ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 20

মেরিন ওদের কথাবার্তায় যেটা বুঝলো সেটা হলো এই যে ওরা ৩জন মিলে ওর বাবাকে মেরে ফেলতে চায় ।
মেরিন : ওরা আমার বাবাকে মেরে ফেলবে। আমি কি করবো ? আমি তো ছোটোমানুষ …
তখন দেখলো আরফান গাড়িতে উঠলো ।
মেরিন : নকল বাবা এখানে আসছে কেন ? আমি লুকিয়ে পরি …
মেরিন চুপ করে বসে রইলো যেন আরফান না দেখতে পারে । আরফান বাসায় গেলো । বাসায় পৌছাতেই মেরিন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে কনিকার কাছে গেলো । মেরিনকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে আরফান বেশ চমকে গেলো ।
.
মেরিন : আম্মু …. আম্মু …. ও আম্মু …
কনিকা : কি হয়েছে আমার ময়না বাচ্চাটার? আর কোথায় ছিলে ? নীড় ওরা কখন থেকে তোমায় খুজছিলো …
মেরিন : আম্মু জানো …
কনিকা : কি জানবো মামনপাখি ?
মেরিন : এই বাবাটা না আমার বাবানা। এটা নকল বাবা । আসল বাবাকে না এই নকল বাবা , খালামনি আর খালু আটকে রেখেছে ।
আরফান দরজার আড়াল থেকে সব শুনছে ।
আরফান : এই পিচ্চি তবে সব দেখে নিয়েছে? এখন কি হবে ?
কনিকা হাহা করে হাসতে লাগলো।
কনিকা : ওরে পাকুন্নি … এমন fantasy কিভাবে মাথায় এলো ? বুঝেছি বাবার সাথে দিনরাত cid দেখা হয় তো। তাই এগুলো মাথায় আসছে …. তাইনা ?
মেরিন : না না আম্মু … আমি সত্যি বলছি …
কনিকা : হামম বুঝলাম তো আপনি কেমন সত্যি বলছেন … হাহাহা…
আরফান হাফ ছেরে বাচলো ।
আরফান : কি হলো কনা ? এতো খুশি যে …?
কনিকা : দেখোনা কবির তোমার বাবুইপাখিকি বলছে ?
আরফান : কি বলছে ?
কনিকা : বলছে তুমি নাকি নকল বাবা । আর আসল বাবাকে নাকি তুমি আপু আর দুলাভাই মিলে আটকে রেখেছো। হাহাহা …
আরফান : হাহাহা … এখনও রাগ যায়নি ?
কনিকা : রাগ মানে?
আরফান : রাগ মানে সে আমার সাথে বাহিরে গিয়েছিলো । সেখানে দেখেছে কয়েকটা বাচ্চা কাদার মধ্যে লাফালাফি করছে । তো তিনিও করবে। করতে দেইনি বলে নকল বাবা নকল বাবার ধুম উঠেছে । হাহাহা … তাই না বাবুইপাখি…
মেরিন : তুমি আমার বাবা না …
বলেই মেরিন দৌড়ে চলে গেলো ।
আরফান : মামনি … মামনি… যাহ চলেই গেলো …
কনিকা : আসলে ১ম বার তোমার কাছ থেকে “না” কথাটা শুনলো তো তাই ক্ষেপে গিয়েছে।
আরফান : হামম সেটাই ।
কনিকা : এ কারনেই মাঝে মাঝে বাচ্চাদের শাসন করতে হয়।
আরফান : আমার মেয়ে কি বেয়াদব নাকি যে শাসন করতে হবে? 😏।
কনিকা ; হায়রে আমার মেয়ে ওয়ালারে ….
.
