তোকে চাই

তোকে চাই !! Part- 35

আর তোমার কিউট ফেসটা দেখলেই গাল দুটো টেনে লাল করে দিতে ইচ্ছে করে।(গাল টেনে)

কথাটা বলেই আমার হাত থেকে ছবিটা নিয়ে বেডের উপর দেয়ালে ঝুলিয়ে দিলেন,,,”নাও,,পার্ফেক্ট।”

আচ্ছা আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি??

হুম বলো,,(বিছানা থেকে নামতে নামতে)

সাহেল ভাইয়া যে আমার জন্য বিয়ের প্রপোজাল দিয়েছিলো,,আপনার রাগ লাগে নি??এতো কুল ছিলেন যে??

আমার কথা শুনে উনি মুচকি হেসে একদম আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন,,,আলতো হাতে নাক টেনে দিয়ে বলে উঠলেন,,

কি করবো বলো?সুন্দরী বউ থাকলে এসব প্যারা তো সামলাতেই হবে,,,কিন্তু আমি একটা বিষয় বুঝতে পারছি না,,,

কি?(ভ্রু কুঁচকে)

সাহেল তোমার প্রেমে কিভাবে পড়লো??তোমার মধ্যে তো প্রেমে পড়ার মতো কিছু নেই,,

হোয়াট,,,আপনি আমাকে আন্ডারেস্টিমেট করছেন??কি মনে করেন আপনি নিজেকে হুম হুম??(রাগী গলায়)

আরে আন্ডারেস্টিমেট কেন করবো??যা সত্যি তাই,,সব মেয়েকে দেখে তো আর প্রেমে পড়া যায় না,,,কিছু স্পেসিফিক মেয়ের উপর ছেলেরা প্রেমে পড়ে,,,লাইক,,যে মেয়েদের দেখলে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,,,উফফ সো হট,,,সেক্সি,,,ওসব মেয়েদের উপর প্রেম প্রেম ভাবটা ঝাঁকিয়ে বসে,,,বাট তুমি তো ওমন না,,,

ছিহ,,,কথার কি ছিড়ি,,,তো আমি কেমন শুনি??(রাগী গলায়)

তুমি টোটালি রসগোল্লা টাইপ,,,এই টাইপের মেয়েদের দেখলে প্রেম না,, আদর আদর ভাব আসে।।কিছু বাচ্চা আছে না?যাদের দেখলেই গাল টেনে বলতে ইচ্ছে করে,,বাবু আইসক্রিম খাবে??তুমি ঠিক ওই টাইপ,,,(দাঁত কেলিয়ে)

আপনি আমাকে ইন্ডাইরেক্টলি অপমান করছেন?(ভ্রু কুঁচকে)

এই যে,, এই লুকটা,,এই যে এখন তুমি ভ্রু কুঁচকে,, ঠোঁট উল্টে,,মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছো।।আর তোমার এই গুলুমুলু গালের পাশ দিয়ে কিছু চুল এসে পড়েছে,,,কতোটা কিউট লাগছে জানো??দেখলেই ইচ্ছে করে,,গাল দুটো টেনে দিয়ে,,একদম কামড়ে খেয়ে ফেলি,,,,

কিহ??কি বললেন??(অবাক হয়ে)

আব,,আব,,,ওয়াশ,,ওয়াশরুম,,ফ্রেশ হয়ে আসি,,বাইরে থেকে আসছি তো শরীর কামড়াচ্ছে,,

কথাটা বলেই উনি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলেন,,,আমার তো হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাওয়ার অবস্থা,,বেচারা নিজে বলে নিজেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছেন,,হিহিহিহি।।। উনি ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই আমি মুখ চেপে হাসতে লাগলাম,,,আমার এক সমস্যা একবার হাসি শুরু হলে কিছুতেই থামতে চায় না।।।উনি ভ্রু কুঁচকে রাগী গলায় বলে উঠলেন,,

কি সমস্যা??হাসছো কেন??

