোয়ান : দাদা মামনির vertigo আছো। long journey করতে পারেনা। আর ওর পাসপোর্ট ও নেই flight দিয়ে আসবো।
কামরান : আমি কিছু বুঝিনা। আজকে পৌছাতে পারোনি fine… but কালকে আমি তোমাকে বাড়িতে দেখতে চাই with others & ছোটবউমা ( মোহনা)।
রাতে রওনা দিয়ে দিয়ো। রাখছি।
কামরান রেখে দিলো।
রেদোয়ান : ধ্যাত।
সাগর : কি হলো বাবা চিন্তিত লাগছে তোমাকে।
রেদোয়ান সবটা বলল।
সাগর : তুমি আর মামনি চলে যাও।
শিখা : ৬-৭ঘন্টারই তো ব্যাপার। আর মিষ্টির কথা ভেবে রাস্তায় break নিয়ে নিবো। দেখো আমি চাইনা ওকে নিয়ে আর কোনো ঝামেলা হোক। এমনিতেই ও অনেক কষ্ট পেয়েছে । যদি কালকে না পৌছাই মিষ্টিকে নিয়ে না হলে দাদা ক্ষেপে যাবে। আর কারন হবে মিষ্টি।
সাগর : ঠিকই বলছো।
রাতে ওরে রওনা দিলো। ৩-৪বার পথে break ও নিয়েছে । কিন্তু তবুও মোহনা অসু্স্থ হয়ে গেছে। কঅজ্ঞান হয়ে গেলো। সাগর ওর জ্ঞান ফিরালো। আবার break নিলো। এরপর সাগর মোহনার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। মোহনা ঘুমিয়ে গেলো।
.
সকালে…
ওর পৌছালো। মোহনা এখনও ঘুম। ভীষন ক্লান্ত বলে মোহনাকে আর ডাকা হলোনা। সাগর মোহনাকে কোলে তুলে নামালো। সবাই দারিয়ে আছে মোহনাকে welcome করার জন্য । দীদা আর বড়কাকী নতুন বউকে বরন করার জন্য বরনডালা নিয়ে দারিয়ে আছে । কিন্তু মোহনা ঘুম। যা দেখে কামরান তো ক্ষেপে গেলো।
সাগর : কাকা কাকা কাকা… রাগ করোনা প্লিজ। ও অসুস্থ হয়ে পরেছে। বোঝার চেষ্টা করো।
আশা ( মিসেস কামরান ) : উফফ… রাগ কমাও তো। সাগর-মোহনা একসাথে ভেতরে ঢোকাই তো fact তাইনা ? দেখো তো একসাথেই তো ২জন ঢুকবে।
আশা ২জনকে বরন করে নিলো।
সাগর : love u কাকীমা…
.
বেলা ১০টা…
মোহনার ঘুম ভাঙলো। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। উঠে বসলো।
আর তখন শুনতে পেলো : বাবাগো বাবা… অবশেষে তুমি উঠলে? তুমি তো অনেক ঘুমাতে পারো নুতুন কাকীমনি…
মোহনা ওই দিকে ঘুরলো। দেখলো ১টা ছোট cute পরী বসে আছে। নাম চিনি। মোহনা ওকে এর আগে ছবিতে দেখেছে। আজকে সরাসরি দেখলো। চিনি হলো কামরান চৌধুরীর বড় ছেলে রুবেলের মেয়ে। মোহনা চিনির গাল টেনে কপালো চুমু দিয়ে
বলল : তাই বুঝি?
চিনি : হামম। আমি তো ভেবেছি তুমি উঠবেই না।
মোহনা : বলে কি? এতো কিউটি পিউটিটার সাথে খেলা করতে হবেনা? আর চিনি মনি তো খেলতে ভালোবাসে আমার মতো।
চিনি : তুমি দেখি আমার নামও জানো আর যে খেলতে ভালো লাগে তাও জানো। কিন্তু কিভাবে?
মোহনা : কারন তুমি চিনি আমি মিষ্টি। তাই।
চিনি : তাহলে তোমাকে আমি মিষ্টিমনি ডাকি?
মোহনা : okk…
তখন চিনির মা বর্ষা এলো।
বর্ষা : কাকীমনিকে যে মিষ্টি মনি ডাকবে তোমার দাদুভাই যদি রাগ করে?
চিনি : মামনি… দাদুভাইকে আমি manage করে নিবো।
বর্ষা : আচ্ছা সেটা করো। কেমন লাগছে এখন মোহনা।
মোহনা : জী ভাবি ভালো।
বর্ষা : কতোদিন পর তোমাকে দেখলাম। এখন ১কাজ করো এখন চট জলদি রেডি হয়ে নাও । শশুড়মশাই হেব্বি ক্ষেপে আছে।
মোহনা : সত্যি? এখন?
বর্ষা : কিছুই না। আব্বার দুর্বলতা তোমার awwe ki cute হাসিটা…
মোহনা : 😁😂।
.
মোহনা রেডি সেডি হয়ে নিচে গেলো। বড়দের কে সালাম করে সেলামি নিলো। তখন দেখলো কামরান বাড়ির ভেতরে ঢুকছে । ছুটে গেলো তারকাছে । দুম করে সালাম করলো ।
কামরান : 😒।
মোহনা : angry llloook দিয়ে লললাভ হবেনা। সেলামি পাওয়া আমার জন্মগত অধিকার।
কামরান হাহা করে হেসে উঠলো….
.
চলবে….