আরফান মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মেরিনকে ভোলাতে চাইলো । কিন্তু পারলোনা । মনির-সেতু ওরাও চেষ্টা করলো । কিন্তু পারলো না। মেরিন ওদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে লাগলো । যে কারনে কনিকা বকতো মেরিনকে । ১দিন তো মেরিনকে থাপ্পরও দিলো। যার জন্য মেরিন মায়ের ওপরও রাগ করলো। ওর মনে হতে লাগলো আম্মুও নকল আম্মু … ও নিহাল-নীলিমাকেও নকল বাবা আর আম্মুর কথা বলল। প্রথমে নকল বাবা পরে নকল আম্মুর কথা শুনে কেউ ওর কথা বিশ্বাসই করলোনা । নিহাল যাও নকল বাবার কথায় গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলো পরে নকল আম্মু শুনে আর গুরুত্ব দিলোনা । মেরিনের কথা কেউ বিশ্বাস না করাতে মেরিন সবার সাথেই রাগারাগি করতে লাগলো । উগ্র হতে লাগলো ওর ব্যাবহার । তাই ঠিক করলো যে মেরিনের মনটা ভালো করার জন্য হাওয়াবদল করবে । সবাই মিলে কিছুদিনের জন্য কক্সবাজার যাওয়ার plan করলো। ঠিক করলো যে ৭দিন পর সবাই মিলে কক্সবাজার যাবে । তবুও মেরিনের মুখে হাসি ফুটলোনা ।
এদিকে আরফান সব সম্পত্তি নিজের নামে নেয়ার will তৈরী করেছে। যারজন্য মনিরদের মাথা নষ্ট । ওদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে গেলো । ওরা জানেই না যে সবকিছু মেরিনের নামে।

the teenager নীড় : বনপাখি তো আমার বউই … আর ওকে আমি ভালোওবাসি । মুভিতে যে দেখায় যাকে ভালোবাসি তার নামের ট্যাটু করায় । বা তার নাম হাত-পা কেটে লিখে … আমিও লিখবো। কিন্তু আমি তো নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন … আমি একটু different … তাই আমি বুকে লিখবো … “বনপাখি” 😍।
যেই ভাবা সেই কাজ । নীড় ওর টুনি ট্যাক বন্ধুদের সাথে নিয়ে “বনপাখি” নাম বুকে লিখিয়ে এলো। ভালোবাসা আকাশে-বাতাসে ।
নীড় : কক্সবাজার গিয়ে বনপাখিকে surprise দিবো। 💖💖💖।
.
৭দিনপর…
সবাই কক্সবাজার পৌছালো। আনন্দ করতে লাগলো । কিন্তু ছোট মেরিনের মনে তো আতঙ্ক । এদিকে মনির জেনে গিয়েছে যে সব সম্পত্তি মেরিনের নামে।
মনির : আরফান… যতোই উরাউরি করো লাভ নেই । খান সম্রাজ্ঞ কখনোই তোমার হবেনা । কারন সব সম্পত্তি মেরিনের নামে। ওর ১৮ বছর হলেই সব power পেয়ে যাবে।
আরফান : তো? মেরিন তো আমারই মেয়ে । তাইনা । যা মেয়ের তাইই বাবার…
সেতু : ভুলে যেওনা যে তুমি duplicate ….
আরফান : সেটা তোমরা ২জন জানো দুনিয়া না ।
মনির : দেখো … বারাবারি করোনা । আমরা ২জন মিলেই সব ভোগ করতে পারি । না হলে কিন্তু…
আরফান : না হলে কিন্তু ?
মনির : আমরা তোমাকে expose করে দিবো ।
আরফান : really … আমাকে expose করলে আমি কি তোমাদের ছেরে দিবো । তোমরা যে কবিরকে বদ্ধ উন্মাদে পরিনত করেছো সেটা যে আমি ফাস করে দিবো।
মনির-সেতু : so… আমার সাথে কোনো চালাকি নয়…. যাই আমি আমার বউয়ের কাছে যাই। ও হ্যা আমি কনিকাকে বিয়ে করবো। খুব শীঘ্রই … 😏 …
বলেই আরফান চলে গেলো ।
সেতু :এর পাখা গজিয়ে গিয়েছে মনির …
মনির :সেটাই তো দেখছি । এর পাখাটা কেটে দিতে হবে।
সেতু : কিভাবে?