নাহ এমনি,,,,আমিও তো বাইরে থেকে আসলাম,,,আপনার শরীর কামড়াচ্ছে আর আমার কাতুকুতু লাগছে।।।

বলেই একপত্তন হেসে নিলাম আর উনি অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।।

দুপুর ২ টা,,, মামানি আর আপু খাবার টেবিল সাজাচ্ছে,,,আমি দিদার সাথে বসে দুষ্টামো করছি,,,দাদুভাই নাকি হেব্বি রোমান্টিক ছিলো,,,দিদা এখনো দাদুভাইকে আগের মতোই ফিল করে,,,মামানির জন্মের কিছুদিন পরই দাদু মারা গেছে তবু দিদার ভালোবাসা এক বিন্দু কমে নি।।একেই হয়তো বলে ভালোবাসা।।একটু পরেই গজগজ করে হাজির হলেন ঘষেটি বেগম,,,আই মিন আমাদের খালামনি।।আমাকে বসে থাকতে দেখেই যেনো তার পিত্তি জ্বলে গেলো,,,কিছু বলতে গিয়েও শুভ্রকে নামতে দেখে থেমে গেলেন,,মহিলার পেটের আজ ভাত হজম হবে কি না কে জানে??খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুভ্রর পেছনে লাগলাম,,,আমার এক কথা আমাকে আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে নয়তো আমি একাই চলে যাবো,,,ব্যস।।।শেষমেষ বাধ্য হয়ে উনি রাজিও হয়ে গেলেন,,,পার্কের পাকা রাস্তা ধরে দুজন পাশাপাশি হাঁটছি।।।আমার মেজাজ ফুরফুরে থাকার কথা বাট আমি চরম বিরক্ত।।বেশকিছু মেয়ে বার বার ঘুরে ঘুরে উনার দিকে তাকাচ্ছে আর ফিসফাস করছে।।।উনার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই,,,তিনি তো আছেন আমার পায়ের নিচে কোন ইট পড়ছে কিনা,,কোন কাঁটা পড়ছে কিনা সেটা নিয়ে।।বিরক্তিকর।। কি দরকার ছিলো এতো ড্যাশিং সেজে আসার??আবার নেকামো হচ্ছে,,,ইচ্ছে করছে,,,এই সিল্কি গোছালো চুলগুলো এলোমেলো করে দিই,,,হুহ।।আর মেয়েগুলোও কি বেহায়া রে বাবা,,,অন্যের জামাইয়ের দিকে নজর দিস,,চোখ ফুটো হয়ে যাবে।।।এজন্যই বাবাকে বলেছিলাম,,,সুন্দর ছেলে বিয়ে করবো না,,,বাট আব্বু সেই সাদা বিলাই দেখেই বিয়েটা দিয়ে দিলেন।।।উনি আইসক্রিম আনতে গেলেন আর আমি চুপচাপ পার্কের এক বেঞ্চে বসে আছি,,শুভ্র আমাকে সাথে নিতে চেয়েছিলো,, আমিই মানা করে দিয়েছি,,সেখানেও নিশ্চয় মেয়েরা “হা ” করে উনার দিকে তাকিয়ে থাকবে তা আমার সহ্য হবে না।।তারচেয়ে আমি এখানেই ঠিক আছি।।প্রায় বিশ মিনিট হয়ে গেলো উনার খবর নেই,,এতোক্ষণ লাগে নাকি??আবার কোনো মেয়ে আমার বরকে নিয়ে পালালো না তো??খুবই চিন্তার বিষয়,,,তাই আমিও হাঁটা দিলাম,, দেখি আমার লাল টুকটুকে বর কার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে আছেন।।কিছুদূর গিয়েই উনাকে দেখতে পেলাম,,,কারো সাথে কথা বলছেন।। আরেকটু কাছাকাছি যেতেই বুঝলাম লোকটা আর কেউ না সাহেল ভাইয়া,,,আমি আর এগুলাম না,,,একটু সরে এসে দাঁড়ালাম যেনো আমাকে দেখতে না পান।।উনার সামনে যাওয়াটা এখন আমার জন্য বেশ লজ্জার।।উনাদের কথাগুলো বেশ সহজেই আমার কানে আসছে,,,