মনির : পৃথিবী থেকে বিদায় দিয়ে …
সেতু : আল্লাহ বলছো কি ? পুলিশ …
মনির : i have a plan dearling…

পরদিন…
বিকালে …
নীড় : বনপাখি… বনপাখি … মামিমনি বনপাখি কোথায়?
কনিকা : না বাবা ।
নিলয় : ওকে তো গার্ডেনের ওখানে যেতে দেখলাম ।
নীড় : হামম।
সেতু : এই মেরিন ..
মেরিন …
মেরিন : তুমি পচা…তুমি আমার বাবাকে আটকে রেখেছো ।
সেতু : বিশ্বাস করো খালামনি কিছু করিনি… আমি তো তোমাকে তোমার বাবাকে তোমার কাছে নিয়ে এসেছি ।
মেরিন : সত্যি?
সেতু : আস্তে… ওই নকল বাবা শুনে ফেলবে।
মেরিন : ok… কোথায় বাবা…?
সেতু : চোখ বন্ধ করো … surprise …
মেরিন : ok…
সেতু : খালামনি বলার আগে চোখে মেলবেনা । কেমন ?
মেরিন : হামমম।
সেতু মেরিনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে নিয়ে গেলো ।
সেতু : মামনি তোমার হাতটা দাও।
মেরিন দিলো ।
সেতু : নাও এটা ধরো …
মেরিন : এটা কি?
সেতু : যতো শক্তি আছে সব শক্তি দিয়ে এটা ধরে রাখো ।
মেরিন : কেন?
সেতু : কারন তা না হলে আসল বাবা আসবে না ।
মেরিন : ওহ…. ok…
সেতু : এখন 1 to 100 গুনতে থাকো। গুনে চোখ মেলবে আর বাবাকে পাবে। সত্যি বলছি ।
মেরিন : হামম।

মেরিন গুনতে লাগলো ।
আসলে মনির আরফানের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে । মেরে ফেলেছে । আর ছুরিটা শরীরেই রেখে দিয়েছে । আর মেরিনের সামনে ওই ডেড বডি বসানো অবস্থায় রেখেছ। আর পেটে লাগানো ছুরিটার হ্যান্ডেল মেরিনের হাতে রেখেছে । নিলয়ও কৌশল করে নীড়কে বাগানে পাঠিয়েছে । নীড় এসে দেখলো মেরিন কবিরের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রেখেছে ।
নীড় : মামা…📢📢📢…
মেরিন চমকে উঠলো। চোখ মেলে ওই ছুড়ির হ্যান্ডেল ধরে রেখেই নীড়ের দিকে তাকালো । নীড়ের এমন চিৎকার শুনে সবাই ছুটে এলো । এসে দেখে এমন অবস্থা । সবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো । মেরিন যখন নিজের সামনে তাকিয়ে অমন দৃশ্য দেখলো তখন “আ” বলে চিৎকার করে উঠলো। অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
কনিকা অনেক কান্নাকাটি করে পরে নিজেকে শক্ত করে নিজেই পুলিশ ডেকে মেরিনকে arrest করিয়ে দিলো। মেরিন হাজারবার বলল যে ও আমার বাবানা.. আমি ওকে খুন করিনি । কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি । পুলিশ মেরিনকে child counciling এ নিয়ে গেলো ।
নিহাল : ভাবি মেরিনকে …
কনিকা : জেলে পাঠানো হবে । তা না হলে ওর কলিজা বড় হয়ে যাবে । মনে করবে যে খুন করে বেচে গিয়েছি ।কেউ আমার কোনো কিছু করতে পারবেনা। সমাজের জন্য হানিকর হবে ।
নিহাল : কিন…
কনিকা : কোনো কিন্তুনা। শিশু শাস্তির মধ্যে সর্বোচ্চ যে শাস্তি, সবথেকে বড় যে শাস্তি সেটাই ওকে দেওয়াবো আমি ।
কনিকা নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলো । মেরিনকে ৭বছরের কারাদন্ড দেয়া হলো। শিশুজেলে পাঠানো হলো । নীড়ের মনে ১টা ঘৃণা জমে গেলো মেরিনের জন্য । ঘৃণার মেরিন হওয়ার ধাপ শুরু হলো । দাদুভাই হজ্জ করে এসে সব শুনে তো অবাক। ছুটে গেলো জেলে ।
মেরিন : দাদুভাই আমি কিছু করিনি দাদুভাই …. বিশ্বাস করো আমি কিছুই করিনি … আর ওটা আমার বাবাও ছিলোনা … ও দাদুভাই আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলোনা। আমার অনেক ভয় করে। ঘুম আসেনা । এখানে সব আপুরা না অনেক পচা । আমাকে মারে ভয় দেখায়। এখানে না অনেক পোকা মাকর আছে । ইদুর তেলাপোকাও আছে । চকোলেট ice cream দেয়না। পচা খাবার দেয়। বেড নেই । ও দাদুভাই আমাকে নিয়ে চলোনা ।
দাদুভাই : হামম দিদিভাই । তুমি চিন্তা কোরোনা ।
দাদুভাই অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু কনিকা আর নীলিমার জন্য মেরিনকে বের করতে পারলোনা । নীলিমা চৌধুরী পাওয়ার ব্যাবহার করলো ।

কিছুদিনপর …
দাদুভাই আবার জেলে গেলো ।
মেরিন : দাদুভাই তুমি আমাকে নিয়ে যেতে এসেছো … 😃…
দাদুভাই : না…
মেরিন : কেন? আমি যাবো দাদুভাই… ও দাদুভাই … আমি যাবো।
দাদুভাই : শোনো …
মেরিন : না আমি যাবো ।
দাদুভাই : দিদিভাই …
মেরিন : আমি যাবো।
দাদুভাই ধমক দিয়ে বলল : বলেছিনা শোনো …
মেরিন চমকে গেলো ।
দাদুভাই : আমি যা বলছি ভালোমতো শোনো ।
মেরিন : ….
দাদুভাই : এটা তোমার জন্য জেল না। এটা তোমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে তুমি বাকি বাচ্চাদের মতো study তো করবে । কিন্তু কেবল study করলেই হবেনা। টপার হতে হবে ।
মেরিন : ….
দাদুভাই : study এর বাইরে তুমি এখানে আরো অনেক কিছু শিখবে ।
মেরিন : …
দাদুভাই : তুমি এখানে ভয়কে জয় করতে শিখবে … নিজেকে শক্ত করতে শিখবে । মেরিন বন্যা খান থেকে সের খান হবে । সের কাকে বলে জানো? সিংহকে । সিংহ হলো বনের রাজা। হতে পারো তুমি মেয়ে । কিন্তু নিজেকে ছেলেদের মতো করে গরে তোলো । ছেলেদের থেকেও strong হিসেবে নিজেকে বানাও । কেউ তোমাকে ১টা কাটার আঘাত দিলেও তাকে তুমি ছুড়ির আঘাত দিবে । কেউ তোমাকে ১টা ঘুষি দিলে তুমি তাকে ১০টা ঘুষি দিবে। তোমার কাছে এখন সব মিথ্যা। কেবল ১টা বিষয়ই তোমার জন্য সত্য ।সেটা হলো তোমার নাম। তুমি মেরিন বন্যা খান । উফফস … মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী । যেকে কেউ হারাতে পারবেনা সে নিজে ছারা… তুমিই খান সম্রাজ্ঞের সম্রাজ্ঞী নয়। তুমি খান সম্রাজ্ঞের সম্রাট …
মেরিন : …
দাদুভাই : কি বলেছি? মাথায় ঢুকেছে?