শেষ বাজিটায় তুইই জিতে গেলি শুভ্র,,,মনে আছে?ছোটোবেলা আমাদের দুজনের একটা খেলনায় পছন্দ হতো অলওয়েজ,,,সবাই বলতো আমরা বউও সেই একই পছন্দ করবো নির্ঘাত,,দেখ তাই হলো।।

এটা কোনো বাজি না সাহেল,,আর না রোদ কোনো খেলনা।।।ও আমার স্ত্রী,, সেটা তোর উপস্থিতির আগেও ছিলো,,এখনো আছে,, আর ভবিষ্যতেও থাকবে।।তুই ভুল মেয়েকে চুজ করেছিস।।

হুমমম,,,সেই,,জীবনে আমরা যা চুজ করি,,সবই হয়তো দামী নয়তো অন্যকারো।।রোদ তো দুটোই দামিও আবার অন্যকারোও।।কিন্তু কি জানিস??মনকে বোঝানো শক্ত,,,শী ইজ মাই ফার্স্ট লাভ।।প্রথম দেখাই ভালোবেসে ফেলেছিলাম,,,উইথআউট নোয়িং হার আইডেন্টি।। একটা মেয়ে রাস্তায় গাল ফুলিয়ে বসে আছে,,সোডিয়ামের আলোয় বাচ্চা বাচ্চা চেহারাটা কি মায়াবীই না লাগছিলো।।ইসসস আই ওয়াজ স্টাক।।বাট ওইযে নিয়তি।।

আমার সামনে আমার বউয়ের এমন মধু মাখানো বনর্না দিস না দোস্ত রাগ লাগে।।।

হাহাহাহা,,,তাও তো ও তোর রে,,,ইসস আজ বড্ড আফসোস হচ্ছে,, নীলিমা বেঁচে থাকলে ভালো হতো এট লিস্ট আমি রোদকে তো পেতাম,,,আই মেডলি লাভ উইথ হার।।

সাহেল ওকে ভুলে যা,,,সেটাই তোর জন্য ভালো হবে,,,,

আমি বাধ্য,,জানিস,,আমি রোদকে তোর থেকে কেড়ে হলেও নিজের করে নিতাম যদি রোদ তোকে ভালো না বাসতো।।ও তোকে ভালোবাসে,,এটা আমার জন্য বড় বাঁধা,,আর যায় হোক ভালোবাসা জোড় করে হয় না।।।আর ভালোবাসার মানুষটিকে কাঁদতে দেখতে পারার এভিলিটি রাখতেও বুকের পাটা লাগে,,আমার তা নেই।।নেভার মাইন্ড হ্যাপি থাক,,,আমার জন্যও হয়তো কেউ আছে,, রোদকে ভুলিয়ে দিতে ঠিক চলে আসবে,,,(মুচকি হেসে)

আই অলসো থিংক সো,,,আচ্ছা বাই রে,,রোদ একা আছে।।

ওহ ওকে,,যা বাই,,আমি কিন্তু রিভেন্জ নিবো,, দেখিস তোর ছেলে নির্ঘাত আমার মেয়ের প্রেমে পড়বে,,তখন আমি ভিলেন হবো,,,হাহাহাহা এতো সহজে ছাড়ছি না।।।

সাহেল ভাইয়ার কথায় উনাদের সাথে আমারও হাসি পেয়ে গেলো,,,আমিও দোয়া করি,,কেউ একজন আসুক উনার জীবনে,,,তারপর না হয় আমার ছেলের কথা চিন্তা করে দেখা যাবে।।।