মেরিন : …
দাদুভাই : মাথায় ঢুকেছে ?
মেরিন : হামমম।
দাদুভাই : তুমি রানী নও রাজা …
মেরিন : হামমম ।
দাদুভাই : আমি আজকে চলে যাচ্ছি । ঠিক ১মাস পর আসবো । ১মাস পর আমি ভিন্ন strong মেরিন বন্যাকে দেখতে চাই । পারবো ?
মেরিন : ইনশাল্লাহ …
শুরুর দিকে মেরিনের কষ্ট হলেও নিজেকে পরিবর্তন করলো। শক্ত হলো । কেউ ১টা দিলো মেরিন তাকে ১০টা দিতো।

৭বছরপর …
মেরিন জেল থেকে বের হলো । ওকে নিতে এসেছে দাদুভাই আর নিহাল। সেই ছোট মেরিন ১৮বছরের হয়ে গিয়েছে ।
মেরিন : দাদুভাই… ফুপ্পা …
দাদুভাই : আমার দিদিভাই। আমার সের খান ।
নিহাল : আমার মামনিটা বাহিরে চলে এসেছে । ব্যাস all will be fine …
মেরিন : হামম। নীড় আসেনি …
নীড় নামটা শুনতেই ২জনের মুখ ভারী হয়ে গেলো ।
মেরিন : কি হলো ? বলো…
দাদুভাই : চলো বাসায় চলো দিদিভাই …
মেরিন : ও বুঝেছি । বাসায় ।
নিহাল : না বাসায় না । লন্ডন । higher study এর জন্য গিয়েছে ।
মেরিন : আচ্ছা ফুপ্পি কোন বাসায় ? আমাদের বাসায় নাকি ওই বাসায়?
দাদুভাই : ওই বাসায়।
মেরিন : তাহলে আগে ওই বাসাতেই চলো ।
দাদুভাই : না আগে আমাদের বাসায়ই চলো ।
মেরিন : না। ওই বাসায় মানে ওই বাসায় ।
মেরিনের জেদের জন্য চৌধুরী বাড়িতে গেলো ।
মেরিন : ফুপ্পি …
বলেই নীলিমাকে জরিয়ে ধরতে গেলো ।
নীলিমা : কে তুমি?
মেরিন : আমি বন্যা … ☺…
নীলিমা : বন্যা… তোর সাহস কি করে হয় আমার বাড়িতে ঢোকার ? বেরিয়ে যা খুনী ….
মেরিন : ফুপ…
নীলিমা : তুই আমার কিছুনা । তুই কেবল আমার ভাইয়ের খুনী …
নিহাল : নীলা … মামনি এ বাড়িতে থাকবে কি থাকবেনা… আসবে কি আসবেনা সেটা তুমি decide করবেনা ।
নীলিমা : তাহলে ওই থাকুক … আমিই চলে যাই ।
মেরিন : না ফুপ্পি । আমিই চলে যাচ্ছি । যেদিন তোমার ছেলে আমার হাত ধরে আনবে সেদিনই আসবো।
নীলিমা : হাহাহা… আমার ছেলে তোর হাত ধরে আনবে? তোর সেই স্বপ্ন কোনোদিনও পূরন হবেনা। আমার ছেলে তোকে ঘৃণা করে। ঘৃণা …
মেরিন : কোনোদিনও না। এটা তোমার ভুল ধারনা । নীড় তার বনপাখিকে কোনোদিনও ঘৃণা করতে পারেনা … চলো দাদুভাই …
মেরিন খান বাড়িতে গেলো । সেখানে মনির-সেতু-নিলয়কে দেখে মেরিনের মেজাজ বিগরে গেলো ।
মেরিন : দাদুভাই … এই পরগাছারা এখানে কেন ?
কনিকা : কারন এটা জেল নয়। যেখানে খুনীরা থাকে। এটা খান বাড়ি । ভালো মানুষ থাকে ।
মেরিন : যেহুতু খান বাড়িটা আমার সেহুতু আমিই ঠিক করবো এই বাড়িতে কে থাকবে আর কে থাকবেনা । এখনি বের করে দিবো।
দাদুভাই : দিদিভাই রুমে চলো।
মেরিন : হামম যাবো। তারআগে…
দাদুভাই : fresh হয়ে নাও দিদিভাই ।
দাদুভাই জোর করে মেরিনকে রুমে নিয়ে গেলো ।
দাদুভাই : দিদিভাই … কনিকা আমার কাছে ছোট ১টা আবদার করেছে । সেটা হলো ওদেরকে এ বাড়িতে থাকতে দেয়া । তা না হলে কনিকাও এ বাড়িতে থাকবেনা ।
মেরিন : না থাকুক । who cares…
দাদুভাই : দিদিভাই কনিকা এ বাড়ির বউ । তাই ওর ১টা দাবী আছে । যেহুতু আমার ছেলেটা নেই …
মেরিন : আমার বাবা আছে …
দাদুভাই : যাই হোক ওরা এ বাড়িতেই থাকবে।
নিলয় মেরিনকে দেখে crush খেয়েছে ।
।.
কিছুদিনপর…
এদিকে চারদিক থেকে ঘৃণা খুনী সব শুনে শুনে মেরিন অতীস্ট ।
মেরিন : দাদুভাই …. আমি লন্ডন যাবো । সেই শহরে যাবো যেখানে নীড় থাকে …সেই ভার্সিটিতেই পড়বো যেখানে নীড় পড়ে …
দাদুভাই : দিদিভাই abroad যাবে ভালো কথা । কিন্তু লন্ডনই কেন ? তুমি USA যাও ।
মেরিন : না আমি লন্ডনই যাবো। নীড়ের কাছে .. নীড়ই একমাত্র যে আমাকে কোনোদিন ঘৃণা করবেনা ।
দাদুভাই : কিন্তু দিদিভাই আমার কথাটা তো শোনো ।
মেরিন : কোনো কথানা । আমি যাবো। its final …
দাদুভাই : লন্ডন গেলে আরো আঘাত পাবে ।
মেরিন : never … যেখানে নীড় সেখানেই বনপাখির শান্তি ।
দাদুভাইয়ের সকল নিষেধ অমান্য করে লন্ডন গেলো ।

৩দিনপর…
মেরিন : ৩দিন হয়ে গেলো । কালই নীড়ের সাথে দেখা করবো । class তো start হবে আরো ৫-৭দিন পর থেকে। অতোদিন আমি wait করতে পারবোনা … কালই দেখা করবো । আগে ওর information নেই ।
জানতে পারলো যে নীড় সকালবেলা জগিং করতে বের হয় ।
মেরিন : নীড় জানু কাল সকালেই তোমার সাথে দেখা করবো ।
.
সকালে …
মেরিন নীড়ের পছন্দের কালো রঙের ড্রেস পরেছে । একটুপর নীড় জগিং স্যুট পরে হাজির । জগিং করতে করতে চোখ গেলো মেরিনের দিকে… ভোরের আলোতে কালো পোশাকে মেরিনকে ভীষন সুন্দর লাগছে। মায়াবী লাগছে ।
নীড় : মাশাল্লাহ… খুব সুন্দর । real beauty … মায়াভরা মুখটা। কে মেয়েটা? ১ম দেখলাম তবুও মনে হচ্ছে কতোদিনের চেনা।
নীড় দৌড়াতে দৌড়াতে যতোই মেরিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছো ততোই নীড়ের heartbeat fast হচ্ছে …
.
চলবে….

Comments