রাত প্রায় ১১ টা বাজে,,আমার প্রবল ইচ্ছে হচ্ছে আপুর কাছে যেতে,,কতোদিন রাত জেগে গল্প করা হয় না।।মাঝরাতে উঠে বসে আপুকে ডেকে তুলে বলা হয় না,,,”এই আপু,, ঘুমাইছো??চলো গল্প করি।।”আপুও সদ্য ঘুম ভাঙা গলায় বিরক্তি দমন করে বলতো,,,”রোদ প্লিজ ঘুমাতে দে”।।আমি আবারো বলে উঠতাম,,,”আমার পেটে গল্প কিলবিল করছে,,তুমি কতোদিন পর আসো চলো গল্প করি।”ছোট বোনের মন ভাঙার মতো মন আপুর না থাকায় ঘুম ঘুম চোখে বলতো,,”আচ্ছা বলে যা,,আমি শুনছি।” আজও আপুকে বেশ বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছে।।ইচ্ছে যখন করছে তো বসে থেকে লাভ কি??পা টিপে টিপে চলে গেলাম আপুর রুমে,,,ঢুকেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম,,,ভাইয়া আর আপুর রোমান্স টাইম চলছিলো,,এতো রাতে রোমান্স চলাটায় স্বাভাবিক,,,বরং আমার এখানে আসাটা অস্বাভাবিক,,,, সবাই তো আর শুভ্র না যে রাত দুপুরে বই আর খাবার নিয়ে টর্চার করতে চলে আসবে,,অবশ্যই রোমান্স করবে।।।

উহুম উহুম,,,কি গো ভাইয়া রোমান্স চলে??

আমার কন্ঠ শোনে বিদ্যুৎ বেগে ভাইয়া আপুর কোল থেকে উঠে গেলে,,,বেচারা একদম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে বাট আমার ব্যাপক হাসি পাচ্ছে।।কোনো রকম মাথা চুলকে বলে উঠলেন,,,”আরে রোদ??আসো আসো।”

আপনি না বললেও আসতাম,,,(দাঁত কেলিয়ে)

ভাইয়াও মুচকি হেসে বিছানায় বসে পড়লেন,,,আপুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,”জানিস তোকে খুব মিস করছিলাম,,কতোদিন একসাথে থাকি না।।”

আমিও,,তোর এতো গল্পগুলো পেটে কিভাবে রেখেছিস??ফেটে যায় না পেট??(পেটে গুঁতো দিয়ে)চল,,আজ তোর সব গল্প শুনবো,,,

সত্যি??(খুশি হয়ে)

হুমম,,,

তাহলে ভাইয়া??আপনি আপনার ভাইয়ের কাছে চলে যান,,আমি আমার বোনের কাছে ঘুমাবো,,,(দাঁত কেলিয়ে)

মানে কি??(করুন গলায়)

ভাইয়া,,,দেখুন আমি কিন্তু আপনার একমাত্র ফুপাতো বোন,,আরেকজন তো বউ হয়ে গেছে,,,আবার একমাত্র শালী,,,একমাত্র ভাইয়ের একমাত্র বউ,,আপনার হবু বাচ্চার একমাত্র খালামনি এবং একমাত্র কাকিমনি,,,,আমি এত্তো স্পেশাল একটা মানুষ আর আপনি আমার জন্য এটুকু করতে পারবেন না???(মুখ গোমড়া করে)

ভাইয়া পড়েছেন ফেসাদে,,হ্যা আমার কথা ১০০%ঠিক,,কিন্তু বউ ছাড়া যে উনার ঘুম হবে না এটাই ঠিক।।কি বলবেন কিছু ভেবে পাচ্ছেন না,,ঠিক তখনই দরজা থেকে আমার গুণোধর স্বামী বলে উঠলেন,,,

সেটাই তো,,,বউ মনি?? আমি তোমার একমাত্র মামাতো ভাই,,,অন্যজন তো তোমার বর হয়ে গেছে,,আবার একমাত্র দেবর,,একমাত্র ছোট বোনের একমাত্র জামাই,,,তোমার হবু বাবুর একমাত্র খালুমশাই এমনকি একনাত্র চাচ্চু,,,,সো আমার ব্যাপারটাও দেখো,,আমিও কম স্পেশাল না,,,,(বিছানায় বসতে বসতে)

আপনার কি চায়??(ভ্রু কুঁচকে)

কি আর চাই??বউ চাই,,,বউমনি আমার বউটাকে দিয়ে দেও,, নিয়ে চলে যাই,,,আমার জন্য এটুকু তো করতেই পারো,,,

হ্যা সেই ভালো,,,তুই তোর বউ নিয়ে যা,,আমি বরং আমার বউ,,,

আপনি চুপ করেন দুলাভাই,,,আমি কোথাও যাচ্ছি না,,,আমি আপুর সাথেই ঘুমাবো ব্যস(সোজা হয়ে বসে)

ওকে তাহলে আমিও এখানেই ঘুমাবো,,,,

হোয়াট???পাগল হয়ছেন আপনি??(অবাক হয়ে)

কেন??এখানে আমার বউ,, ভাবি,,বোন সবই আছে,, সো এখানে থাকার পুরো অধিকার আমার আছে,,,,(আমার গাঁ ঘেষে বসে)

তাহলে আমিও এখানে থাকবো,,,এখানে আমার বউ,,বোন,,শালী,,ভাইয়ের বউ,,ভাই সবই আছে,,সো আমার তো থাকার অধিকার বেশি বেশি আছে,,,(আপুর গা ঘেঁসে বসে)

অল দ্যা বেস্ট ভাইয়া,,,(দাঁত কেলিয়ে)

থেংকিউ,,

এদের পাগলামোতে হাসবো না কাঁদবো উফফপ,,আপুও দেখি মুখ টিপে হাসছে,,হোয়াট দ্যা হেল,,,

আপনি যাবেন এখান থেকে??(রাগী গলায়)

হুম যাবো তো,,,

তো যান না,,,বসে আছেন কেন???(চিৎকার করে)

ওকে,,,

বলেই উনি উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা দিলেন,,,”আরে আরে,,,আমি কেনো??”।।”তুমি কারন আমি গেলে তোমাকেও যেতে হবে,,,বিয়ে কি তোমার বোনের সাথে ঘুমানোর জন্য করেছি নাকি??”

দেখুন এটা একদম ঠিক না,,নামান বলছি,,,

নামাবো,,একদম বিছানায়,,,

আপনি আসলেই খারাপ,,,থাকবো না,,,কালই আব্বুর কাছে চলে যাবো,,(মুখ ফুলিয়ে)

বলেছি না,,,একবছর বাপের বাড়ির নাম মুখে নিবা না,,,

শুধু মুখে না,,,সশরীরে সেখানে চলে যাবো,,,মামুকে বলে চলে যাবো,,,দেখি আপনি কিভাবে আটকান,,,

কথাটা বলা শেষ করার সাথে সাথে উনি আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে গলায় কামড় দিয়ে দিলেন,,,তাও একটা না তিন তিনটি,,,

আউচ,,,আআআআআআআআহহহ,,,, আপনি রাক্ষস নাকি??কামড়াচ্ছেন কেন???(রাগী গলায়)

এবার যাও বাপের বাড়ি,,,ঘর থেকেই বের হতে পারবে না,,পুরো গলায় কামরের দাগ,,,,(বাঁকা হাসি দিয়ে)

আমি মামুকে বলে দিবো,,,(মুখ ফুলিয়ে)

কি বলবা??যে তোমার ছেলে রাতে আমায় কামড় দিয়েছে,,,হা হা হা,,,বাবাকে বলতে পারবে সিউর??(চোখ টিপে)

আপনি আসলেই অসভ্য,,,জানেন কতোটা পুরাচ্ছে???(কান্না করে দিয়ে)

আরে,,,এটুকুর জন্য কান্না করা লাগে??ছিচঁকাদুনে,,,

আমি ছিঁচকাঁদুনে?? বেশ তো,,দেখাচ্ছি মজা,,আপনার কি মনে হয়,,,আমি ঘরে বসে থাকবো আর আপনি দাঁত কেলিয়ে ঘুরে বেড়াবেন তা আমি হতে দিবো???নো নেভার,,,

কথাটা বলেই উনার কলার টেনে,,,একটা কামড় বসিয়ে দিলাম উনার ঠোঁটে,,,এখন বুঝো,,😉

#চলবে